![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয় … …,
তোমাকে কি বলে যে সম্বোধন করব বুঝতে পারছি না। তাই প্রিয় শব্দটার পর জায়গাটা খালি রাখলাম। তুমি তোমার ইচ্ছে মত কিছু একটা বসিয়ে নিয়ো। যাই হোক, ভালো আছো?
জানো, আমার চিঠিটা পাওয়ার পর তুমি চিঠিটা হাতে নিয়ে পড়ছ গভীর আগ্রহে। সেই দৃশ্যটা ভেবে আমি চিঠিটা লিখছি। কিন্তু তোমার মুখটা স্পষ্ট না। তাই বুঝতে পারছি না, এই চিঠি পেয়ে তোমার অনুভুতি কেমন। তবে তোমার অনুভূতি দেখার খুব শখ।
আচ্ছা আমাদের কি দেখা হবেনা? আর দেখা হবেই বা কেমন করে বল? তুমিও আমার শহর চেনোনা আর আমিও তোমার শহর চিনি না। এইটা কোন কথা? তাই বলে কি আমাদের দেখা হবে না? হবে হবে। “তোমার আমার দেখা হবে মরণের পরে”।
আচ্ছা! একটা ধাঁধার উত্তর দাও তো। ” তুমি থাকো ডালে ডালে, আমি থাকি জলে জলে। তোমার আমার দেখা হবে মরণের কালে। ” ধাঁধার উত্তরটা দিতে পারলে একটা চকলেট দিবো। যেদিন দেখা হবে সেদিনই চকলেটটা দিবো। ভেবো না যে ফাঁকি দিবো। চকলেটের সাথে আরো কিছু দিবো। শুধু একটাবার একটাবার দেখা করতে চাই। হোক না সে দেখা প্রথম এবং শেষ দেখা। তবুও দেখতে চাই, যে না দেখেও কেন এত ভালবাসলাম। আমি তোমাকে আর তুমি আমাকে।
আচ্ছা, তুমি দেখতে কেমন? দেখা হলে তোমাকে চিনবো কেমন করে? জানো! খুব জানতে ইচ্ছে করে। কথা বললে তোমাকে কেমন দেখায়, হাসলে তোমাকে কেমন দেখায়, রাগ করলে তোমাকে কেমন দেখায়। আর কষ্ট! সেটা তো তোমাকে নাকি স্পর্শই করতে পারেনা। আচ্ছা, এত সুখ পাও কোথায় বলত? আমাকে তো কিছু দান করতে পারো।
জানো, তোমার চিঠি পাওয়ার পর খামটা হাতে নিয়ে ভাবছিলাম, এটা কি চিঠি? খামটা এত মোটা কেন? যাই হোক, চিঠিটা খুলতেই ভড়কে গিয়েছিলাম। ১০০ পৃষ্ঠার একটা চিঠি। এটাকে চিঠি না বলে দলিল বলা উচিত। প্রতি পৃষ্ঠা, প্রতি পাতা জুড়ে ‘ভালোবাসি’ কথাটা লেখা। বুঝতে পারলাম এইটা আমার নামে লেখা তোমার ভালোবাসার দলিল। কিন্তু এইটা কোন কথা? শুধুই ভালোবাসি? আর কোন কথা নাই?
জানো, আজকাল আমার নাকি একটা মুদ্রা দোষ হয়েছে। সেটা হল কথায় কথায় বলি, ‘এইটা কোন কথা?’ সেদিন বুবু রেগে বলেছিলো এই কথা ওর সামনে বললে কষে একটা চড় দিবে। আমি তো ওর কথা শুনেই অবাক হয়ে বললাম, ‘এইটা কোন কথা?’ আচ্ছা তুমিই বল, ‘এইটা কোন কথা?’
আচ্ছা চিঠিটা শেষ করা দরকার। যে কোন সময় বুবু চলে আসতে পারে। কিন্তু ভাবছি চিঠিটা শেষ করবো কি করে? স্কুল জীবনে বাংলা ক্লাসে চিঠি লিখতে দিলে কয়েক পৃষ্ঠা জুড়ে চিঠি লিখতাম। ক্লাসের শেষ ঘণ্টা পড়ে যেত তারপরও চিঠি লেখা শেষ হত না। আর তোমার কাছে লিখতে গেলে তো সারা জীবনেও চিঠি লেখা শেষ হবেনা। কিন্তু, বুবু দেখলে আস্ত রাখবেনা। তাই ঠিক করেছি আর কথা বাড়াবো না। তবে চিঠির উত্তর দিও, অপেক্ষায় থাকবো। এইবার তোমার মনে দলিলটা চাই। ভালো থেকো। অনেক ভালবাসা রইল।
ইতি,
ইতি
( দেখছ? বাবা মা কি নাম দিল যার অর্থই শেষ। শুরু না হতেই শেষ। এইটা কোন কথা? )
চিঠিটির অডিও শুনতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন-
০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২০
প্রীতি পারমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৬
অনবদ্য অনিন্দ্য বলেছেন: অডিটা বেশি সুন্দর। ভালো লেগেছে অনেক। চালিয়ে যান, আরো চিঠি লিখেন
০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২২
প্রীতি পারমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ
চেষ্টা করব আরও লেখার জন্য
৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০৬
বিল্লাল হোসাইন বলেছেন: ইস এমন চিঠি যদি কেউ আমায় লিখত !!!!!!!!!
০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২২
প্রীতি পারমিতা বলেছেন: হা হা হা
লিখবে কেউ না কেউ
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৪
দীপ্তিহীন সূর্য বলেছেন: অনেক আবেগে ভরা। অডিও টাও শুনতে ভালই লাগল।