নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহমান

আমি মেহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেনাবাহিনীর ব্যাপারে খালেদা জিয়ার ব্ক্তব্য উস্কানীমূলক! এর জন্য তাকে রাষ্টদ্রোহী সাইব্যস্ত করে সাজা দিতে হবে! বিচার হবে পরে!

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৩





বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ আমাদের আওয়ামীলীগ-সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার আনুষ্ঠানিক সভা শেষ হলে সকল মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী একযোগে দাঁড়িয়ে বেগম জিয়ার বক্তব্য উদ্ধৃত করে সমালোচনা শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সভায় সভাপতিত্ব করছিলেন।



মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন সর্ব কালের সর্ব শেষ্ঠ - মউস্ট ডিসাইসিভ নেতা - আমাদের দেশের গণতন্ত্রের কর্ণধার বর্তমান ও ভবিষৎের প্রধানমন্ত্রী (যদি জামাত, শিবির আর এই হেফাজতে ইসলামীদেরকে বাংলাদেশের স্বাধীন সীমানা থেকে বেড় করে দেয়া যায়) শেখ হাসিনাকে।



প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মন্ত্রিরা বলেন, 'বেগম জিয়ার বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল' এ জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।



ব্যবস্হা, আমার মনে হয় তাকে ফাসির কাষ্টে ঝুলিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত রাখা উচিত। কি সাহস দেখেন তো? পাইছে কি - এটা কি সবার দেশ নাকি! এটা আমাদের দেশ - আমাদের রক্তের বিনিময়ে কেনা - আর এই কেনাতে সাহায্য করেছে আমাদের দোস্ত আমাদের মৈত্রী, ভারত। বেগম জিয়ার কথা বার্তায় মনে হয় উনি যেন একটা স্বাধীন দেশে বাস করতেছেন। উনার মাথায় ঠিকই গন্ডগোল - উনি যে কার রাজত্বের রাজ্যে আছেন তার হুশ হারিয়ে জ্ঞান শুন্যতার পরিচয় দিচ্ছেন বলেই তো মনে হয়! এটা যদিও জনগনের কাছে সাহ্সী ভূমিকা বলে মনে হতে পারে - আমার কাছে একেবারে আহমকী! বেগম জিয়া যেসব কথা বার্তা বলতেছেন এর জন্য দেশী আইনে - মানে আমাদের আওয়ামী মনোভাবে - একটা ইনটারন্যাশনাল ট্রাইবুল্যাল করে এখনই তাকে ফাসি দেওয়ার ব্যবস্হা নেয়া হোক। প্রয়োজনে ভারত ও বেলজীয়াম থেকে প্রয়োজনীয় সরন্জাম - মানে এডভাইস আনা হোক। বিচার-টিচার এগুলো পরে পাওয়া যাবে।



গত রবিবার বগুড়ায় এক জনসভায় বিরোধী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, বিদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনী যেমন কাজ করছে তেমনি দেশেও শান্তি প্রতিষ্ঠায় যথাসময়ে তারা কাজ করবে'।



বেগম জিয়ার এই কথা যদিও বতর্মান পরিস্তিতিতে জনসাধারণের প্রাণের আবেগের প্রতিফলন - আমাদের সরকারের জন্য এটা মহা প্লাবন। বর্তমানে আমাদের আওয়ামী সরকার পুলিশ আর র্যাব দিয়ে অনেক কাজ সারতেছ। আমাদের লোকজন পুলিশ আর র্যাবের পোষাক পরে মাঝে মধ্যে আমাদের পথের কাঁটাগুলো ম্যানেজ করতেছে। সেনাবাহিনী আসলেতো আর এসব চলবেনা। আমরা যেভাবে বড় বড় পুলিশ অফিসারদেরকে প্রমোশনের প্রলোবণ দেখিয়ে কাজ সারিয়ে নিতে পারছি তাতো আর হবেনা। ভয় দেখানো যাবেনা, চোখ রাঙানে যাবেনা, দমক দেয়া যাবেনা আর আর্মির পোষাক ও পরা যাবেনা। আমাদের আ্সল মিশনটাই বর্বাদ করে ফেলবে! বর্তমান পরিস্তিতির যাতে উন্নতি না হ্য় সে ব্যবস্হা অবশ্যই আমাদেরকে নিতে হবে।



বেগম খালেদা জিয়া সেনাবাহিনী সময়মতো কাজ করবে বলে বগুড়ায় যে বক্তব্য দিয়েছেন তা উস্কানীমূলক। এই উস্কানীতে বর্তমান পরিস্তিতির অবসান হলে আমাদের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কাঠগরায় দাড়াতে হবে! বেগম জিয়ার এই অগণতান্ত্রিক সরকার উত্খাতের কৌশলকে যেভাবেই হোক আন্ডারমাইন করতে হবে! জনগণের মত সেনাবাহিনীও যদি জিয়ার ডাকে সাড়া দেয় তবে মুসিবত আমাদের সবার।



আমাদের আওয়ামী সরকারের হায়াত শেষ হওয়ার আগেই ওদের সবার সাথে খালেদা জিয়াকেও ফাসি কাষ্টে ঝুলানো চাই!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৪

াহো বলেছেন: সন্দেহাতীতভাবেই মুজিবের উদ্দেশ্য ছিলো তার দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন ঘটানো । শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত মুজিব একটা 'সোনার বাংলা' গড়তে চেয়েছিলেন, যে 'সোনার বাংলা'র উপমা তিনি পেয়েছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকে, ভালোবেসে মুজিব সেই 'সোনার বাংলা'র স্বপ্নকে তার দেশের জাতীয় সংগীত নির্বাচন করেছিলেন ।
মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু
source -আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন US সাময়িকী 'টাইম'-এ
USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫
টাইম ম্যাগাজিন, ২০ ডিসেম্বার, ১৯৭১

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৫

াহো বলেছেন: অবৈধ ৬ শাসক
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট হইতে ১৯৭৯ সালের ৯ই এপ্রিল তারিখের (উভয় দিনসহ) মধ্যে প্রণীত সকল ফরমান, ফরমান আদেশ, সামরিক আইন প্রবিধান, সামরিক আইন আদেশ ও অন্যান্য আইন এবং উক্ত মেয়াদের মধ্যে অনুরূপ কোন ফরমান দ্বারা এই সংবিধানে যে সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন ও বিলোপসাধন করা হইয়াছে তাহা এবং অনুরূপ কোন ফরমান, সামরিক আইন প্রবিধান, সামরিক আইন আদেশ বা অন্য কোন আইন হইতে আহরিত বা আহরিত বলিয়া বিবেচিত মতাবলে, অথবা অনুরূপ কোন মতা প্রয়োগ করিতে গিয়া বা অনুরূপ বিবেচনায় কোন আদালত, ট্রাইবু্যনাল বা কর্তৃপ কর্তৃক প্রণীত কোন আদেশ কিংবা প্রদত্ত কোন দণ্ডাদেশ কার্যকর বা পালন করিবার জন্য উক্ত মেয়াদের মধ্যে কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপ কর্তৃক প্রণীত আদেশ, কৃত কাজকর্ম, গৃহীত ব্যবস্থা বা কার্যধারাসমূহ, অথবা প্রণীত, কৃত, বা গৃহীত বলিয়া বিবেচিত আদেশ, কাজকর্ম, ব্যবস্থা বা কার্যধারাসমূহ এতদ্দ্বারা অনুমোদিত ও সমর্থিত হইল এবং ঐ সকল আদেশ, কাজকর্ম, ব্যবস্থা বা কার্যধারাসমূহ বৈধভাবে প্রণীত, কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া ঘোষিত হইল এবং তৎসম্পর্কে কেন আদালত, ট্রাইবু্যনাল বা কর্তৃপরে নিকট কোন কারণেই কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

খন্দকার মোশতাক আহমেদ : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক বাহিনীর কিছুসংখ্যক সদস্যের হাতে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হলে খন্দকার মোশতাক আহমেদ নিজেকে দেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। তিনি মোট ৮৩ দিন এ বিতর্কিত পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান 'জয় বাংলা'র পরিবর্তে 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ' চালু করেন এবং 'বাংলাদেশ বেতার'-এর নামকরণ করেন রেডিও বাংলাদেশ। তার সময়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামান নির্মমভাবে নিহত হন। ১৯৭৫ সালের ৬ নবেম্বর তিনি মতাচু্যত হন।

বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক বাহিনীর কতিপয় সদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃতু্য এবং নবেম্বর মাসে পরবতর্ী প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাকের উৎখাতের পর ১৯৭৫ সালের ৬ নবেম্বর বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের পরই তিনি সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে সারাদেশে সামরিক আইন জারি করেন এবং নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ নবেম্বর তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করেন। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের হাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দিয়ে অবসর গ্রহণ করেন।

মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান : ১৯৭৫ সালের ৭ নবেম্বর জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করা হয়। অধিকন্তু ওইদিন সেনাসদরে এক বৈঠকে অন্তর্বতর্ীকালীন সরকার পরিচালনার জন্য একটি প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সায়েমকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং তিন বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান এয়ার ভাইস মার্শাল এমজি তাওয়াব ও রিয়ার এ্যাডমিরাল এমএইচ খানকে উপ-প্রধান করে সামরিক আইন প্রশাসক করা হয়। ১৯৭৬ সালের ১৯ নবেম্বর বিচারপতি সায়েম প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালে জিয়াউর রহমান এই দায়িত্ববার গ্রহণ করেন। অবশেষে ১৯৭৭ সালর ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি সায়েম পদত্যাগ করলে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে সংঘটিত এক ব্যর্থ সামরিক অভু্যত্থানে তিনি নিহত হন।

বিচারপতি আবদুস সাত্তার : ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান নিহত হলে বিচারপতি আবদুস সাত্তার দেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৮১ সালে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এক সামরিক অভু্যত্থানে আবদুস সাত্তার মতাচু্যত হন।

বিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরী : ১৯৮২ সালে দেশে এক সামরিক অভু্যত্থান ঘটিয়ে সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রীয় মতা গ্রহণ করেন। জেনারেল এরশাদ ২৭ মার্চ বিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরীকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে অভিষিক্ত করেন। ১৯৮৩ সালের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ওই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

জেনারেল এরশাদ : ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের অব্যবহিত পর থেকেই রাজনীতিতে এরশাদের আগ্রহ প্রকাশ পেতে থাকে। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্রমতা দখল করেন। ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসন করেন।
এরপর তিনি রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরীকে অপসারণ করে ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
প্রবল গণঅভু্যত্থানের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৯

াহো বলেছেন: সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ এ নাটকের মাধ্যমে বিচারের নামে ১১ জন কর্মকর্তাসহ এক হাজার ৪৫০ জন বিমানসেনাকে ফাঁসি দেন।

সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান১৯৭৭ এ নাটকের মাধ্যমে বিচারের নামে ১১ জন কর্মকর্তাসহ এক হাজার ৪৫০ জন বিমানসেনাকে ফাঁসি দেন।


১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ভোররাতে বিমানবাহিনীতে বিদ্রোহের ঘটনার পুনঃ তদন্ত দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত বিমানসেনা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা এ দাবি জানান। তাঁরা বলেন, কথিত বিদ্রোহের পর ’৭৭ সালে সামরিক আদালতে সাজা দেওয়ার প্রতিটি ঘটনা দেশের সংবিধানের আলোকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
ওই সময় সামরিক আদালতের রায়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, বিমানবাহিনীর এমন ২৩৮ জন সদস্যের একটি তালিকা সংবাদ সম্মেলনে বিতরণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন: বিমানবাহিনীতে বিদ্রোহের পর সামরিক ট্রাইব্যুনালের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি পাওয়া করপোরাল খায়রুল আনোয়ার, নূরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, মনির শরীফ, সৈনিক কামরুজ্জামান, সার্জেন্ট মামুনসহ শতাধিক ব্যক্তি। এ ছাড়া ফাঁসি হওয়া ও নিখোঁজ বিমানসেনাদের কয়েকটি পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে করপোরাল খায়রুল আনোয়ার বলেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর বিমানবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান-নাটক হয়। তৎকালীন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এ নাটকের মাধ্যমে বিচারের নামে ১১ জন কর্মকর্তাসহ এক হাজার ৪৫০ জন বিমানসেনাকে ফাঁসি দেন। বরখাস্ত ও চাকরিচ্যুত করা হয় আরও তিন হাজার ব্যক্তিকে। নিখোঁজ হন অনেকে। এক হাজারের বেশি মানুষকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ওই ঘটনার পর নিখোঁজ সার্জেন্ট দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী নুরের নাহার বলেন, ‘আমার স্বামীর লাশ ফিরে পেতে চাই। তাঁর কী অপরাধ ছিল, সেটা জানানো হোক। দেশের মানুষ হিসেবে সে অধিকার আমার আছে।’
নিখোঁজ করপোরাল মান্নানের স্ত্রী সুরাইয়া বলেন, ‘দুজন লোক আমার স্বামীকে টানাহেঁচড়া করে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাঁর কোনো হদিস নেই। অথচ বিদ্রোহের ঘটনার সময় তিনি গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে ছিলেন।’
ফাঁসি হওয়া সার্জেন্ট আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী রহিমা খাতুন বলেন, ‘পত্রিকায় খবর পড়ে জানতে পারি, আমার স্বামীর ফাঁসি হয়েছিল। কিন্তু সরকার কিছুই জানায়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই পাইনি।’
খায়রুল আনোয়ার বলেন, সামরিক আদালতে এক মিনিটের রায়ে অনেকের ফাঁসির আদেশ দিয়ে তা সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়েছিল। এ ছাড়া কথিত বিদ্রোহের সময় নিহত ব্যক্তিদের আর খোঁজ মেলেনি। লাশগুলো হয় পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, নয়তো মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হওয়ার পর সুবিচার ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত বিমানসেনাদের পূর্ণ পেনশন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিল। কিন্তু তা আর কার্যকর হয়নি। অথচ এখন অনেকের জীবন বিপন্ন হতে চলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, পুনর্বাসিত করা এবং তাঁদের আজীবন পেনশনের দাবি করে বলা হয়, এটা কোনো রাজনৈতিক দাবি নয়, এটা মানবিক ও ন্যায়বিচার-সংক্রান্ত। এ ছাড়া সঠিক তদন্তের মাধ্যমে চক্রান্তকারীদের নাম, ক্ষতিগ্রস্ত সবার ছবিসহ তালিকা প্রকাশ ও বিমানবাহিনীর তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে তদন্তের দাবি করা হয়।



বিমানবাহিনীতে বিদ্রোহের ঘটনার পুনঃ তদন্ত দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রথম আলো
http://www.prothom-alo.com/detail/news/190765

৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩১

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: পুত্তুম আলুর এই চামুচটারে আগে বের করেন। আর পোষ্টে কি কমু, আমি এই দেশে মেহমান। :( :(

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৫২

আমি মেহমান বলেছেন: এই দেশেই কেবল না, বিশ্বে সবাই মেহমান! বুঝতে সময় লাগতে পারে যেহেতু উচ্ছাসটাই আসলে ভূল! চামুচটা লোহার - প্লাসটিকের না! একটু সাবধানে - বুঝছেন?

৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৫৭

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: সহমত। মস্তিষ্ক বিকৃতির অযুহাত আর চলবে না মনে হয়। উনার কথাবার্তা দিন দিন ভয়ংকর হচ্ছে এবং রাজনৈতিক দৈন্যদশা প্রকাশ পাচ্ছে।

৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৫৯

বুনো বলেছেন: দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: সহমত। মস্তিষ্ক বিকৃতির অযুহাত আর চলবে না মনে হয়। উনার কথাবার্তা দিন দিন ভয়ংকর হচ্ছে এবং রাজনৈতিক দৈন্যদশা প্রকাশ পাচ্ছে।
;) ;)

৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:২৯

ঘুমকাতুর বলেছেন: প্রথুম প্লাস :)

@বুনো ওই হাম্বাটায় পোষ্ট পড়ে নাই মনে হয়। শিরোনাম দেখে মন্তব্য করছে।

৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪৫

বুনো বলেছেন: @ঘুমকাতুর, দেখবেন প্রথমে এসে সহমত জানিয়ে গেলেও এখন এসে লেখককে ছাগু ট্যাগ দিবে।
ওকে বলা হয়েছে এক লক্ষ লোককে ছাগু ট্যাগ করতে পারলে রাজাকারের লিস্ট হতে ওর পূর্ব পুরুষের নাম কাটা যাবে। তাই ও খালি ট্যাগ দেয়। B-))

৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৩০

শিপু ভাই বলেছেন:
খালেদা জিয়া বলেছেন-"দেশের এই সংকটময় পরিস্রহিতিতে সেনা বাহিনী চুপ থাকতে পারে না।"


- এর মানে কি?
এটা কি সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দখলের আহ্বান না???

১০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২০

রাতুল রেজা বলেছেন: খালেদা জিয়া পাগল হয়ে গেসে এটা তার বাড়ির লোকজন জানেনা। বয়স হয়ে গেলে এইরকম ভিম্রতি ধরেই। এইসব এক্সপায়ার্ড জিনিস গুলাগে মিউসিয়াম এ পাঠানো দরকার অবিলম্বে .

১১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৩

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: রাতুল রেজা বলেছেন: খালেদা জিয়া পাগল হয়ে গেসে এটা তার বাড়ির লোকজন জানেনা। বয়স হয়ে গেলে এইরকম ভিম্রতি ধরেই। এইসব এক্সপায়ার্ড জিনিস গুলাগে মিউসিয়াম এ পাঠানো দরকার অবিলম্বে। >>>আমাদের অথর্বমন্ত্রী থুক্কু অর্থমন্ত্রীরে পাঠানো উচিত ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.