![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্ষুদ্র এই অবনী পরে,রয়েছে কী কেউ আজীবন ধরে. ...তবুও কেন এতো হিংসা -বিদ্বেষ, আমাদের এই লোক লোকান্তরে..
বিশ্ব নেতারা জানাচ্ছে শোক হুজুগে বাঙালী করছে মাতম...
আমি বলছি না যে এই টেরারিসোম সমর্থন যোগ্য নিশ্চয় এটা নিকৃষ্টতম পাপাকার্য...সাথে আমি এও বলছি যে আই-এস বিশ্বের সম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ও এদের মঞ্চনাট্য বৈকি অন্য কিছুই নই...এদের মূল লক্ষই হচ্ছে নিজেদের ফায়দা লুটে নেওয়ার জন্য আই-এসের নাম ভাংগিয়ে একের পর এক মুসলীম দেশে হামলা করার টিকেট পাওয়া..
তবে মানবতার বিপন্নতা কী আজই প্রথম ঘটেছে??
এর সুত্রপাতই বা ঘঠিয়েছে কারা?? মিথ্যা অজুহাতে যখন ইরাকে নিরীহ মুসলীম হত্যা হয়েছে তখন মানবতার বুলি আউড়ানোর মতো কোন মিডিয়া বা বিশ্বনেতাকে খুজে পাওয়া যাই নি!!
হুজুগে বাঙালীদের মাতমও তখন ছিলো না লক্ষ করার মতো, লাদেন নাটকে আফগানস্তানের মত শান্তি পূর্ণ দেশে চললো নির্বিচারে হামলা, মরলো সব সাধারন মুসলীমেরা... এদের জন্যও যে মানবতার দুয়ার ছিলো বন্ধ....
মানবতা তখনও আধারে ছিলো যখন নিরীহ রোহিংগাদের উপর চললো হামলা...
তখন কিন্তু কোন মিডিয়াকে বা বিশ্বনেতাকে বলতে শুনা যায় নি যে এরা মুসলীম বলে অবহেলিত -নির্যাতিত...
ফিলিস্তিনের কান্নার আওয়াজ আজও পৌছায় নি তাদের কানে??অথচ এই পর্যন্ত দুই লক্ষের কাছাকাছি মারা গেছে বছরের পর বছর অবৈধ ইসারাইলের অগ্রাসনে....
ফ্রান্সের শার্লী এব্দো যখন রাসূল (সাঃ) এর ব্যাংগো চিত্র আকলো তখন আর এর নিন্দার ঝড় উঠতে দেখা যায় নি কারন হুজুগে বাংগালী যে বিশ্ব নেতা ও মিডিয়ার প্রেমে মুগ্ধ...
এরাই দেশে দেশে মানুস হত্যা করে ফায়দা লুটে নিচ্ছে নিত্য....
শোক জানিয়েই সবাইকে করছে তাদের ভৃত্য...
এরাই সিরিয়ায় আই-এসের নাম ভাঙিয়ে ফায়দা লুটার খেলায় সাধারন মানুসকে করছে হত্যা....
মিয়ানমারের কোথাও দেখা যাচ্ছে না সন্ত্রাস দমন নামে তাদের হামলা, ইসরাইল ও যে তাদের মিত্র...
আর কত সাধারন মানুষ তাদের খেলায় হবে বিপর্যস্ত....১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধে মিটে নাইকো তাদের ক্ষুধা...
তবে এখনকারটা কিছুটা ভিন্ন, এখন যে তাদের হাতে মূল্যবান জাদুকাঠি যা দিয়ে তারা লুটে নিচ্ছে একসাথে দুই ফায়দা...
এখন যে তারা খুব সহজেই বন্ধু বেশে করতে পারছে হামলা,
পাছে তারা ইসলামী উগ্রবাদী দমন নামে মুসলীম দেশে করতে পারছে হামলা
সাধারন মুসলমানরাও যে একথাই তুস্ট...
কিন্তু তারাই যে নিজ দেশের জনগনকে বুঝিয়ে যাচ্ছে ভিন্ন,
বুঝিয়ে যাচ্ছে ইসলামই যে টেরোরিসমের ধর্ম...
তাইতো আমার মনে প্রশ্ন জাগে ১ম বিশ্বযুদ্ধে দেখা যায় নাইকো এই টেরোরিসমের ধর্ম, ২য় বিশ্বযুদ্ধেও নই, হিরোশিমা কিংবা নাগাসিকতাই ও নই
তবে এগুলোই যে গত শতাব্দীর ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ
তবে তখন তো তাদের হাতে ছিলো না এড়িয়ে যাওয়ার মহামূল্যবান অস্র, ছিলো নাকো তাদেরই বানানো আই-এস কিংবা ইসলামী জংগীত্ব...
তাই সব বিশ্বনেতারা তখন খেয়েছে মুক্তভাবে ধরা...
অবশেষে পবিত্র কুরআনের সূরা ইমরান ৫৪ নং আয়াতের সুরে বলতে চাই ইসলামকে কলঙ্কিত করার জন্য তাদের সব অপচেস্টাই হবে ব্যর্থ...
সূরা আল ইমরান:54 - এবং কাফেরেরা চক্রান্ত করেছে আর আল্লাহও কৌশল অবলম্বন করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম কুশলী।
©somewhere in net ltd.