নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডানা মেলি মুক্ত আকাশে

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না

স্বাধীনচেতা একজন মানুষ আমি। জীবনের সব ক্ষেত্রেই যে আমি সফল হয়েছি, তা সত্যি নয়, তবে ব্যর্থ হওয়ার সংখ্যাও খুব বেশি নয়।

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনারা ব্রাজিল আর্জেন্টিনা নিয়ে চিৎকার করুন, হাসুন, গলা ছেড়ে গান গাইতে থাকুন, আর এরা ধুঁকে ধুঁকে মরুক.....

১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:০৪

আমি এটা বলতে চাইছিনা যে আপনারা বিশ্বকাপের উন্মাদনায় নাচলে এদের কোন ক্ষতি হবে। বলছি, তাদের কথা মাথায় একটু রাখুন, যাদের এসব খেলাধুলার জয়-পরাজয়ে কিছু আসে যায় না, যাদের জয় একমুঠো ভাতেই নিবদ্ধ, যারা তখন পরাজয়ের গ্লানি অনুভব করে, যখন একটুখানি তরকারীও জোগাড় হয় না। মেসি-কাকা তাদের স্পর্শও করে না।



এই ছবিটা আজকে আমি মিরপুর ১ নাম্বার সেকশন, মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তুলেছি......................................







বলুনতো শিশুটির কি হয়েছে? সে অমন করে পড়ে আছে কেন?











ভয় পাবেন না। শিশুটির কিছু হয় নি। শিশুটি ঘুমুচ্ছে। স্রেফ ঘুমুচ্ছে। একটুখানি শান্তির ঘুম, তারও জায়গা পায়নি বেচারা।



তার মা একটু সামনেই ভিক্ষা করছিল। আমি তাকে কিছু বলিনি, শুধু ক'টা টাকা তার হাতে গুঁজে দিয়েছি।



দয়া করে যে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে আর্জেন্টিনার একশ গজ লম্বা পতাকা বানাবেন, সেটা ওদের দিন। যে এক হাজার টাকা দিয়ে ব্রাজিলের একটা জার্সি কিনবেন, সেটা ওদের দিন। মেসি-কাকা আমাদের ভাত জোটাবে না।



N.B: আমি যে নিরপেক্ষ বা ফুটবল বিরোধী, তা কিন্তু না। আমার প্রোফাইল পিক দেখলেই বুঝতে পারবেন।

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +২৭/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:১০

নাফিজ মুনতাসির বলেছেন: +++++++

২| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:১১

জোকার৬৬৬ বলেছেন: আপনে কি করছেন? আমরা ৪ বছর পর পর মজা করি, আপনের মতো গলাবাজী করি না।

১০ টা টেকা দিছেন?


১টা টেকা??


আইছে মানবতার দেবদূত!

১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:১৬

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: ভাই আমি যে নিরপেক্ষ বা ফুটবল বিরোধী, তা কিন্তু না। আমার প্রোফাইল পিক দেখলেই বুঝতে পারবেন। বাচ্চাটাকে শুয়ে থাকতে দেখে হঠাৎ খুব খারাপ লেগেছিল। তখনই ঠিক করেছিলাম এই পোস্টটা দিবো...........................পকেটে বাসায় যাবার ভাড়া বাদে যা ছিলো দিয়ে দিয়েছি...........................নিজেকে মানবতার দেবদূত হিসেবে জানান দেবার কোন ইচ্ছে আমার নেই।

৩| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:১১

অভ্র ভাষা হোক উন্মুক্ত বলেছেন: হুম....কথা সত্য । আমরা আসলে বাড়াবাড়ি করি যেটা উচিৎ নয় ।

৪| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:১৬

অ্যামাটার বলেছেন: ভাই, নৌকা ফুটা হলে পানি সরানো সমাধান না। মেরামত করতে হবে। খোঁজ নিয়ে দেখেন, এই শিশুটাকে ফেলে ওঁর মা ভিক্ষে করছে, সে হয়ত একমাত্র পোষ্য না। হয়ত...আরও হালিখানেক অভুক্ত মুখের জন্য ও'র মা কে ভিক্ষা করতে হচ্ছে। তারপরও... ওর মা-বাবা খুব ভাল করেই জানত, অনাগত সন্তানের জন্য তারা দিতে পারবে না একটা সুন্দর পৃথিবী, বরঞ্চ যন্ত্রণাময় একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র। মানুষ যদি নিজের মূল্য নিজেই পশুর চেয়েও কমিয়ে দেয়, তখন মূল্য তো দিতেই হবে! নিষ্ঠুর হলেও সত্য।

এখন বলেন, দোষ টা কার? আপনার-আমার, সমাজের, বিত্তশালীদের, বিধাতার, শিশুটির?

১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:১৭

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: শিশুটার বাবা- মা কি করছে সেটা বড় কথা নয়। আমার এই পোস্টে শিশুটা মুখ্য নয়। মুখ্য শেষের অংশ টুকু।

৫| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:১৬

অদ্ভুত বলেছেন: আপনি তো দেখি ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করতেছেন...

১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:২১

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: আপনি যদি তাই মনে করে থাকেন তাহলে তাই..................কিন্তু আসলে আমি আমাদের বাড়াবাড়ি টা ZOOM করে দেখাতে এই পোস্ট টা দিয়েছি, ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল মনে করলে আমার কিছু করার নেই................

৬| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:১৭

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ++++

৭| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:২০

অদ্ভুত বলেছেন: আর আপনি কি জানেন অনেক ক্ষেত্রে এসব বাচ্চা ভাড়া দেয়া হয়? মা হয়তো অন্য বাসায় কাজ করে। শুধু ভিক্ষার জন্য ভাল মানুষের হাত পা ভেঙ্গে দেয়া হয়, কারন অচলরা বেশি ইনকাম করে।

১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:২২

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: ৪ নং কমেন্টের উত্তর দেখুন।

৮| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:২২

অ্যামাটার বলেছেন: হুম। এইবার আপত্তি করব।
"দয়া করে যে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে আর্জেন্টিনার একশ গজ লম্বা পতাকা বানাবেন, সেটা ওদের দিন। যে এক হাজার টাকা দিয়ে ব্রাজিলের একটা জার্সি কিনবেন, সেটা ওদের দিন। মেসি-কাকা আমাদের ভাত জোটাবে না।"---এটা ঠিক বলেন নি। সবকিছুই ভাতের বিনিময়ে হয় না। উচ্ছাস, ফুর্তি; এগুলো নিছক মানবীয় আবেগ। এত কমার্শিয়াল হলে যান্ত্রিক হয়ে যেতে হবে। শখের তোলা আশি টাকা।

১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:২৪

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: উচ্ছাসের মানে অপচয় নয়।

৯| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:২৫

ইসতিয়াক আহমদ আদনান বলেছেন: দুইটা প্রধান বিপক্ষ দল যদি না থাকত, তাহলে কেউ আর অন্যকে দেখানোর জন্য জার্সি, পতাকা কিনত না। আপনার পোষ্টটা ভাল হইছে, কিন্তু এটা দিয়ে মনে হয় না কারো মানসিকতার পরিবর্তন হবে। আমি নিজেও ব্রাজিলের জার্সি কেনার জন্য কিছুদিন দোকানে ঘুরছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিনতে পারি নাই। যদি সমস্যা না থাকত তাহলে মনে হয় কিনেই ফেলতাম, আপনার পোষ্টটা সে ক্ষেত্রে কোন বাঁধা হয়ে দাঁড়াতো না।

১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৩৪

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: আসলেই তাই।

নেটে সবারই নিশ্চয়ই বিদেশী বন্ধু আছে, তাই না? আপনারা এই কাজটা করে দেখেন তো। আমি আমার এক ইন্দোনেশিয়ান বন্ধুকে আমাদের দেশের ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ব্যাপারটা বলেছিলাম। সে অবাক! তার কথা হচ্ছে, একটা দেশের মানুষ প্রধানত দুইটা দলের সাপোর্টার হয় কিভাবে? যার যার নিজের পছন্দের দল থাকবে, এটাই তো স্বাভাবিক। আমি কোন উত্তর দিতে পারিনি, কারণ আমিও ব্রাজিল সাপোর্ট করি।

আমরা মনে হয় আসলেই বাইনারী ব্যাপার স্যাপার বেশি পছন্দ করি, নাহলে দুটো মাত্র রাজনৈতিক দল আমাদের ছিঁড়ে খুঁড়ে খাবে কেন?

১০| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:২৫

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: +++

১১| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:২৬

অদ্ভুত বলেছেন: অ্যামাটারের সাথে একমত

১২| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:২৬

সালমান খান বলেছেন: ভাই পৃথিবী কেঊ কারো না,এখানে মানবতার কথা বললে আপনাকে কালবাজারি বানানো হবে,তো ছেরে দিন না এসব,করে কি লাভ,,

১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৩৬

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: সেটাই তো দেখা যাচ্ছে.................

১৩| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৩২

অ্যামাটার বলেছেন: বেশ। আপনি যা আয় করেন, খয়রাত করতে শুরু করে দেন। আমি বিল গেটস্ না, হাজি মুহসিনও না। তাই পারব না। তবে হ্যাঁ, হাজি মুহসিন গিরি যদিওবা কেউ শুরুও করে, তো সে অনন্ত কাল করতেই থাকবে, অবস্থার কোনও পরিবর্ত হবেনা। বরং বসে থেকে সুখে খাওয়ার মজে তখন এইরকম একটা শিশুর জায়গায় ডজন এসে জুটবে। বিল গেটস্ কেন, পৃথিবীর তাবৎ ধনকুবেরও 'ভিক্ষামাঙা' কারও আশায় বসে থাকা, চেয়ে চিন্তে খাওয়া; এই শ্রেণীর মানুষের পেট ভরাতে পারবে না, কোনওদিন তৃপ্তও করতে পারবে না।

আর মানুষকে বসিয়ে খাওয়ানো, অর্থ সাহায্য করা; এটা সাহায্যকারীর উপকারের চাইতে অপকারই করা হয়। আমাদের মহানবীও এটা পরিহার করেছেন। ভিক্ষুককে আয়ের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি সমাধানের রাস্তা না বাতলে যদি এক-দু' বেলা পেট পুরে খাইয়ে দিতেন, টাহলে বোধহয় আপনার সংজ্ঞায় সেটা 'পরোপকার' বলে গণ্য হত।

১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৩৭

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: ভাই আপনি আগেই আমাকে প্লাস দিয়ে ফেলে (যদি আমার ধারণা সত্যি হয়ে থাকে) একটা বোকামি করে ফেলেছেন, নইলে এখন একটা মাইনাস দিতে পারতেন।

১৪| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৩২

গরীবের কথা বলেছেন: মুনতাসির ভাই, আপনার চিন্তা / সচেতনতা ঠিক আছে। একটু একটু করে সবারই অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসা উচিত। সীমিত আবেগ-অনুভূতি-ফূর্তির অবশ্যি দরকার আছে, তবে সেই সাথে অন্যের প্রতি কর্তব্যগুলোকেও মাথায় রাখা প্রয়োজন।

আর উপরে কিছু মানুষ যেসব শব্দ চয়ন করে মন্তব্য করলেন, তাতে কিছুটা হতাশ হয়ে গেলাম... :( অমিল, অমত, বা পারস্পারিক শ্রদ্ধার মানবিক গুণগুলো নাই হয়ে গেলে, আমাদের আর পশুর মাঝে কি কোন তফাৎ থাকে???

১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৩৮

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: আমিও হতাশ...............

১৫| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৩৪

শাহ জাহান মাহমুদ বলেছেন: ভক্তদের সামনে এইভাবে না বললে ও পারতেন । অন্য ভাবে পোষ্টটা দিতে পারতেন ।

তারপর ও আপনার আবেগকে সম্মান করি । আপনাদের মত কিছু লোক আছে বলে সমাজটা টিকে আছে ।

ধন্যবাদ ।

১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৪০

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: ভাই শেষ লাইনটা ভুল বলেছেন। এ সমাজের জন্য কখনও তেমন কিছু করেছি বলে মনে পড়ে না। শিশুটাকে দেখে খুব খারাপ লেগেছিল, আমাদের অপচয় আর বাড়াবাড়ির জন্য নিজেকে খুব ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করছিল, তাই এই পোস্টটার জন্ম।

১৬| ১৬ ই জুন, ২০১০ ভোর ৪:৩৩

অদ্ভুত বলেছেন: আমার সম্পর্কে আপনাদের ভুল ধারনা হচ্ছে তাই বলতে হচ্ছে।
আমি কখনই পতাকা/জার্সি বা এই টাইপের [অপচয় বলেন আর যা ই বলেন] কিছু করি না। আর বেশির ভাগ সময় আমার কাছ থেকে কেউ চেয়ে খালি হাতে ফেরত যায় না।

তাই বলে অন্য কাউকে বলি না যে আপনি এটা বাড়াবাড়ি করছেন। এভাবে টাকা খরচ না করে দান করেন বা যা ই হোক। আর এভাবে বলাটাও কিন্তু বেনানান। কষ্ট করে রোজগার করা টাকা দিয়ে তার যা খুশি করার অধিকার আছে। আর আপনার নাক গলানোটা অযোক্তিক।

১৬ ই জুন, ২০১০ ভোর ৪:৪৫

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: আমার অযৌক্তিক যুক্তির জন্য ক্ষমা চাইছি...............

১৭| ১৬ ই জুন, ২০১০ ভোর ৪:৪৫

মাহবুব অনির বলেছেন: ++++++ লেখক ও গরীবের কথার সাথে একমত।... শখের তোলা আশি টাকা।ভাই সৃষ্টিকর্তা আমাদের সম্পদ দিয়েছেন তাই আমাদের শখ আছে।আর ছবির সেই মানুষ গুলোর কি শখ নেই ।তাদের কথাও ভাবেন তারাও আমাদের মানুষ।

১৬ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৫৫

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: হুম..............তারাও আমাদের মতোই মানুষ.............

১৮| ১৬ ই জুন, ২০১০ ভোর ৫:০১

ব্লগ ধামাকা বলেছেন: আম্যাটারের কমেন্ট পইরা আমি অবাক হইলাম।উনার নিকটা হ্যাক হয় নাইতো?

আম্যাটার ভাই একটা কথা কয়,স্বীকার করি লেখকের আবেগ বেশী হয়েছে।তবে এইভাবে একটা শিশুকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখলে আবেগী না হয়ে পারা যায়না।


ভাই, নৌকা ফুটা হলে পানি সরানো সমাধান না। মেরামত করতে হবে। খোঁজ নিয়ে দেখেন, এই শিশুটাকে ফেলে ওঁর মা ভিক্ষে করছে, সে হয়ত একমাত্র পোষ্য না। হয়ত...আরও হালিখানেক অভুক্ত মুখের জন্য ও'র মা কে ভিক্ষা করতে হচ্ছে। তারপরও... ওর মা-বাবা খুব ভাল করেই জানত, অনাগত সন্তানের জন্য তারা দিতে পারবে না একটা সুন্দর পৃথিবী, বরঞ্চ যন্ত্রণাময় একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র। মানুষ যদি নিজের মূল্য নিজেই পশুর চেয়েও কমিয়ে দেয়, তখন মূল্য তো দিতেই হবে! নিষ্ঠুর হলেও সত্য।

এখন বলেন, দোষ টা কার? আপনার-আমার, সমাজের, বিত্তশালীদের, বিধাতার, শিশুটির?


নৌকা ফুটু হলে পানি সরিয়েই মেরামত করতে হবে।পানি যদি না সরান মেরামত করবেন কি করে?রাষ্ট্র যদি জনগনের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে কখনোই হালি হালি সন্তান জম্ম দেওয়া বন্ধ হবেনা।রাষ্ট্র যেখানে করাপট সেখানে এই ভাবেই চলবে এগিয়ে আসতে হবে সাধরন পাবলিকদের।সাধ্য অনুযায়ী একজন আরেকজনের পাশে দাড়াতে হবে।

বিশ্বকাপের খুশির চাইতে দেশের একটি শিশুর মুখে হাসি ফুটানোটাই বড় খুশি।

১৬ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৫৬

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: শিশুর মুখের হাসি..............বড় খুশি.............একদম ঠিক

১৯| ১৬ ই জুন, ২০১০ ভোর ৬:৪৪

কালীদাস বলেছেন: লেখাটা নিঃসন্দেহে হৃদয়ছোঁয়া।

আমরা যে পরিমান অপচয় করি বিভিন্ন ক্ষেত্রে তা দিয়ে অনায়াসে কয়েকটা পরিবার চালানো সম্ভব (একজনের করা অপচয়ের টাকা থেকেই)।

তারপরও, একটা কথা কিন্তু সত্য ঢাকা শহরে বেশ কিছু ভিক্ষুক আছে, যারা আসলেই প্রফেশনাল, যাদের জন্য উপরে কয়েকজন কিছু শক্ত কথা বলতে পেরেছে। এই মুষ্টিমেয় প্রফেশনালদের জন্য সত্যি যাদের সাহায্য দরকার তারা যেন বঞ্চিত না হয়!

১৬ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০২

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ।

যারা এই বাড়তি খরচ/অপচয় টুকু করছে, তারা যে জীবনের সঞ্চিত সম্পদ থেকে করছে তা কিন্তু না। এ টাকা টা আসছে তাদের মানিব্যাগ থেকেই, সিম্পলি হাত খরচ থেকে। আমার কষ্টার্জিত আয় আমি খয়রাত করতে না চাইলে করবো না, দ্যাটস ফাইন, কিন্তু দলের সমর্থনের জন্য একশো গজ লম্বা পতাকা কেনার দরকার কি? এত লম্বা পতাকা যে শুধু অপচয় তাই নয়, এগুলো তৈরির সময়ও দেশগুলোর সত্যিকার পতাকার সাথে কোন মিল থাকে না.........তো দরকারটা কি? ছোট খাট পতাকা কিনলেই হয়।

এই মুষ্টিমেয় প্রফেশনালদের জন্য সত্যি যাদের সাহায্য দরকার তারা যেন বঞ্চিত না হয়

২০| ১৬ ই জুন, ২০১০ সকাল ৭:৫৮

অনিমেষ হৃদয় বলেছেন: নকল ভিক্ষুকের পাশাপাশি আসল ভিক্ষুক, যে অনেক দুঃখ-কষ্টে আছে, এমনও তো অভাব নেই। কিন্তু আমার মতে, প্রিয় দল নিয়ে মাতামাতি ও তার সাথে সম্পর্কিত খরচকে এভাবে দেখলে তার আগে আরো অনেক ক্ষতিকর অপচয় বন্ধ করা উচিত। সিগারেটের পেছনে যে পরিমান খরচ করি, তা পতাকার তুলনায় কিছুই না। আর আমরা শখ করে জামা-কাপড় কিনি, জার্সিও তার বাইরে না। গার্লফ্রেণ্ডের পেছনে মাসে হাজার ৪-৫ খরচ করেন, এমন লোকেরও অভাব নেই। কিছুদিন পরপর নতুন জামাকাপড়, বন্ধুদের নিয়ে খানাপিনা, দুইদিন পরপরই কম্পিউটার গেম কেনা- এভাবে কিন্তু আমরা প্রচুর খরচ করি, এবং আমার মতে সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপচয়ের মধ্যে পড়ে। ফুটবল এরকম অনেক কিছুর মতোই একটা সুস্থ বিনোদন। কেউ বলবেনা আমার ছেলে ফুটবল দেখে খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু আমার ছেলেতা আড্ডাবাজ, সারাদিন গেম খেলে, রাতেরবেলা ফোন বিজি থাকে, এগুলো অনেক বড় অভিযোগ। আমার মতে পার্থক্যটা এখানেই, ফুটবলের সার্বজনীন ভাবটার কারণে এই পরোক্ষ খরচটা অপচয় হিসেবে চোখে লাগছে। এইসব ভিক্ষুক, না খেতে পাওয়া মানুষেরা চার বছর আগেও ছিলো, থাকবে। ঈদের সময়ও কিন্তু আমরা ওদের যতোটুকু না করলেই নয়, ততোটুকুই সাহায্য করি, তারপর নিজেরা আনন্দে মেতে থাকি। ১০-১৫ হাজার টাকা একদিনে উড়াই। ফুটবলে নিয়ে বলতে হলে সেসবও আগে বলতে হবে...তবে আপনার লেখার আন্তরিকতা অবশ্যই ভাবায়। তাই প্লাস।

১৬ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১৩

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: সিগারেটের নেশা দূর করবে মানুষ একদিনে, এটা প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার। সিগারেট খাবেন না - একথা বলবো না, একথা অনর্গল বলে যাচ্ছে দেশের বড় বড় এনজিও, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিজ্ঞাপন সবাই।

গার্লফ্রেন্ড আপনার ভবিষ্যৎ জীবনসাথী, তার জন্য আপনি খরচ করতেই পারেন, যদি আপনার সেরকম সামর্থ্য থাকে (কিছু মনে করবেন না, আমি অ্যাকচুয়ালি আপনাকে বলছি না, এটা উদাহরণ জাস্ট)। আমি তো এই খরচ বন্ধ করতেও বলিনি। কিন্তু কাকার আপনি কোন সম্পর্কের ভাতিজা হন বা মেসি আপনার কবেকার ভাগ্নে হয় যে আপনি তাদের ভালবেসে এই পরিমাণ (খরচের অংকগুলো আক্ষরিক অর্থেই অবিশ্বাস্য) খরচ করবেন?..........শখের তোলা আশি টাকা, কিন্তু সীমা থাকা কি উচিত নয়?

বন্ধুদের নিয়ে অহেতুক খানাপিনা করার বদঅভ্যাস অনেকেরই আছে, তবে বেশিভাগ ক্ষেত্রেই বিরাট পয়সাওয়ালা বাবার সন্তানেরাই এই কাজটা করে। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। বললে কোন লাভ হবে না। কিন্তু সম্মানিত ব্লগার ভাইরা নিশ্চয়ই ততটুকু বিবেক বুদ্ধি রাখেন।

২১| ১৬ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৪১

রাজসোহান বলেছেন: !!!

১৬ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১৭

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: আসলেই বিস্ময়কর........................

অট: রাজসোহান ভাই আরো আগে আসলেন না ক্যান? প্রথম স্থানটা তো দখল হয়া গেছে আগেই.................

২২| ১৬ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৫৯

নীল_পদ্ম বলেছেন: আপনি ভিক্ষাবৃত্তি উৎসাহিত করেছেন। বাংলাদেশে ভিক্ষা করার মত লোক নাই। গ্রামেও খোঁজ নিয়ে দেখেন ২০০ টাকা একদিন, কাজের লোক পাবেন না।

২৩| ১৬ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১৯

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: দয়া করে ব্লগ ধামাকা ভাইয়ের কমেন্টটা পড়ুন..........

২৪| ১৬ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৩৭

মাতব্বর বলেছেন: আপনি কি জানেন ঐ সব শিশু গুলোকে ঔষধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঐ সব শিশু গুলোর মা গুলোও আসল মা নয়। এরা আপনার আমার আবেগ নিয়ে ব্যাবসা করে।

আমি গাবতলীতে দেখেছি ছোট ছোট বাচ্চা বসিয়ে রেখে মহিলাদের মেশিনে ইট ভাঙতে, আর বাচ্চা গুলো ইট নিয়ে খেলা করে :(

আমার বরং এই সকল বাচ্চাগুলোর জন্য খারাপ লাগে....

১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ১১:৩৯

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: ভাই আবারও বলছি, বাচ্চাটা কে, তার মা টাই বা কে, কোত্থেকে এসেছে, আসল না নকল এগুলো ফ্যাক্ট না, ফ্যাক্ট হচ্ছে পোস্টের শেষের অংশটুকু............আমার পকেটে বাসায় যাওয়ার ভাড়া (৪ টাকা) বাদে খুচরা ভাংতি মিলিয়ে দশ - পনের টাকার মতো ছিল, সেটা দিয়ে দিয়েছিলাম। কদিন ধরে আমি নিজেও ভাবছিলাম, ব্রাজিলের একটা ছোটখাট পতাকা কিনবো। টাকা জমাব ভাবছিলাম, কিন্তু হয়ে ওঠেনি। যদি জমাতাম, আর যদি তখন সেটা মানিব্যাগে থাকত, তাহলে ঐ টাকাটাও দিয়ে দিতাম। কষ্ট এখানেই, যারা বিশাল পতাকা বানাচ্ছে, তাদের মতো টাকা আমার নেই বলে দিতে পারছি না, কিন্তু যাদের আছে, তারা কেন দেয় না?

২৫| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:০৯

নুভান বলেছেন: মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। ফেইসবুকে শেয়ার দিলাম, আপনার অনুমতি না নিয়েই।

১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ১১:৩৬

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: It's Ok

২৬| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:৩৫

বাঙ্গাল বলেছেন: আমিও

২৭| ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৯:৪৯

বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: +++++++++

:(

২৮| ১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:০৯

অনিমেষ হৃদয় বলেছেন: বিরাট পয়সাওয়ালারা বন্ধুবান্ধব নিয়ে খানাপিনা করে টাকা উড়িয়ে শখ মেটায়। কিন্তু যাদের সে সামর্থ্য নেই, তারা যদি প্রিয় দলের পতাকা উড়িয়ে শখ মেটান, আমি খুব বেশী দোষ দেখিনা। আর আমার কিন্তু মনে হয়না সবাই প্রিয় দলের পেছনে 'অবিশ্বাস্য' পরিমাণ খরচ করেন।আমি নিজে একটা জার্সি কিনেছি ও মাঝারী সাইজের পতাকা কিনেছি। হাজার খানেকের বেশি খরচ পড়েনি। বিনয়ের সাথেই বলছি, আমি কিন্তু সাধারণত সামর্থ্য থাকলে কোনো ভিক্ষুককে কিছু না দিয়ে থাকিনা। আর গার্লফ্রেন্ডের পেছনে খরচ করি ঠিক আছে (আমি নিজেও কম করিনা ;) ), কিন্তু সেখান থেকে ওইসব হতভাগাদের কিছু হলেও দেয়ার প্রশ্ন যখন ওঠেনা, তখন প্রিয় দলকে ভালোবেসে সে তুলনায় নগণ্য খরচ করলে কেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে? তারওপর চার বছর পরপর? আর সবাই যে গার্লফ্রেন্ডের পেছনে, বন্ধু-বান্ধবের পেছনে, সিগারেটের পেছনে টাকা খরচ করে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন, সেটাতো হতে পারে না। সিগারেট খাওয়া কারো নেশা হলে ফুটবল দেখাও নেশা হতে পারে।

তবে আমি নিজেও অনেক বাড়াবড়ি সাপোর্ট করিনা। কিন্তু আমি তখনি এসব নিয়ে ভাববো, যখন অন্য সব অপচয় বন্ধ করে, তাদের হক নষ্ট করে পতাকা টাঙ্গাবো। চার বছর পরপর হঠাৎ তাদের প্রতি এভাবে সদয় হওয়াটা আমার কাছে খুব বেশি যৌক্তিক মনে হয় না। এবং সবচেয়ে বড় কথা, শখের তোলা আশি টাকা। ১০০০ টাকায়ও জামা পাওয়া যায়, ৫০০০ টাকায়ও পাওয়া যায়। তোলা আশি টাকা টাকা বলেই সেটার নাম শখ।

বিশ্বকাপের একটা পতাকা কেনার চেয়ে দেশের একটা শিশুর মুখে হাসি ফোটানো অবশ্যই অনেক বড়, কিন্তু এই হাসিটা তো আমরা চার বছরই ফোটাতে পারি, তাইনা? বিশ্বকাপের সময়ই শুধু এ হাসির দরকার কি?

তবে অনেক মানুষ মিলে টাকা দিয়ে অনেক বড় বড় পতাকা কেনাটা হয়তো কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, এরকমই অনেক তরুণ চাঁদা তুলে দুস্থদের পাশে দাঁড়ায়, বন্যা, সিডরের সময় ত্রাণককাজে প্রাণপনে সাহায্য করে।

সায়নের একটা গান আছে, 'এক চোখ দিয়ে দেখোনা বাঙ্গালী দু চোখ দিয়েই দেখো।' আমি, আপনি, আমাদের সবারই বোধহয় সেটাই করা উচিত।

১৭ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৮

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: এক চোখ দিয়ে দেখোনা বাঙ্গালী দু চোখ দিয়েই দেখো।

অসাধারণ.............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.