নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ...একটু লিখতে ভালোবাসি...এই যা...ব্লগে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক...তবে সা হো স এটাই আমার পুরো নামের সংক্ষেপ। \n\nসবার ব্লগিং হোক সুন্দর ও আনন্দময়।

গুরুর শিষ্য

একজন অতি সাধারণ মানুষ

গুরুর শিষ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

রান্নাটা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জানা উচিত...

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:৩০

রান্নাটা জীবনের অপরিহার্য একটি কাজ। এটা নিঃসন্দেহে একটা শিল্প-কর্ম। এ কাজটা লিঙ্গভেদে নারী-পুরুষ সবার পারা উচিত। যদিও আমাদের পুরুষালি সমাজ এটাকে ভিন্ন চোখে দেখেন। রাঁধতে পারেন এমন পুরুষের যেমন কদর আছে তেমনি তিরস্কারও শুনতে হয়। মা-খালা-চাচীরা যতই অসুস্থ হোক রান্নাটা তাদের করতেই হবে...সংসারে পুরুষ তাদের একটা পেঁয়াজ কেটেও সাহায্য করবে না...এটাই রীতি..

তবে এটা অধর্ম...এ কথা শুনে সবাই ক্ষেপে উঠতে পারে তবে এটা সত্য...রেফারেন্স আছে...রাসুল (সা.) শ্রান্ত-ক্লান্ত-ক্ষুধার্ত অবস্থায় বাসায় ফিরে যদি দেখতেন রান্না হয়নি অমনি তিনি রান্নার কাজে সহযোগিতা করতেন মোটেই বিরক্ত হতেননা বা তিরস্কার করতেন না...মহাপুরুষ সহায়তা করতেন রান্নার কাজে...অথচ আমরা তার সবকাজকেই সুন্নত বলে মানার চেষ্টা করি...তবে রান্না বা গৃহস্থালির কাজে ওই সুন্নত পালন করতে আমরা অনাগ্রহী...

রান্না জিনিসটা পারিবারিকভাবেই অন্যসব কাজের সঙ্গে সন্তানদের শিক্ষা দেয়া উচিত বলেও মনে করি...এ শিক্ষার কোন সামাজিক দায়বদ্ধতা রাখা হয়নি...ঘরকন্নার একটা সাবজেক্ট রাখা হয়েছে তাও নারীদের জন্য...এটাকে বিজ্ঞদের বৈষম্য বলবো তারা এ কাজটির কথা চিন্তা করেননি...

রান্নাটা সবাই জানলে নারী-পুরুষের বৈষম্যটাও অনেকটা লাঘব হত...দুজনেই বাইরে কাজ করে এসে একজন ঘরে বিশ্রাম নেবে আর একজন আবার কাজ শুরু করবে এটা কি সামাজিক বৈষম্য নয়?

যদিও আমার নিজের রান্নার কোন শ্রী নেই তারপরও আমার মনে হয়...নারী-পুরুষ উভয়েরই রান্না জানা প্রয়োজন...ওয়ান টু এইট যদি শ্রেণিশিক্ষাতে এটা অন্তর্ভুক্ত থাকতো তাহলে বোধকরি তা সমাজের জন্য তা অপার মঙ্গলই বয়ে আনতো...স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসার সম্পর্কটা আরো সুমধুর হত যা মানবতার জন্য কল্যাণকর...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.