নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক বছর হলো ; তবুও নিঃসঙ্গ বৃক্ষের মতো নির্জন নিস্তব্ধ মৌন পাহাড়ের মতোই একা পড়ে আছি আজও। একাই আছি এই দীর্ঘশ্বাসের মতো! তোমারও কি শুধু দীর্ঘশ্বাস,গ্রীলে বিষন্ন গোধূলী?

অবনি মণি

যদিও আমি কখনো দুঃস্বপ্নে বিভোর ছিলামনা এবং আজও না ।তবে একটা জাগ্রত স্বপ্ন দেখতাম ; একদিন ভালোবাসব ,ঐ আকাশের বিশালতার মতো নয় কেবল আমার মনের গভীরতা থেকে ।

অবনি মণি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

০২ রা মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি বরাবর ই একটা নেতিবাচক ধারনা ছিল । যে ধারণা গুলি মানুষের মুখে মুখে শুনা । অশালীন পোশাক পরা ,ছেলে মেয়েদের মধ্যে অতিমাত্রার মাখামাখি , শিক্ষক-ছাত্রদের মধ্যে যোগাযোগ বেশী ভালো থাকাতে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠা ; সব কিছুই খোলামেলা ঘটে থাকে ,তাতে তেমন কোন বাঁধা থাকেনা । ছেলেমেয়েরা সেই ধরনের পরিবার থেকেই আসে ,পরিবার তাদেরকে পুরোপুরি স্বাধীনতা দিয়েই সেখানে পাঠিয়েছে । কেউ কেউ আবার টাকা ইনকামের উৎস হিসেবে দেহ ব্যবাসাকেই বেছে নিচ্ছে । এগুলোর প্রত্যেকটা কথাই অন্য মানুষের মুখ থেকে শুনা । কখনো তো নিজে দেখিনি তাই এই বিশ্বাস নিয়েই পথ চলছি ।

পুরোপুরি একটা নেতিবাচক ধারণা নিয়ে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ঢাকার একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম । মনের মধ্যে অনেক ভয় কাজ করছিল ; কিন্তু কি আর করবো ! আমার আর অন্য পথ খোলা ছিলোনা । যাইহোক ভর্তির সাথে সাথে একটা বাসায় উঠলাম দেশের বিখ্যাত এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু মেয়েদের সাথে । তাদেরকে দেখে আমার নেতিবাচক ধারনার কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে । মনে হয়েছে মানুষের কথাগুলো সত্য হতে পারে তবে সব মানুষ যে একই রকম হয়না সেটাও বিশ্বাস করতে হবে । তবে বাসার পাশেই এক দোকানদার নতুন মুখ দেখেই জিজ্ঞেস করেছে ‘মামা কি এইবার নতুন ভর্তি হলেন’ ?বাড়ি কোথায়? কোন ভার্সিটিতে? সব কিছু জিজ্ঞেস করার পর বলল মামা, সাবধানে থাইকেন ,এসব ভার্সিটির ছেলেমেয়েরা ভালো হয়না ; নিজেও খারাপ কাজ করে সাথে অন্যকেও সেই কাজে লিপ্ত করার চেষ্টা করে । বললাম ; দোয়া করবেন মামা, যেন ভালোভাবে থাকতে পারি। দিনে দিনে আমার অনেক নেতিবাচক ধারনার অবসান হল । বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে খারাপ কিছু কখনো ধরা পড়েনি । শালীনতার দিক দিয়ে কেউ অন্তত বলতে পারবেনা যে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা একই রকম হয় । ছেলে মেয়ের এক সাথে মাখামাখিও কখনো চোখে পড়েনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে । শিক্ষকদের সাথেও যোগাযোগ অনেক ভালো থাকলেও যথেষ্ট পরিমাণ দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করেন আমাদের শিক্ষকেরাও ।যাদের মনে তখনো নেতিবাচক ধারণা কাজ করে এ নিয়ে তাদেরকেও সাবধান করে দিলাম যে সবাই একই রকম হয়না এটা বিশ্বাস করতে হবে । তবু অনেকে বলে তোমরা তো স্বাধীনচেতা মানুষ ; যা খুশি তাই করতে পার ; রাত দশটায় বাড়ি ফিরলেও তাতে কেউ কিছু বলেনা ; ক্লাস শেষে বাকি সময়টা তো ক্লাবেই কাটাও । অনেকের কথার কোন তুয়াক্কা করিনি কখনো । আমি কি সেটাই আমার কাছে প্রমান ।

তবে হ্যাঁ ! কিছুটা এরকম না হলেও কেউ এতো নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে চলতে পারতনা ; যা রটে তার কিছু তো ঘটেই থাকে । দেশের সেরা এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়েই আমার চলার পথ সেক্ষেত্রে প্রতিদিনই কিছু না কিছু তো দেখতেই হয় । যেগুলো দেখলে ওরা লজ্জা না পেলেও আমি লজ্জা পাই । সেই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার অনেক নম্র ভদ্র শালীন পোশাকের ছেলেমেয়েদের ও দেখতে পাই । তবে নোংরামিতে দ্বিতীয় সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষক ছাত্রদের মাখামাখির বিষয়েও কর্তৃপক্ষের নিয়ম নীতি আছে । আর সেটা না মানলে কঠোর শাস্তির ব্যাবস্থা রয়েছে । যার জন্যে এমন কোন ঘটনাও হয়তো ঘটেনি । ভালো লেগেছে তাদের এই নিয়ম ।

কিন্ত গত দুই বছর ধরে যে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করে চলছি সেটা ইদানিং পালটে যেতে লাগলো । তিল তিল করে যেসব মানুষ গুলোর প্রতি সম্মান আর শ্রদ্ধা বোধ তৈরী হয়েছে , যাদেরকে দেখে অনুপ্রানিত হয়েছি প্রতি মুহূর্তে , যাদের কাছ থেকে শিখেছি ইতিবাচক ধারণা পোষণ করতে তারাই কিনা সব ইতি বাচক ধারনার অবসান ঘটাল । যাদের আদর্শে মানুষ হবার সর্বোপরি চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম , যাদেরকে কখনো মানুষ ভাবিনি মহামানুষ বলে আখ্যায়িত করেছি তারাই কিনা আমার সব ধারণা পালটে দিল । হ্যাঁ আমরা ছোটরা অনেক সময় অনেক ভুল করে ফেলি বড়দের সাথে ; সেটাকে প্রশ্রয় না দিয়ে সেখান থেকে সরে আসার পথগুলোও তারাই দেখিয়েছেন ।

শুনেছি ছাত্র-শিক্ষকের অবৈধ সম্পর্কের কথা কর্তৃপক্ষ জানার পরও তাদের বিরুদ্বে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি তাহলে সেধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একটা ছাত্র কিইবা শিখে বের হতে পারে আর পরবর্তীতে সেই বা কি শিখাবে ! এটাও সত্য এমন দুই-একজন মানুষের কীর্তির জন্যে তো আমরা পুরো কমিউনিটি কে দায়ি করতে পারিনা কিন্তু এই দুই-একজন মানুষ যতদিন চোখের সামনে থাকবে ততদিন নেতিবাচক ধারনাগুলি বাড়তে থাকবে আমাদের মনে । আর মানুষের কাছ থেকে শুনা সেইসব নেতিবাচক কথা অস্বীকার করার মতো কোন রাস্তা থাকবেনা । নেতিবাচক ধারনাকারি মানুষগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার পর আর কিইবা বলার থাকতে পারে আমাদের !

বিঃদ্রঃ কাউকে ব্যাক্তিগত ভাবে আঘাত করার জন্যে নয় আমার একান্ত ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এ অভিমত ব্যক্ত করা ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

০২ রা মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৯

অবনি মণি বলেছেন: কেন ?? বুঝিনি ! আপনাকে স্বাগতম !

২| ০২ রা মে, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: এতটা কনজারভেটিভ হলে চলবেনা তো। আরো উদার হোন, দুনিয়া অনেক দুর গেছে।

০২ রা মে, ২০১৫ রাত ১০:০৭

অবনি মণি বলেছেন: হুম ! সবাইকে এতো উদারতায় মানায় না !

৩| ০৩ রা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

আধখানা চাঁদ বলেছেন: ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক তখনই 'অবৈধ' ট্যাগ পায় যখন তার মধ্যে নীতিহীন কিছু থাকে। প্রথমত একটা সুস্পষ্ট সীমারেখা থাকা উচিত ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলো এখন যেটা করে, সদ্য পাশ করাগুলোকে নিয়োগ দেয়। আর তথাকথিত খোলামেলা সংস্কৃতির নাম করে অনেক কিছু ঘটে যায়। কোনভাবেই কাম্য না।

সময়োপযোগী লেখা। প্রথম প্লাস ।

০৩ রা মে, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

অবনি মণি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ! একজন খুব নীতিবান মানুষের দ্বারা ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা অনেক কষ্ট দিয়েছে আমাদের কে । তাই এ লেখা টা !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.