![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকদিন পর দীপাবলী পারিবারিক বন্ধনে মনোরম পরিবেশে সময় কাটালো। মূখার্জী পরিবারের ঘরে আজ যে প্রাণ চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে তা ষোল কলায় পূর্ণ হতো যদি বড় ছেলের মেয়ে ও বৌ একসঙ্গে বসবাস করতো। পরশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায় আজ খুব উৎফুল্লো যে বৌমা তাকে দেওয়া কথা রেখেছে সম্পর্ক ছিন্ন না করে ছেলের সংসারে ফিরে এসেছে আর মিসেস মূখার্জী ব্যস্ত নানান পদের খাবার তৈরি করে পরিবারের সুখটাকে দীর্ঘায়িত করতে। রাতে খাবার টেবিলে সকলে একসঙ্গে খাবার খেতে বসে খুশিতে পরশ চন্দ্র বিষম খেলে উতলা হয়ে ওঠে মিসেস মূখার্জী।
আরে তোমার আবার কি হলো
তেমন কিছু না, বৌমার সৌজন্যে এতা সুস্বাদু খাবার দেখে লোভ সামলাতে পারছি না।
বাবা! তোমার তাড়াহুড়ার কিছু নাই, তুমি তৃপ্তিসহ আয়েশ করে খাও। তাছাড়া এ রকম আয়োজন নিয়মিত হবে, কি বলো দীপা?
অবশ্যই! আমি আর এ সংসার ছেড়ে দূরে কোথাও যাচ্ছি না। তুমি ঝুড়ি ভরে বিভিন্ন প্রকার বাজার করবে আর আমি রান্না করে সুস্বাদু খাবার বাবা-মা’র সামনে পরিবেশন করবো।
তোমাদের কিছু করতে হবে না, তোমরা তোমাদের অফিস ঠিকমতো সামলাও আর আমি কাজের লোক দিয়ে ঘর-সংসার ঠিকই সামলে নিতে পারবো।
খাবার সময় এতো কথা না বলে খাবার শুরু করা যাক। এ কথা বলে পরশ চন্দ্র খাওয়া শুরু করলো।
রাতের খাবার শেষে দীপাবলী ও অনন্ত একান্তে বসে বিশ্রাম নিচ্ছে। সারাদিন বিভিন্ন ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটানোর কারনে দুজনে তেমন কোন কথা বলা হয়ে ওঠেনি।
বাবার ছেলে মানুষিতে কিছু মনে করোনি তো দীপা?
কি যে বলো! আমার কিন্তু ভালোই লাগে। বাবার স্নেহ থেকে অনেক দিন বঞ্চিত ছিলাম।
স্বামীর সোহাগ/আদর কি তোমার এখতিয়ার বহির্ভূত?
এখতিয়ারে থাকলেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।
সময় গেলে সাধন হয় না। আর সব সময় সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হয় না বা করা যায় না। নদীতে জোয়ার উঠলে যেমন বাধ দিয়ে আটকে রাখা যায়না তেমনি যৌবনের জোয়ার সব সময় নিয়ন্ত্রণ করা যায় না !
কথা তো ভালোই বলতে শিখেছো! কিন্তু কথায় চিড়ে ভেজে না।
তা তো ঠিকই। তোমার হ্রদয় আজ ভালোবাসার অভাবে মরুভুমির মতো শুষ্ক হয়ে গেছে। আমার ভালোবাসায় তোমাকে সিক্ত করে দেবো।
জনাব আমি ধন্য, তোমার ভালোবাসার জন্য! সকালে অফিসে যেতে হবে তাই আপাতত ঘুমিয়ে একটু বিশ্রাম নেই।
অনন্তকেও সকালে অফিসে যেতে হবে। তাই করার কিছুই নাই। দীপাবলীর পাশে শুয়ে পরের দিনের অফিসের কর্মপরিকল্পনা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লো।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিজ হাতে চা তৈরি করে এক কাপ চা নিয়ে শ্বশুরের সামনে হাজির হলো দীপাবলী।
বাবা! এই নিন আপনার চা।
বৌমা তুমি আবার সকাল সকাল কষ্ট করতে গেলে কেন?
বাবার জন্য করা আবার কিসের কষ্ট?
তোমাকে অফিসে যেতে হবে! কত রকমের ব্যস্ততা আছে না?
শত ব্যস্ততার মাঝে বাবার সেবাই অগ্রগন্য।
ঠিক আছে! বলে হাত থেকে চায়ের কাপ নিয়ে চুমুক দিয়ে বলে উঠলো তোমার হাতে যাদু আছে। চা খুব টেস্টি হয়েছে।
একটা বিজয়ের হাসি দিয়ে দীপাবলী রান্না ঘরের দিকে এগিয়ে দেখে শ্বাশুড়ি সকালের নাস্তা তৈরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মা, আপনি বাবার পাশে বসে বিশ্রাম নিন! আমি নাস্তা তৈরি করছি।
কি যে বলো বৌমা। তোমাকে অফিসে যেতে হবে! তোমার কত ব্যস্ততা। তুমি অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি নেও, আমি নাস্তা তৈরি করছি।
অনন্ত নিজের অফিসে যাওয়ার পথে দীপাবলীকে নতুন অফিসের সামনে নামিয়ে দেয়।
দীপাবলী Click This Link
দীপাবলী-০১ Click This Link
দীপাবলী-০২ Click This Link
দীপাবলী-০৩ Click This Link
দীপাবলী-০৪ Click This Link
দীপাবলী-০৫ Click This Link
দীপাবলী-০৬ Click This Link
দীপাবলী-০৭ Click This Link
দীপাবলী-০৮ Click This Link
২৫ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৩
রবিন.হুড বলেছেন: জ্বী জনাব। সামনে বই হিসেবে প্রকাশ করা পরিকল্পনা আছে যদি আপনারা চান?
২| ২৫ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১১
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: চমৎকার গল্প ।
২৬ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:১২
রবিন.হুড বলেছেন: আগের পর্বগুলো পড়ে পরামর্শ দিলে কৃতার্থ হবো।
৩| ২৬ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর।
২৬ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:১৪
রবিন.হুড বলেছেন: আমি সমরেশ মজুমদারের দীপাবলীকে রাস্তার মাঝখান থেকে পাশে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নেয়ার চেষ্টা করছি মাত্র।
৪| ২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২২
জটিল ভাই ২.০ বলেছেন:
শব্দচয়ন ভালো হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৪
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার নিজের লেখা? বই আকারে বের হয়েছে কি?