নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেধাবী ছাত্র হিসেবে স্কুলে আকাশের সুনাম কুড়াতে বেশি সময় লাগে না । শিক্ষকগণও আকাশকে খুব ভালোবাসে। স্কুলে ক্রীড়া শিক্ষক না থাকায় আকাশ সকাল বেলার পিটি/পেরেট পরিচালনা করে। প্রতি বৃহস্পতিবার ক্লাশ শেষে সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতায় আকাশ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলছে। এরই মধ্যে ইশরাত ও নুশরাত এর কণ্ঠে দেশাত্ববোধক সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গতি বাড়িয়ে দেয়। দেশের প্রতি ভালোবাসা না কি প্রিয়ার কন্ঠে প্রিয় গান শুনে আকাশের হ্রদয়ে দোলা দেয় তার হিসাব মেলানো বড় দায়।বাস্তবে ইশরাতের প্রতি ভালোবাসা বেড়ে যায়। কিন্তু প্রিয়জনকে কাছে না পাওয়ার বেদনায় হ্রদয়ে রক্ত ক্ষরণ হলেও নানাবিধ কারনে বা অন্তর্মূখী ভাব বা জড়তার কারনে কিছুই বলতে পারে না। এ যেন বুক ফাটে তো মুখ ফোটেনা। আকাশ নিয়মিত ক্লাশ করে এবং ক্লাশের পড়া ক্লাশেই আয়ত্বে নিয়ে নেয় এর জন্য প্রাইভেট টিউটর বা বাসায় অতিরিক্ত চাপ নিয়ে পড়ার প্রয়োজন মনে করে না। ক্লাশ নিয়মিত করার আর একটা সুবিধা হচ্ছে প্রিয়জনের মুখদর্শন করা। তখন জসিম ও শাবানার একটা সিনেমা বিটিভিতে প্রদর্শনের ফলে আকাশ জসিমের একটা ডায়লগ পছন্দ করে। চানাচুর বিক্রেতা জসিম ব্যবসা শুরু করার পূর্বে শাবানার মুখ দেখে বলে লক্ষ্মীর মুখ দেখে ব্যবসা শুরু করলে লাভ বেশি হয়। আকাশ তেমনি নিজের ক্লাশ রুম থেকে বের হয়ে স্কুলের বারান্দা দিয়ে চক্কর দিয়ে বলে লক্ষ্মীর মুখ দেখে ক্লাশ করলে পড়ায় মনোযোগ বাড়বে বা লাভ (Love) বেশি হবে।স্কুল থেকে ফিরার পথে দূরত্ব বেশি হলেও প্রিয়জনের পথ ধরে বাড়ী ফেরে, তাকে অনুসরণ করে কিন্তু কিছু বলে না। এভাবেই চলতে থাকে পড়ালেখার পাশাপাশি আকাশের হ্রদয় মাঝে স্বপ্নের ভালোবাসার প্রাসাদ তৈরীর কাজ। ইসরাত এ বিষয়ে জানে কি না বা কিছু অনুমান করতে পেরেছে কি না আকাশ তা ভেবে দেখে নি। মনে মনে ভালোবাসলেও আকাশ কখনও ইশরাতকে সে রকম কোন ইঙ্গিত কখনও দেয় নি। ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা তৈরী হয় সহজেই কিন্তু তা খুব সহজে প্রকাশ করা যায় না। আবার কোন পুরুষ যদি কোন নারীর চোখের দিকে একদৃষ্টিতে আট সেকেন্ড তাকিয়ে থাকে তবে তাদের প্রেম সুনিশ্চত। যদিও আকাশ এই তত্ত্বের সত্যতা যাচাই করার সুযোগ কখনও পায় নি। আবার প্রেম ও ভালোবাসার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। আকাশের ভালোবাসা হ্রদয়ের টান প্রেমের বহিঃপ্রকাশ নয়।
মেয়ে মানুষের ৬ষ্ঠ ইন্দ্রীয় নাকি বেশি কাজ করে। কেউ তাকে অনুসরণ করলে সহজেই বুঝতে পারে। দেখতে সুন্দর আর সংস্কৃতি মনা মেয়েদের সাথে শুধু কথা বলতে আগ্রহীই না , স্বপ্নের নায়িকা মনে করে অনেক সুপুরষ। প্রকৃত পক্ষে সৌন্দর্যের কদর বোঝে বা সত্যিকারের ভালোবাসে এরকম মানুষ পাওয়া কঠিন। অনেকে মোহের বশে অনেকধরনের প্রশসংশা সূচক ব্যাক্য ব্যয়ে মেয়েদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। আবার অনেক মেয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ছেলেদের পকেটের টাকা নিজের করে নিতে ভালোবাসে। এমন প্রেক্ষাপটে আকাশের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার অব্যক্ত রূপটি ইশরাতের দৃষ্টিগোচর হয়েছে কি না সৃষ্টিকর্তা ভালো জানেন।
২| ০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা দুবার এসেছে। এডিট করে ঠিক করে নিন।
০৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৫৫
রবিন.হুড বলেছেন: ধন্যবাদ রাজিব ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: বাস্তবতার আলোকে লেখা গল্প ।