![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুবই সাধারণ মানুষ। খেটে খাওয়া শ্রমজীবি। ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে খুব উদার মনোভাব পোষন করি। পৃথিবীটাই আসলে প্রত্যেকের। জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও সীমানার বাধনে বাধা ঠিক নয়। এই মত লালন করি। আমার কামনা পুরো পৃথিবী একদিন একটাই দেশ হবে।
পূর্বভারতীয় পর্যটন শহর পুরি-এর রেল স্টেশনে এসে নামলাম। পুরি-কে সমুদ্র সৈকতের শহর হিসেবেই আমি জানতাম। পাশপাশি শহরটি জগন্নাথ দেবের মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। (এই তথ্যটি আমার জানা ছিল না)।
জগন্নাথ দেবের মন্দির
স্টেশনে নামতেই দেখলাম পর্যটকের পাশাপাশি পুন্যার্থীদের ভিড়।হাজার হাজার মানুষ। আমি ভাবলাম এত লোক এখানে কোথায় থাকবে। ভারতের স্টেশনগুলো অবশ্য দেখার মতো। শহর হয়তো ছোট তবে স্টেশনগুলো বিশাল।
অচেনা শহরের স্টেশন থেকে বের হলাম। শুরু হলো রিকশা ও অটোরিকশা চালকদের উৎপাত। কাহা যায়েগা? কৌন হোটেল? মেরে সাথ যায়েগা? একশ রুপিয়া। আচ্ছা পচাশ রুপিয়া। ওকে বিশ রুপিয়া।
বিশ রুপিয়ায় রাজি হলাম। ব্যাটাকে বললাম মেইন বিচ এলাকার হোটেলে নিয়ে যেতে। সে জানালো দুটো বিচ আছে। স্যান্ড বিচ আর মেরিন বিচ। কাহা যায়েগা? আমরা বললাম কোনটা ভালো। সে বললেো মেরিন বিচ বেশি ভালো। আমরা বললাম চলো। জানতাম না ধরা খেলাম।
কেউ যদি কখোনো পুরি যান, সোজা বলবেন পুরি হোটেল যাব। ব্যাটা জোচ্চর আমাদের নিরিবিলি একটা বিচ এলাকায় নিয়ে গেল। আবার পিছন ছাড়ে না। কোনো হোটেলে আমাদের নিয়ে তুলে দিতে পারলেই রুম প্রতি দশ পার্সেন্ট কমিশন।
আমরা অবশ্য একটা সুন্দর হোটেল পেলাম। মূল বিচ থেকে প্রায় চার কিমি দূরে। জানিয়ে রাখি স্টেশন থেকে আমাদের হোটেলের অটো ভাড়া ৫০ রুপি। রিকশা ৩০-৪০ রুপি।
হোটেলে ব্যাগ রেখে কিছু খাওয়ার জন্য বের হলাম। চক্র তীর্থ রোডে কয়েকটা রেস্টুরেন্ট। খাবার জন্য আমি নিলাম দোসা। দুলাভাই নিলেন ইডলি।
ইডলি দক্ষিণ ভারতের অন্যতম খাবার। চালের গুড়া দিয়ে বানানো হয়। একধরনের আচারের ঝোল দিয়ে তারা খায়। দুলাভাই ইডলি মুখে নিয়েই ওয়াক-থু করলেন। আমিও মুখে নিয়ে দেখলাম অখাদ্য। পরে পরিচিত দোসা খেতে থাকলাম।
এখানে আগের পর্ব
http://www.somewhereinblog.net/blog/Mehediwriter/30020156
২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০
মুহিব বলেছেন: নিয়মিত লিখুন, আমরা পড়ছি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: লেখাটা বেশি ছোট হয়ে গেছে না? আরো বিস্তারিত হলে ভাল হত। ধন্যবাদ।