নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক বছর হলো ; তবুও নিঃসঙ্গ বৃক্ষের মতো নির্জন নিস্তব্ধ মৌন পাহাড়ের মতোই একা পড়ে আছি আজও। একাই আছি এই দীর্ঘশ্বাসের মতো! তোমারও কি শুধু দীর্ঘশ্বাস,গ্রীলে বিষন্ন গোধূলী?

অবনি মণি

যদিও আমি কখনো দুঃস্বপ্নে বিভোর ছিলামনা এবং আজও না ।তবে একটা জাগ্রত স্বপ্ন দেখতাম ; একদিন ভালোবাসব ,ঐ আকাশের বিশালতার মতো নয় কেবল আমার মনের গভীরতা থেকে ।

অবনি মণি › বিস্তারিত পোস্টঃ

(প্রসঙ্গঃ নারীদের মুখমন্ডল আবৃত করা আবশ্যক কি না)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১১

(বড় ভাই ফাহিম বদরুল হাসান এর অনুমতি নিয়েই পোস্ট করলাম এই লেখাটা।তাঁর ফেসবুকের লিন্ক Click This Link


>>পর্দা না করলে আপত্তি নেই, কিন্তু পর্দাহীনতার পক্ষে দলীল দেবেন না >>>
পাপের কিছু স্তর রয়েছে। যেমন, না জেনে পাপ করা এক ধরনের পাপ, আবার জেনেশুনে পাপ করা মারাত্মক পাপ। কিন্তু এর চেয়েও খতরনাক পাপ হচ্ছে, আমি যা করছি, তাকে বৈধ বানানোর জন্য দলীল খুঁজতে উঠেপড়ে লাগা। যে কোনো কিছুর বিনিময়ে, যে কোনো ব্যাখ্যায় আমার কর্মকে জায়েয বানিয়েই ক্লান্ত হওয়া।
নারীদের মুখমন্ডল কি পর্দার অন্তর্ভূক্ত, এটা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। হাল জামানার অনেক স্কলার হাত এর সাথে নারীর মুখমন্ডলকেও হিজাবের আওতামুক্ত ঘোষণা করছেন। তাঁরা আল কোর’আনে পর্দা সংক্রান্ত একটি আয়াতে ব্যবহৃত “ﺧﻤﺎﺭ” শব্দের বিশ্লেষণ করতঃ বলছেন- আরবের লোকেরা খিমার বলতে বুঝায়, যে কাপড়ের দ্বারা মাথা এবং বুকদেশ ঢাকা হয়। সুতরাং এই আয়াতের মাধ্যমে কোনোভাবেই চেহারা আবৃত করা ফরয ঘোষণা করা যাবে না। অথচ অত্যন্ত আফসুসের বিষয়, তাঁরা যদি এই (সুরা নুরের) আয়াতেরই প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোকপাত করতেন, তাহলে বিষয়টা পানির মতো স্বচ্ছ হয়ে যেতো।
■আসুন দেখি “খিমার” সংক্রান্ত আয়াত এবং হাদীসের আলোকে তদানীন্তন পরিস্থিতি।
মহান আল্লাহ বলেনঃ
ﻭﻟﻴﻀﺮﺑﻦ ﺑﺨﻤﺮﻫﻦ ﻋﻠﻰ ﺟﻴﻮﺑﻬﻦ
তরজমা : তারা যেন গ্রীবা ও বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে। ... (সূরা নূর : ৩১ ‏)
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন,
ﻳﺮﺣﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﺴﺎﺀ ﺍﻟﻤﻬﺎﺟﺮﺍﺕ ﺍﻷﻭﻝ، ﻟﻤﺎ ﺃﻧﺰﻝ ﺍﻟﻠﻪ : ﻭﻟﻴﻀﺮﺑﻦ ﺑﺨﻤﺮﻫﻦ ﻋﻠﻰ ﺟﻴﻮﺑﻬﻦ ﺷﻘﻘﻦ ﻣﻮﺭﻃﻬﻦ ﻓﺎﺧﺘﻤﺮﻥ ﺑﻬﺎ .
অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা প্রথম শ্রেণীর মুহাজির নারীদের প্রতি দয়া করুন। আল্লাহ তাআলা যখন
ﻭﻟﻴﻀﺮﺑﻦ ﺑﺨﻤﺮﻫﻦ ﻋﻠﻰ ﺟﻴﻮﺑﻬﻦ
আয়াত নাযিল করলেন তখন তারা নিজেদের চাদর ছিঁড়ে তা দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত করেছিলেন।-সহীহ বুখারী ২/৭০০
●উপরোক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. বলেন-‘ফাখতামারনা’ অর্থ তারা মুখমন্ডল আবৃত করেছেন।-ফাতহুল বারী ৮/৩৪৭
আল্লামা আইনী রাহ. বলেন-‘ফাখতামারনা বিহা’ অর্থাৎ যে চাদর তারা ছিঁড়ে ফেলেছিলেন তা দিয়ে নিজেদের মুখমন্ডল আবৃত করলেন। (উমদাতুল কারী ১৯/৯২)
●আল্লামা শানকীতী রাহ. বলেন, এই হাদীস থেকে বোঝা যায়, উপরোক্ত মহিলা সাহাবীগণ বুঝতে পেরেছিলেন যে, এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে মুখমন্ডল আবৃত করারও আদেশ করেছেন। তাই তারা আল্লাহ তাআলার আদেশ পালনার্থে নিজেদের চাদর ছিঁড়ে তা দিয়ে মুখমন্ডল আবৃত করেছেন।
এছাড়াও আল কোর’আনের সুরা আহযাবের 33, 53, 59 নম্বর আয়াতের তাফসীরে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) ব্যাখ্যা দেখতে পারেন।(ফাতহুল বারী 8/54, 76, 114)
সুরা নূরের 31 নম্বর আয়াতের তাফসীরে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) এর ব্যাখ্যা দেখতে পারেন। (তাফসীরে তাবারী 18/118)
আল্লামা ইবনে সীরিন সহ মুজাহিদগণের ব্যাখ্যা দেখতে পারেন।
●●●মুখমন্ডল আবৃত করার স্বপক্ষে হাদিসঃ●●●
(1)
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
ইহরাম গ্রহণকারী নারী যেন নেকাব ও হাতমোজা পরিধান না করে। (সহীহ বুখারী 4/63, হাদীস : 1838)
কাযী আবু বকর ইবনে আরাবী বলেন, নারীর জন্য বোরকা দ্বারা মুখমন্ডল আবৃত রাখা ফরয। তবে হজ্বের সময়টুকু এর ব্যতিক্রম। কেননা, এই সময় তারা ওড়নাটা চেহারার উপর ঝুলিয়ে দিবে, চেহারার সাথে মিলিয়ে রাখবে না। পরপুরুষ থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখবে এবং পুরুষরাও তাদের থেকে দূরে থাকবে। (তাযকিরাতুল আহওয়াযী 4/56)
(2)
. হযরত আয়েশা রা. ইফ্কের দীর্ঘ হাদীসে বলেছেন-আমি আমার স্থানে বসে ছিলাম একসময় আমার চোখ দুটি নিদ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ল এবং আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। সফওয়ান ইবনে মুয়াত্তাল আসসুলামী ছিল বাহিনীর পিছনে আগমনকারী। সে যখন আমার অবস্থানস্থলের নিকট পৌছল তখন একজন ঘুমন্ত মানুষের আকৃতি দেখতে পেল। এরপর সে আমার নিকট এলে আমাকে চিনে ফেলল। কারণ পর্দা বিধান অবতীর্ণ হওয়ার আগে সে আমাকে দেখেছিল। সে তখন ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন বলে ওঠে, যার দরুণ আমি ঘুম থেকে জেগে উঠি এবং ওড়না দিয়ে নিজেকে আবৃত করে ফেলি।
অন্য রেওয়ায়েতে আছে, আমি ওড়না দিয়ে আমার চেহারা ঢেকে ফেলি।-সহীহ বুখারী 5/320; সহীহ মুসলিম, হাদীস : 2770; জামে তিরমিযী, হাদীস : 3179।
(3)
উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা রা. বলেন, আমি একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম। উম্মুল মুমিনীন মায়মুনা রা.ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এমন সময় আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম উপস্থিত হলেন। এটি ছিল পর্দা বিধানের পরের ঘটনা। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা তার সামনে থেকে সরে যাও। আমরা বললাম, তিনি তো অন্ধ, আমাদেরকে দেখছেন না?! তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরাও কি অন্ধ? তোমরা কি তাকে দেখছ না?-সুনানে আবু দাউদ 4/361, হাদীস : 4112; জামে তিরমিযী 5/102, হাদীস : 2779; মুসনাদে আহমাদ 6/296; শরহুল মুসলিম, নববী 10/97; ফাতহুল বারী 9/248।
(4)
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ইহরাম অবস্থায় ছিলাম তখন আমাদের পাশ দিয়ে অনেক কাফেলা অতিক্রম করত। তারা যখন আমাদের সামনাসামনি চলে আসত তখন আমাদের সকলেই চেহারার ওপর ওড়না টেনে দিতাম। তারা চলে গেলে আবার তা সরিয়ে নিতাম।-মুসনাদে আহমাদ 6/30; ইবনে মাজাহ, হাদীস: 2935
▪এই হাদীস থেকে বোঝা যায়, পরপুরুষের সামনে চেহারা ঢেকে রাখা আবশ্যক।
(5)
আসমা বিনতে আবু বকর রা. বলেন, আমরা পুরুষদের সামনে মুখমন্ডল আবৃত করে রাখতাম। ...-মুসতাদরাকে হাকেম 1/454
▪এই হাদীস থেকে বোঝা যায়, সাহাবা-যুগের সাধারণ মহিলারাও গায়র মাহরাম পুরুষ থেকে নিজেদের চেহারা আবৃত করতেন। কারণ আসমা বিনতে আবি বকর রা. এখানে বহুবচন ব্যবহার করেছেন। যা প্রমাণ করে উম্মুল মুমিনগণ ছাড়া অন্য নারীরাও তাদের মুখমন্ডল আবৃত রাখতেন।
(6)
ফাতিমা বিনতে মুনযির রাহ. বলেন, আমরা আসমা বিনতে আবু বকর রা.-এর সাথে ইহরাম অবস্থায় থাকাকালে আমাদের মুখমন্ডল ঢেকে রাখতাম।-মুয়াত্তা, ইমাম মালেক 1/328; মুসতাদরাকে হাকেম 1/454।
■এছাড়াও আরো অনেক সরাসরি কিংবা ইঙ্গিতপূর্ণ হাদিস রয়েছে, যার মাধ্যমে পরিষ্কার বুঝা যায়, নারীর চেহারা অবশ্যই পর্দার আওতাধীন এবং ফরয।
☆অতএব, আপনি পর্দা করতে/করাতে না চাইলে আপত্তি নেই; স্বাধীনতা উপভোগ করুন। কিন্তু পর্দাহীনতার পক্ষে দলীল বানাবেন না।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২০

হানিফঢাকা বলেছেন: কোরান বুজতে হাদিস লাগবে কেন?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৫

অবনি মণি বলেছেন: হাদীস হচ্ছে কোরআনের তাফসীর। যেমন নামাজ যে পা্ঁচ ওয়াক্তই পড়তে হবে তা কোরআনে নেই।

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩০

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: কোরান বুজতে হাদিস লাগবে কেন? এইডা হইল অতি উচ্চ মাত্রার ভণ্ডামী। প্রথমে তারা বলবে হাদীস এর কি দরকার? এরপর যখন হাদীস এর দরকার নাই এইটা এসটাবলিশড হয়ে যাবে, তখন বলবে কোরআন এর কী দরকার। এইভাবে যুগে যুগে ভন্ডামী চলে আসতেছে।

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫১

গ্রিন জোন বলেছেন: হানিফঢাকা উচ্চমাত্রার ভণ্ডামিতে লিপ্ত আমি মনে করি

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৫

খালিদ১৪ বলেছেন: মুখমন্ডল আবৃত করা এটা অতিরিক্ত সাবধানতা। তাফসিরে তবে দুরকমের আলেম আছে। যারা পক্ষে ও বিপক্ষে। ফেকা শাস্ত্র এক ব্যপক তর্ক বিতর্কের জায়গা। যারা যা বোঝে যেভাবেই হোক প্রমাণ বের করেই শুনবে।

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

নামহীন বিপ্লবী বলেছেন: তাফসীরকারগণের মধ্যে এই আয়াতের মর্ম লইয়া যত প্রকার মতভেদ আছে, তাহা লইয়া চিন্তাগবেষণা করিলে জানিতে পারা যাইবে যে, যাবতীয় মতান্তর সত্ত্বেও তাঁহাদের উক্তির মর্ম উহাই দাঁড়াইবে, যাহা উপরে বর্ণিত হইল।

ইবনে মসউদ, ইব্রাহীম নখয়ী ও হাসান বসরীর মতে প্রকাশ্য সৌন্দর্যের অর্থ ঐ সকল বস্ত্র, যেইগুলির মধ্যে অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য ঢাকিয়া রাখা যায়, যথাঃ বোরকা, চাদর ইত্যাদি।

ইবনে আব্বাস, মুজাহিদ, আতা, ইবনে ওমর, আনাস, জাহহাক, সাঈদ বিন জুবাইর, আওযায়ী ও হানাফী মতাবলম্বী ইমামগণের মতে ইহার অর্থ মুখমণ্ডল ও হস্তদ্বয় এবং ইহাতে ব্যবহৃত সৌন্দর্য-উপাদানসমূহ –যথাঃ হাতের মেহেদী, আংটি, চোখের সুরমা প্রভৃতি।

সাঈদ বিন আল-মুসায়্যেরের মতে ব্যতিক্রম শুধু মুখমণ্ডল এবং অন্য এক বর্ণনামতে হাসান বসরীও এই মত সমর্থন করিয়াছেন।

হযরত আয়েশা (রা) মুখমণ্ডল ঢাকিয়া রাখার পক্ষপাতী। তাঁহার মতে প্রকাশ্য সৌন্দর্যের অর্থ হস্তদ্বয়, হাতের চুড়ি, আংটি, কংকন ইত্যাদি।

মিসওয়ার বিন মাখরামা ও কাতাদাহ অলংকারাদিসহ হাত খুলিবার অনুমতি দেন এবং তাঁহার উক্তিতে মনে হয় যে, তিনি সমগ্র মুখমণ্ডলের পরিবর্তে শুধু চক্ষুদ্বয় খুলিয়া রাখা জায়েয রাখেন।–[ইবনে জারীর ও আহকামুল কুরআন।]

এই সকল মতভেদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে চিন্তা করিয়া দেখুন। এই সকল তফসীরকার (আরবী***********) হইতে ইহাই বুঝিয়ানে যে, আল্লাহ তাআলা এমন সৌন্দর্য প্রকাশের অনুমতি দেন, যাহা বাধ্যতামূলকভাবে প্রকাশ হইয়া পড়ে অথবা যাহা প্রকাশ করা আবশ্যক হইয়া পড়ে। হস্তের প্রদর্শনী করা অথবা কাহারও দৃষ্টির বিষয়বস্তু করা ইহাদের কাহারও উদ্দেশ্য নহে।

প্রত্যেকে আপন আপন বোধশক্তি অনুযায়ী নারীদের প্রয়োজনকে সম্মুখে রাখিয়া ইহা বুঝিবার চেষ্টা করিয়াছেন যে, প্রয়োজন হইলে কোন অংগ বাধ্যতামূলকভাবে উন্মুক্ত করা যায় কিংবা স্বভাবতই উন্মুক্ত হয়। আমরা বলি যে, (আরবী**********) –কে উহার কোন একটিতেও সীমাবদ্ধ রাখিবেন না। যে মু’মিন নারী আল্লাহ ও রসূলের নির্দেশাবলীর অনুগত থাকিতে চায় এবং অনাচার-অমংগলে লিপ্ত হওয়া যাহার ইচ্ছা নহে, সে স্বয়ং নিজের অবস্থা ও প্রয়োজন অনুারে সিদ্ধান্ত, করিতে পারে যে, মুখমণ্ডল ও হস্তদ্বয় উন্মুক্ত করিবে,কি করিবে না। করিতে চাহিলে কোন সময়ে করিবে, কি পরিমাণে উন্মুক্ত করিবে এবং কি পরিমাণে আবৃত রাখিবে। এই ব্যাপারে শরীআত প্রণেতা কোন সুস্পষ্ট নির্দেশ দেন নাই। অবস্থার বিভিন্নতা এবং প্রয়োজন দেখিয়ে কোন সুস্পষ্ট নির্দেশ নির্ধারণ করিতে হইবে, ইহাও বাস্তব বিচার-বুদ্ধির চাহিদা নহে। যে নারী আপন প্রয়োজনে বাহিরে যাইতে এবং কাজকর্ম করিতে বাধ্য,তাহাকে কখনও হাত এবং কখনও মুখমণ্ডল খোলার প্রয়োজন হইবে। এইরূপ নারীর জন্য প্রয়োজন অনুসারে অনুমতি আছে। কিন্তু যে নারীর অবস্থা এইরূপ নহে, তাহার বিনা কারণে স্বেচ্ছায় হাত-মুখ অনাবৃত করা দুরস্ত নহে।

অতএব শরীআত প্রণেতার উদ্দেশ্য এই যে, যদি নিজের সৌন্দর্য প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে কোন অংগ-অংশ অনাবৃত করা হয়, তাহা হইলে তাহাতে পাপ হইবে। অনিচ্চায় স্বতই কিছু প্রকাশিত হইয়া পড়িলে তাহাতে কোন পাপ হইবে না। প্রকৃত প্রয়োজন যদি অনাবৃত করিতে বাধ্য করে, তাহা হইলে তাহা জায়েয হইবে। এখন প্রশ্ন এই যে, অবস্থার বিভিন্নতা হইতে দৃষ্টি ফিরাইয়া শুধু মুখমণ্ডল সম্পর্কে কি নির্দেশ রহিয়াছে? শরীআত প্রণেতা উহাকে অনাবৃত রাখা পসন্দ করেন, না অপসন্দ করেন? শুধু প্রয়োজনের সময় উহাকে অনাবৃত করা যায় না, উহা অপরের দৃষ্টি হইতে লুকাইয়া রাখিবার বস্তুই নহে?

সুরায়ে আহযাবের আয়াতসমূহে এই প্রশ্নগুলির উপর আলোকপাত করা হইয়াছে।

মুখমণ্ডল সম্পর্কে নির্দেশ

উপরে সূরায়ে আহযাবের যে আয়াতসমূহের উল্লেখ করা হইল তাহা এইঃ
হে নবী! আপন বিবিগণ, কন্যাগণ ও মুসলমান নারীগণকে বলিয়া দিন, তাহারা যেন আপন চাদর দ্বারা নিজের ঘোমটা টানিয়া দেয়। এই ব্যবস্থার দ্বারা আশা করা যায় যে, তাহাদিগকে চিনিতে পারা যাইবে এবং অতপর তাহাদিগকে ত্যক্তবিরক্ত করা যাইবে না। -সূরা আহযাবঃ ৫৯

বিশেষ করিয়া মুখমণ্ডল আবৃত করিবার জন্য আয়াত নাযিল হইয়াছে (আরবী*********) শব্দের বহুবচন (আরবী*********) ইহার অর্থ চাদর। (আরবী*********) শব্দের অর্থ লটকান। (আরবী*****************) এর শাব্দিক অর্থ নিজের উপরে চাদরে খানিক অংশ যেন লটকাইয়া দেয়। ঘোমটা দেওয়ার অর্থও ইহাই। কিন্তু এই আয়াতের প্রকৃত উদ্দেশ্য সাধারণভাবে পরিচিত ‘ঘোমটা’ নহে, বরং ইহার উদ্দেশ্য মুখমণ্ডলকে আবৃকরণ। তাহা ঘোমটার দ্বারা হউক, পর্দা অথবা অন্য যে কোন উপায়ে হউক। ইহার উপকারিতা এই বর্ণনা করা হইয়াছে যে, যখন মুসলমান নারী এইভাবে আবৃত অবস্থায় গৃহের বাহির হইবে, তখন লোকে বুঝিতে পারবে যে, তাহারা সম্ভ্রান্ত মহিলা-নির্লজ্জ ও শ্লীলতাবর্জিত নহে। এই কারণে কেহ তাহার শ্লীলতার প্রতিবন্ধক হইবে না।

পবিত্র কুরআনের সকল তাফসীরকার এই আয়াতের এই মর্মই ব্যক্ত করিয়াছেন। হযরত ইবনে আব্বাস (রা) ইহার তফসীরে বলেনঃ

আল্লাহ তাআলা মুসলমান নারীদিগকে আদেশ করিয়াছেন যে, তাহারা যখন কোন প্রয়োজনে গৃহের বাহিরে যাইবে, তখন যেন তাহারা মাথার উপর হইতে চাদরের অঞ্চল ঝুলাইয়া মুখমণ্ডল ঢাকিয়া দেয় –তাফসীরে ইবনে জারীর

ইমাম মুহাম্মদ বিন সিরীন হযরত ওবায়দা বিন-সুফিয়ান বিন আল হারিস আল-হাজরামীর নিকট জানিতে চাহিলেন, এই আদেশের কি প্রকারে আমল করা যায়। ইহার উত্তরে তিনি স্বয়ং উড়াইয়া দেখাইয়া দিলেন। কপাল, নাক ও একটি চক্ষু ঢাকিয়া ফেলিলেন এবং শুধু একটি চক্ষু খুলিয়া রাখিলেন। -তাফসীরে ইবনে জারীর

আল্লামা ইবনে জারীর তাবারী এই আয়াতের তাফসীরে বলেনঃ

হে নবী! আপনার বিবিগণ, কন্যাগণ ও মুসলমান নারিগণকে বলিয়া দিন যে, যখন তাহারা কোন প্রয়োজনে আপন গৃহ হইতে বাহিরে গমন করে, তখন যেন তাহারা ক্রীতদাসীদের পোষাক পরিধান না করে, যাহাতে মাথা ও মুখমণ্ডল অনাবৃত থাকে, বরং তাহারা যেন নিজের উপরে চাদরের ঘোমটা টানিয়া দেয় যাহাতে ফাসিক লোকেরা তাহাদের শ্লীলতার অন্তরায় না হয় এবং জানিতে পারে ইহারা সম্ভ্রান্ত মহিলা। -তাফসীরে ইবনে জারীর

আল্লামা আবুবকর জাসসাস বলেনঃ

এই আয়াতের দ্বারা এই কথা প্রমাণিত হয় যে, যুবতী নারীকে পর-পুরুষ হইতে তাহার মুখমণ্ডল আবৃত রাখার আদেশ করা হইয়াছে এবং গৃহ হইতে বাহিরে যাইবার সময় পর্দা ও সম্ভ্রমশীলতা প্রদর্শন করা উচিত, যাহাতে অসৎ অভিপ্রায় পোষণকারী তাহার প্রতি প্রলুব্ধ হইতে না পারে। -আহকামুল কুরআন, তৃতীয় খণ্ড

আল্লামা নায়শাপুরী তাঁহার তাফসীর ‘গারায়েবুল কুরআন’-এ বলেনঃ

ইসলামের প্রাথমিক যুগে মেয়েরা জাহিলিয়াতের যুগের ন্যায় কামিজ ও দোপাট্টা পরিধান করিয়া বাহিরে যাইত। সম্ভ্রান্ত মহিলাদের পোশাকও নিম্নশ্রেণীর মেয়েদের হইতে পৃথক ছিল না। অতপর আদেশ হইল যে, তাহারা যেন চাদর উড়াইয়া তদ্বারা মুখমণ্ডল ঢাকিয়া ফেলে যাহাতে লোকে মনে করিতে পারে যে, তাহারা সম্ভ্রান্ত মহিলা, শ্লীলতাবাজিতা নহে।

ইমাম রাজী বলেনঃ
জাহিলিয়াতের যুগে সম্ভ্রান্ত মহিলাগণ ও ক্রীতদাসী, সকলেই বেপর্দা ঘুরিয়া বেড়াইত এবং অসৎ লোক তাহাদের পশ্চাদ্ধাবন করিত। আল্লাহ তাআলা সম্ভ্রান্ত নারীদের প্রতি আদেশ করিলেন যেন তাহারা চাদর দ্বারা নিজদিগকে আবৃত করে। (আরবী********************) ইহার দুই প্রকার মর্ম হইতে পারে। প্রথমত, এই পোশাক হইতে চিনিতে পারা যাইবে যে, ইহার সম্ভ্রান্ত মহিলা এবং তাহাদিগকে অনুসরণ করা হইবে না। দ্বিতীয়ত, ইহার দ্বারা বুঝিতে পারা যাইবে যে, ইহারা চরিত্রহীনা নহে। কারণ যে নারী তাহার মুখমণ্ডল আবৃত করিয়া রাখে [অথব মুখমণ্ডল ‘আওরাতের’-(শরীরের যে অংশ স্বামী-স্ত্রী ব্যতীত অন্য সকলের নিকটে আবৃত রাখার নির্দেশ আছে তাহাকে কুরআনের পরিভাষায় ‘আওরাত’ বলে। পুরুষের নাভী হইতে হাঁটুর মধ্যবর্তী অংশকেও এই অর্থে আওরাত বলা হয়।) মধ্যে গণ্য নহে যে তাহা আবৃত রাখা ফরয হইবে], তাহার নিকট কেহ এ আশা পোষণ করিতে পারে না যে, সে ‘আওরাত’ অনাবৃত করিতে রাজী হইবে। অতএব এই পোশাক ইহাই প্রমাণ করিবে যে, সে একজন পর্দানশীন নারী এবং তাহার দ্বারা কোন অসৎ কাজের আশা করা বৃথা হইবে। -তাফসীরে কবীর

কাযী বায়যাবী বলেনঃ
ইহার অর্থ এই যে, যখন তারা আপন প্রয়োজনে বাহিরে যাইবে তখন চাদর দ্বারা শরীর ও মুখমণ্ডল ঢাকিয়া লইবে। এখানে (আরবী********) শব্দটি (আরবী*******) –এর জন্য ব্যবহৃত হইয়াছে অর্থাৎ চাদরের উপর জড়াইতে হইবে। (আরবী*********************) ইহা দ্বারা সম্ভ্রান্ত নারী, ক্রীতদাসী এবং গায়িকাদের মধ্যে পার্থক্য করা হইয়াছে। (আরবী**********) অর্থাৎ সন্দেহভাজন লোক তাহাদের শ্লীলতাহানীর দুঃসাহস করিবে না। -তাফসীরে বায়যাবী

এই সকল উক্তি হইতে এই কথা প্রমাণিত হয় যে, সাহাবায়ে কিরাম (রা) –এর পবিত্র যুগ হইতে আরম্ভ করিয়া অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত প্রতি যুগে উক্ত আয়াতের একই মর্ম করা হইয়াছে এবং সে মর্ম উহাই, যাহা আমরা উহার শব্দগুলি হইতে বুঝিতে পারিয়াছি। ইহার পর হাদীসগুলির প্রতি লক্ষ্য করিলে তাহা হইতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর হইতে নবী করীম (স)-এর যুগে সাধারণভাবে মুসলমান নারিগণ মুখমণ্ডলের উপর আবরণ দেওয়া আরম্ভ করিয়াছিলেন এবং উন্মুক্ত মুখমণ্ডল সহকারে চলাফেরার প্রচলন বন্ধ হইয়া গিয়াছিল। আবু দাউদ, তিরমিযী, মুয়াত্তা ও অন্যান্য হাদীস গ্রন্থগুলিতে আছে যে, নবী (স) ইহরাম অবস্থায় মহিলাদের মুখে আবরণ ও হাতে দস্তানা পরিধান করা নিষেধ করিয়া দিয়াছিলেন। ইহাতে প্রমাণিত হয় যে, সেই পবিত্র যুগেই মুখমণ্ডল আবৃত করিবার জন্য আবরণ ও হস্তদ্বয় ঢাকিবার জন্য দস্তানা ব্যবহারের প্রচলন হইয়াছিল। শুধু ইহরামের অবস্থায় উহা ব্যবহার করিতে নিষেধ করা হইয়াছিল। কিন্তু হজ্জের সময় নারীর মুখমণ্ডল জনসাধারণের দৃষ্টিগোচর করা ইহার উদ্দেশ্য ছিল না, বরং ইহার উদ্দেশ্য এই ছিল যে, ইহরামের দীনবেশে মুখের আবরণ যেন নারীদের পোশাকের কোন অংশবিশেষ না হইতে পারে, যাহা অন্য সময়ে সাধারণভাবে হইয়া থাকে। অন্যান্য হাদীসে বলা হইয়াছে যে, ইহাম অবস্থায়ও নবী-পত্মীগণ ও অন্যান্য সাধারণ মুসলমান মহিলা আবরণহীন মুখমণ্ডল অপরিচিত লোকের দৃষ্টিপথ হইতে লুকাইয়া রাখিতেন।

হযরত আয়েমা (রা) বলেন, ‘যানবাহন আমাদের নিকট দিয়া যাইতেছিলেন এবং আমরা নবী (স) –এর সংগে ইহরাম অবস্থায় থাকিতাম। যখন লোক আমাদের সম্মুখে আসিত, তখন আমাদের চাদর মাথার উপর হইতে মুখের উপর টানিয়া দিতাম। তাহারা চলিয়া গেলে আবার মুখ খুলিয়া দিতাম’। -আবু দাউদ
ফাতিমা বিনতে মানযার বলেন, ‘আমরা ইহরাম অবস্থায় কাপড় দিয়া মুখ ঢাকিয়া রাখিতাম। আমাদের সংগে হযরত আবু বকরের কন্যা হযরত আসমা (রা) ছিলেন। তিনি আমাদিগকে নিষেধ করেন নাই’। ইমাম মালিকঃ মুয়াত্তা

ফতহুল বারী,কিতাবুল হজ্জে হযরত আয়েশা (রাঃ –এর একটা বর্ণণা আছেঃ
নারিগণ ইহরাম অবস্থায় নিজেদের চাদর যেন মস্তক হইতে মুখের উপর ঝুলাইয়া দেয়।

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

চলেপথিক বলেছেন: আসলে আরব এমন একটি দেশ সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ আর বেদুইনদের জীবনযাপনের যে পদ্দতি তাতে তাদের নারীদের পর্দা করার কোন দরকার হয়না । এই ব্যবস্থাটা শুধু মাত্র নবীর স্ত্রীদের জন্য প্রযজ্য ছিল আর এটি করা হয়ে ছিল নবীর প্রতি শ্রধ্যা থেকে ।
পরবর্তীতে ইসলামের আলেম সমাজ এটিকে সার্বজনীন নিয়মে পরিণত করেছেন এরকম আদেশ আল্লাহ কখনও দেন নাই ।
এটি নারী নির্যাতনে অনেক সুবিধা এনে দেয় নারী জাতির অপরাধ মহান আল্লাহ তাদের এমন কমনীয়তা দিয়েছেন যে পুরুষরা তাদের দেখে হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়ে । তাই শক্তিমান পুরুষ তাদের ঢেকে রাখতে চায় অথচ ইসলামের আধ্যাত্যিক আলোয় আলোকিত হয়ে নিজের বিবেগকে নয় । কারণ নিজ বিবেগ জাগ্রত করা সত্যিকার অর্থে কষ্টকর একটি কাজ ।

৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪

এ আর ১৫ বলেছেন: খিমারের প্রকৃত অর্থ কি নিচে দেওয়া হোল -- আপনি এই লেখাতে খিমারের যে অর্থ করেছেন তা সম্পুর্ন সঠিক নহে -- আরবের লোকেরা খিমার বলতে বুঝায়, যে কাপড়ের দ্বারা মাথা এবং বুকদেশ ঢাকা হয়।--- যাহা ঢেকে রাখতে পারে তাহাই খিমার, টেবিল ক্লথ বা পর্দা যা আচ্ছাদন করে তাহাই খিমার। শাড়ীর আচল বা ওরনা সব কিছুই খিমারের আওতায় পরে - বিস্তারিত নিচে দেখুন ।
Khimar" is an Arabic word that means, cover, any cover, a curtain is a Khimar, a dress is a Khimar, a table cloth that covers the top of a table is a Khimar, a blanket can be used as a Khimar..etc. The word KHAMRA used for intoxicant in Arabic has the same root with Khimar, because both covers, the Khimar covers (a window, a body, a table . . . etc.) while KHAMRA covers the state of mind. Most of ...the translators, obviously influenced by Hadith (fabrications) translate the word as VEIL and thus mislead most people to believe that this verse is advocating the covering of the head.
In 24:31 God is asking the women to use their cover (khimar)( being a dress, a coat, a shawl, a shirt, a blouse, a tie, a scarf . . . etc.) to cover their bosoms, not their heads or their hairs. If God so willed to order the women to cover their heads or their hair, nothing would have prevented Him from doing so. God does not run out of words. God does not forget. God did not order the women to cover their heads or their hair.
God does not wait for a Scholar to put the correct words for Him!
The Arabic word for CHEST, GAYB is in the verse (24:31), but the Arabic words for HEAD, (RAAS) or HAIR, (SHAAR) are NOT in the verse. The commandment in the verse is clear - COVER YOUR CHEST OR BOSOMS, but also the fabrication of the scholars and most of the translators is clear by claiming- cover your head or hair.
The last part of the verse (24:31) translates as, "They shall not strike their feet when they walk in order to shake and reveal certain details of their bodies." The details of the body can be revealed or not revealed by the dress you wear, not by your head cover.
Notice also the expression in 24:31,
[Quran 24:31] They shall not reveal any parts of their bodies, except that which is necessary.
This expression may sound vague to many because they have not understood the mercy of God. Again God here used this very general term to give us the freedom to decide according to our own circumstances the definition of "What is necessary".
It is not up to a scholar or to any particular person to define this term. God wants to leave it personal for every woman and no one can take it away from her. Women who follow the basic rule number one i.e. righteousness, will have no problem making the right decision to reveal only which is necessary.

৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

এ আর ১৫ বলেছেন: জনাব -- নামহীন বিপ্লবী -- আপনি সুরা আযাবের ৫৯ তম আয়াতের এই বাংলা অনুবাদ কোথায় পেয়েছেন । এখানে ঘোমটা শব্দটা ব্যবহার করা কি ঠিক হোল - সঠিক অনুবাদটা দেখুন -- হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। --- এই আয়াতে স্পষ্ঠ ভাবে বলা হয়েছে -- এতে তাদের চেনা সহজ হবে । যদি কে্য মুখ ঢেকে রাখে তাহোলে কি তাকে সহজে চেনা যায় ?? এই আয়াত তো নিজের আইডেনটিটি প্রকাশ করার কথা বোলছে মোটেও মুখ ডাকার কথা বলেনি ।

৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

রাজীব বলেছেন: উপরে সূরায়ে আহযাবের যে আয়াতসমূহের উল্লেখ করা হইল তাহা এইঃ
হে নবী! আপন বিবিগণ, কন্যাগণ ও মুসলমান নারীগণকে বলিয়া দিন, তাহারা যেন আপন চাদর দ্বারা নিজের ঘোমটা টানিয়া দেয়। এই ব্যবস্থার দ্বারা আশা করা যায় যে, তাহাদিগকে চিনিতে পারা যাইবে এবং অতপর তাহাদিগকে ত্যক্তবিরক্ত করা যাইবে না। -সূরা আহযাবঃ ৫৯
লক্ষ্য করুন "তাহাদিগকে চিনিতে পারা যাইবে"

বেশী দুরে যাইব না। ধরুন আপনি আপনার স্ত্রীকে নিয়ে হজ্জ করতে গিয়েছেন। আপনার সাথে আরো ১০ জন তাহাদের স্ত্রীদের নিয়ে হজ্জ করতে গিয়াছেন। এখন যদি কারো মুখ না দেখেন তাহলে চিনবেন কি করে? এখন যদি আপনার স্ত্রী মনে করে অন্যের স্ত্রীর হাত ধরে হাটা শুরু করেন তাহলে কি হবে? কার পাপ হবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.