নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেবার মতো তেমন কোন পরিচয় আমার নেই। আমি মানুষ, চমৎকার এই পৃথিবীর চমৎকার সব ঘটনা দেখে এখন পর্যন্ত চমৎকৃত। আর তাই লেখালিখির মাধ্যমে সেটা কিছুটা প্রকাশ করতে চেষ্টা করি।

অরুপম

সত্য সুন্দর মানবিক পৃথিবীর আকাঙ্ক্ষায়

অরুপম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষার যাঁতাকল

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

ইংলিশ মিডিয়ামের এক ছাত্রকে পড়াই। সিলেটের একটি নামকরা স্কুলের ৮ম শ্রেণিতে পড়ে।তার বয়স ১৪ বছর। সপ্তাহে ৫ দিন তার স্কুল। তাকে দিনে প্রায় ৭ ঘন্টা থাকতে হয় স্কুলে।৬ দিন থাকে প্রাইভেট টিউটর। প্রতিদিন স্কুলে আসা-যাওয়া, টিউটরদের কাছে যাওয়া-আসা, পড়া এসব করতে তার প্রায় ১৫ ঘন্টা সময় ব্যয় হয়। আর বাকি ৯ ঘন্টা সময় তার ঘুম, নাওয়া-খাওয়া, খেলাধুলা,পরিবারের সাথে সময় কাটানো এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজের জন্য বরাদ্দ। ১৪ বছর বয়সি একটি ছেলের সুস্থ ও স্বাভাবিক মানসিক বিকাশের জন্য দৈনিক কমপক্ষে ৭ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। সেই হিসেবে পড়াশুনা-ঘুমের বাইরে সে মাত্র ২ ঘন্টা সময় পাচ্ছে নিজ ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য।
একজন মানুষের নিজস্ব ব্যক্তিত্ব, তার ব্যক্তিসত্ত্বা গড়ে ওঠে ১৩-১৫ বছর বয়সে। অথচ এই ব্যক্তিত্ব গঠনের জন্য, ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া একজন ছাত্র দিনে মাত্র ২ ঘন্টা সময় পাচ্ছে।সারাদিনের এত চাপের পর সে ঐ ২ ঘন্টা সময় কতটা ব্যবহার করতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। যে সময়টা সে অবসর হিসেবে পায় তা ঐ টিভি দেখে কিংবা গেইম খেলে কাটিয়ে দেয়। কারন- সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে তার বন্ধুরাও একই রকম ক্লান্ত।বাবা-মা প্রচন্ড ব্যস্ত। সময়টা সে তাহলে কাটাবে কার সাথে!
বাংলা মাধ্যমের ছাত্রছাত্রীদের অবস্থাও এর থেকে ভিন্ন নয়। সারাদিন ক্লাস, কোচিং, প্রাইভেট টিউশন এসবে ব্যস্ত থেকে এর বাইরেও যে একটা জীবন আছে সেটা তারা প্রায় ভুলেই গিয়েছে।স্কুলগুলোও সারাদিন ক্লাস করায়, রাজ্যের বাড়ির কাজ দিয়ে দেয়। যেন ছাত্রছাত্রীরা মানুষ নয়, মেশিন। না আছে কোন আনন্দ, না আছে বিনোদনের ব্যবস্থা। পড়ানোর ধরনও সেই আগের মতোই। অবশ্য শিক্ষকদেরও তেমন কিছু করার নেই। সিলেবাস শেষ করো, জিপিএ ৫ পাও- এই প্রতিযোগিতার স্রোতে ছাত্রছাত্রীরা হয়ে যাচ্ছে জীবনস্মৃত।
পুঁথিগত বিদ্যা মানুষের জীবনে কখনোই ২০% এর বেশি কাজে আসে না। অথচ এটার জন্য দিনের প্রায় ৬৫% সময় ব্যয় করা হচ্ছে। মানসিক বিকাশের, ব্যক্তিত্ব বিকাশের ব্যাপারে কোন খেয়াল নেই। আর তাই দেখা যায়, তারা বড় হয় ঠিকই কিন্তু পরিণত হয় না। একজন ছাত্রের মানসিক বিকাশ কিভাবে হবে তা কি আমরা একবারও ভেবে দেখেছি? ছোটবেলা থেকেই একটি শিশুকে বাস্তব জীবন থেকে দুরে সরিয়ে এমন এক পুঁথিগত বিদ্যার মধ্যে গেঁথে রাখা হচ্ছে যে সে নিজেকে চেনার, জানার এবং বোঝার মতো তেমন কোন সময়ই পাচ্ছে না। দিনকে দিন আমরা তাদেরকে স্বকীয়তাহীন, কুপমন্ডুক গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছি। এর দায়ভার কে নেবে? অবশ্যই এর ফল একদিন আমাদেরকেই ভোগ করতে হবে।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ ব্লগিং। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষন মূলক লেখাটা ভালো লাগলো। এভাবেই লিখতে থাকুন।

প্রতিমন্তব্য করতে আমাদর কমেন্ট বক্সের ডানদিকে সবুজ বাটনে চাপ দিলে নুতন একটা স্পেস আসবে , তার মধ্যে উত্তর লিখে জমা করলে আমাদের নোটিফিকেশনে দেখাবে।


শুভকামনা জানবেন ।


১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৭

অরুপম বলেছেন: চমৎকার এই উৎসাহের জন্য আপনাকে অত্যন্ত ধন্যবাদ। শুভ ব্লগিং।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
শুভ ব্লগিং......

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

অরুপম বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ ব্লগিং।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



সামুতে স্বাগতম; শুভ ব্লগিং ৷

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

অরুপম বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ ব্লগিং।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৮

অভিশপ্ত জাহাজী বলেছেন: ভালো লিখছেন।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

অরুপম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১০

অভিশপ্ত জাহাজী বলেছেন: স্বাগতম ভাই +

৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:২৩

সূর্যালোক । বলেছেন: শুভ লেখালেখি । ভালো লিখেছেন ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:০৪

অরুপম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৭

আরোগ্য বলেছেন: ভালো লাগলো লেখাটা। ব্লগ জীবন সুন্দর হোক এই কামনা করছি।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

অরুপম বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.