![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরকীয়া এখন একটা সামাজিক বেরাম এটা এখন অস্বীকার করার উপায় নেই।আজ এমনই একটি বিষয় প্রত্যক্ষভাবে দেখার সুযোগ হল।
সকাল ১১ টায় অফিসে যেতে হবে আর বের হলাম ১০ টার পরে। কারওয়ান বাজার টু রামপুরা ব্রিজ মাইক্রো চলে এই সুবাদেই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। তবে বাংলা মোটর যেতেই দেখি ওপারে যাওয়া নিষেধ ভিআইপি যাবে। তাড়াহুড়া করে যেদিক দিয়ে হাঁটা যায় সেদিকেই গিয়ে কারওয়ান বাজার পৌঁছলাম এরপর একটা মাইক্রোতে উঠলাম...যা ভর্তি হওয়ার পরে শুনলাম মাইক্রো সমানে আটকাচ্ছে পুলিশ তাই মাইক্রো আর যাবে না...নিরুপায় হয়ে নেমে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি সাড়ে ১০ ছাড়িয়েছে সময়...কয়েকজন দাঁড়িয়ে থেকে একটা সিএনজি নিয়ে গেলাম মেরুলের কোণা পর্যন্ত। ওপাশেও জ্যাম ছিল তাই ভদ্রলোকের মত হাঁটা দিলাম বাড্ডা বরাবর।
দুর্গন্ধময় ডাস্টবিন পেরিয়ে কিছুটা এগিয়ে একটা ডাচ বাংলার এটিএম বুথ আছে পাশে মসজিদ (সম্ভবত আন নূর জামে মসজিদ); সেখানে দেখলাম একজন পুরুষ আর নারীর খুনসুটি চলছে। কিছু দূর এগিয়ে যেতে দেখি ওই নারী হাতে থাকা ছোট্ট অথচ শক্ত পার্স দিয়ে পুরুষটাকে মার দিলেন। আমি ভাবলাম স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার! একটু এগিয়ে গিয়ে ফিরে চাইলাম এবার দেখি হিল খুলে মার চলছে। পুরুষটাও পেটাতে উদ্যত তাকে থামালাম কয়েকজন মিলে। নারীটা বলছিল; ওরে ধরেন ও আমারে প্রতিদিন ডিস্টার্ব করে। তবে পুরুষটি তাৎক্ষণিক জবাব দিল ওর লগে আমার সম্পর্ক আছে। পাশের এক মুরুব্বি জিজ্ঞেস করলেন, কি সম্পর্ক পুরুষটা আর জবাব দেয় না। তবে তাদের দু’জনের চোখা-চোখি হল খেয়াল করলাম।
এরপর ওই নারী আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ধরেন ওরে ও আমারে প্রতিদিন ডিস্টার্ব করে, আমার বাচ্চা স্কুলে আছে, আমি বাচ্চা নিয়া আসি আর অয় ডিস্টার্ব করে। আমি মিনমিনিয়ে বললাম কেসটা পরকীয়া মনে হয়। আমার পাশের লোকটিও কিছুটা নিবৃত হল। এই সময় ওই নারী আবারো মার শুরু করলেন। মারের চোটে ওই পুরুষের মাথা থেকে রক্ত বের হতে আরম্ভ করলো।
এবার ফোন দিয়ে ওই নারী নিজের স্বামীকে বললেন; যে ব্যাডা আমারে প্রতিদিন ফোনে ডিস্টার্ব করে তারে আটকাইছি তুমি কই?
লোকটির অবস্থা দেখে বুঝলাম ফাঁদে পড়ে গেছে...। তবে অবস্থা বেগতিক দেখে মারলো দৌড়...আর এইতো পাবলিকের জন্য বড় প্রমাণ ধর ধর কইতেই ধরা মারা শুরু...।
এদিকে ওই নারীর মুখে বিজয়ের চিহ্ন। আমি আর দৌড় দেই নাই। বুঝলাম ওর হালাল স্বামী আসবে (যার সন্তানের মা সে) পুলিশ আসবে ফাঁসবে সেই ব্যাটা। পরের বউ নিয়া পরকীয়া প্রেমের সাজা এবার শালায় পাবে।
একটু এগিয়ে ঘটনা দেখলাম বালুর মাঠের গলিতে (যেখানে বিডি জবস এর একটা সাইনবোর্ড আছে) পাবলিকে ওই লোককে পিটিয়ে ফেলে রেখেছে। এক ট্রাফিক পুলিশ এসে ওই নারীকে ডাকলো; আপনার আসামিরে পাবলিক ধরছে। মহিলা ওদিকে এগিয়ে গেল।
আমিও অফিসের দিকে হাঁটা দিলাম। ভাবলাম; ওই নারী লোকসানের ধারে কাছে নেই...স্বামী থাকবে সন্তান থাকবে আর এরকম দুই চারটা পরস্ত্রী পাগল পুরুষ (যারা ফোন কিনলে নোকিয়া আর প্রেম করলে পরকীয়র ধান্দা করে) আসবে যাবে...আর বাড়াবাড়ি করলে সেন্টিমেন্ট সমাজ সবই ওই নারীর পক্ষে। শেষে নারী নিপীড়ন বা নির্যাতনের মামলায় লাল দালানের ভাতও কপালে জুটতে পারে...এসব অতি চতুর পুরুষ সমাজের কীট এদের সাজা হওয়াই ভালো...
সেদিন এক খবরে পড়লাম ইডেনের এক মেয়ে তার ২৪ প্রেমিকাকে রমনায় হাজির করেছে। মেয়েটাকে স্যালুট ৩২ জনকে ডেকে ২৪ জনকে পেয়েছে। এই কুলাঙ্গার গুলো চলার পথে ওই মেয়েটাকে বিব্রত করেছে। মেয়েটাকে আমি কোনো দোষ দেই না। সব দোষ ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাগুলোর।
[বি. দ্র : একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ঘটনাটা আমার কাছে এমনই মনে হয়েছে। তবে বিষয়টা যদি অন্যরকম হয় তবে আমার অনুমান ভুল। তবে অনুভূতিটুকু লিখে দিলাম]
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১০
গুরুর শিষ্য বলেছেন: আমি দুইটা নোকিয়া চালাই ওটা কথার কথা...
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এইয়া ও পরকিয়ার কাহিনী মনে হইলোনা, লেডিটিজিং এর কাহিনী মনে হইলো। পরকিয়ার ব্যাপারে আমার মতামত্ত হইলো এই স্বভাবটা নারী পুরুষের মধ্যে থাকবেই, অনর্থক অন্যদিকের আকর্ষন বাদ দিয়া সুস্থ্য সুন্দর জীবন পার করাই ভালো।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৩
গুরুর শিষ্য বলেছেন: আমার চোখ বোধহয় ধোকা খায়নি...কারণ এর আগেও এমন একটা ঘটনা দেখেছিলাম...বাচ্চার স্কুল ছেড়ে রাস্তায় ও দু’জনের কাছে দু’জনের পরিচিত হওয়ার ভঙ্গিটা অস্বাভাবিক...তবে আপনার সঙ্গে একমত- “এই স্বভাবটা নারী পুরুষের মধ্যে থাকবেই, অনর্থক অন্যদিকের আকর্ষন বাদ দিয়া সুস্থ্য সুন্দর জীবন পার করাই ভালো।”
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২
টু-ইমদাদ বলেছেন: আমাদের সময় একটা প্রবাদ ছিল- সেট কিনলে নোকিয়া, প্রেম করলে পরকীয়। তাই কি বুঝাতে যাচ্ছে @আরণ্যক রাখাল ভ্রাতা।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২২
গুরুর শিষ্য বলেছেন: জ্বি ভ্রাতাশ্রী..
৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৪
প্রামানিক বলেছেন: এমনো কিছু ঘটনা আছে মহিলা ছিনতাই কারীরা যারে তারে রাস্তায় ইভটিজিং করেছে বলে জুতা পেটা করে টাকা পয়সা আদায় করে। কাজেই কোনটা আসল কোনটা নকল বোঝা মুশকিল। ওই মহিলার স্বামীও দেখা যাবে ওই লাইনেরই। বউকে দিয়ে এরকম পুরুষকে ফাঁদে ফেলে ইনকাম করে খায়।
৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
হামিদ আহসান বলেছেন: ফোন কিনলে নকিয়া ........
৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যেমন কুকুর তেমন মুগুর!
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমিও নকিয়া চালাই রে ভাই!