নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেন জাগবে হে তরুণ তরুনী

মোঃ সাকিব

দেশে শান্তি চাই

মোঃ সাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহলে হাদিস মূফতি ইব্রাহীম সাহেবের "ফতোয়া"

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:২৩



আহলে হাদিস, মূফতি কাজি ইব্রাহীম সাহেবের "ফতোয়া"
কুকুরে ৫/৭ টা বাচ্চাও হয় কিন্তু সিজার হয়না, মানুষের মধ্যে সিজারের মাধ্যমে যাদের প্রসব হয় (বাচ্চা হয়) তারা কুকুরের চাইতেও মন্দ (খারাপ)। যেই মূফতি সাহেব এই ধরনের "ফতোয়া" দেন সেই মূফতি সাহেবের ওয়াজ না শুনা, সেই মূফতি সাহেব থেকে ফতোয়া না নেয়া উত্তম নয় কি? এটি আপত্তির কর "ফতোয়া" তাই ভিডিও পোষ্ট করছিনা অবিশ্বাস হইলে বলুন, উনার ভিডিও টি মেসেজ করে পাঠাইব।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
প্রশ্ন ছিল:-_মৃত ব্যক্তির ইছালে ছাওয়াবের জন্য খানা বেজবানী করা যাবে কিন। একবাক্যে এর উত্তর হইল (১) করা যাবে। অথবা (২) করা যাবেনা। বুঝার জন্য ব্যাাখ্যা সহকারে বলিলে (১) এর উত্তর:- যদি "করা যায়" তাহলে কিভাবে, কোন্ নিয়তে, কাদের জন্য "খানা মেজবানী" ইত্যাদি সহীহ দলিল সহকারে বলতে হবে। (২) এর উত্তর:- যদি "করা না যায়" তাহলে ইছালে ছাওয়াব পৌঁছানোর জন্য "খানা মেজবানী" করা যাবেনা কেন তাহাও সহীহ দলিল সহকারে বলতে হইবে।

মূফতি সাহেব প্রশ্ন কারীকে এই ব্যাখ্যা দেন নাই অথচ ইছালে ছাওয়াবের উদ্দিশ্যে গরীব মিছকিনের জন্য {বেদায়াত না করে (চার দিনা, চাল্লিাশা ইত্যাদি)} খানা মেজবানী করাও শরীয়ত সম্মত। ইছালে ছাওয়াবের জন্য যদি রাস্তা, ঘর, টিউব ওয়েল, কোরান মজিদ, হাদিসের কিতাব ইত্যাদি কারা/দেয়া যায় তাহলে "খানা মেজবানীতে আপত্তি কেন? যদি বলা হয় যে, এতে বড়ত্ব, অহংকার প্রকাশ পায় কিংবা এই জন্যই করা হয় তাই। তাহলে প্রশ্ন আসে, "খানা মেজবানী" ব্যতিত অন্যন্য ভাবে করিলে সেখানেও কি বড়ত্ব, আহংকার প্রকাশ ইত্যাদির উদ্দিশ্যে করা অসম্ভব? মৃত ব্যক্তির ইছালে ছাওয়াবের জন্য নিয়ত এবং করনীয় পদ্ধতি কি হইবে সেই ওয়াজ না করে "কবরে" আগুন জ্বালাইয়া দিলেন কেন বুঝে আসছেনা।

তিনি হেমানদারীর কথা বলছেন, এটি অবশ্যই সুন্নত। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কোটিপতি, আত্নীয় স্বজন কিংবা অন্য কোনো স্বচ্চল লোককেও মেহমানদারী করা যায়, সুন্নত আদায় হয় কিন্তু এই মেহমানদারীর উদ্দিশ্য মৃত ব্যক্তির ইছালে ছাওয়াব নয়, এটি সামাজিকতা। তিনি বলেন:- মৃত্যুর আগে ওয়ারীশকে চার দিনা, চাল্লিাশা না করার অছিহত করে যেতে হবে অথচ এই অছিহতের কোনো দলিল দিলেন না তাহাছাড়া ওয়ারীশগন যদি নিজেদের বড়ত্ব, ধন দৌলতের অহংকার প্রকাশের জন্য বাবা/মায়ের ইছালে ছাওয়াবের নামে খানা মেজবানী করে থাকে এর জন্য দায়ী কে? মৃত বাবা/মা? নাকি ঐ ওয়ারীশগন। যদি ওয়ারীশগন দায়ী হয়ে থাকে তাহলে বাবা/মায়ের কবরে আগুন জ্বলবে কেন? উনারা তো দায়ী নয়, মূফতি সাহেব এই ব্যাখ্যাও দিলেন না।

বন্ধুরা:- বেদায়াত থেকে মুক্ত থাকার জন্য মূফতি সাহেবের কাছে এসেছেন খুবই ভাল তবে মূফতি সাহেব কি বলিলেন? পবিত্র কোরানে ছাওয়াবের নিয়তে গরীব মিছকিকে পেট ভরে খানা খাওয়ানের কথা বলা হয়েছে, সহীহ হাদিসও রয়েছে এমন কি আল্লাহ আপনাকে দৌলত দান করেছেন, তাহা থেকে আল্লাহর শোকরীয়া আদায় কল্পে (নিয়ত) পাড়া প্রতিবেশী, আত্নীয় স্বজন গরীব মিছকিন সকলের জন্য খানা মেজবানী করাও শরীয়ত সম্মত কারণ উনারাও আপনার হকদার। সামাজিক দায়ীত্ববোধ থেকে সকলের জন্য খানা মেজবানী করা যাবেনা এমন "ফতোয়া" কখনও পেয়েছেন কি? যাহাই করনা কেন প্রত্যেক কিছু নির্ভর করে "নিয়তের" উপর। ভাবতে অবাক লাগে, মূফতি সাহেব নিয়তের ওয়াজ না করে মৃত ব্যক্তির কবরে আগুন জ্বলাইয়া দিলেন।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই লোক ১০০% ভন্ড।

২| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

কাউসার রানা বলেছেন: ভাই আগে ভাল করে উনার কথা শুনুন। যদি কোন বিষয়ে মত-বিরোধ থাকে তাহলে তাকে জানান। অথবা নিজে সংশোধন হয়ে যান। ধন্যবাদ।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

মোঃ সাকিব বলেছেন: ভাই এরা তো আসেনা; বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যার জন্য ডাকিলে শিয়ালের মত পালায়।

৩| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:১১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনি দেন দেখি ভিডিওটা। উনি কী আসলেই সিজারিয়ান বাচ্চার ব্যপারে এসব বলেছেন?

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

মোঃ সাকিব বলেছেন: হেঁ ভাই সিজারিয়ান বাচ্চার ক্ষেত্রে এমনটি বলেছেন।

৪| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

রাকিবুল ইয়াসিন বলেছেন: ভিডিওটা দেন দেখি ভাই... উনি কি বললেন...

৫| ১২ ই মে, ২০১৭ রাত ২:০২

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: আমাদের গ্রামের পল্লী চিকিৎসক নামের আগে ডাক্তার লিখে । যদি প্রশ্ন করা হয় কোন মেডিক্যাল কলেজ তখন দাত বের বলে আমি পল্লী চিকিৎসক ।। আপনি যা লিখেছেন তা সেই পল্লী ডাঃ এর মতো । ইসলাম ভাল ক্রে জানুন ।। জানলে আপনি হয়ত আপনার গীবত করা ভুল থেকে রক্ষা পাবেন ।

৬| ১২ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ঈমান বাচিয়ে চলতে হবে।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২

মোঃ সাকিব বলেছেন: আমি আপনার মত অন্ধ ভক্ত নই। ইসলামকে জানার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ তবে আপনার পদ্ধতিতে জানিলে ইসলাম জানা হবেনা বরং ভ্রন্তমতবাদী মওদুদী - জাকির নায়েককেই জানা হবে; অথচ আমার বিচারে ওরা হক্কানী আলেম ওলামার নাপাক পানি সমতুল্যও কিনা সন্দেহ আছে।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি আপনার মত অন্ধ ভক্ত নই। ইসলামকে জানার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ তবে আপনার পদ্ধতিতে জানিলে ইসলাম জানা হবেনা বরং ভ্রন্তমতবাদী মওদুদী - জাকির নায়েককেই জানা হবে; অথচ আমার বিচারে ওরা হক্কানী আলেম ওলামার নাপাক পানি সমতুল্যও কিনা সন্দেহ আছে।

এইসব বড় বড় ডায়ালগ না দিয়ে সেই ভিডিও লিন্কটা দিয়ে নিজের কথার সত্যতা প্রমান করুন।
অপরিপক্ক হাতের ঠুনকো যুক্তির পোষ্ট দিয়ে নিজে হালকা হয়েছেন,ইসলামকেও নাস্তিকদের কাছে হাস্যতূল্য করছেন।ইসলাম প্রচারে নামার আগে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে তারপর আসুন।''দা'য়ী'' এত সহজ ব্যপার না।আগে মেধা ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে নিজের গ্রহনযোগ্যতা তৈরী করুন।

মুফতি ইব্রাহিম,ডঃ জাকির নায়েকের স্বমত না নিন অন্তত তাদের উপস্থাপনার চৌকষ গুণাবলী অর্জন করুন।

৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মোঃ সাকিব বলেছেন: কাজি ইব্রাহীমেরা মূখোশখারী। ভাড়া করে কিছু লোক জমায়েত করে এবং তাদেরকে বিভ্রান্ত করে পবিত্র কোরান হাদিসের উদৃতি দিয়ে। সমাজের অশিক্ষিত মানুষ গুলি কোরান হাদিসের কথা বলিলেই তাহা বিশ্বাস করে অথচ তারা জানেন না যে, কথাটি আসলে কোরান হাদিসের কিনা। সমস্যা হচ্ছে অন্য জাগায়, ভারত বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের অভীন্ন মতাদর্শের একটি রাজনৈতিক সংগঠন এইসব ভন্ডকে সমর্থ দিয়ে যাচ্ছে (ফেইসবুকে তাদের বিচরণ অতুলনীয়)। এইসব ভন্ডকে সমর্থন দেয়ার মাধ্যমে ঐ রাজনৈতিক সংগঠনের আসল চেহেরা প্রকাশ পেয়েছে। মূলত এই সংগঠনটি ইসলামের নামে ইরানের শিয়া খোমেইনির মত একটি বিপ্লব চায় অথচ শিয়ারা মুসলমানই নয়। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এই সংগঠনের কর্মীরা জাকির নায়েকের মদদপুষ্ট। ফেইসবুকে দেখুন, আলেম ওলামারা যাখন জাকির নায়েকের ভন্ডামি প্রকাশ করে তখন এই সংগঠনের কর্মীরাই তেলে বেগুনে হয় যায় এবং শান্তি প্রিয় আলেম ওলামার বিরোদ্ধে নানা অপপ্রচার চালায়, অথচ ইসলামের নিতি হইল মধ্যপন্থা অবলম্বন করা। ইদানিং জঙ্গি পরিচয়ে যারা ধরা পড়ছে তাদের বেশীর ভাগই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া, ভাল পরিবারের সন্তান হয়েও এইসব ভন্ডের দ্ধারা বিভ্রান্ত হয়ে বিপ্লবের নামে অপরাধের দিকে ধাবিত হচ্ছে। জাতির স্বচেতন মানুষের উচিত বিষয়টি গভীর ভাবে চিন্তা করা যাতে আমাদের প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে না যায়। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.