![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী। ফিচার এডিটর- বাংলাপোস্ট, যুক্তরাজ্য।
উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণের গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য সরানোর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী
বাসস
১২ এপ্রিল ২০১৭, ০৯:১৪
১৮
উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণের গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য সরানোর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী
উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণের সামনে স্থাপিত গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য সরানোর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটা এখানে থাকা উচিত নয়।’
মঙ্গলবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কওমি মাদ্রাসার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হাইকোর্টের সামনে গ্রিক থেমেসিসের এক মূর্তি লাগানো হয়েছে। সত্য কথা বলতে কি, আমি নিজেও এটা পছন্দ করিনি। কারণ, গ্রিক থেমেসিসের মূর্তি আমাদের এখানে কেন আসবে। এটা তো আমাদের দেশে আসার কথা না। আর গ্রিকদের পোশাক ছিল একরকম, সেখানে মূর্তি বানিয়ে তাকে আবার শাড়িও পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটাও একটা হাস্যকর ব্যাপার করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা কেন করা হলো, কারা করল, কীভাবে—আমি জানি না। ইতিমধ্যেই আমাদের প্রধান বিচারপতিকে আমি এই খবরটা দিয়েছি এবং খুব শিগগির আমি ওনার সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে বসব। আলোচনা করব এবং আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটা এখানে থাকা উচিত নয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আপনাদের বলব, আপনারা ধৈর্য ধরেন। এটা নিয়ে কোনো হইচই নয়। একটা কিছু যখন করে ফেলেছে, সেটাকে আমাদের সরাতে হবে। সেটার জন্য আপনারা একটুকু ভরসা অন্তত রাখবেন যে এ বিষয়ে যা যা করার আমি তা করব।’
কওমি মাদ্রাসার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের এই সাক্ষাতেই প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে-ই-হাদিসকে স্নাতকোত্তর স্তরের মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
(উপরের সংবাদ প্রথম আলো প্রকাশিত গতকাল রাতে প্রকাশিত সংবাদ)
ক্ষমতার কাছে মানুষের বিবেক কতটা নতজানু বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে খোদ প্রধানমন্ত্রী হাসিনাও তার প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সামনে ভাস্কর্য সরানোর যে যুক্তি কাঠ-মোল্লারা দেখিয়েছিল তাতে আপনার সন্মতি জ্ঞাপন আমাদের শতাধিক বছরের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির উপর বিশাল এক চপেটাখাত।
বিএনপি আমলে যত ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে, শহীদ মিনার ভাঙা হয়েছে আমরা আশায় বুক বেঁধে থাকতাম বঙ্গবন্ধুর গড়া রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসলে ঐ সব অরাজগতার অবসান হবে। আজ আপনার মোল্যাদের সাথে সন্মতি জ্ঞাপন আমাদের সে বিশ্বাসকে ধূলিস্যাত করে দিয়েছে।
আপনি বললেন গ্রীক মূর্তি বসানো হয়েছে, তাতে শাড়িও পড়ানো হয়েছে তা আপনার পছন্দ হয়নি। যে কোন সংস্কৃতিতে অন্য বা পারিপাশ্বিক সংস্কৃতির প্রভাব অনস্বিকার্য। শিল্প হিসেবে আমরা সবাই অনেক কিছুই মেনে নেই। উটের পিঠে আরব যোদ্ধা মরুভূমি পেরুচ্ছে সে সব পেইন্টিং পশ্চিমা দেশেও বিক্রি হয়। তাহলে আমাদের দেশে সামান্য একটা মূর্তি নিয়ে হৈচৈয়ের ব্যাপারটা আপনি যতটা বাড়তে দিলেন তাতে আমাদের সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের এক ভয়াবহ চিত্র এখনি দৃশ্যমান। আপনাকে বলা যেতে পারে নির্দ্বিধায় ঘরের ভিতর ঝুড়ির মধ্যে বিষাক্ত সাপ রেখে আপনি যতই নিরাপদ ভাবেন নিজেকে আপনি আসলে ততটা নিরাপদ নন।
এবার আপনার একান্তই ব্যাক্তিগত কিছু ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করতে চাই। ব্যাপারটা প্রাসঙ্গিক তাই এই অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ের আলাপন। সবাই কমবেশী জানে আপনার ছেলের বউ আমেরিকান শেতাঙ্গিনী, আপনার বোনের মেয়ের বরও শ্বতাঙ্গ। আপনার কিছু আত্মীয়-স্বজনও একই পথের পথিক। এখন আপনাকে প্রশ্ন আপনার যদি বৈশ্বিক শিল্পের একটা ব্যাপার অপছন্দের হয়ে থাকে তাহলে নিজের ঘরের মধ্যে জাতিগত কৌলীন্য ধ্বংশের ব্যাপারটা কিভাবে পছন্দ হল?
আপনার যদি কোন বিষয়ে জাজমেন্টাল হতেই হয় তাহলে তার প্রয়োগ সার্বজনীনভাবেই করুন। মোল্যাদের সাথে তাল মিলিয়ে আপনি শুধু বাংলাদেশকে আরেকটি আফগানিস্তান বা পাকিস্তান তৈরীর দিকেই ধাবিত করবেন, এছাড়া আর কিছুই নয়।
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হয়, উনি সময় নিয়ে লাঠির অর্ডার দিচ্ছেন?
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭
শাহিবযাদা সোহান বলেছেন: কোনো প্রাণীর-মূর্তি নির্মাণ করা ইসলামী শরীয়তে কঠিন কবীরা গুনাহ ও হারাম । মূর্তি সংগ্রহ, মূর্তি সংরক্ষণ এবং মূর্তির বেচাকেনা ইত্যাদি সকল বিষয় কঠিনভাবে নিষিদ্ধ। মূর্তিপূজার কথা তো বলাই বাহুল্য, মূর্তি নির্মাণেরও কিছু কিছু পর্যায় এমন রয়েছে যা কুফরী।
কেউ কেউ মূর্তি ও ভাস্কর্যের মধ্যে বিধানগত পার্থক্য দেখাতে চান। এটা চরম ভুল। ইসলামের দৃষ্টিতে মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোই পরিত্যাজ্য। কুরআন মজীদ ও হাদীস শরীফে এ প্রসঙ্গে যে শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোকেই নির্দেশ করে। এ প্রসঙ্গে কুরআন মজীদের স্পষ্ট নির্দেশ-
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ وَ اجْتَنِبُوْا قَوْلَ الزُّوْرِۙ۳۰
‘তোমরা পরিহার কর অপবিত্র বস্ত্ত অর্থাৎ মূর্তিসমূহ এবং পরিহার কর মিথ্যাকথন।’ -সূরা হজ্জ : ৩০
এই আয়াতে পরিস্কারভাবে সবধরনের মূর্তি পরিত্যাগ করার এবং মূর্তিকেন্দ্রিক সকল কর্মকান্ড বর্জন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আরো লক্ষণীয় বিষয় এই যে. উপরের আয়াতে সকল ধরনের মূর্তিকে ‘রিজস’ শব্দে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘রিজ্স’ অর্থ নোংরা ও অপবিত্র বস্ত্ত। বোঝা যাচ্ছে যে, মূর্তির সংশ্রব পরিহার করা পরিচ্ছন্ন ও পরিশীলিত রুচিবোধের পরিচায়ক।
এখন বলুন এই কথা গুলো হেফাজত কয় না কোর আন হাদিস বলে?
ভাস্কর্য নির্মাণ অত্যন্ত কঠিন কবীরা গুনাহ। আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা কুফরীরও পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
মূর্তি ও ভাস্কর্যের বেচাকেনাও হাদীস শরীফে সম্পূর্ণ হারাম সাব্যস্ত করা হয়েছে।
তাইলে কেনো এই ধরনের কাজ মুসলিম করবে?
১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: জনাব শাহজাদা আপনি হজ্জ্বে যেয়ে কালো পাথরে পাপ মোচনের জন্য চুমো দেন, সেই কালো পাথর কি মূর্তিনা? আপনি শয়তানের দিকে ঢিল ছুড়েন- শয়তান কি আসলেই সেখানে আছে। সেই ঢিলটা যার উপর ছুড়ে মারেন সেটা কি? আরবদের মাথায় বুদ্ধি ছিল না এখনও নাই তাই ওরা বুঝেইনি আসলে ঐ কালো পাথরও মূর্তি।
আপনাকে আর কিছু বলার নেই। ভাল থাকুন, শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমার আর এই দেশে থাকতে ইচ্ছে করে না। কেউ আমাকে নিয়ে যান এই দেশ থেকে অনেক দূরে।
৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৯
মিঃ আতিক বলেছেন: আপসের মাধমে শেখ হাসিনা বি এন পি কে রাজনীতি শিখিয়েছেন।
গ্রিকরা একে দেবি বলে, বাংলাদেশে এটাকে ভাস্কর্য বলা হবে কেন?
গ্রিকদের সংস্কৃতি আমদানি্র উদ্দেশ্য কি?
১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৬
মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: কোন সংস্কৃতির কোঙ্কিছু তা যদি হয় শিল্প বা সাহিত্য তা ধারণ করতে সমস্যা নেই, সমস্যা হলো সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের, যেমন আমরা এখন আর বাংলা সিনেমা বা নাটক দেখিনা, দেখি হিন্দি সিনেমা বা সিরিয়াল। আমরা আমাদের শাড়ি লুঙ্গি পড়িনা, পড়ি আরবীয় ঢংঙের জামা পাজামা আর হিজাব বা বোরখা। আফসোস!!
৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩০
মিঃ আতিক বলেছেন: সবার সংস্কৃতি সবার কাছে ভালো। গ্রিক দেবি গ্রিকদের কাছে ভালো। মুসলিমদের কাছে আল কোরান। বলা নেই কওয়া নেয় হটাত আল কোরআনের একটা ভাস্কর্য গ্রিসে প্রতিস্থাপনের স্বপ্ন কোন মুসলমান দেখে? স্বপ্ন দেখাটা কি উচিৎ হবে?
৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪১
রিফাত হোসেন বলেছেন: মন্তব্যটা টাইপ করেছিলাম, কিন্তু মুছে ফেললাম।
কারণ আপনার সাথে আলোচনার সুযোগ নাই, তাল গাছ নিয়ে থাকবেন থাকুন।
সামনে নির্বাচন, এটা কে ঘিরে যা হওয়ার হচ্ছে। অন্তত এটা বলতে পারি। অনুকূল ও প্রতিকূল-দুই পালে হাওয়া বইবে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪
মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: মন্তব্য করতে সমস্যা নেই, কিন্তু নতুন নকীব, সত্যের ছায়া, বা ভ্রমরের ডানার মত ব্যাক্তিগত আক্রমণ করলে তার জুতসই উত্তর দেয়া হবে ও মুছে ফেলা হবে।
৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২৭
রানার ব্লগ বলেছেন: সবই ভানু মতির খেলা !!! ডুগ ডুগির খেলা।
৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩১
আখেনাটেন বলেছেন: সামনে নির্বাচন-নির্বাচন খেলা অাসতেছে না...তেঁতুল হুজুরদের বাগে না রাখলে কখন কোন বিপদ হয় কে বলতে পারে? এই ভানুমতির দেশে ধর্মকে আঁকড়ে না ধরলে ক্ষমতার স্বাদ যদি মিস হয়ে যায়।
১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৫৫
১১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫
জোয়ান অব আর্ক বলেছেন: খুব সহজেই হতাশ হওয়া আপনাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। হাসিনা কোন কাঁচা কাজ করেনা - হাসিনা কারো কাছে বিক্রিও হয়না। মোল্লারা প্রতিরক্ষা শান্তিচুক্তি নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলেনি, তিস্তা ইস্যুতে লাগাতার ব্যর্থতার জন্যে তাকে দায়ী করেনি। একটা মূর্তি সরিয়ে যদি এত কিছু ঢাকা দেয়া যায় - তাতে আপনাদের আপত্তি কোথায়?
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০২
মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: দারুণ বলেছেন, ধন্যবাদ।
১২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭
হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: লেখক বলেছেন: কোন সংস্কৃতির কোঙ্কিছু তা যদি হয় শিল্প বা সাহিত্য তা ধারণ করতে সমস্যা নেই, সমস্যা হলো সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের, যেমন আমরা এখন আর বাংলা সিনেমা বা নাটক দেখিনা, দেখি হিন্দি সিনেমা বা সিরিয়াল। আমরা আমাদের শাড়ি লুঙ্গি পড়িনা, পড়ি আরবীয় ঢংঙের জামা পাজামা আর হিজাব বা বোরখা। আফসোস!
ওপরের কথাগুলো একান্তই আপনার।
আর যারা মূর্তির বিরোধিতা করছে তারা ধর্মের অনুসারী। ধর্মের অনুসারীরা নিজস্ব মতের দ্বারা পরিচালিত হয় না। তারা ধর্মের অনুশাসন মেনে চলেন। আপনি ধর্ম মানেন কি মানেন না সেটা একান্তই আপনার ব্যাপার। আর আপনি যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হন তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ই আপনাকে মেনে নিতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০
সোহানী বলেছেন: হেহেহেেহেহে........... কুনু লাভ নাই !!!!!!!!!!!