![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক সময়ের সহকর্মী দাউদ হোসেন রনি সম্প্রতি বলেছেন, ‘কোনোভাবেই তারা চাইছে না বাংলাদেশের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের সহমর্মিতা তৈরি হোক৷আবার যদি কিছু মহল থেকে পশ্চিম বঙ্গের স্বাধীনতার দাবি চলে আসে!’ আমি দেখেছি সাধারণ মানুষ এই দেশটাকে দারুণ ভালবাসে, এই দেশের মানুষের প্রতি তাদের বেশ মমতা। কিন্তু সমস্যা ‘ কেন্দ্রের দালাল’ কিছু মানুষ অার রাজনীতি। পশ্চিম বঙ্গের সাধারণ মানুষকে নানাভাবে আমাদের সম্বেন্ধে ভুল বোঝানো হয়, সাম্প্রতিক সফরে কিছু উদাহরণ দেখেছি। কিছু উদাহরণ দেই, নিচে একজনের সঙ্গে ঘণ্টা চারেকের আলাপের কিছু অংশ:
১. একজন জানতে চাইলেন, বাংলাদেশে নাকি এবার হিন্দুরা কোনও পূজাই করতে পারেনি? এই খবর ওনি পেয়েছেন ওখানকার মিডিয়ায়। ওনাকে জানতে দেওয়া হয় হিন্দুদের উপর আক্রমণ হয়েছে, কিন্তু জানতে দেওয়া হয় না, অনেক এলাকায় হিন্দু বাড়ি পাহারা দিয়েছে এলাকার মুসলমানরা। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রতিরোধ করা হয়েছে দুর্বৃত্তদের! ওনাকে জানানো হয় না, ইফতার অার পুজার সময় এক্পই হয়ে যাওয়ায় পুরান ঢাকার হিন্দু-মুসলমানরা নিজেদের মধ্যে পরষ্পরকে সম্মান জানিয়ে সময় ঠিক করে নেন।
২. ঢাকার রাস্তায় সিনেমা হলে ভারতের ছবি প্রদর্শনের কিরুদ্ধে মিছিলের খবর ওনার কাছে পৌঁছায়, কিন্তু তাঁকে এটা জানানো হয় না যে, ভারতের খ্যাত-অখ্যত প্রায় সব চ্যানেল বাংলাদেশে দেখা গেলেও, অনেক চেষ্টা করেও বাংলাদেশের কোনও টিভি চ্যানেল পশ্চিম বঙ্গে দেখানো যাচ্ছে না!
৩. তিনি আমাকে একটা কলাম দেখান, যেখানে ইনিয়ে বিনিয়ে বলা হচ্ছে বাংলাদেশে এখনো প্রচুর মানুষ পাকিস্তান ক্রিকেট টিমকে সমর্থন করেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনেক সহায়তা করলেও ভারতকে সেভাবে সমর্থন করা হয় না! ভারত যে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশকে সেখানে কোনও সিরিজে আমন্ত্রণ জানায়নি সেটা কিন্তু আমি কলাটির কোথাও পাইনি।
৪. ভারতে প্রচুর বাংলাদেশি যাচ্ছেন, এটা তিনি জানেন। তিনি কিন্ত জানেন না, ভারতের মোট প্রবাসী আয় (রেমিটেন্স) সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ (বা পঞ্চম)!
৫. বাংলাদেশের মানুষ পশ্চিম বঙ্গ থেকে মাছ ধরে নিয়ে আসেন, কাঠ নিয়ে আসেন। কিন্তু অবাক হয়ে জানলাম, ওনি জানেন না রামপালে ১৫% বিনিয়োগ করে ভারত পাচ্ছে ৫০% বিদ্যুতের মালিকানা! ওনি জানেনই ভারত বিনা মাশুলে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে ক্রিপুরায় মালামাল নিয়ে গেছে!!
এরকম অনেক কথাই বলা যায়, কয়টা বলবো? ভারতের বা পশ্চিম বঙ্গের কিছু মানুষ যে আমাদের নিয়ে নাক উঁচু ভাব দেখায়, তা জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরাই দায়ী। কেন?
১. এই যে দেখুন রূপম কী বলছে। তাঁর গান পশ্চিমবঙ্গে হিট হওয়ার আগে বাংলাদেশে হিট। ৯২-৯৩ সালের ভোরের কাগরে মেলায় পড়েছিলাম। সেসময এই দেশে ব্যাপক বিখ্যাত নচিকেতার ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে কলকাতায় গিয়ে প্রতিবেদক দেখলেন সেখানে তাঁকে মানুষ প্রায় চেনেই না!
২. আমাদের জাতীয় পত্রিকায় আজকাল পাখি, বাহাদেরও খবর পাওয়া যায়। আর ওখানে, মমতার সঙ্গে জয়া থাকলে কেটে দেয়! আমাদের এখানে ভারতের একজন এক্সট্রা এলে রীতিমতো তুলকালাম পড়ে যায়। ঈদে-পূজায় এখন পশ্চিমবঙ্গের শিল্পিদের আনার জন্য চ্যানেলগুলো প্রতিযোগিতায় নামে!
বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে, বাদ দিই!
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২০
আজব গোয়েন্দা বলেছেন: কথাগুলো বাস্তব সত্য যা সাধারণত তথাকথিত দেশপ্রেমী ও দেশপ্রেমে কাতর আমাদের মিডিয়া আমলে নেয় না। ভারতকে কিংবা ভারতের সেলেব্রেটিদের মাথায় উঠিয়ে নাচে।