![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকের এমন ধারনা থাকতে পারে, যাই হোক কিছুটাতো ধর্মের কাজ করছে...
অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিরও প্রশ্ন পীরগিরী কখন থেকে এল...ইসলামে এর আসলে আবস্থান কি?
আপনি অবাক হবেন যে, এই পীরের বইতে (বই-বেধে মারফত, ইয়াদে খোদা, ইশকে এলাহি) যা আছে তা একজন নাস্তীকের ধারনার চেয়ে হাজারগুন খারাপ।
হুমায়ন আজাদের “পাকসার জমিন-সাদবাদের” চাইতে খারাপ কথা বলা হয়েছে ওই বই গুলোতে... ৬ খন্ডের লেকচারের অন্তত একটি শুনুনঃ
http://quraneralo.com/lectures/52-Chormonai Torika 4.mp3
http://quraneralo.com/lectures/52-Chormonai Torika 5.mp3
http://quraneralo.com/lectures/52-Chormonai Torika 6.mp3
http://quraneralo.com/lectures/52- Chormonai Torika 1.mp3
http://quraneralo.com/lectures/52- Chormonai Torika 2.mp3
http://quraneralo.com/lectures/52-Chormonai Torika 3.mp3
তাবলীগ জামাতের বইতেও ভ্রান্ত বিশ্বাস ফুটে উঠে। ২ খন্ডের লেকচারের অন্তত একটি শুনুনঃ
http://www.quraneralo.com/lectures/113- Tablig Jamat - Part 1.mp3
http://quraneralo.com/lectures/113-Tablig Jamat - Part 2.mp3
২| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ সকাল ১১:২১
ইয়েন বলেছেন: আপনার দেয়া লিন্ক এর একটাতেও গেলাম না...এক এ তো ইমান কম আবার এগুলা দেখলে আবার কিসের থেকে কি হয়া যায়...
৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ সকাল ১১:২৩
রবিন-৭৭ বলেছেন: জামাত ইসলামী?
৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ সকাল ১১:৪৩
অবয়ব বলেছেন: ভাই লেকচার থেকে নির্বাচিত অংশগুলো আপনার সমালোচনাসহ তুলে দেন।
৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ সকাল ১১:৫৮
সৈয়দ মোহাম্মদ আলী কিবর বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে সহ আমাকে হেদায়েত দান করুন। জেনে রাখুন ইসলামের সাথে সংযুক্ত যে কেউ ইসলামের শত্রুদের চেয়ে অনেক ভাল।
৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:১৪
ডিজিটাল বাংলা বলেছেন: আলী কিবর সাহেব ঠিক বলেছেন। শত্রুর চেয়ে ইসলামের সাথে যুক্ত থাকা অনেক ভালো
৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩৯
মাইন রানা বলেছেন: ভাইজান অন্ধের হাতি দেখা গল্পটা জানেন???
অন্ধের হাতি না দেখে চোখ খুলে দেখার চেষ্টা করুন।
আমি তবলিগরা যাই হোক আপনার অন্ধ সমালোচক নয়।
লেকচারের লিংক না দিয়ে কি কি খারাপ সেটা তুলে ধরুন। আর যে যে বিষয় আপনার কাছে খারাপ মনে হচ্ছে সেগুলি সরেজমিনে যাচাই বাচাই করে প্রমাণ হাতে নিয়ে তারপর পোস্ট দেন।
কথায় কথায় লেকচারে, লেকচারে ঈমান বেচে দিয়েন না ভাই। অন্যকে একটি খারাপ অপবাদ দেবার আগে ১০ বা ভাবুন আর ২০ বার যাচাই করুন কোনটা সত্য
৮| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ দুপুর ১:৪৮
নষ্ট ছেলে বলেছেন: জামাতী গন্ধ পাওয়া যাইতাছে
মওদুদীরে নিয়া কিছু কইলেন না?
৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ দুপুর ২:০৯
নষ্ট ছেলে বলেছেন: চরমোনাই আর তাবলীগের জামাতের নিজেদের মধ্যে কিছু ব্যাপারে মতপার্থক্য থাকলেও একটা ব্যাপারে কোন মতপার্থক্য নাই, সেটা হল জামাত-শিবির ভন্ড।
১০| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২৭
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: লেখক কোথাও বলে নাই সে জামাত বা শিবির। চরমোনাইর পীর তার বই "বেধে মারেফাতের " ১৫-২৪ নং পৃষ্ঠায় লিখেছেন কিয়ামতের দিন বান্দা আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইবে কিন্তু আল্লাহ ক্ষমা করতে চাইবেন না। তখন সেই ব্যক্তির পীর কাকুতি মিনতী করে আল্লাহ কে রিকোয়েস্ট করবে তারপর আল্লাহ তাকে মাফ করবেন।
সূরা যুমার-৫৩> বলুন, যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ্ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
তিরমিজীর একটা হাদিস হাদিসে কুদসীঃ
রাসুল সাঃ বর্ণনা করেন, আল্লাহ বলেন হে বনী আদম তুমি যদি পৃথিবী পূর্ণ গোনাহ নিয়েও আমার সাথে সাক্ষাত করো আর যদি শিরক না করো তাহলে আমি আল্লাহ পৃথিবী পূর্ণ ক্ষমা নিয়ে তোমার সাথে সাক্ষাত করবো।
আর চরমোনাইর পীর এর লেখা বই বলে আল্লাহ মাফ করেন না কিন্তু পীরের রিকুয়েস্টে ক্ষমা করেন। এখন আমরা কোনটা মানবো? আল্লাহ ও তার রাসুলের কথা নাকি চরমোনাইর পীর এর বক্তব্য?
এই পীর তার আরেকটা বইয়ের ৫৫ নং পৃষ্ঠায় বলতেছে যার ২ জন পীর আছে তার কোন চিন্তা নাই। এই দুই পীর তার দুই ডানা ধরে তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।
সূরা যুমার-৩> মুর্তি পূজারীরা বলে, আমরা এ মুর্তিগুলোকে ঈশ্বর মানি না। তবে এগুলোর উপাসনা করি এজন্যই যে এগুলো আমাদের আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেবে।
আল্লাহকে পেতে গিয়ে এই ভায়া/মাধ্যম ধরার জন্য আমরা যদি তাদের মুশরিক বলি তাহলে যারা জীবিত ব্যক্তিদের আল্লাহকে পাওয়ার জন্য ভায়া/মাধ্যম ধরে তারা কি মুশরিক না?
সূরা তাওবাহ-৩০-৩১> তারা (ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা) তাদের আলেম ও সংসারবিরাগীদের "রব" বানিয়ে নিয়েছে (আল্লাহ কে বাদ দিয়ে)।
কারণ ইহুদি খ্রিষ্টানরা তাদের ফতোয়া দিত নিজেদের মনগড়া ভাবে। তাওরাত ও ইঞ্জিল ফলো করতে না। ঠিক একই ভাবে যেই সব পীর, বুজুর্গ, অলী নামধারী লোকেরা নিজেদের মনগড়া ভাবে কোরআন ও হাদিস বিরোধী বক্তব্য দেয় এবং তাদের যারা মান্য করে এবং তাকলীধ (অন্ধ অনুকরণ) করে তারা কি তাদের "রব" বানিয়ে নেয়নি আল্লাহ কে বাদ দিয়ে?
লেখক বা যে কোন ব্যক্তিই যদি কোরআন ও সহিহ হাদিসের বিপরীতে কথা বলে আমাদের তাদের বিরুদ্ধে যাওয়া উচিত। তাকলিদ হবে একমাত্র আল্লাহ ও তার রাসূলের।
মক্কার ইমাম সাহেব ও যদি বলে মুর্তিপূজা জায়েজ, তারপরও তাকে অস্বীকার করতে হবে তাকে শূধরাতে হবে। ঠিক তেমনি ভাবে মাওলানা জাকারিয়ার ফাজায়েলে আমল ও পীর সাহেব চরমোনাইর কোন বই বা লেখা যদি কোরআন ও সহিহ হাদিসের বিপরীতে যায় তবে সেটাই আমাদের মানতে হবে যেটা কোরআন ও সহিহ হাদিসে আছে।
১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৬
খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
মুসলিম উম্মাহ আজ ঘোর সংকটে ! এক মুসলমান আর এক মুসলমান এখন ভাই ভাই নয় তারা একে অপরের দুশমনে পরিনত হচ্ছে । একে অপর কে খুব তুচ্ছ্য বিষয় নিয়ে আলাদা হয়ে যাচ্ছে এক মুসলমান আরেক মুসলমানের বিপক্ষে কাজ করছে তথ্য তৈরি করছে প্রকাশ করছে আর এক মুসলমান কে কষ্ট দেয়ার জন্যে ।
মুসলিম জাতির অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। পারস্পরিক ঐক্য ও বিভক্তি এর অন্যতম। এটি শুধু আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্যের ও ভালবাসার ভিত্তিতেই হয়। হাদীসে উল্লেখ আছে “এক মুসলমান অন্য মুসলমানের জন্য এক শরীর সদৃশ। যদি এর একটি অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয় তবে এর প্রভাবে সারা শরীর ব্যথিত ও আঘাতপ্রাপ্ত হয়।” অদৃশ্য এই শক্তিই মুসলমানদের অবিস্মরণীয় বিজয়ের গোপন রহস্য।
সুলতান সালাহুদ্দীন আইয়ূবী রহ. বায়তুল মুকাদ্দাস পুনর্উদ্ধারের জন্য ঐ সময় চূড়ান্ত বিজয়ের প্রস্তুতি নেন, যখন মুসলমানদের পারস্পরিক বন্ধন সুদৃঢ় হয় এবং শামের নেতৃস্থানীয়রা একই প্লাটফর্মে জড়ো হন। ইতিহাসের ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করলে একথা স্পষ্ট হয়ে উঠে যে, মুসলমানরা কোনো একটি যুদ্ধেও সফলকাম হতে পারেনি; যতক্ষণ না তাদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতির সুদৃঢ় বন্ধন স্থাপিত হয়েছে। পারস্পরিক সহযোগিতাবোধ জেগেছে। মতবিরোধ ও ভেদাভেদ থেকে নিস্কৃতি পেয়েছে।
কিন্তু যখন প্রত্যেক ব্যক্তি নিজস্ব মত-পথ ও চিন্তাধারায় খেয়ালী বিচরণ করবে; নিজেদের মধ্যে সৃষ্ট মত পার্থক্য শত্রতার রূপ নেবে; তখন সফলতার আর কোনো প্রচেষ্টাই কাজে আসবে না। সর্ব ক্ষেত্রে মুসলমানরা হবে অপদস্থ। তাদের জন্য থাকবে পরাজয়ের গ্লানি।
বর্তমান মুসলিম উম্মাহ অনৈক্য ও অসংহতির মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত। দুনিয়াতে আজ মুসলামানদের রয়েছে বৃহৎ একটি জনগোষ্ঠী। পৃথিবীর এক চতুর্থাংশ আজ মুসলমানদের । তবুও দুনিয়ার অন্যান্য শক্তির কাছে তারা আজ নত । লাঞ্ছিত ও নিস্পেষিত হচ্ছে দেশে দেশে। তাদের দেখে বিদ্রুপের হাসি হাসছে বাতিল শক্তি। কিন্তু মুসলমানদের এই অবস্থা হলো কেন? এর একমাত্র কারণ, মুসলিম উম্মাহর ভেতরে ঢুকে পড়েছে অনৈক্যের বীজ। মুসলিম বিশ্ব আজ হাজার ও ভাগে বিভক্ত। তাদের খন্ড খন্ড শক্তি নির্জীব হয়ে আছে। প্রত্যেকে তাদের নিজস্ব মতের পূঁজায় লিপ্ত। নিজের গোত্র বা দলনেতার কথাই সব কিছু ; অন্যের কোনো গুরুত্ব নেই। মহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের উম্মতের এই অনৈক্য ও অসংহতি সৃষ্টি করছে মারাত্মক বিষক্রিয়ার। ফলে তারা কাটাচ্ছে মুমূর্ষু অবস্থা ।
কর্মপরিকল্পনা ও কার্যপ্রণালীর আছে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি। পরিবেশ পারিপার্শি¦কতাও সর্বত্র এক নয় । তাছাড়া ইসলামী কার্য সম্পাদনকারীদের মত ও চিন্তার ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকাও স্বাভাবিক। সে হিসেবে কৌশলগত ও চিন্তাগত আংশিক মতবিরোধ তেমন দোষের কিছু নয়। কিন্তু এই মত পার্থক্য যখন ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব, দলীয় বিবেদ ও শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের রূপ নেয়, তখন তা জন্ম দেয় ভয়াবহ পরিস্থিতির। গঠনমূলক কাজের পরিবর্তে চর্চা হয় বিনষ্টের। ইসলামী ভাবধারার আবরণে চরিতার্থ হয় ব্যক্তিস্বার্থ। তাই সকল সফলতা পর্যবসিত হয় ব্যর্থতায়। অবশেষে আত্মঘাতি এই কর্মকান্ড ইসলামের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। গণ্য হয় ইসলাম নিশ্চিহ্নের কারণ হিসেবে। ইসলামী সমাজ যখন বিভক্ত হয় দলে-উপদলে। প্রত্যেকে বিভোর হয় অনিষ্টের চিন্তায়। তখন উম্মতের অস্তিত্ব আর টিকিযে রাখা যায় না। নিজেরাই কারণ হয় নিজেদের পতনের।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, এই ধ্বংসাত্মক কাজকে অনেকেই সামাজিক সংশোধন ও ইসলামী বিপ্লবের কাজ হিসেবে মনে করে। অথচ এটি মারাত্মক একটি ভুল। পারস্পরিক অনৈক্য ও সংঘাত কোনোদিনও ইসলামী সমাজ বিপ্লবের জন্য সহায়ক হতে পারে না। বর্তমান মুসলমানদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক সত্য হচ্ছে তারা আজ বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত। গঠনমূলক কাজের পরিবর্তে ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত। গড়ার চেয়ে ভাঙ্গার ক্ষেত্রে বেশি উদ্যোগী। মুসলিম দেশের শাসক কিংবা ইসলামী দলের পরিচালক; প্রত্যেকেই আত্ম-পূঁজারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ। প্রত্যেকে ছুটছে নিজেদের দুষ্ট প্রবৃত্তির পেছনে। “আমার মত ও চিন্তাই বিশুদ্ধ; এটিই একমাত্র পথ ও পদ্ধতি” এই আত্ম-তুষ্টিতে ভুগছে সবাই। অন্যদের গুরুত্ব দিতে রাজি নয় কেউই। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পরমত সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা ও সহযোগিতাবোধ নেই বললেই চলে।
আকীদাগত, চিন্তাগত, রাজনৈতিক, সামাজিক প্রতিটি ক্ষেতেই আমাদের পথ নির্দেশকরা ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে। পরস্পরে কাঁদা ছুড়াছুড়ি করছে; লেগে আছে একে-অন্যের পেছনে। মন্তব্য করছে ঢালাওভাবে। প্রকৃত অবস্থা জানার আগেই গোমরাহ, ভন্ড, দালাল হিসেবে আখ্যায়িত করছে। এদের মধ্যে কেউ নিজেকে ইসলামি কোন রাজ পরিবারের সদস্য মনে করে রাজ পরিবারের তাবেদার ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ব্যাস্ত কেউ সেই পরিবারের রপণ করা বীজের শাখা প্রশাখা হয়ে জনম তাবেদারীতে লিপ্ত । কেউ শিরিকের বীজ বপন করে নবী প্রেম থেকে আহলে বাইত-এর ভালবাসা থেকে ইসলাম কে দুরে করতে নির্লজ্জের মত কাজ করছে , আবার কেউ কেউ নিজেদেরকে হাদীসের প্রকৃত আমলকারী মনে করে ইমামের অনুসরণকারীদেরকে গোমরাহ, বিদাতি ও কুফর-শিরকের পর্যায়ে ফেলে দিচ্ছে আবার কেউ কেউ তরিকতের বিপক্ষে গিয়ে সকল তরিকত এর অনুশারীদের গোমরাহ, বিদাতি ও কুফর-শিরকের পর্যায়ে ফেলে দিচ্ছে ।
আবার কেউ ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্বে, দলীয় মোহে অন্য ইসলামি দলের বিরুদ্ধে অনবরত কুৎসা রটাচ্ছে। এভাবে তাদের পরস্পরে সৃষ্টি হচ্ছে বৈরী সম্পর্ক। বাড়ছে হিংসা, বিদ্বেষ ও শত্র“তা। দূর হচ্ছে তাকওয়া ,নবীর প্রেম , আলে-রাসুলদের প্রতি ভালবাসা আউলিয়ায়ে কামেলিনদের প্রতি কৃজ্ঞতা , বিশ্বাস ও ধর্মের প্রকৃত চেতনা। ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে আল্লাহ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামের ওপর একত্রে বসতে তারা সম্মত নয়। মুসলমানদের পরস্পরে বিভক্তির মহড়া চলছে এভাবেই।
আজকের মুলমানরা তদের সমস্যা নিরূপনে যেমন ব্যর্থ, তেমনি উত্তরণ ভাবনায় শতত বিচ্ছিন্ন। একক চিন্তা-ধারার কোনো অস্তিত্ব নেই। তাদের অনৈক্য ও সংঘাত আরো বিরূপ আকার ধারণ করে যখন তা অনৈসলামিক দেশে হয়। ইসলামী ব্যক্তিত্বদের এই আচরণ দেখে অমুসলিমদের মনে ইসলাম সম্পর্কে এই ধারণা বদ্ধমূল হয় যে, ইসলাম পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, সংঘাত, বিভেদ ও বিদ্বেষমূলক ধর্ম। ঐক্য, সংহতি ও সহাবস্থান ইসলামে নেই। কেননা তারা দেখে যে, চিন্তা ও ইজতেহাদগত বিষয়েও মুসলমানদের বিভিন্ন দল-উপদল পরস্পরের বিরুদ্ধে শত্র“ ভাবাপন্ন। সামান্য বিষয়ের জের ধরে পরস্পরেকে ইসলামের গন্ডি থেকে বের করে দিচ্ছে। যাচাই-বাছাই ছাড়াই ফতোয়া ছুড়ে মারছে। ঘরোয়া বিষয় ফলাও করে প্রচার করছে বাইরে। তখন স্বভাবতই ইসলামের প্রতি অমুসলিমদের মনে খারাপ ধারণা সৃষ্টি হবে।
অত্যন্ত আফসোস ও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, আমরা ভাঙ্গা ও নষ্টের দিকে এগুচ্ছি; অথচ স্থাপন ও গড়ার অলিক স্বপ্ন দেখছি। যখন শত্ররা সবাই ঐক্যবদ্ধ; চালাচ্ছে ইসলাম নির্মূলের সম্মিলিত প্রয়াস; বাতিলচক্র নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে এগুচ্ছে দৃঢ়গতিতে। তখন মুসলমানরা আত্মকলহে লিপ্ত। হালকা এবং সাধারণ জিনিসকে কেন্দ্র করে চলছে অঘোষিত লড়াই। আত্ম-প্রতিষ্ঠার জন্য সবাই মরিয়া। শুধু মুসলিম ব্যক্তিত্বদের মাঝেই নয়; মুসলিম রাষ্ট্র সমূহেও চলছে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের খেলা। খুব বড় বিষয় নিয়ে নয়; মামুলি বিষয় নিয়ে। এগুলো সমাধানের জন্য তেমন কোন উদ্যোগেরও প্রয়োজন হয় না। আলোচনা-পর্যালোচনা দ্বারাই সম্ভব।
মুসলমান পরস্পরে ভাই ভাই। সে হিসেবে পারস্পরিক সম্পর্ক হওয়া উচিত ভ্রাতৃত্বের, সম্প্রীতি ও মাধুর্যের। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নয়। যিনি কাজ করেছেন তার দিকে নয়, চেয়ে দেখা উচিত কী কাজ করেছেন। ভাল কাজ হলে তার স্বীকৃতি দেয়া। ব্যক্তি যে কেউই হোক। ইসলাম ও গঠণমূলক সামাজিক কাজের প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতা বাঞ্ছণীয়। কিন্তু যখন কাজের চেয়ে কর্তা বেশি গুরুত্ব পায়; প্রত্যেক কাজকে নিজের অবদান মনে করা হয় এবং খ্যাতির আশা থাকে, তখনই ঘটে বিপত্তি।
বর্তমানে ইসলামী কর্মীদের অভ্যাস এই দাঁড়িয়েছে যে, তাঁরা শুধু অন্যের দোষ-ত্র“টিই দেখে। অন্যের ভুলগুলো প্রকাশ করেই শান্তি পায়। নিজের ভুল কিছুই ধরা পড়েনা তাদের রঙ্গীন চশমায়। নিজের মধ্যে হাজার দোষ থাকার পরও অন্যের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে মজা পায়। নিজেরটি একমাত্র কাজ; অপরেরটি কিছুইনা; এই ধারণা তাদের ভেতর। তাদের ভাব দেখে মনে হবে ইসলামের রক্ষক একমাত্র তারাই। তাদের অস্তিত্ব ও পতনের মাঝে ইসলামের উত্থান-পতন নিহিত!
বর্তমানে আমাদের মধ্যে ইসলামের আদর্শ তেমন নেই। আমাদের কাজগুলোও পূর্ণ সুন্নাত ও ইসলাম মোতাবিক হচ্ছে না। তবুও মিথ্যা অভিনয় করার কি দরকার আছে ? ইসলামের কৃত্রিম কান্ডারী বনে ইসলামী ঐতিহ্যকে বদনাম করার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ আমাদের উদ্দেশ্য কখনো খ্যাতি ও নেতৃত্ব, কখনো নিজের দল ও মতের শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রাধান্য, আবার কখনো নিজের জ্ঞান বা বুদ্ধির বিকাশ। অথচ আমরা নিজেদের ভাবছি পূত-পবিত্র! আর অন্যদেরকে মনে করছি ভ্রষ্ট ও অচ্ছুত! এটি সরাসরি ইসলামের সাথে প্রতারণা। নিছক ব্যক্তি স্বার্থে ইসলামের অপব্যবহার।
নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন “মুসলমান তাঁর ভাইয়ের সম্মান করবে। প্রত্যেকের প্রাপ্য অধিকার আদায় করবে। পরস্পরে হিতকামী হবে।
সাহায্য-সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবে। হিংসা-বিদ্বেষ, সংকীর্ণ মানসিকতা রাখবেনা।” আল্লাহ তায়ালাও নির্দেশ করেছেন মুসলমানদের সাথে সদাচরণ করতে।
এমনকি কাফিরদের সাথেও ভাল ব্যবহার করতে বলেছেন। আল কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে
“যারা পবিত্র মসজিদ থেকে তোমাদের বাধা প্রদান করেছিল, সেই সম্প্রদায়ের শত্রুতা যেন তোমাদেরকে সীমালঙ্ঘনে প্ররোচিত না করে। সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।”
আল্লাহর এই বানী প্রমাণ করে ইসলাম একটি উদার, সহনশীল ও সার্বজনীন সম্প্রীতির ধর্ম। বিবেদ ও সংঘাতের এখানে কোনো স্থান নেই।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা ইঙ্গিত করে মুসলমানদের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনের। আর এর জন্য প্রয়োজন সবার আন্তরিকতা। এই প্রবণতা দূর করতে হলে ব্যক্তি স্বার্থ থেকে ইসলামের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। অপরের বিরুদ্ধে ঢালাও ভাবে মন্তব্য করা চলবে না। নিজে গঠনমূলক কাজ করবে। অন্যের বিচ্যুতির পেছনে লেগে অহেতুক সময় নষ্ট করবে না। যে সকল জিনিস বিবেদ বা সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে তা থেকে দূরত্ব বজায় রাখবে। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে । সম্মান করতে হবে মহা সম্মানিত নবীর উম্মতকে । সব সময় সহযোগিতামূলক মনোভাব পোষণ করবে। কেননা ‘আল্লাহ— বান্দাকে সাহায্য করেন, যতক্ষণ বান্দা তার ভাইকে সাহায্য করে।
১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৮
খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: না এরা ওয়াহাবী নজদী । আবদুল ওয়হাব নজদীর ও সৌদি বাদশাহীর অনুশারী ।
১৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৫৪
এরিস আফ্রোদিতি বলেছেন: আবাল পুস্ট
১৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪১
মোঃ ইউসুফ তালুকদার বলেছেন: সেই ব্যক্তি উত্তম যে নিজের সমালোচনা করে... আপনি যে আহলে হাদীসের লোক আমি বুঝতে পারছি। আপনারাতো সাহাবাদের মানেন না। দরুদ মানেন না। তারপর আপনারা নামাজ ফাকি দিতেন বলে নবীজী নামাজে জোরে আমিন বলতে বলেছিল। এখনো এই জামানায় আপনারা নামাজে জোরে আমিন বলে প্রমাণ করেন আপনারা সেই ফাকিবাজ। তারপর বড়পীর আব্দুল কাদির রাঃ কে মানেন না। আশরাফ আলী থানভী রাঃ এর মত এত বড় মাওলানাকে মানেন না। যার পশমের যোগ্য আপনাদের শায়েখ এর নাই।
১৫| ০৮ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১:৩৮
জাহিদ হাসান বলেছেন: এরিস আফ্রোদিতি বলেছেন: আবাল পুস্ট -সহমত
ভাই যেটা নিয়ে আপনার বিভ্রন্তি আছে সেটা খুজে বের করুন । তাবলীগ আর চরমোনাই এর মত জনপ্রিয় ইসলামী দলের বিভ্রান্তি খুজতে যান কেন ? আল্লাহ দেখবে তাদের মন । আপনি আপনার কাজ করুন ।
১৬| ০৮ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১:৩৯
জাহিদ হাসান বলেছেন: মোঃ ইউসুফ তালুকদার বলেছেন: সেই ব্যক্তি উত্তম যে নিজের সমালোচনা করে... আপনি যে আহলে হাদীসের লোক আমি বুঝতে পারছি। আপনারাতো সাহাবাদের মানেন না। দরুদ মানেন না। তারপর আপনারা নামাজ ফাকি দিতেন বলে নবীজী নামাজে জোরে আমিন বলতে বলেছিল। এখনো এই জামানায় আপনারা নামাজে জোরে আমিন বলে প্রমাণ করেন আপনারা সেই ফাকিবাজ। তারপর বড়পীর আব্দুল কাদির রাঃ কে মানেন না। আশরাফ আলী থানভী রাঃ এর মত এত বড় মাওলানাকে মানেন না। যার পশমের যোগ্য আপনাদের শায়েখ এর নাই।
ঠিক বলেছেন । িএরা সেই দলের লোক ছাড়া আর কে ?
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫৪
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আপনি কার মুরিদ ? দেওয়ানবাগ , রাজারবাগ , তৃণমূল চর্মোনাই নাকি জামাত ইসলামী?