নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক বছর হলো ; তবুও নিঃসঙ্গ বৃক্ষের মতো নির্জন নিস্তব্ধ মৌন পাহাড়ের মতোই একা পড়ে আছি আজও। একাই আছি এই দীর্ঘশ্বাসের মতো! তোমারও কি শুধু দীর্ঘশ্বাস,গ্রীলে বিষন্ন গোধূলী?

অবনি মণি

যদিও আমি কখনো দুঃস্বপ্নে বিভোর ছিলামনা এবং আজও না ।তবে একটা জাগ্রত স্বপ্ন দেখতাম ; একদিন ভালোবাসব ,ঐ আকাশের বিশালতার মতো নয় কেবল আমার মনের গভীরতা থেকে ।

অবনি মণি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসার মৃত্যু সন্নিকটে ; অতঃপর চলে যাওয়া-----------

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

Click This Link
এই লেখাটি লেখার ঠিক নয় মাস পর তিনি চলে গেলেন ঐপারে ; না ফেরার দেশে। প্রায় তিন বছর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছেন আর শেষ তিন মাস কমাতে থেকে তিনি নিজে যতটা না কষ্ট করেছেন তার চেয়ে খানিক বেশী কষ্ট করেছেন পৃথিবীতে রেখে যাওয়া তাঁর একমাত্র ভালোবাসা, তাঁর স্ত্রী । এই মানুষটিকে তিনি চিরতরে একা করে রেখে চলে গেলেন, যে তাঁকে দীর্ঘ দিবস-রজনী অপেক্ষার পর পেয়েছিল । মাঝখানে মাত্র বারো বছর শর্তহীন ভালোবাসার মাঝেই বেঁচে ছিলেন দুজনে আর শেষমেষ পুরো একদল মানুষকে কাঁদিয়ে তাঁকে চলে যেতেই হলো ।

প্রতিদিনের প্রতিটা মিলি সেকেন্ডেও এই চলে মানুষটির কথা মনে পড়ে যায় আমার ; তাঁর রেখে যাওয়া ভালোবাসার মানুষটির দিকে তাকালে আমি কেন পৃথিবীর যেকোনো মানুষেরই আবেগ চলে আসবে । যেখানে একটা একটা করে দিন গুনছিলেন সুস্থ্য হয়ে উঠার সেখানে একটা একটা করে তাঁর স্বামীকে হারানোর দিন ঘনিয়ে আসছিলো । নাকের নল দিয়ে পুরো তিন মাস নিজ হাতে খাবার আর মেডিসিন দেয়া থেকে শুরু করে ক্যথেটারে জমে থাকা ইউরিন পরিষ্কার করা ছিল তাঁর নিত্যনৈমিত্তিক কাজ ; ফিজিওথেরাপির একজন ডাক্তার নিয়োজিত থাকার পরও নিজে হাতে আবার তাঁর এই ভালোবাসার মানুষটির হাত পা নাড়াচাড়া করে দেয়া, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত হয়ে যাওয়ার জায়গায় মেডিসিন লাগানো সময় সময় ,আধাঘণ্টা পর পর এ পাশ থেকে ও পাশ করা এসব কতজন স্ত্রী ধৈর্য সহকারে করতে পারে জানিনা! আর যিনি চলে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি কোন সন্তানহীন তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে কোনরূপ কোনো অভিযোগ ছাড়াই শুধু ভালোবাসার টানে ,শুধুই ভালোবেসে শর্তহীন জীবনযাপন করছিলেন ; এমনিইবা পারে ক'জন পুরুষ !

যখনই মনে পড়ে চোখে জল এসে যায় নিমিষেই ; আমি পারিনা ধরে রাখতে । ভীষণ ভালোবেসে ফেলেছিলাম তাঁর জীবনের শেষ সময়ে আর তিনিও আমাকে । বলছিলাম আমার খালুর কথা, যার ছেলেও ছিলাম আমি আবার মেয়েও ছিলাম আমি । এই কথাগুলো যখনই বলতেন তখনই মনে হতো তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ আমার খালা (মা'র থেকেও বেশী ভালোবাসি যাকে) এর সকল দায়িত্ব বুঝি তিনি আমার উপরই দিয়ে চলে যাবার চালাকি করছেন । আর হ্যাঁ ,অবশেষে তা-ই করলেন ।খালুকে স্বামী হিসেবে পাওয়ার আগের জীবনটাও কেটেছিল আমাদেরি সাথে আর আবার খালু সেই দায়িত্ব আমাদের উপরই দিয়ে গেলেন ।

আজ ভীষণ মনে পড়ছিল খালুকে ।তাই এই লেখাটা ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লাগল লেখাটি।
+++

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

অবনি মণি বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩২

প্রামানিক বলেছেন: আপনার খালার ধৈর্যের প্রশাংসা করতে হয় এবং আপনাদেরকেও ধন্যবাদ দিয়ে যাই তার দায়িত্ব নেয়ার জন্য।

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

অবনি মণি বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ !

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

ফারিহা নোভা বলেছেন: ভালবাসা বিষাদে- এইতো জীবন।

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

অবনি মণি বলেছেন: ঠিক বলেছেন ।ধন্যবাদ ।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৫৭

আহসানের ব্লগ বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.