![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে এর অপব্যবহার বা নেতিবাচক দিকও প্রকট হয়ে উঠছে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ও অল্প শিক্ষিত ব্যবহারকারীদের মধ্যে। নিচে কিছু উল্লেখ করা হলো:
স্মার্টফোন অপব্যবহারের প্রধান ক্ষেত্রগুলো
সময়ের অপচয় ও আসক্তি
অনেক ব্যবহারকারী (বিশেষত যুবক-যুবতী) সোশ্যাল মিডিয়া (Facebook, TikTok, Instagram), গেমস (Free Fire, PUBG), বা অনর্থক ভিডিও সার্ফিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নষ্ট করছে।
গবেষণা অনুযায়ী, গড়ে একজন বাংলাদেশী দিনে ৫-৬ ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, যার বেশিরভাগই অপ্রয়োজনীয় কাজ.
অনৈতিক ও ক্ষতিকর কন্টেন্ট
পর্নোগ্রাফি, হিংসাত্মক বা উগ্রবাদী কন্টেন্ট, ফেক নিউজ, এবং প্রতারণামূলক অ্যাপস (যেমন: "লটারি জিতেছেন" স্ক্যাম) সহজে প্রবেশ করছে।
শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশে এটি হুমকি সৃষ্টি করছে।
সাইবার অপরাধ ও গোপনীয়তা লঙ্ঘন
ডিজিটাল নিরাপত্তাহীনতার কারণে ব্যক্তিগত ডেটা চুরি, ফিশিং, বা অনলাইন হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেক用户(ব্যবহারকারী).
বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৫০% বেশি সাইবার অপরাধ রিপোর্ট করা হয়েছে compared to previous years.
শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি
চোখের সমস্যা (ডিজিটাল আই স্ট্রেন), ঘাড়ে ব্যথা ("Text Neck"), এবং অনিদ্রা (ব্লু লাইটের প্রভাব)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত নির্ভরতা(সৃষ্টি করছে)হতাশা, অস্থিরতা, এবং আত্ম-মূল্যবোধের সংকট।
শিক্ষার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব
শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বা পড়ালেখার সময় ফোনে ব্যস্ত থাকে, resulting in(যার ফলে)পড়াশোনায় অমনোযোগিতা।
পরীক্ষায় নকল বা ChatGPT-এর মতো টুলসের অপব্যবহারও বেড়েছে।
তাছাড়া মোবাইল ফোন ও টাওয়ারের ফ্রিকুয়েন্সি মানব শরীর ও পরিবেশের জন্য মারাত্বক হুমকি স্বরূপ।
কেন এই অপব্যবহার বাড়ছে?
সচেতনতার অভাব: ডিজিটাল লিটারেসির অভাবে অনেক(ব্যবহারকারী)স্মার্টফোনের জটিলতা বুঝতে পারেন না।
সস্তা ইন্টারনেট ও ডেটা প্যাক: রিলায়েন্স on(নির্ভরতা)অনর্থক কন্টেন্ট consume(গ্রহণ)করাকে সহজ করেছে।
পারিবারিক নিয়ন্ত্রণের অভাব: অভিভাবকরা often(প্রায়শই)শিশুদের ফোন ব্যবহার মনিটর করেন না।
সমাধানের উপায়
ডিজিটাল সাক্ষরতা বৃদ্ধি: স্কুল-কলেজে ইন্টারনেট নিরাপদ ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
প্যারেন্টাল কন্ট্রোল: Family Link বা Screen Time-এর মতো টুলস ব্যবহার করে শিশুদের ফোন usage(ব্যবহার)সীমিত করুন।
সচেতনতা 캠্পেইন: সরকার ও মিডিয়া "ডিজিটাল ডিটক্স" বা ভার্চুয়াল লাইফের ভারসাম্য নিয়ে আলোচনা বাড়াতে পারে।
নীতিগত হস্তক্ষেপ: সাইবার আইনের কঠোর প্রয়োগ ও ক্ষতিকর অ্যাপ/কন্টেন্ট ব্লক করা।
সামগ্রিক মূল্যায়ন
স্মার্টফোন বাংলাদেশের জন্য একটি দ্বিধাবিভক্ত অস্ত্র—এটি উন্নয়নের হাতিয়ার হলেও অপব্যবহার সমাজে নতুন সংকট তৈরি করছে। সঠিক নিয়ন্ত্রণ ও শিক্ষা এর অপব্যবহার কমিয়ে এর ইতিবাচক দিকগুলো কাজে লাগাতে সাহায্য করবে।
২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৭
রবিন.হুড বলেছেন: সঠিক কথা গ্রহণ এবং প্রচার করে সঠিক কাজ করলে দেশ ও দশের কল্যান হবে।
২| ২৫ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: পোলাপান টিকটক করবে, ইউটিউব করবে, ফেসবুক করবে, পর্ন দেখবে এটাই স্বাভাবিক। অন্যান্য দেশের পোলাপান এগুলো করেই। এগুলো আসলে বয়সের দোষ।
২৫ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৪১
রবিন.হুড বলেছেন: এসব ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পঙ্গু করে দেবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সঠিক কথা ।