![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুদ্ধপরাধীদের বিচার চায়না এমন লোক বাংলাদেশে খুজে পাওয়া দুষ্কর। জোয়ান-বুড়ো, পুরুষ-নারী, দাড়িওয়ালা-টুপীওয়ালা এমন কি ছোট ছেলে-মেয়েরাও চায় সকল যুদ্ধপরাধীদের সমোচিত বিচার হোক।
কিন্ত আমাদের আওয়ামী সরকার যেভাবে যুদ্ধপরাধীদের বিচারের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস্ ট্রাইবুন্যালকে ব্যবহার করছে তা এখন দুনিয়ার সামনে হাস্যকর হয়ে উঠেছে! এটা বলছি ট্রাইবুন্যালের প্রতি অটুট সম্মান রেখে - কটাক্ষ করে নয় কিন্ত।
আমাদের সরকার যদি বিচারটাকে নির্দলীয় রাখত, ঘাদানী-মার্কা লোকদের কথায় উঠত আর বসত না, রাজনৈতিক স্বার্থে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য ট্রাইবুন্যাল ব্যবহার করে তাকে কলংকিত না করত - তাহলে আজ জনগন উৎসবমূখর হতো! টিয়ার গ্যাস, রবার বুলেট ও বারুদের গন্ধে জন-জীবন এভাবে বিপন্ন হতো না। দেশে-বিদেশে ট্রাইবুন্যালকে নিয়ে এমন হা্স্যকর পরিস্তিতিরও সূচনা হতো না।
হাস্যকর পরিস্তিতিরও একটু নমুনা দেখেন। আমাদের এক আওয়ামী পত্রিকায় আজ ছেপেছে নীচের খবর তাদের প্রথম পাতায়!
জামায়াতের মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষকে দুই দিনের মধ্যে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
বলেনতো এভাবে সময় নির্ধারণ কি স্পুস্ট ম্যসেজ দিচ্ছে! বিচার কার্য হবে সাক্ষী-প্রমাণের ভিত্তিতে - এভাবে সময় বেধে দিলে মনে হয় বিচারের আগেই দোষী নির্ণয় করা হয়েছে। তাই যদি হয় তবে এত টাকা-পয়সা খরছ করে বিচারের দরকারটা কি ছিল? লোক দেখানোর জন্য এসবের প্রয়েজনই ছিলনা। যুদ্ধপরাধীদের যে কোন শাস্তি জনগন মেনে নিত - হ্য়তবা বিদেশীদেরকে নিয়ে কিছু মুসিবত হতো! কিন্ত বিদেশীদেরকে খুশী করার জন্য এ্ত্তসেব আয়োজন!!
খবরে লিখা হলো যে ট্রাইব্যুনাল যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আরো এক দিন সময় দিয়েছেন। আগামীকাল বুধবারের মধ্যে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে দুই দিনের মধ্যে তা শেষ করতে হবে। আর বুধবার যুক্তি শুরু করতে না পারলে যুক্তি উপস্থাপন বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানান ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয় গত ২৪ মার্চ। রাষ্ট্রপক্ষ চার দিন ধরে যুক্তি উপস্থাপন করে। গত ৩১ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয় যাতে কোন সময়-সীমা বাধা ছিলনা।
আসামীকে তার যুক্তি-তর্ক উপস্তাপন করার সুযোগ দেয়া বিচারের প্রধান দায়িত্ব। তা না করে এভাবে তাড়াহুড়া করলে জনগন যদি ভাবে যে 'ট্রাইবুন্যাল রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে - তারা একটা রায় দিতে চায়' তাহলে দোষ দিবেন কারে বলুনতো?
©somewhere in net ltd.