নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর,সবার আমি ছাত্র

মীনক্ষোভাকুল কুবলয়

Living Simply Thinking Highly

মীনক্ষোভাকুল কুবলয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালী সফলতা:অজ্ঞতা ও অক্ষমতা।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২১

বাঙালীদের কাছে সফলতার কিছু শব্দ-চাবি(Key Word) আছে,তারা এগুলা ব্যবহার করে সফলতার মুখ দেখতে চায় বা দেখে কিন্তু সফলতা কি, সাফল্য কিভাবে অর্জন করতে হয় তার সঠিক সংজ্ঞা এরা জানেনা৷

আসুন সেই শব্দ-চাবি গুলো সম্পর্কে জানি-

১| আসসালামু আলাইকুম-
মুসলিম ধর্মের মানুষের সম্বোধনসূচক বাক্য।
এটি বলাতে ১০০ সওয়াব পাওয়া যায়,যে আগে দেয় সে ৯০ পায়,পরে দিলে ১০!

আমার কেন যেন মনে হয় আমাদের সমাজব্যবস্থায় এটা এখন একপ্রকারের তুরুপের তাস হয়ে গেছে।
ইন্টারভিউ বোর্ডে সালাম দিয়ে ঢুকাটা এই দেশের জন্য যেন অপরিহার্য যেন এটা বাঙলাী সংস্কৃতির অংশ।
ব্যাপারটা এমন যে,
এটা না বললে চাকরীর ভাইভা বোর্ডে বসা বিজ্ঞজনদের (?) প্রতি চরম অসম্মান করা হয়ে যায়,তারাও যেন মুখ উন্মুখ করে থাকে একটা আসসালামু আলাইকুম শোনার জন্য।
এটা না বললে চাকরী পাওয়া যাবেনা,এই বিশ্বাস বাঙালীদের মনে গেঁথে গেছে৷
এটা বললে চাকরী দাতারা প্রশ্ন সহজ করবে অলৌকিক ক্ষমতার বলে! এটা তারা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে।

আবার এর আরো এক প্রকারের
ব্যবহার আছে,
নেতাদের সামনে আসলে পাতি নেতারা সালাম দিতে দিতে গলা শুকিয়ে ফেলে, যেন সালাম না দিলে বড় পদটা হাতছাড়া হয়ে যাবে৷

আবার উঠতি বয়সী ছেলেরা বয়স্কদের চোখে ভাল সাজার জন্যও এটা ব্যবহার করে।

খুব কম লোকই আছে যারা ধর্মীয় আইন মানতে সালাম প্রয়োগ করে৷

অধিকাংশ বাঙলীই আপন স্বার্থ উদ্বারে এটির ব্যবহার করে থাকে।

২| ইনশাআল্লাহ-
ইসলাম ধর্মের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ, এর অর্থ "আল্লা যদি সহায় থাকে"।

বাঙালী ছেলেরা যেকোন জিনিসে নিজের অক্ষমতা প্রকাশে এটির ব্যবহার করে থাকে৷ যেমন-
আমি পরীক্ষায় পাশ করবো,ইনশাআল্লাহ।

এরকম আরো অনেক আছে৷
বাঙালীরা বিশ্বাস করে,
কথার শেষে এটা বললে সে কথা বা কাজ সহজ হয়ে যায়৷

কিন্তু,
এটাকে আমার এই জাতির অদক্ষতা, অযোগ্য ও অক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ মনে হয়৷

নিজেরা কোন চেষ্টা করেনা,স্বপ্ন দেখেনা,স্বপ্ন সফল করতে জানেনা-কিন্তু ইনশাআল্লাহ বলে এরা নিশ্চিত থাকে যে এটা হয়ে যাবে৷

উন্নত বিশ্বের মানুষ নিজ কর্মে বিশ্বাসী,নিজ যোগ্যতায় বিশ্বাসী,আর আমরা...!

৩| জয় বাঙলা -

বাঙলীর সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতার মূলমন্ত্র এই শব্দটি৷
বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুখ নিঃসৃত এই শব্দ কোটি বাঙালীর স্বপ্ন ছিল,অস্ত্র ছিল৷

কিন্তু আজ এর অপব্যবহার শুরু হয়েছে,
বঙ্গবন্ধু মৃত্যু পরবর্তী সময় থেকেই এর শুরু৷

রাজনীতিকে পেশা বানিয়ে ফেলা বাঙালীরা এটিকে তাদের অস্ত্র বানিয়েছে-
দেশের ইতিহাস,ঐতিহ্য জানেনা,রাজনীতির " র" বোঝেনা,দেশপ্রেমের "দ" ও জানেনা এমন মানুষের কাছে জয় বাঙলা শব্দটা আজ জিম্মি।
এরা তাদের ব্যক্তিগত জীবনের উন্নয়নে এই শব্দ ব্যবহার করে,রাষ্ট ও সমাজ নিয়ে এদের কোন চিন্তা নেই৷
অথচ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ দাবী করা নেতারা তাঁর লেখা "অসমাপ্ত আত্মজীবনী " ও "কারাগারের রোজনামচা" বই দুইটির ২ পৃষ্ঠা মন দিয়ে পড়েছে কিনা আমার সন্দেহ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সালম এর প্রেক্ষাপট মুসলমানদের জন্য ধর্মীয়ভাবে গুরুত্ববহন করে। বাাঙালীতো মুসলমান ছাড়াও আছে। তাছাড়া প্রতিটি জাতিরই কুশল বিনিময়ের জন্য নির্দিষ্ট আদব-কায়দা রয়েছে এবং বাক্যও রয়েছে। কিভাবে ব্যহার করা হচ্ছে সেটাকে ভিত্তি ধরলেতো ভুল হবেই।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৫

মীনক্ষোভাকুল কুবলয় বলেছেন: আমরা বাঙালী ।সবার আগে আমাদের ভেতর বাঙালী স্বভাব আনা উচিত তারপর অন্য স্বভাব ।

যে স্বভাব একটি জাতিকে মানসিকভাবে পঙ্গু করে দেয় সে স্বভাব চর্চার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে হয়না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.