![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদিও আমি কখনো দুঃস্বপ্নে বিভোর ছিলামনা এবং আজও না ।তবে একটা জাগ্রত স্বপ্ন দেখতাম ; একদিন ভালোবাসব ,ঐ আকাশের বিশালতার মতো নয় কেবল আমার মনের গভীরতা থেকে ।
আল্লাহর দেয়া সম্পদ ;অবশ্য নিশ্চয়ই কঠোর পরিশ্রমের ফসল। যথা সম্ভব কেউ গাছে ঝাকি দিয়ে টাকা কুড়ায়নি আর সেই টাকা দিয়ে প্রাইভেট কার কিনেনি। কিন্তু তাই বলে একটা প্রাইভেট কার কিনে নিয়ে পুরো রাজপথটাও কি এরা কিনে নিয়েছে; নাকি তারা বেশী টাকার মালিক বলে সরকার তাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে কি জানি।
রাজপুত্র রাজরানী কিংবা রাজা আর রানীরা পুরো বারো সীটের একটা গাড়ি নিয়ে পথে বের হন, হয় তিনি ড্রাইভিং সীটে নয়তো ড্রাইভার সহ দুজন মানুষ পুরো বারোটা মানুষের রাস্তা দখল করে পথ চলছেন ; এরকম করে হাজারটা গাড়ি রাজপথ জুড়ে বসে আছে। আর তাদের কিনে নেয়া রাজপথের যেখানে মন চাইলো অর্থাৎ যেই মুহূর্তে মন চাইলো গাড়িটা ধপাস করে দাঁড় করিয়ে ফেললেন । যেন এই জায়গাটা তিনি তার উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। তার মধ্যে তুমি কুকুরের বাচ্চা রিক্সাওয়ালা তার হঠাৎ ব্রেক কষা বুঝতে না পেরে তোমার গতিরোধ করতে না পেরে সামান্য টোকা লাগিয়ে দিলেতো মনে করো এই বড়লোকের বাচ্চারা তোমার রক্ত শোষে খাবেই। কখনো ড্রাইভার আবার কখনো মালিক নিজেই।আর গলির ভেতর দিয়ে তাদের মার্সিডিজ গাড়িগুলো যেইভাবে চালায়, মনে হয় তাদের বাপ দাদারা এই রিক্সাগুলোর মাথার উপর দিয়ে ওড়াল সেতু তৈরি করে রেখেছে যা দিয়ে তারা সঠিকভাবে পথ চলতে পারছেনা ।
রাজধানীর যত আলিশান এলাকা আছে সেইসব জায়গাগুলোতে সারা বছরই ড্রেইন খোঁড়া থাকে,অর্থাৎ কাজ চলিতেছে। তার মধ্যে সেই চিপা রাস্তার বাকি অর্ধেক রাস্তা জুড়ে বিলাসবহুল গাড়িগুলো তাদের কিনে নেয়া রাজপথে পার্কিং করে রেখে দিলেন ঘন্টার পর ঘন্টা আর তুমি রিক্সার যাত্রী পাঁচ মিনিটের পথ বসে থাকো পাঁচ ঘন্টা তাতে ওদের কি যায় আসে। ওদের অফিস টাইম শেষ হলে গাড়ি ছুটতে শুরু করবে ; ওরা বাড়ি ফিরবে।
প্রতিটা দিন একই অবস্থা দেখতে দেখতে অতীষ্ট হয়ে গেলাম। রাজা রানীদের গাড়ির জ্যামের কারণে ঐ পথ দিয়ে রিক্সাওয়ালাও যেতে চায়না ; তোমার যতো ইমারজেন্সি কাজ থাকুক তুমি বসে বসে লেবু চিপা খাও।
সরকার তো তোমাদের বিলাসবহুল গাড়িগুলো নিয়ে আয়েশ করে পথ চলার জন্য ওড়াল সেতু তৈড়ী করেই দিলো তবু কেনো এইসব চিপাগলি দিয়ে ঢুকে শর্টকাট মেরে আমাদেরকেই দুর্ভোগে ফেলতে হয় তোমাদের! প্রতিদিন ১ টা গাড়িতে একজন মানুষ চললে বিপরীতে ১০জন মানুষের রাস্তায় বাঁধা পড়ে এই সামান্য জ্ঞানটুকু না থাকলে এ কথা নিঃসন্দেহে বলতে পারবেন টাকা খরচ করে গাড়ি কিনেছিইতো এই সুবিধা ভোগ করবার জন্যে ; ভোগ করবেন করেন। এর মধ্যে ছোটখাট নিয়মগুলো মানলে শরীর থেকে বড়লোকের সামান্যতম চামড়াও খসে পড়বেনা।
তাছাড়া নিয়মিত যারা রাস্তাঘাটে এই অনিয়মগুলো করে যাচ্ছেন তারা তো পশ্চিমা কালচার নিয়েই বসবাস করেন। সব কিছু পশ্চিমাদের অনুসরণ করলেও এই নিয়মগুলো কেনো অনুসরণ করতে পারেননা। ভালোটা অনুসরণ করার ক্ষমতা নাই কিন্তু খারাপটা থেকে এক কদমও পিছিয়ে থাকেননা!! এ কোন সভ্যজাতি আমরা!
বলবেন সব সরকারের দোষ ; সরকার কি আপনার কাছে রাজপথ বিক্রি করে দিয়েছে?? আলিশান বাড়ি বানাতে পারেন,মার্সিডিজ গাড়ি কিনতে পারেন,বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মালিক হতে পারেন, পৃথিবী বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিক হতে পারেন আর সামান্য একটা দুটা গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা করতে পারেননা ;এ কেমন মানসিকতা আপনার,আপনাদের!
গত তিনটা বছর ধরে একি ঘটনা দেখেই যাচ্ছি। যেই বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সামনে দিয়ে প্রতিদিন যেতে আসতে হয় সেইটার সামনে পিঁপড়া হাটারও জায়গা অবশিষ্ট থাকেনা। তার মধ্যে রাজপুত্র রাজরানীরা রাস্তার ঠিক মাঝখানটায় চোখ বন্ধ করে জড়াজড়িতে ব্যস্ত থাকেন ; কিভাবে আর বুঝবেন তিনারা এইটা একটা রাজপথ।
যাক ; তাদের সুমতি উদয় হোক। এইসব অজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে আসুক সবাই।শুধু টাকাপয়সা ধন-দৌলত হলেই মানুষ হওয়া যায়না ;এই সাধারণ আইনগুলিও মানা মানুষেরই কাজ। জানি,আপনারা ফেরেসতা নয়; ভূল একবার দুবার হতেই পারে! তাই বলে প্রতিটাদিন একই কাজ আপনারা করেন কিভাবে!! একটু মানবতার হৃদয় উন্মোচন করুন ;তাতে সম্মানহানি হবেনা বরং অনেকগুনে সম্মান বেড়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.