নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক বছর হলো ; তবুও নিঃসঙ্গ বৃক্ষের মতো নির্জন নিস্তব্ধ মৌন পাহাড়ের মতোই একা পড়ে আছি আজও। একাই আছি এই দীর্ঘশ্বাসের মতো! তোমারও কি শুধু দীর্ঘশ্বাস,গ্রীলে বিষন্ন গোধূলী?

অবনি মণি

যদিও আমি কখনো দুঃস্বপ্নে বিভোর ছিলামনা এবং আজও না ।তবে একটা জাগ্রত স্বপ্ন দেখতাম ; একদিন ভালোবাসব ,ঐ আকাশের বিশালতার মতো নয় কেবল আমার মনের গভীরতা থেকে ।

অবনি মণি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ: ফেসবুক এবং তথাকথিত ইসলামিস্ট

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

ফেসবুক ব্যবহার করি বিনোদনের জন্যে। অলস সময়গুলোই সেখানে পার করি আবার কখনো মন খারাপ থাকলেও ফেসবুকে ঢুঁ মেরে মন ভালো করার চেষ্টা করি । হয়তো অনেকেই আছেন অনেক ভালো কিছু শিখে থাকেন,জেনে থাকেন এই মাধ্যম থেকেই কিন্তু আমার ক্ষেত্রে হয়ে উঠেনা অথবা আমি শেখার বা জানার হয়তো চেষ্টা করিনা কখনো । এটাও হতে পারে যে যেটাকে যে যেভাবে নেয় ! যাই হোক আসল বিষয়ে আসি ; ফেসবুকের কার্যকলাপ নিয়ে মাথা ঘামানোর মতো কুরুচিপূর্ণ মানুষ আমার তালিকায় প্রায় ৯০% । এদের বেশীর ভাগই ফেসবুকের বাহিরে যারা পরিচিতজন তারাই, আবার অনেকেই আছেন আত্মীয়স্বজন।

একমাত্র আল্লাহ এর ভয়ে আমি হিজাব পরছি প্রায় তিন বছর থেকে। কিন্তু আমি এখনো সেইরকম ধার্মিক হয়ে উঠিনি,আবার অতোটা রক্ষণশীলও না। তবে হ্যাঁ,চেষ্টা করছি। কিন্তু ফেসবুকের বন্ধু তালিকার অনেকেই ভেবে থাকেন যে মেয়েটা দেখি/শুনলাম হিজাব পরে আর মাঝে মাঝেই কীনা পুরোনো হিজাবহীন পিকচার পোস্ট করে ! অনেকেই মেসেজ দেয় আপনি কিংবা তুমি কি আল্লাহর ভয়ে হিজাব পরো ?? উত্তরে সবসময়ই বলি এবং বলবো "অবশ্যই"! কারণ, যদি মানুষের ভয়ে পরতাম তবে তো ছোট বেলা থেকেই পরতাম কারণ আমার পরিবারটি অত্যন্ত ধর্মপরায়ন এবং রক্ষণশীল। আর আম্মুকে সেই পরিমাণ ভয় পেতাম তখন ! তারপরও যখন কোনো আত্মীয় স্বজনের বাড়ি যাবার জন্যে বের হতাম তখন আম্মু হিজাবের কথা বললেই একটাই উত্তর থাকতো আমার যে “আমি যাবোনা তোমাদের সাথে,তোমরা যাও” তবু আমি হিজাব পরবোনা । যাইহোক অবশেষে নিজে যেদিন মনে করলাম আমাকে মরতে হবেই, এবং আখিরাতের জন্য কিছু স্টোরেজও দরকার আছে সেদিন থেকেই শুরু করলাম নিজ উদ্যোগে হিজাব পরা ; কারো চাপে নয়। আর অবশ্যই ফ্যাশন হিসেবেও নয় আবার ধূলা ময়লা থেকে বাঁচার জন্যেও নয়।

যাইহোক সেই তথাকথিত মুসলমানরা আমার হিজাবহীন পুরোনো পিকচার গুলো পোস্ট দেখে উপদেশ দিতে আসেন যে আপনি যদি আল্লাহর ভয়েই হিজাব পরেন তবে এ কাজ গুলো করবেননা। কারণ এতেও তো আপনার গুনাহ হচ্ছে । সেই বকলম, তথাকথিত ধার্মিক,তথাকথিত ইসলামিক সাংগঠনিকরা এটা ভূলে যায় হয়তো ; সে যে আমাকে ম্যাসেজ করলো এটা কতবড় সওয়াবের কাজ !! আমার সাথে কথা বলা সে কিভাবে জায়েজ করলো তাও জানিনা ! আর সে নিজে সারাদিন ফটো কেচায় আর আপলোডায় এইটা কিভাবে জায়েজ করে নেয় ?? সে এটা বুঝে যে একটা মেয়ের পিকচার ফেসবুকে অনেক ছেলে দেখলে গূনাহ হবে কিন্তু এটা জানেনা একটা প্রাণীর স্থিরচিত্র তুললে তার প্রাণ দিতে হয় আর সে নিজে একটা প্রানী । তাছাড়া বিভিন্ন ইসলামিক সংঘটনগুলো সংঘটন এর নামে নানান ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে যাচ্ছে, যেখানে নাচ, গান, অভিনয় সবই আছে এগুলো কোন ধরনের সওয়াবের মধ্যে পড়ে আমি জানিনা !! এখানে কয়টা সওয়াবের কাজ করে তারা প্রতিদিন!! আবার সেই বেগানা পুরুষ অর্থাৎ তথাকথিত ইসলামিস্ট যারা আমারি জন্য বেগানা পুরুষ হওয়ার পরও চা খাওয়ার দাওয়াত করেন তাদের সাথে ; এটা ইসলামের কোথায় হালাল আছে জানিনা !!অর্থাৎ বুঝা গেলো তাদের জন্য সবই হালাল আর আমাদের মতো হিজাবি মেয়েদের জন্য সবই হারাম !

হ্যাঁ আমি এটা সবসময়ই বলি যে, আমি যদি কোথাও ইসলাম পালনের ব্যপারে অবমাননা করে থাকি তবে ভূল ধরিয়ে দেন,শুধরে নেবো । কিন্তু তাই বলে এই না যে শুধু মেয়েদের পিকচার ছেলেরা দেখলে পাপ হয় শুধু সেই মেয়েদের ; আর সেই ছেলেদের পূণ্য হয় ! তাদের মতে মনে হয় ব্যপারটা এমন যে, ছেলেদের পিকচার মেয়েরা দেখলে সেই মেয়েদের পূণ্য হয় পাশাপাশি যাদের পিকচার দেখছে তাদেরও পূণ্য হয় ।

আবার আমার ফেসবুক লিস্টে অনেক তথাকথিত সাংগঠনিক মেয়েরাও আছে যারা আমার এ কাজগুলোকে অত্যন্ত খারাপভাবে দেখেন এবং অপছন্দ করেন,তারা ফেসবুক ব্যবহার করতে যেয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পুরুষ মানুষের পিকচার দেখছেন ; এটাও বোধয় তাদের মতে হালাল!! তবে আমি জানিনা । আবার এই মেয়ে সাংগঠনিক গুলো সাংগঠনিক কাজে রাত ১০/১১ টা পর্যন্ত ঘরের বাইরে থাকে। এতো রাত্রে ঘরের বাইরে কোন ধরণের মেয়েরা থাকতে পারে! ঢাকা শহরের কর্মজীবী মেয়েদের ব্যপারটা আলাদা । আর তাদের সাংগঠনিক বেনেফিট নিতে ছেলেদেরকে ফোনও দেয়,এমনকি পছন্দের ছেলেদের সাথে সারাদিন ঘুরে বেড়ায় । এগুলো বোধয় তাদের বানানো দলিলের ভেতরেই পরে। ইদানিং এই তথাকথিত ধার্মিকরা নিজের ইচ্ছে মতো দলিল তৈরি করে আর সেইটা নিয়ে অতি মাত্রায় বাড়াবাড়ি করে । এই গুলোরে সমাজের চোখে ধরিয়ে দেয়া অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে ।


মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৩

ডা: শরীফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লেখা, ভালো লাগল +++++

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৪

অবনি মণি বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ !

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৮

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: চিন্তা করার মত বিষয়; একটু জটিলও বটে। ধন্যবাদ জ্ঞানানোর জন্য। নিজের ছবি না অন্যকে দেখানো বৈধ না হলে অন্যের শত শত ছবি দর্শন করা কতটুকু বৈধ? ইট্স অ্যা বিগ কোয়েশ্চান?

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২২

অবনি মণি বলেছেন: ধন্যবাদ আমার সাথে চিন্তা করার জন্যে । এগুলো শুধু প্রশ্নই থেকে যায় আসলে ।উত্তর দেয়ার মতো মানুষ পাবেন্না কিন্তু উপদেশ দেয়ার মতো অসংখ্য মানুষ আছে আমাদের সমাজে তাও ভুয়া উপদেশ !

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৮

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: খুব সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় পোষ্ট উপহার দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৩

অবনি মণি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আমার কথাগুলোকে গুরুত্ত দেয়ার জন্য !

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: সত্যই চিন্তা করার বিষয়। ধন্যবাদ
কেমন আছেন?

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩২

অবনি মণি বলেছেন: ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ্‌ ! আপনি?? আর পড়ার জন্য ধন্যবাদ !

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৭

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: চিন্তা করার মত বিষয়; একটু জটিলও বটে। ধন্যবাদ জ্ঞানানোর জন্য। নিজরে ছবি অন্যকে দেখানো বৈধ না হলে অন্যের শত শত ছবি দর্শন করা কতটুকু বৈধ? ইট্স অ্যা বিগ কোয়েশ্চান?
তবে আমরা যদি সোশ্যাল মিডিয়াকে আমাদের সমাজ হিসেবে কল্পনা করি তাহলে বিষয়টি সহজ। আপনি হিজাব পালন করে যেমন হাটে, মাঠে, ঘাটে, কলেজ-বিদ্যালয়ে চলতে পারেন তেমনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছবি পোস্ট করতে পারেন। সমাজে যেমন কোন মেয়েকে কেউ পর্দা পালনে বাধ্য করতে পারে না তেমনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও এরূপ করা উচিত নয় । এটি ব্যক্তিগত বিষয়। ছেলেরা যেমন সমাজে চলাচলের ক্ষেত্রে দৃষ্টি নিয়ণ্ত্রন করবে তেমনিটি সোশ্যাল মিডিয়াতেও করা উচিত। আপনার চোখের খেয়ানতের দায়ভার একান্তই আপনার; মেয়েটির নয়। কারন, সে মুখ খোলা রেখে সমাজে চলতে অনুমোদিত।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

অবনি মণি বলেছেন: ধন্যবাদ । আমি হিজাব ব্যবহার করছি বলে ছবি পোষ্ট দিতে পারবো না আর তারা অন্য নন হিজাবি ছবি সারাদিন দেখবে এটাই তাদের চোখে হালাল !

৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩১

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: সুন্দর ভাবনার সুন্দর লেখা।কিন্তু কথা হচ্ছে যাদের জন্য যাদের উদ্দেশ্য করে লেখা তারা এসব পড়ে না পড়লেও তাদের চিন্তায় মানসিকতায় মানুষিক পরিবর্তন আসে না।অদ্ভুত এক সমাজ-মানুষ!

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

অবনি মণি বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন । আমি এই লেখাটা যখন ফেবুতে পোষ্ট দিয়েছিলাম তখন কবিরা নিরব ছিলেন ।

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আমিও আপনার মত ভাল আছি।ধন্যবাদ

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

অবনি মণি বলেছেন: স্বাগতম !

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: লিখাটুকু পড়লাম অনেক ভাল লাগল বোন। আপনি হিজাব করছেন তাও আল্লাহর ভয়ে আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন। তবে হিজাবকরার পরে আর আগে এই নিয়ে একটা পোষ্ট লিখতে পারেন।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

অবনি মণি বলেছেন: ধন্যবাদ । লিখবো একদিন ইন শা আল্লাহ আপনারা পাশে থাকলে !

৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১২

মহা সমন্বয় বলেছেন: আর এ জন্যই ফেসবুক নিয়ে এক বার্তা প্রকাশ করেছি আজকে

এটা সেই বার্তা যা সকল ফেসবুক বাসীর জন্য এ এক সতর্ক বার্তা।

তথাকথিত ইসলামিস্টদের নিয়ে আমি কিছু বলি না, এরা খায়, দায় আর প্রচুর গালাগলি করে। গালাগলিই হচ্ছে এদের ধর্ম।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

অবনি মণি বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে এসেছি ! ঠিকই বলেছেন এরা খায়, দায় আর প্রচুর গালাগলি করে। গালাগলিই হচ্ছে এদের ধর্ম।

১০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৩৯

বিজ্ঞান মনস্ক বলেছেন: কিছু মনে করবেন না আপনার লেখাটা স্ববিরোধী মনে হল ।
( আমি নিজেও চেষ্টা করছি ইসলামের মধ্যে নিজেকে পরিপূর্ণ দাখিল করার জন্য । তবে এই মন্তব্যটা করলাম লজিকাল পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে ;) )

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

অবনি মণি বলেছেন: স্ববিরোধী ঠিক না ; আমি নিজেই চেষ্টা করছি আল্লাহর পথে আসার জন্যে এর মধ্যে অহেতুক উপদেশ ভালো লাগেনা যেখানে সে নিজেই ঠিক না !

১১| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১৭

বিজ্ঞান মনস্ক বলেছেন: অহেতুক উপদেশ ভালো লাগেনা যেখানে সে নিজেই ঠিক না

আগেই বলেছি মন্তব্যটা করলাম লজিকাল পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.