নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহসিন চৌধুরী

মহসিন০৮

মহসিন০৮ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রী আসছেন, তাই অনেক গাড়ি ধরতে হবে

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

বড় আন্টি মারা যাওয়াতে হঠাৎ করেই সাতকানিয়ায় আসতে হল। সব কিছুর ভাড়া দেখি ডবল হয়ে গেছে। তারপর যেতে হবে, উপায় নেই। গেলামও ঠিকঠাক মত।



দাফন করতে করে বাসায় ফিরতে ফিরতেই রাত ২টা হয়ে গেল। পরদিন (গতকাল) আসতে যাব কিন্তু ঠিকমত গাড়ি পাইনা। তাড়াতাড়ি আসার জন্য মাইক্রোবাস ধরতে চাইলাম, কিন্তু কোথায় কি। রাস্তায় মনে হল মাইক্রোবাসের হরতাল চলছে। মাঝে মাঝে দুই একটা মাইক্রোবাস দেখলাম কিন্তু তাতে দেখি লেখা “জরুরী সংবাদপত্র পরিবহন”। প্রথমে আমল দেইনি, মনে করলাম সত্যি সত্যি সংবাদপত্রের গাড়ি। কিন্তু আসল ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম কর্ণফুলী ব্রীজের এথানে এসে। ব্রীজ পার হতেই ট্রাফিক পুলিশ সিগন্যাল দিয়ে গাড়ি থামাল। এসে গাড়ির কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইল। জানাল, সব ঠিক থাকলে সম্মানের সাথে ছেড়ে দেয়া হবে, আর না থাকলে আটকে রাখা হবে কারণ “প্রধানমন্ত্রী আসছেন, তাই অনেক বেশী গাড়ি ধরতে হবে (আটক করতে হবে)”। আমি মাঝখানের দিকে ছিলাম মনে করলাম টাকা চাইবে, আমি মোবাইলের ক্যামেরাটা অন করে রাখলাম সুযোগ বুঝে দুই একটা ছবি তুলে রাখব সেই আশায়। ড্রাইভার বলল সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু ট্রাফিক মহাশয় ওসব আমলে নিলেননা, বরং স্টার্ট বন্ধ করে চাবিটা খুলেনিলেন। আমি এই সময় নামটা দেখে নিলাম, নেমপ্লেটে নামটা স্পস্ট দেখলাম “এরশাদ”। এরাশাদ ট্রাফিক চাবিটা নিয়ে রাস্তার পাশের এক চায়ের দেকানের পিছনে চলে গেলেন। আমাদের গাড়ির ড্রাইভারও পিছু নিল। দোকানের পিছনে ওরা দেখি কি নিয়ে কথা বলছিল। এরমধ্যে “মিজান” নামে আরেকজন ট্রাফিক এসে ওদের সাথে যোগ দিল। কিছুক্ষণ পর দেখি সবাই বেরিয়ে এল। ভাবলাম সব ঠিকঠাক দেখে ছেড়ে দিয়েছে। আমাদের ড্রাইভারকে দেখলাম ফিরে আসতে কিন্তু চাবিটা তখনও ট্রাফিক এরশাদের হাতে। বুঝলাম ঘটনা অন্য। ড্রাইভার আমাদের গাড়ির হেলপারের কাছ থেকে টাকা নিয়া এরশাদের হাতে ওটা গুজে দিয়ে চাবিটা ছাড়িয়ে আনল। মিজান তাড়াতাড়ি দেখল কতটাকা দিয়েছে।



যাক গাড়িতো ছাড়া পেল। এখন তবে যেতে পারব। গাড়িটা চলতে শুরু করল এমন সময় আরেক ট্রাফিক এসে মিজান ওবং এরশাদের সাথে যোগ দিল। হয়তো ভাগ চায়, আমি ওর নামটা খেয়াল করতে পালাম না। আমি আসতে আসতে ড্রাইভারের কাছে জানতে চাইলাম কত নিয়েছে। ড্রাইভার বলল “সব ঠিক আছে দেখে ২০০ টাকা, আমাদের আগের গাড়ি থেকে নাকি ৫০০ টাকা নিয়েছে”।



বুঝেন এবার এই হল আমাদের দেশের ট্রাফিক পুলিশ। আমরা তাদের কত করুণা দেখাই। এক একটা গাড়ি এভারেজ ২০০টাকা হলে ৫০০ গাড়ি যদি একদিনে আটক করে তবে কত টাকা হয় চিন্তা করা যায় !!!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

মামুন হিমু বলেছেন: খাইছে ট্রাফিক পুলিশের চাকরী নেবো নাকি;-)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

মহসিন০৮ বলেছেন: গন্ডার হইবার মুঞ্চায় নাকি ???

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০

ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীতে সবচাইতে দুর্ণীতিবাজ, অদক্ষ, অকর্মন্য, প্রশিক্ষনবিহীন, নির্দয় আর সরকারের ১০০% চাকর পুলিশ কাজ করে বাংলাদেশে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মহসিন০৮ বলেছেন: কি কইতাছেন ভাইজান !!!

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

এম আর ইকবাল বলেছেন: এ ভাবেই চলছে দেশ ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মহসিন০৮ বলেছেন: হুম....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.