চির বিদায় নিলেন কিংবদন্তী বক্সার মোহাম্মাদ আলী

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

মোহাম্মাদ আলী যাকে সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ বলা হয়। তিনি বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৬ ইন্তেকাল করেছেন।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্যের চরম প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী। এ ছাড়াও আমেরিকান মুসলমানদের স্বার্থে মোহাম্মদ আলী আজীবন কাজ করে গেছেন।
মুহাম্মদ আলীর জন্ম ১৯৪২ সালের ১৭ জানুয়ারি। ১৯৬০ সালের ২৯ অক্টোবর, ১৮ বছর ২৮৬ দিনে তাঁর বক্সিং রিংয়ে অভিষেক হয়। তিনি মোট লড়াই করেন ৬১ বার, জয়ী হন ৫৬ বার, নকআউট দ্বারা জয়ী ৩৭ বার আর পরাজিত হয়েছ্নে মাত্র ৫ বার।
১৯৬৪ সালে মোহাম্মদ আলী আমেরিকার মুসলিম সংগঠন নেশন অব ইসলামে যোগদান করেন এবং মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার আগে পর্যন্ত তিনি জন্মসূত্রে খিস্ট্রান ধর্মালম্বী ছিলেন এবং ক্যাসিয়াস মারকেলাস ক্লে নামে পরিচিত ছিলেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তিনি মোহাম্মদ আলী নামে পরিচিত হন।
১৯৬৫ সালে মে থেকে ১৯৬৭ সালের মার্চ পর্যন্ত মোহাম্মদ আলী ৯ বার শিরোপা রক্ষার লড়াইয়ে নামেন। খুব কম বক্সারই এত কম সময়ে এত বেশি বার লড়াই করেন।
১৯৬৬ সালে আলী আমেরিকায় সৈনিক পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন কিন্তু ভিয়েতনাম যুদ্ধে যেতে অস্বীকার করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, ‘কোরআন যুদ্ধ সমর্থন করে না। আল্লাহ বা নবীর নির্দেশ ছাড়া তিনি যুদ্ধে যাবেন না। ভিয়েতনামের সঙ্গে তার বিরোধ নেই। ১০ হাজার মাইল দূরের কোনো দেশে গিয়ে মানুষের ওপর অত্যাচার করা, খুন করা, বোমা ফেলা এই কাজে তিনি যুক্ত হবেন না।’ এ ছাড়া তিনি তার পুরোনো নামে পরিচিতিও হতে চাননি।
আমেরিকার সৈনিক হয়ে ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় আলীর কাছ থেকে হেভিওয়েট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানের শিরোপা কেড়ে নেওয়া হয়। বাতিল করা হয় তার বক্সিং লাইসেন্স ও পাসপোর্ট। সাড়ে ৩ বছরের আইনি লড়াই শেষে ১৯৭০ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
মোহাম্মদ আলী ১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমন্ত্রনে বাংলাদেশ সফর করেন এবং তাঁকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।

৬ টি +২/-০