![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার উদ্দেশ্যে রওনা। বাস কাউন্টারপয়েন্ট আসা। কাউন্টার এর ভিতর প্রবেশ। টিকেট সংগ্রহ করা। তারপর অপেক্ষা। তো মোটকথা, বেশ কিছু সময় বসতে হবে। কিছুক্ষণ বসার পর উঠলাম। কারণ,তৃঞ্চা পেয়েছে। তো বাহিরে গেলাম পানি কিনার জন্য। বাস কাউন্টার এর সামনেই দোকান। পানি নিলাম। পানির মূল্য ১৫ টাকা। এর মধ্যে বাস কাউন্টারে এসে পৌঁছল। শ্যামলী কাউন্টার। গাড়িতে উঠলাম। ডানদিকে E1 সিটে বসে পড়লাম। কিছু সময় অপেক্ষা করার পর গাড়িটি কাউন্টার ত্যাগ করল। অনেকটা যানজটের কবলে পড়তে হল। এর মধ্যে সন্ধাও ঘনিয়ে আসতেছে। ধীরে ধীরে বাসটি যানজট অতিক্রম করল। বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর মাগরিব এর আযানের আওয়াজ ভেসে আসল। ড্রাইভার প্রায়শই বৃদ্ধ ছিলেন। দেখলাম উনি গাড়ির গতি কমিয়ে পারকিং করলেন। তো আমি গাড়ির সুপারভাইজারকে জিজ্ঞাসা করলাম কি জন্য গাড়ি থামালেন। কোন সমস্যা। সে বলল, না ভাই কোন সমস্যা না তিনি নামাজ পড়তে গেছেন। সবাই যার যার মত করে সময় অতিবাহিত করল। আমিও সবার মত গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম। দেখলাম পাশেই একটি চায়ের স্টল। অনেকেই বসে চা পান করছে। তবে স্টলটি ভালই লাগল। খোলামেলা। কোনরকম ভিড় নেই। উপরে ছাউনি এবং বেশ পরিষ্কার-পরিছন্ন। ভালই ঠান্ডা লাগতেছে তো আমারও চা পান করতে ইচ্ছা হল। তাই, চাচাকে বললাম, চাচা আমাকে এক কাপ চা দেন। চাচা জিজ্ঞাসা করলেন দুধ দিব না লিপটন। আমি বললাম, আদা, লেবু দিয়ে লিপটন দেন। দিলেন, আমিও পান করলাম। টাকা পরিশোধ করে বাহিরে দাড়িয়ে আশেপাশে একটু চোখ বোলালাম। সেখান এর প্রকৃতি ভালই লাগল। ছোট্র বাজার। কয়েকটিমাত্র দোকান নিয়ে গঠিত বাজার। এতক্ষণে ড্রাইভার চলে আসলেন। আমরা সবাই গাড়িতে উঠে পড়লাম। গাড়ি ছেড়ে দিল। তারপর গাড়ি ক্রমান্বয়ে পথ অতিক্রম করতে থাকল। উজানভাটি এসে গাড়ি থামল। সুপারভাইজার সবাইকে জানিয়ে দিল রাতের খাবার গ্রহন করার জন্য আমাদের কাছে ত্রিশ মিনিট সময় আছে। এর মধ্যে খাওয়া শেষ করে গাড়িতে আসবেন। সবাই খাওয়া শেষ করে যার যার মত কেউ চা-কপি, পান, সিগারেট গ্রহন করল। এরই মধ্যে মাইকে ঘোষণা করল এত নাম্বার গাড়ির সময় শেষ সবাই গাড়িতে উঠুন।সবাই গাড়িতে উঠলাম। গাড়ি যাত্রা শুরু করল সিলেটের উদ্দেশ্যে। গাড়ি আর কোথাও বিরতি না নিয়ে একটানা পথ অতিক্রম করতে লাগল। অতঃপর গন্তব্যস্থানে এসে পৌঁছলাম।
©somewhere in net ltd.