নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রথম লেখা

সহজ কথন

ভাল মানুষ

সহজ কথন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা দিবস বর্জন করুন।

১১ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

অল্প কথায় শেষ করতে চাই। মা দিবস আবার কি? বলতে পারেন বছরে ৩৬৫ দিনের মধ্যে কোন দিনটা মা দিবস না? ফেসবুকে দেখলাম স্ট্যাটাসের ছড়াছড়ি। আজব তো! কোন একটা দিনকে দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় সাধারণত কোন একটা বিষয় কে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য, কিংবা তার সঠিক মূল্যায়নের জন্য; জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে। তাহলে মায়ের জন্য একটা দিবসের অর্থ কি দাঁড়ায় না যে মায়ের গুরুত্ব আমাদের জীবনে কমে গেছে?! এটা কি মায়ের অপমান নয়? যে মা দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে, দুই বছর স্তন্য দান করে, আপনার জন্মের দিন থেকে আজ পর্যন্ত কেবল আপনার উদ্দেশ্যে ক্রমাগত ত্যাগ স্বীকার করে আসছেন আর তার মৃত্যু পর্যন্ত তাই করে যাবেন, যে মায়ের পায়ের তলে আছে জান্নাত, তাঁকে সম্মান দেখানোর জন্য আপনি বছরে কেবল একটা দিন ধার্য করলেন! কেন? শৈশবে মাতৃদুগ্ধের প্রয়োজন ছিল এখন আর নেই বলে!, এখন আর আপনার সোজা হয়ে দাঁড়ানোর জন্য কোন হাতের সাহায্যের প্রয়োজন নেই বলে!, নাকি স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখের জীবনে মায়ের আর কোন প্রয়োজন নেই বলে!? বৃদ্ধা মা কে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসবেন আর বছরে একটা দিন তাকে স্মরণ করার একটু আদিখ্যেতা দেখাবেন তাও আবার ফেসবুক কিংবা ব্লগের মত ডিজিটাল মিডিয়ায়!? সবকিছু কি এতই সহজ? তাহলে কেন এখনো কোথাও আঘাত পেলে 'মাগো' বলে চিৎকার করে ওঠেন? আরে কখনো কি আপনার হৃৎস্পন্দন শুনতে পেয়েছেন? আপনার মা সেখানেও আপনাকে আগলে রেখেছেন। পারবেন কি সেই হৃৎস্পন্দনের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করতে? গাছ কি বছরের একটা দিন শেকড়কে প্রয়োজনের স্বীকৃতি একটু বেশি দেয় আর অন্যান্য দিন একটু কম দেয়? নাকি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে থাকে? মা কি আমাদের সেই শেকড় নন? কখনো কি সেই মায়ের অবদানকে মূল্যায়ন করা সম্ভব? আরে ভাই, বছরে ৩৬৫ দিন ই তো মা দিবস। আধুনিকতাবাদ ভাল, তাই বলে অতি-আধুনিকতার নামে পশ্চিমাদের অন্ধ-অনুকরণ ভাল নয়। মা দিবস পশ্চিমাদের মত মেকি সভ্যতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে, কিন্তু আমাদের মত মানবীয় সভ্যতায় কি মা দিবস মানায়? এভাবেই আমরা ক্রমাগত আমাদের শেকড় থেকে ছিটকে পড়ছি। মনে করে দেখুন তো আমরা দোয়া করার সময় কি বলি, 'রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা' -"হে প্রভু আপনি আমাদের মা বাবাকে সেই ভাবে দেখাশুনা করুন যেভাবে তাঁরা শৈশবে আমাদের দেখাশুনা করেছেন।" আর আপনি কি না তা করতে চান মাত্র এক দিনে? এটা আর কিছু নয় মা কে অপমান করা ছাড়া। ভাই তাই আসুন আমরা এসব আদিখ্যেতা-মার্কা মেকি মা দিবস বর্জন করে আমাদের জীবনের প্রতিটা দিন কে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করি এবং সেটা লোক দেখানোর জন্য নয়; বরং আমাদের অন্তরের অন্তঃস্থলে। মায়ের পাশে থাকার চেষ্টা করি বছরের সব কটা দিন; শারীরিক উপস্থিতির দ্বারা না হোক অন্তরের নিখাদ ভালবাসার দ্বারা; আপোষহীন দায়িত্ববোধের দ্বারা । তাঁর ঋণ কখনোও শেষ হবার নয় জানি, কিন্তু অন্তত তাঁর মুখে একটু হাসি ফোটানোর চেষ্টা করি।



মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১

কাফী হাসান বলেছেন: বাবা-মার প্রতি সন্তান এর ভালোবাসা অটুট থাকুক বছরের প্রতিটি দিন জুড়ে ।

২| ১১ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১

ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: কিছু মানুষ আছে যাদের কামই হচ্ছে ফালতু কথা বলা। একদিন মা দিবসের অর্থ এই নয় যে বাকী ৩৬৪ দিন মাকে স্মরণ না করা। ৩০ দিন রোজা থাকার অর্থ নয় যে বাকী ৩৩৫র দিন আল্লাহ রাসুলকে স্মরণ করবো না। একদিন স্বাধীনতা দিবস বা বিজয় দিবস পালন মানে এই নয় যে, বাকী দিনগুলো দেশকে পাকিস্তান ভারতের হাতে তুলে দেব।
বেশি পন্ডিতি ভাল না।
মাকে ভালবাসি ৩৬৫ দিনে প্রতি মূহূর্ত। তাই আজকের মা দিবস বর্জন করবো? তাহলে তো মাকে ভালবাসার জন্য ১দিন কমে গেল?
কে যে মাকে কত ভালবাসে তা অন্তরই বলতে পারে- বিষয়টি ঢোল পেটানোর নয়।
কিন্তু কেউ যদি ঢোল পেটাতে চায় তাতে কার কি?
ভালবাসাই তো আসল।

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১:০৯

সহজ কথন বলেছেন: কিছু মানুষ আছে, যাদের কামই হচ্ছে অহেতুক না বুঝে ফালতু কথা বলা, যাদের না আছে পরমত সহিষ্ণুতা, আর না আছে অন্যের মতের প্রতি ভদ্র মনোভাব প্রদর্শনের ক্ষমতা। আপনার অন্য কারও সাথে মতানৈক্য থাকতে পারে, তাই বলে আপনি তাকে 'বেশী পন্ডিত' এবং তাঁর মতামতকে 'ফালতু কথা' বলতে পারেন না। এ ভাবে কটু উক্তি ব্যবহার করে যে নিজের সবজান্তা মনোভাব প্রকাশ করে তাকে বলা যেতে পারে আত্মম্ভরী, নিরেট উজবুক।




রমযান মাসে রোজার মূল উদ্দেশ্য হল এক মাসের প্রশিক্ষণ, বছরের অন্যান্য সময় মানুষের প্রবৃত্তিগুলোকে দমন করার। কিন্তু মায়ের প্রতি ভালবাসার জন্য আবার কোন প্রশিক্ষণের দরকার হয় নাকি?; দরকার হয় দায়িত্ববোধের, মানবিকতার যা পশ্চিমাদের যান্ত্রিক জীবনে হারিয়ে গেছে বলে তারা মা দিবস আবিষ্কার করেছে। আর রমযান মাসের বিধান দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা। তিনিই বিধান দিয়েছেন যে মায়ের পায়ের নিচে জান্নাত। প্রয়োজন মনে করলে তিনিই মা দিবসের বিধান দিতেন; কিন্তু তিনি তা দেন নি। এটা মানব সৃষ্ট অর্থাৎ কৃত্রিম। কিন্তু মায়ের অকৃত্রিম ভালবাসাকে কোন কৃত্রিমতার মানদন্ডে বিচারের ক্ষমতা মানুষের নেই।


আপনার হৃদস্পন্দন অনুভবের জন্য আবার কোন বিশেষ দিনের দরকার হয় নাকি? তাহলে কি একদিন বেশী অনুভব করবেন অন্যান্য দিন না করলেও চলবে! অদ্ভুদ তো! মায়ের প্রতি ভালবাসা তো সেই হৃদস্পন্দনের মতই। তাঁর জন্য আবার আলাদা দিবস লাগে নাকি? যত সব উদ্ভট ব্যাপার!


স্বাধীনতা দিবসের তাতপর্যের সাথে ইতিহাসিক প্রেক্ষাপট জড়িয়ে আছে। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার দ্বারা অর্জিত স্বাধীনতা আর সৃষ্টিকর্তার তরফ থেকে দেওয়া মায়ের প্রতি সহজাত ভালবাসার মধ্যে অনেক ফারাক আছে। এই ফারাক টা যেইসব হুজুগে মাতাল বাঙ্গালী বুঝে না তারাই মা দিবস নিয়ে ফালাফালি করে।


প্রমথ চৌধুরী বলেছেন, 'স্বাস্থ্য নয়, ব্যাধিই সংক্রামক।' হায় আমরা পশ্চিমাদের ব্যাধি দ্বারাই কেবল সংক্রামিত হয়ে গেলাম, স্বাস্থ্যের প্রতি মনযোগী হতে পারলাম না।

৩| ১১ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:১৯

আততায়ী বলেছেন: ভাল বলেছেন ।

শুভ কামনা রইল।

৪| ১১ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

সহজ কথন বলেছেন: অসং্খ্য ধন্যবাদ। আততায়ী ভাই।

৫| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১:১৯

দি সুফি বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট ++++

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৫০

সহজ কথন বলেছেন: অসং্খ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.