নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ...একটু লিখতে ভালোবাসি...এই যা...ব্লগে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক...তবে সা হো স এটাই আমার পুরো নামের সংক্ষেপ। \n\nসবার ব্লগিং হোক সুন্দর ও আনন্দময়।

গুরুর শিষ্য

একজন অতি সাধারণ মানুষ

গুরুর শিষ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম প্রেমের স্মৃতি আজও ভুলিনি…

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০



জীবনে যার প্রেম বা প্রেমানুভূতি আসেনি সে মানুষকে আর যাই হোক মানুষ বলা চলে না। মানুষের আদি পিতাও তার একাকিত্ব ঘুচানোর জন্য ব্যাকুল হয়েছিলেন…ফলশ্রুতিতে চিরো সুখের বেহেশতে তাঁকে তাঁর সঙ্গীনি দিতে হয়েছিল সৃষ্টির স্রষ্টাকে…

সে যাহোক জ্বরাক্রান্ত শরীর নিয়ে শুয়ে বসে দিন কাটাতে হচ্ছে। কর্মস্থলে যাওয়া হয়নি। আর অলস মস্তিষ্কে শয়তানি শুরু হয় ভাবনার পর ভাবনা আসে...আজ এমন এক ভাবনাই দুর্ভাবনার মত মনে এল…মনটাকে নাড়া দিল…মনে পড়ে গেল সেই শ্যামবরণ মানুষটাকে…

ওটা ঘটেছিল বাল্যেই অনেকটা মনের অজান্তেই। তখনো প্রাথমিকের গণ্ডি পেরুনো হয় নি। এর মধ্যে প্রেমানুভূতির সৃষ্টি হয়…সে ক্যামন ছিল আজ তার বিস্তারিত মনে নেই…কেবল এটুকু মনে আছে সে বয়সে এবং ক্লাসে আমার থেকে বড় ছিল…শ্যামবরণ ছিল…নাম ছিল ‘আশা’। আসলে আমাদের দু’জনের মাঝে বাল্যেই একটু আলাদা সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল এটা আমরাও ঠিক একটা বুঝে উঠতে পারিনি…দুজনে পাশাপাশি খেলতে ভাল লাগতো…মিশতে ভাল লাগতো…

আমাদের বিষয়টা খেয়াল করেছিল দীপু মাসি...ঊনি তখন হাইস্কুলে পড়তেন কি না! যাহোক দীপু মাসি(আন্টি) নরেনদার মেয়ে ছিল…নরেন দার তিন মেয়ে দীপু, দীপালি আর শেফালি…তবে শেফালি মাসি রোগাক্রান্ত হয়ে আমাদের চোখের সামনেই মারা যায়… নরেন দা’র আবার দুটো সংসার ছিল; সুন্দরী বৌদি আর বুলবুলি বৌদি…যাহোক নরেন দা’র অপরিকল্পিত পরিবারের আলোচনায় গেলে নিজের কথা বলা হবে না…

আসল কথা হল আশা; আশারা রংপুরে থাকতো ওরা আমাদের এলাকায় বোধকরি মামা বাড়ি বেড়াতে এসেছিল…তখনই ওর সঙ্গে গাঢ় বন্ধুত্ব হয়…যাকে বাল্যপ্রেম বললে ভুল হবে না আর ওটাই প্রথম প্রেম ছিল সন্দেহ নেই…আশা এলাকায় আসায় আমার বেশ পরিবর্তন এসেছিল বেশ গুছিয়ে চলতাম অসময়ে ভাল পোশাক, জুতা, স্যান্ডেল পড়তাম একথায় পরিপাটি থাকতাম…এসব কিছুই দীপু মাসি খেয়াল করতো…তখনো দল বেঁধে টিভিতে আলিফ লায়লা দেখতাম আমি আর আশা এক বালিশে মাথা রেখে টিভি দেখতাম…এটা দীপু মাসি সবাইকে দেখাতো…লুকোচুরি খেলার সময়ও আমাদের একটু বেশি মিল ছিল…সবাই সেটাকে প্রেম হিসেবেই ধরে নিয়েছিল; যা একেবারে ভুল নয়…

একদিন আশারা চলে গেল। ভাবলাম ভবিষ্যতে দেখা হবে মিলনও হবে…তবে যখন হাইস্কুলে উঠলাম আশাও কিছুটা বড় হল এসএসসি বোধহয় দেয়নি তখনি ওর বিয়ে দেয় পরিবার। শুনে হতাশ হলাম সারাজীবনের জন্য।

এরপর নিজে যখন হাইস্কুল পেরুচ্ছিলাম তখন কলেজ পড়ুয়া এক আত্মীয়াকে বাংলা হাতের লেখা খারাপ বিধায় ইংরেজিতে একখানা চিঠি লেখলাম…ওটা লটারির লাভ লেটার ছিল…মানে লটারি করেছিলাম যে, আশার পর কেউ আসে কি না…ওমা সে রাজি হয়েছিল!
আকাশ ভেঙ্গে মাথায় পড়েছিল একটা বয়সী মেয়ে কি না…যাহোক ও অ্যাকসেপ্ট করার পর আমি রিজেক্ট করলাম…যা খুশি তাই বলে গালিগালাজ করেছিল…প্রেমের ফাজলেমি করার সাধ জন্মের তরে মিটে যায়…এ নিয়ে পারিবারিক গোলযোগও হয়…অবশ্য পরে তা থেমে যায়…

এরপর কলেজ জীবনে বাল্যবন্ধু দেবাশীষ একটা রং নম্বরে লিঙ্ক লাগিয়ে দেয়…যার ফাঁদ থেকে বহু কষ্টে বের হই…
এভাবেই জীবন কাটছে প্রাকটিক্যাল ভালবাসাটা আর হলো না… জীবনের আড়াই যুগ যখন পেরিয়ে যাচ্ছে তখন একজনকে বিবাহের প্রস্তাব দিলাম আর রিজেক্ট খাইলাম…

আমার নানী সেদিন ফোনে বললো; একটা প্রেম করা যায় না…তোর জন্য বউ খুঁজবে কে? কি করে বোঝাই তাকে সব কাজ সবার দ্বারা হয় না…ওটা আমার কম্ম না। কোনদিন প্রকৃত প্রেম হয় নি…হবেও না…

তাইতো ভেবেছি অকৃতদারই রইবো…আর যাকে গুরু মানি সেও একজন অকৃতদার (যে বিয়ে করেনি) ব্যক্তিই বটে!
তারপরও প্রথম প্রেমের স্মৃতি কি ভোলা যায়…‘আশা ছিল ভালোবাসা ছিল…আজ আশা নেই ভালোবাসা নেই…’

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.