![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে অদৃশ্য ভাবতে খুব ভালো লাগে সেটা থেকে ভুতের ছানা নামটা মাথায় আসে।যদিও জ্বীন ভূত কে অস্বাভাবিক রকম ভয় পাই।খাই,দাই,ঘুমাই এবং কাজ করি।এসবের ফাঁকে সময় খুঁজে পেলে কিছু লেখার চেষ্টা করি.
বাবা সরকারী কর্মকর্তা হওয়ার ফলে বাংলাদেশের অনেক জায়গায় ঘুরেছি,অনেক রকম মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছি।আসল কথা হচ্ছে ফাটা কপাল কথাটি আমি প্রথমে শুনেছি বরিশাল থাকার সময়।তখন আমার বয়স ৫-৬ হবে।বাবার অফিসের পিওন তার প্রতি কাজেই ভুল করতো আর যদি কেউ ভুলের জন্য ধমক দিতো তখন সে কপাল চাপড়িয়ে বলতো।আমোর ফাটা কপাল,আরো বিড় বিড় করে কি যেন বলতো বুঝতাম না।তখন খুবই অবাক লাগতো তার কথা শুনে।মানুষের কপাল আবার ফাটা হয় কিভাবে- এই প্রশ্ন সারাদিন মাথায় ঘুরতো।একদিন আম্মাজান কে জিজ্ঞাসা করলাম 'মানুষের কপাল আবার ফাটা থাকে কিভাবে''।আমার আম্মাজান ফোনে কার সাথে যেনো ঝগড়া করতেছে।আম্মাজান যেভাবে আমার দিকে তাকালেন তার অর্থ হচ্ছে "এখন সামনে থেকে ভাগ নাহলে কপালে খারাপি আছে"।আমি ভালো ভালো সরে গেলাম আর ফাটা কপাল বলতে যে একটা শব্দ আছে সেটাও ভুলে গেলাম।
আস্তে আস্তে বড় হতে লাগলাম পড়ালেখার চাপও বাড়তে লাগলো।অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা দিলাম।সেই মানের কনফিডেন্স নিয়ে রাস্তায় হাটাচলা করি।আমি বৃত্তি না পেলে কেউ পাবে না এমন ভাব আরকি(পঞ্চম শ্রেণিতে বিভাগীয় ভাবে প্রথম হয়েছিলাম)।যাই হোক কপাল পুড়লো।বৃত্তিতো দূরে থাক রোলই আসলো না।ফিলাপ করার সময় রোল ভুল লিখেছিলাম আর কি।নবম শ্রেণীতে উঠলাম।প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় সব বিষয়ে ভালো করলেও জীববিজ্ঞানে ফেল আসলো।বাসায় রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসলাম।বাপজান আমার ইচ্ছামত উত্তম মাধ্যম দিলেন,এমনি পড়ালেখা বন্ধ করে দেয়ার মত হুমকি দিলেন।রাতের বেলা জীববিজ্ঞানের স্যার আব্বুকে ফোন দিয়ে বলেন যে রিপোর্ট কার্ডে ভুল নাম্বার উঠেছে।কি আর করা, পরে বাপজান আদর করে রাতের খাবার খাইয়ে দিলেন।
ভালোয় ভালোয় এস,এস,সি পাশ করেছি। কলেজে ভর্তি হওয়ার দিন বাপজান আমার দেশে নাই।পারলাম না পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে।ভর্তি হলাম একটা কলেজে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিলো রেজিস্ট্রেশন কাগজে সবাই কে সাইন করার জন্য ডাকছে কিন্তু আমার রেজিস্ট্রেশন হয় নাই।অনেক দৌড়াদৌড়ি করে ঠিক করলাম।এইচ,এস,সি পরীক্ষার আগে প্রবেশপত্র দিলো।সবারটা ঠিক আসলো কিন্তু আমারটা আসলো ভুল।ঠিকঠাক করে পরীক্ষা দিলাম, সব বন্ধু বান্ধব গোল্ডেন পেয়ে নাচানাচি আর আমি এপ্লাসই পেলাম।সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছিল যে ফেলটু মার্কা ছেলেও এপ্লাস পেয়ে যায় আর আমি পাই না।প্রস্তুতি নিয়েছিলাম ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার দুঃখের বিষয় হল বুয়েট,কুয়েট,রুয়েট চুয়েট কোথাও পরীক্ষাই দিতে পারি নাই।মেডিকেলের ফরম ফিলাপ করলাম।ভুল তথ্য দেয়ার দরুন পরীক্ষা দিতে পাড়লুম না।
এখানেই শেষ নয়,দেশে থাকতে না পেরে বাহিরে চলে গেলাম।সেখানেও বিপত্তি ব্যাকপেকের কোন জায়গায় পাসপোর্ট রেখেছিলাম সেটাই ভুলে গেছি।খুজে পাচ্ছিলাম না।যার কারনে বার্লিন এয়ারপোর্টে নেমে প্রথমেই কারাবরণ করতে হয়।
অত:পর আমি ফাটা কপাল সম্পর্কে বুঝতে পাড়ি। ফাটা কপাল কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি।
কপাল যে এখন জোড়া লেগে গেছে তা না.এখনো আমি যে রিক্সায় উঠি সেটা সবার পরে যাবে.আমার গাড়ি সবসময় সিগনালের প্রথম গাড়িটা হবে,আর বাসে উঠলে পিছনের বাসটা সবসময় ওভারটেক করে চলে যাবে।বাকি উদাহরণ নাই বা দিলাম
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৭
ভুতের ছানা বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভূত ভাই,
এই রাতে আপনি কই?
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১১
ভুতের ছানা বলেছেন: মানুষকে ভয় দেখানোর কাজে আপাতত একটু ব্যস্ত আছি।
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: তাইলে আমি কইতেই পারি আমার জোড়া কপাল!
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭
ভুতের ছানা বলেছেন: বেস্ট অফ লাক
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: হ্যালো ভুতের ছানা,

গল্প কবিতা লেখতে কে করেছে মানা!
মনে আসে যা
লেখে ফেল তা,
দুঃখ আছে যত
হাসিও আছে তত!
জীবনটা যা বাকি,
ভেবো তুমি লাকি!!
নেক্সট লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম!