নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবিন.হুড

রবিন.হুড › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মার্ট ফোন ব্যবহার করলেই স্মার্ট হওয়া যায় না! বাংলাদেশে স্মার্ট ফোনের অপব্যবহার বেশি?

২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২৪


বাংলাদেশে স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে এর অপব্যবহার বা নেতিবাচক দিকও প্রকট হয়ে উঠছে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ও অল্প শিক্ষিত ব্যবহারকারীদের মধ্যে। নিচে কিছু উল্লেখ করা হলো:

স্মার্টফোন অপব্যবহারের প্রধান ক্ষেত্রগুলো

সময়ের অপচয় ও আসক্তি

অনেক ব্যবহারকারী (বিশেষত যুবক-যুবতী) সোশ্যাল মিডিয়া (Facebook, TikTok, Instagram), গেমস (Free Fire, PUBG), বা অনর্থক ভিডিও সার্ফিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নষ্ট করছে।

গবেষণা অনুযায়ী, গড়ে একজন বাংলাদেশী দিনে ৫-৬ ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, যার বেশিরভাগই অপ্রয়োজনীয় কাজ.

অনৈতিক ও ক্ষতিকর কন্টেন্ট

পর্নোগ্রাফি, হিংসাত্মক বা উগ্রবাদী কন্টেন্ট, ফেক নিউজ, এবং প্রতারণামূলক অ্যাপস (যেমন: "লটারি জিতেছেন" স্ক্যাম) সহজে প্রবেশ করছে।

শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশে এটি হুমকি সৃষ্টি করছে।

সাইবার অপরাধ ও গোপনীয়তা লঙ্ঘন

ডিজিটাল নিরাপত্তাহীনতার কারণে ব্যক্তিগত ডেটা চুরি, ফিশিং, বা অনলাইন হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেক用户(ব্যবহারকারী).

বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৫০% বেশি সাইবার অপরাধ রিপোর্ট করা হয়েছে compared to previous years.

শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি

চোখের সমস্যা (ডিজিটাল আই স্ট্রেন), ঘাড়ে ব্যথা ("Text Neck"), এবং অনিদ্রা (ব্লু লাইটের প্রভাব)।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত নির্ভরতা(সৃষ্টি করছে)হতাশা, অস্থিরতা, এবং আত্ম-মূল্যবোধের সংকট।

শিক্ষার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব

শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বা পড়ালেখার সময় ফোনে ব্যস্ত থাকে, resulting in(যার ফলে)পড়াশোনায় অমনোযোগিতা।

পরীক্ষায় নকল বা ChatGPT-এর মতো টুলসের অপব্যবহারও বেড়েছে।

তাছাড়া মোবাইল ফোন ও টাওয়ারের ফ্রিকুয়েন্সি মানব শরীর ও পরিবেশের জন্য মারাত্বক হুমকি স্বরূপ।
কেন এই অপব্যবহার বাড়ছে?

সচেতনতার অভাব: ডিজিটাল লিটারেসির অভাবে অনেক(ব্যবহারকারী)স্মার্টফোনের জটিলতা বুঝতে পারেন না।

সস্তা ইন্টারনেট ও ডেটা প্যাক: রিলায়েন্স on(নির্ভরতা)অনর্থক কন্টেন্ট consume(গ্রহণ)করাকে সহজ করেছে।

পারিবারিক নিয়ন্ত্রণের অভাব: অভিভাবকরা often(প্রায়শই)শিশুদের ফোন ব্যবহার মনিটর করেন না।

সমাধানের উপায়

ডিজিটাল সাক্ষরতা বৃদ্ধি: স্কুল-কলেজে ইন্টারনেট নিরাপদ ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

প্যারেন্টাল কন্ট্রোল: Family Link বা Screen Time-এর মতো টুলস ব্যবহার করে শিশুদের ফোন usage(ব্যবহার)সীমিত করুন।

সচেতনতা 캠্পেইন: সরকার ও মিডিয়া "ডিজিটাল ডিটক্স" বা ভার্চুয়াল লাইফের ভারসাম্য নিয়ে আলোচনা বাড়াতে পারে।

নীতিগত হস্তক্ষেপ: সাইবার আইনের কঠোর প্রয়োগ ও ক্ষতিকর অ্যাপ/কন্টেন্ট ব্লক করা।

সামগ্রিক মূল্যায়ন

স্মার্টফোন বাংলাদেশের জন্য একটি দ্বিধাবিভক্ত অস্ত্র—এটি উন্নয়নের হাতিয়ার হলেও অপব্যবহার সমাজে নতুন সংকট তৈরি করছে। সঠিক নিয়ন্ত্রণ ও শিক্ষা এর অপব্যবহার কমিয়ে এর ইতিবাচক দিকগুলো কাজে লাগাতে সাহায্য করবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সঠিক কথা ।

২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৭

রবিন.হুড বলেছেন: সঠিক কথা গ্রহণ এবং প্রচার করে সঠিক কাজ করলে দেশ ও দশের কল্যান হবে।

২| ২৫ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: পোলাপান টিকটক করবে, ইউটিউব করবে, ফেসবুক করবে, পর্ন দেখবে এটাই স্বাভাবিক। অন্যান্য দেশের পোলাপান এগুলো করেই। এগুলো আসলে বয়সের দোষ।

২৫ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৪১

রবিন.হুড বলেছেন: এসব ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পঙ্গু করে দেবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.