![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী। ফিচার এডিটর- বাংলাপোস্ট, যুক্তরাজ্য।
আমাদের এক বড় ভাই মাঝে মাঝেই এটা সেটা শেয়ার করেন। এইতো গতকালও দেখলাম এক কলেজ অধ্যক্ষাকে নিয়ে এক হিন্দুর প্রতিবাদী পোস্ট শেয়ার করতে যেখানে সেই শিক্ষিকা হিন্দুদের গরু খেতে বলেছিলেন।
ভাই হিন্দুরা তোমরা বাংলাদেশে খুব ভাল আছো। অন্তত এ দেশে কেউ তোমাদের পাঠা, কচ্ছপ খাওয়ার অপরাধে পিটিয়ে মারেনা। রাষ্ট্র যন্ত্র থেকে বিচার প্রার্থনার জন্য তোমাদের মোসলমান হতে হয়না। তোমরা মন্ত্রী হচ্ছো, এমপি হচ্ছ, বড় বড় সরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান ব্যাক্তি হচ্ছ।
ভাই হিন্দুরা তোমাদের ধর্মও বড় আজগুবি ধর্ম। তোমরা গরুকে মা বল, কিন্ত দাঁমড়াকে বাবা বলনা। প্রতিকি অর্থে গরুকে মা বললে যোক্তিকভাবেই দাঁমড়াকে কিন্ত ভাই তোমাদের বাবা বলা উচিৎ।
তোমরা গরুর চনা ছিটিয়ে ঘর পরিস্কার কর, গরুর বিষ্ঠা দিয়ে সাবান বানাও ও পুজা কর অথচ অন্য ধর্মের মানুষকে কষ্ট দাও। এটা তোমাদের কেমন ধর্ম ভাই হিন্দুরা?
তোমাদের এক এক জন ধর্মগুরু মামী, খালা ও নিকটাত্মীয়দের সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে, তোমরা তাকে বাহবা দেও, এটা কি রকম কথা?
তোমাদের মানুষের প্রতি প্রেম, মমতা, স্নেহ ভালবাসা জন্মানো প্রয়োজন। তোমদের পৈত্তলিকতা পরিহার করে মানব ধর্ম গ্রহন করা উচিৎ।
মানব ধর্ম, মানুষের প্রতি প্রেম, মমতা থাকা প্রতিটি মানুষেরই একান্ত কর্তব্য হওয়া উচিৎ। সব মানুষকেই মনে রাখা প্রয়োজন যতক্ষণ মানুষ ধর্ম পালনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে ততক্ষন অন্য ধর্মালম্বীদের প্রতি তাদের ভালবাসা জন্মাবেনা। ধর্মের নিপাতই মানবতা বিকশিত হওয়ার একমাত্র পথ।
ভাই হিন্দুরা, তোমরা মন খারাপ করনা। আমি জানি আমার রক্ত ও তোমাদের রক্তের প্রবাহমান ধারা একই স্রোত থেকে উৎসারিত। মোসলমান হিসেবে আমার কোন গৌরব নেই যতটা আছে মানুষ হিসেবে। সেই ১২১৩ সালে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খিলজি যখন বাংলাদেশ আক্রমন করে লক্ষণ সেনকে পরাভূত করে বাংলাদেশ দখল করে তখন থেকেই তোমাদের শাসক ও ধর্মগুরুদের দ্বারা শোষিত নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর একটা বিশাল অংশ তোমাদের ধর্ম পরিত্যাগ করে মোসলমান ধর্ম গ্রহন করে মোসলমান শাসকদের তথাকথিত ন্যায়, সমতা ও সত্যের বাণীকে বিশ্বাস করে। সেই সময়টার আগে আমরা তোমরাতো একই কৃষ্টি, সাহিত্য, সামাজিক জীবন ভালবাসা জনগোষ্ঠী ছিলাম। তোমাদের আজগুবি ধর্ম যা সুবিধাবাদী ও ক্ষমতাবানদের সুবিধার জন্য শ্রেণী বিভাজন তৈরী করেছিল তাইতো দায়ী ছিল ভারতবর্ষে তুরস্ক, ইরান, আফগানিস্তান ও ইয়েমেন থেকে অভাবী, নিষ্ঠুরন্ব ঠগ আরব ও মোসলমানদের এদেশে ধর্ম প্রচারণার নামে বসতি স্থাপনসহ রাজ্য কিংবা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের। কাজেই তোমাদের এই আজগুবি ধর্মও অন্যান্য ধর্মের মত পরিত্যাগ এখন জরুরী বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ধর্ম নিপাত যাক
মানবতা মুক্তি পাক।
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪০
হাবিব বলেছেন: মানুষ যেখানে আধুনিক হচ্ছে, বিজ্ঞান মনস্ক হচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে দেশ জাতি। সেখানে কোন গাঁজাখুরি যুক্তি নিয়ে পরে থাকার মানেই হয়না। মুক্তি পাক মানবতা, প্রসারিত হোক মন ও মগজ।
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯
প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: মানবতার সংজ্ঞা কি?
৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৮
সনেট কবি বলেছেন: পড়লাম
৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম পরে, সবার আগে মানবতা।
৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Religion is not
৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১৮
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হিন্দু আর ইসলামের মধ্যে ঈশ্বরের সংখ্যা ছাড়া আর তেমন পার্থক্য নেই। নিকটাত্মীয়েক সাথে বিয়ে শাদী দুটোতেই আছে। এক ধর্ম গরুর মুত্রকে ওষুধ মনে করে আরেক ধর্ম সেখানে উট। নরহত্যার, গন হত্যা, ধর্ষন কোনোটাই বাদ নেই।
আর মিথ্যা, সেল্ফ কন্ট্রাডিক্টরী কথা তো আছে। ভুল অজস্র অগনিত। একমাত্র অশিক্ষিত ও নৈতিক ভাবে হীন মানুষদের পক্ষেই এই শিশুকামী ধর্ষন গনহত্যা সমৃদ্ধ ধর্মগুলো পালন করা সম্ভব।
তবে এই মিলের কারন হলো দুই ধর্মই জুরুস্থ্রিয়ানদের লিনিয়েজ থেকে এসেছে তাই মিথ ও সংস্কৃতি সমূহ সবাই ভাগাভাগি করেছে
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: পড়লাম