![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্ষুদ্র এই অবনী পরে,রয়েছে কী কেউ আজীবন ধরে. ...তবুও কেন এতো হিংসা -বিদ্বেষ, আমাদের এই লোক লোকান্তরে..
বুঝতে চাইলে এক লাইনেই বোঝা সম্ভব আর না চাইলে রাতভর পুঁথি পড়লেও কাজ হবে না, জানি।
তামাম বিশ্বে মুসলমানের দল এখন দুইটা।
এক. আহলে সুন্নাত।
দুই. আহলে হাদীস।
আহলে সুন্নাত মানে সুন্নাতওয়ালা, আহলে হাদীস মানে হাদীসওয়ালা। সুন্নাতওয়ালারা যে কোনো একটি সুন্নাতে আমল করলে একশত শহীদের সওয়াব পাবেন। অন্যদিকে হাদীসওয়ালাদের সামনে এমনও হাদীস আছে, যেগুলোয় আমল করলে ঈমানই থাকবে না।
বোধকরি এ জন্যেই হাদীস ও সুন্নাতের কেন্দ্রবিন্দু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসংখ্য হাদীসে ইরশাদ করেছেন-
''আমার সুন্নাতের অনুসরণ কর'' কিন্তু দশ লক্ষাধিক হাদীসের মধ্যে একটি হাদীসও কেউ দেখাতে পারবে না যেখানে বলা আছে ''আমার হাদীসের অসুসরণ কর''।
আরেকটি কথা মনে থাকা ভাল, আহলে সুন্নাত নাম রেখেছেন রাহমাতুল্লিল আলামীন আর সার্টিফাই করেছেন স্বয়ং রাব্বুল আলামীন।
অন্যদিকে আহলে হাদীস নাম নিয়েছে কিছু মানুষ আর তাদের ধারণ করা এই নাম তারা সার্টিফাই করিয়ে নিয়েছে ইংরেজদের দ্বারা। মোটামুটি এই হল কথা। এখন একজন মুসলমান ইংরেজ সার্টিফাইড আহলে হাদীসের ফাঁদে পা দেবে, নাকি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বিদায় আমল করবে, সিদ্ধান্ত নেয়া কি খুব কঠিন?
[ দুই ]
ঘটনা হল, সুন্নাত ও হাদীসকে অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন। সমস্যাটা তৈরি হয় তখনই। উলামায়ে কেরাম সুন্নাত ও হাদীসে ব্যবধানের দাস্তান হাজির করতে পারবেন। আমি দু’ একটি উল্লেখ করি।
১/ হাদীস কখনো সহীহ হয়, কখনো দুর্বল কিন্তু সুন্নাত কখনো দুর্বল হয় না। সুন্নাত সবসময় সর্বাবস্থায় শক্তিশালী এবং আমলযোগ্য।
২/ হাদীস কখনো নাসিখ হয়, কখনো মানসুখ কিন্তু সুন্নাত কখনো মানসুখ হয় না। মানসুখ মানে রহিত, নাসিখ মানে যা দ্বারা পূর্বেকার হাদীসের কার্যকারিতা রহিত করা হয়েছে।
৩/ সকল হাদীস উম্মতের জন্য অনুস্বরণীয় নয়, কিন্তু সকল সুন্নাত অনুসরণীয়।
৪/ এমন অনেক সহীহ হাদীস আছে, রহিত হয়ে যাওয়ার কারণে যেগুলোয় আমল করলে ঈমানহারা হতে হবে। কিন্তু সুন্নাত সর্বাবস্থায় পুণ্যময়।
৫/ অনেক ব্যাপারে দু’ধরণের হাদীস আছে (এটা হয়েছে সময় ও অবস্থার কারণে) কিন্তু সুন্নাতের বেলায় এমন কিছু নেই, হয় না।
ব্যাপারগুলো যে, যারা আহলে হাদীস বলে দাবি করেন, তারাও বুঝেন না, এমন না কিন্তু। তারাও যখন বিয়ের কার্ড ছাপেন, সেখানে... '‘আগামী এতো তারিখ রোজ অমুক বার তমুক সেন্টারে নবীজীর 'হাদীস' হিসেবে আমার পঞ্চম কন্যার শুভ বিবাহের দিন ধার্য করা হইয়াছে’'- বলেন না। বলেন, নবীজীর 'সুন্নাত' হিসেবে। ওয়ালিমা করেন কিন্তু 'হাদীস' ওয়ালিমা বলেন না, সুন্নাত ওয়ালিমাই বলেন।
নামাযে দাঁড়ান যখন, কাউকে বলতে শোনা যায় না,
চলো- দু’রাকাত হাদীস পড়ে ফেলি! বলেন, দু’ রাকাত সুন্নাত আদায় করি। এর মানে তারাও বুঝেন, হাদীসের অনুসরণ বলতে কিছু নেই। অনুসরণ সুন্নাতেরই করতে লাগে। ব্যাপারটি তারা স্বীকার করতে চান না। কেনো চান না, সেটা বোঝার জন্য
কি ইমাম গাযালি বা আইনস্টাইন হতে হবার দরকার আছে?
[ তিন ]
শুরুতে বলা হয়েছে আহলে সুন্নাত নামটি দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। দলীল ছাড়া তো মানতে রাজি হবেন না।
পবিত্র কুরআনের আয়াত নাযিল হল-
-ইয়াওমা তাবইয়াজজু য়ূযুহুন...' (সে দিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল-ফর্সা)
- ইয়া রাসূলাল্লাহ, তারা কারা হবেন?
-হুম আহলুস সুন্নাতি ওয়াল জামাআহ’, (তারা হবেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত) জবানে নবুওয়্যাত থেকে জবাব এল। একটি হাদীসও কেউ কোথাও দেখাতে পারবে না, যেখানে ;হুম আহলুল হাদীস'
বা এ জাতীয় কিছু বলা হয়েছে কখনো! ইশারা- ইংগিতেও! তাহলে আলো ভেবে আলেয়ার পেছনে এ কেমন ছুটে চলা?
বলা হয়েছে এমন অনেক হাদীস আছে,
যেগুলোয় আমল করলে সওয়াব তো বহুত দূর কি বাত, ঈমান নিয়েই টানাটানি শুরু হয়ে যাবে। মাত্র দু’টি উদাহরণ দিচ্ছি।
১,
সহীহ বুখারীতে নবীজীর দাঁড়িয়ে পেশাব করার হাদীস আছে। এটা 'হাদীস', সুন্নাত নয়।
শরয়ী কারণে বাধ্য হলে দাঁড়িয়ে পেশাব করা জায়েয বোঝানোর জন্য নবীকে দিয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা করানো হয়েছিলো।
এখন হাদীসওয়ালারা কী করবেন? দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার হাদীস পেয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই কাজ সমাধা করে ফেলবেন?
২,
উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহা থেকে বর্ণিত হাদীস। নবীজী ঘুম থেকে উঠে ওযু ছাড়াই নামাযের ইমামতি করে ফেললেন। আয়েশার জিজ্ঞাসার জবাবে নবী জানালেন, আমার চক্ষু ঘুমায় কিন্তু অন্তর জেগেই থাকে।
যে কারণে ঘুমানোর কারণে আমি নবীর ওযু ভঙ্গ হয় না। হাদীসওয়ালারা যদি এখন এই হাদীসের উপর আমল করে জেনে-বুঝে ওযু ছাড়াই নামায আরম্ভ করে দেন, তাহলে তো ঈমানই থাকবে না।
এমন আরো অনেক উদাহরণ টানা যায়।
[ চার ]
নবীর সুন্নাতের অনুসরণ নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করেন না। আপত্তিটা শুরু হয় সাহাবায়ে কেরামের অনুসরণের বেলায়। আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কিছু লোক আছেন যাদের বক্তব্য-সাহাবিগণ তো আর নবী না, তাহলে তাদেরকে আবার চোখ-কান বন্ধ
করে অনুসরণের কী আছে?
প্রশ্নটি অনেক কঠিন। কিন্তু জবাব একেবারেই সহজ।
সুন্নাত মানে দ্বীনে কামিল। নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত, সিয়াসতে শরইয়্যাহ, উলূমে নবউইয়্যাহ তথা দ্বীনে কামিল নবীজি আল্লাহর কাছ থেকে এনেছেন, সাহাবীকে দিয়েছেন।
আল্লাহ থেকে যা কিছু এসছে, সব এসছে নবীর মাধ্যমে। নবী থেকে যা কিছু আমরা পেয়েছি, তা পেয়েছি সাহাবাগণের মাধ্যমে। এখন আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছুতে চাইলে নবীকে ধরতে হবে।
নবীকে ধরতে চাইলে সাহাবীকে ধরতে হবে। নবী ছাড়লে আল্লাহ মিলবে না, সাহাবা ছাড়লে নবী মিলে না।
এখন কেউ যদি নবীওয়ালা আমল জানতে চায়, সাহাবীর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। নবীওয়ালা সিয়াসত চাইলে সাহাবীদের কাছ থেকে শিখতে হবে। আর কোনো শর্টকাট নাই।
নবীজীর পরে কেউ নবী দাবি করলে সে বেঈমান। সাহাবার পরে কেউ সাহাবী দাবি করলে সেও বেঈমান।
নবীজি এলেন নবুওয়্যাত খতম, গেলেন যখন সাহাবিয়্যাতও খতম।
এখন হয় সাহাবী মেনে নবীর অনুসারী হয়ে আল্লাহর তৈরি জান্নাতে যাও...!
ইচ্ছা হলে সাহাবাকে গালিগালাজ করে জাহান্নামে যাও...!
রাস্তা দুটোই খোলা আছে।
যার যেখানে খুশি যাও...!!!!!!!
৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৭
ভীন গ্রহের পরবাসী বলেছেন: হুম।।
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০০
প্রামানিক বলেছেন: দারুণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমিও দ্বিধাদ্বন্দে ছিলাম। ধন্যবাদ
৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৩
ভীন গ্রহের পরবাসী বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ার জন্য।। ভালো থাকবেন।।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৬
শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: আহলে হাদিসদের বোধের শুভ উদ্য় হোক।