![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘনিষ্ঠ বন্ধু এমনকি শত্রু পর্যন্ত আমার সম্পর্কে যে বিষয়টা বলবে না সেটা হলো; আমি বিড়ি খাই! তবে একনিষ্ঠ বিড়িখোরদের দলে থেকেও তাদের সঙ্গে ওই কাজটা আমার করা হয়ে ওঠেনি। তাই বন্ধুদের মধ্যে অধূমপায়ীদের তালিকায় আমার নাম আছে। তারপরও বাস্তবতা হলো একসময় বিড়ি খেতাম। পড়ার টেবিলে বসে বিড়ি খেতাম বন্ধু স্বজন কেন কাকপক্ষীও বিষয়টা টের পেতো না।নাক দিয়ে বিড়িও ধোয়া বের করাটা যেন একটা বড় কৃতিত্ব ছিলো। বিড়ি কেনার টাকা পকেটে না থাকলে পাতার বিড়িও বানিয়ে খেয়েছি। তবে তখন স্কুল জীবন ছিলো। বিড়িও টানতো নারীও টানতো (সেই বাল্যেই!)
এখন দু’টোর একটাও টানে না। দু’টোর একটা নিয়েও খুব একটা চিন্তার উদ্রেক হয়না। আর মাঝে মাঝে বাসার রুমপার্টিতে বিশেষ দিবসে (বৈশাখে/থার্টি ফার্স্টে) যে বিয়ারের আসর বসে তাতেও আগ্রহ নেই।
তবে গতকাল নন-অ্যালকোহলিক বিয়ার খেলাম অফিসে। তাও খাওয়ার আগে অফিসের হুজুরকে জিজ্ঞেস করলাম; বললেন আমি নন-অ্যালকোহলিক লেখা দেইখ্যা খাইছি। আপনারটা না খাইলে আমারে দেন।
ফতোয়ার গুরু অর্থ বুঝে পান করলাম।
তবে ইদানিং একটা নেশা (বলতে গেলে) করি তা হল বাইরে থেকে শিমের বিচি কিনে এনে খাওয়া। ওটার শব্দে বাসার লোকেরা ঘুমে থাকলেও জেগে ওঠে। আর জেগে থাকলে বিরক্ত হয়। যা এখন তাদেরও গা সওয়া হয়ে গেছে। ভাবছি নতুন কিছু শুরু করতে হবে যা সইতেও পারবে না কইতেও পারবে না!!!
তবে গুরুর মতো নিষ্ঠাবান বিড়িখোর হইতে পারলাম না। গুরু একনিষ্ঠ বিড়িখোর ছিলেন নিজের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের কাছেও বিড়ি কিনে নিয়ে খেয়েছিলেন। বাস্তবতা গুরু-শিষ্য সমান নয়।
এখন নারী পুরুষ সকলেই ওটা টানে। নারীরটা নতুন ব্যাপার না কারণ; গ্রামে অনেক নানী-দাদীকে পাতার বিড়ি টানতে দেখেছি। তবে ওভার মর্ডান তথা কথিত প্রগতিশীলরা মনে করে ওসব (টান এবং পান) একটু আধটু না খেলে জীবনের সার্থকতা নেই। তাদের সাথে কোনোদিনও একমত হবো না...কথাও বলবো না...
©somewhere in net ltd.