নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাই ব্লাড বাংলাদেশি। কারো মাস্তানি ভালো লাগে না, কিন্তু সহ্য করি। সবসময় ভাবি: আহা, সবাইকে যদি মুক্ত আকাশে ছেড়ে দিতে পারতাম। আপাতত যুক্তরাষ্ট্রে বসে অনর্থক একটা বিষয় নিয়ে পিএইচডি করছি।

কাজী মেহেদী হাসান

খুবই সাধারণ মানুষ। খেটে খাওয়া শ্রমজীবি। ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে খুব উদার মনোভাব পোষন করি। পৃথিবীটাই আসলে প্রত্যেকের। জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও সীমানার বাধনে বাধা ঠিক নয়। এই মত লালন করি। আমার কামনা পুরো পৃথিবী একদিন একটাই দেশ হবে।

কাজী মেহেদী হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্প্রচার সাংবাদিকতা/টেলিভিশন সাংবাদিকতা

১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

সম্প্রচার সাংবাদিকতা কী?

সম্প্রচার সাংবাদিকতা হচ্ছে সাংবাদিকতার সেই পরিবর্তিত রুপ যেখানে সংবাদপত্রের পরিবর্তে রেডিও বা টেলিভিশনের মাধ্যমে মানুষকে তথ্য জানানো হয়। সম্প্রচার সাংবাদিকতা আসলে দ্রুত মানুষের কাছে তথ্য পৌছানোর মাধ্যম। যখনই ঘটনা তখনই জানানোর জন্য সংবাদপত্রের বদলে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে তথ্যপ্রচার করা হয়। রেডিও টেলিভিশন ছাড়াও বর্তমানে ইন্টারনেট রেডিও ব্যবস্থাও সম্প্রচার সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়েছে।

সাধারণভাবে খুব কম সময়ের মধ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য সম্প্রচার সাংবাদিকতার উদ্ভব। এর সুবিধা হচ্ছে সহজ ভাষা ও ছবির মাধ্যমে সব শ্রেনির মানুষের কাছে পৌছানো যায়।

সম্প্রচার সাংবাদিকরা ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করেন। সরাসরি সম্প্রচার যন্ত্রের মাধ্যমে তখনি কোটি মানুষের সেই তথ্য ও ছবি পৌছে যায়।

সরাসরি সম্প্রচারের পাশাপাশি প্রিন্ট সাংবাদিকতার মতই সব ধরনের সংবাদ তথ্য ও ছবি সম্পাদনার মাধ্যমে টেলিভিশনে প্রচার করা যায়। টেলিভিশনে ক্যামেরায় ধারণ করা সাক্ষাৎকার অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য। ঘটনাস্থল থেকে যথাযথ ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তুলে ধরা সম্প্রচার সংবাদ তাই সংবাদপত্রের চেয়ে অনেক বেশি বস্তুনিষ্ঠ।

বর্তমানে সম্প্রচার সাংবাদিকতার পাশাপাশি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দ্রুত সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে।

সম্প্রচার সাংবাদিকের গুনাবলি

১. সাধারণ জ্ঞানের শক্ত ধারণা: সাংবাদিকতার প্রথম শর্তই হচ্ছে সাধারণ জ্ঞানের ওপর শক্ত ধারণা থাকতে হবে। ভেনিজুয়েলার স্পিকারের নাম জানা থাকলে ক্ষতি নেই তবে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তানের স্পিকারের নাম জানতে হবে। ছিটমহল কাকে বলে, বান্দরবান না বান্দরবন, শেরপুর নামে উপজেলাও আছে, দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ন নেতা কারা, সেনাবাহিনীর পদবি---এমন অনেক কিছু সম্পর্কেই সাংবাদিকের ধারনা থাকতে হয়। এজন্যই বলা হয়, জ্যাক অব অল ট্রেডস, মাস্টার অব নান।

২. ছবির ধারণা: সম্প্রচার সাংবাদিক হতে হলে তথ্যের পাশাপাশি ছবি বা ফুটেজের ধারনাও থাকতে হবে। ছবির সামনে আলো না পেছনে থাকলে ছবি উজ্জ্বল দেখায় তা যেমন জানতে হবে, তেমনি জানতে হবে ক্যামেরা কিভাবে কাজ করে, কোন ছবির নাম কি?

৩. দৃঢ় মানসিকতা: সাংবাদিকতার জন্য দৃঢ় মানসিকতা সরকার, তার চেয়ে বেশি দরকার সম্প্রচার সাংবাদিকদের জন্য। সম্প্রচার সাংবাদিকতায় পরিশ্রম এত বেশি মানসিকভাবে শক্ত না হলে, বেশিদিন পেশায় টিকে থাকা কঠিন। সরাসরি ঘটনাস্থলে যেতে হয় বলে শত্রু সহজে চিনে ফেলে, তারা নানাভাবে ভয় ভীতি দেখায়। যে কোন সময় চাকরি চলে যাওয়ার ভয় আছে, এসব কে জয় করার মানসিকতা নিয়েই সম্প্রচার সাংবাদিকতায় আসা উচিত।

৪. সন্দেহবাতিক: সাধারণ একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তির ভেতর অনেক বড় সংবাদ লুকিয়ে থাকতে পারে, একটা দরপত্র বিজ্ঞপ্তির ভেতর থাকতে পারে দুর্নীতির প্রাণভোমরা। সন্দেহবাতিক মন না থাকলে সাধারণভাবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি, সংবাদ সম্মেলনই মনে হতে পারে। তাই ভালো সাংবাদিক হতে হলে মনের এই সন্দেহপ্রবণতাকে কাজে লাগান।

৫. গন্ধ শোকার নাক: বিষয়টা সন্দেহবাতিকতার মতই, তবে একটু আলাদা। সাংবাদিককে অসঙ্গতিগুলো খুজে দেখতে হয়। কোন ঘটনাস্থলে গেলেন, সেখানে কি কোন অসঙ্গতি নজরে আসে? বিখ্যাত কনট্রাকশন ফার্মের সাইটে কেউ খুন হয়েছে, কিন্তু সেখানকার শ্রমিকরা কি হেলমেট মাথায় কাজ করছে?

৬. বিশ্বাসযোগ্যতা: সাংবাদিককে কাজের মাধ্যমে নিজেকে ধীরে ধীরে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হয়। কোন ঘটনায় সব পক্ষের সাথে কথা বলে সর্তকতার সাথে কাজ করে সবচেয়ে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্য হতে হয়। একজন সাংবাদিকের বিশ্বাসযোগ্যতা তার শ্রেষ্ট সম্পদ।

৭. যোগাযোগবান্ধব: সবাই সবার সাথে মিশতে পারে না। সাংবাদিককে একইসাথে মন্ত্রী ও সুইপারের সাথে মিশে যাওয়ার এবং তাদের কাছ থেকে তথ্য নেয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে।

৮. মনোযোগি, সুশৃঙ্খল ও নির্ভরযোগ্য: যে কোন কাজের প্রতি মনোযোগ ও ব্যক্তির শৃঙ্খলা তার চলার পথের বড় নিয়ামক। খুব ভালো সাংবাদিকও যদি কাজের প্রতি মনোযোগ না দেন ও তার শৃঙ্খলাবোধের অভাব থাকলে তার প্রতি কেউ নির্ভর করতে পারে না।

৯. ভালো লেখার ক্ষমতা: সম্প্রচার সাংবাদিককে শুধু তথ্য জানলেই হবে না, তথ্য উপস্থাপন করার মতো স্ত্রিপ্ট লেখার যোগ্যতা থাকতে হবে। এজন্য কবিতা বা যে কোন লেখার যোগ্যতা থাকা ভালো।

১০. উচ্চারণ ও বাচনভঙ্গি: সম্প্রচার সাংবাদিকদে নিজের কন্ঠ দিয়ে তথ্য তুলে ধরতে হয়। এজন্য আঞ্চলিকতামুক্ত প্রমিত শুদ্ধ উচ্চারণ জানা থাকা জরুরি।

১১. সুদর্শন ও স্মার্ট: দেখতে সুন্দর হলে তা সহজেই নজর কাড়ে। টেলিভিশন সাংবাদিকদের জন্য তাই দর্শনধারী হওয়া তার জন্য প্লাস পয়েন্ট। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলার ক্ষমতা তার যোগ্যতাকে আরো বাড়িয়ে দেয়।

১২. প্রতিযোগিতার মানসিকতা: যুদ্ধ করার মানসিকতা না থাকলে কেউ এগিয়ে যেতে পারে না। সাংবাদিকতায় প্রতিদিন এগিয়ে যাওয়ার জন্য দরকারি পড়াশুনা, সংবাদ উৎসের সাথে যোগাযোগ ও বিশ্বের ভালো সাংবাদিকদের অনুসরণ করতে হয়। এর পাশাপাশি সাংবাদিকতায় প্রতিদিন নানা বাধার মুখোমুখি হতে হয়, সবকিছুর সাথে প্রতিযোগিতা করে নিজেকে যোগ্য প্রমানের মানসিকতা না থাকলে কারো এ পেশায় না আসাই ভালো।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪

মুহিব বলেছেন: জটিল জ্ঞানের ব্যাপার।

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০০

কাজী মেহেদী হাসান বলেছেন: বেশি জটিল হয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করছি।

৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০০

কাজী মেহেদী হাসান বলেছেন: বেশি জটিল করে ফেলায় দুঃখ প্রকাশ করছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.