নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ...একটু লিখতে ভালোবাসি...এই যা...ব্লগে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক...তবে সা হো স এটাই আমার পুরো নামের সংক্ষেপ। \n\nসবার ব্লগিং হোক সুন্দর ও আনন্দময়।

গুরুর শিষ্য

একজন অতি সাধারণ মানুষ

গুরুর শিষ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব দোষ বয়সের...

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪



জীবনে মানুষ দুইভাবে শেখে এটা জানি- একটা ঠেকে আর একটা ঠকে...তবে ঠোকর খেয়েও যে শেখা যায় তা আজ উপলব্ধি করলাম...
অফিস যাওয়ার সময় কারওয়ান বাজারের মাইক্রোগুলোতে করে যাই...তাই বেশ খানিকটা পথ হাঁটতে হয় আজও সকালে হাঁটছিলাম...

বাংলা মোটর আর হোটেল সোনারগাঁও এর মাঝখানে কিছু ফুলের গাছ লাগানো আছে। সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম এক মেয়ে জবাফুল ছিঁড়ছে হালকা লাল রঙের... টকটকে লাল না...তার পরনেও ওই রঙের সালোয়ার কামিজ...আমি হাঁটছিলাম আর ফ্যাল ফ্যাল করে দূর হতে তার কাজ দেখছিলাম...

অবুঝ মন কোনো কিছু পেলেই গবেষণা শুরু করে দেয় আমার মনও তাই শুরু করলো...ভাবলাম ওই রঙের শাড়ি একই রঙের লিপস্টিক আর সাথে যদি মেয়েটা খোপাও ওই জবাটা গুঁজে দিত তাহলে কি সুন্দরই না লাগতো!

বন্ধুর পথে (কোথাও উঁচু কোথাও নিচু) দেখে না চলে অন্যের দিকে তাকিয়ে চললে যা হয় তাই হলো...খেলাম উস্টো...মেয়েটিও চমকে উঠলো আমিও বিব্রত।উল্টে পড়তে পড়তে বেঁচে গেলাম!

ভাগ্যিস আর ৫০ গজ দূরে উস্টো খাইনি খেলে মেয়েটার গায়েই পড়তাম...কোনো ইমোশনাল দৃশ্যের অবতারণা হতো না হয় দু’জনেরই মাথা ফাঁটতো নয় একা আমার!

দেখলাম জবা ফুলটা ব্যাগে পুরে মেয়েটা হাঁটা দিলো সোজা...আর আমিও তওবা করতে করতে বিপরীত দিকে হাঁটা দিলাম...তবে মরার পরে তওবার যেমন অপশন নেই তেমন অবস্থা আমারো হল...বাম পায়ের রগ নড়ে গেছে অফিসে গিয়ে ব্যথা অনুভব করলাম বাসা আসার পর তা আরো অনুভূত হচ্ছে...যেহেতু আসার পথেও বেশ হাঁটতে হয়েছে...

বাস্তবে জন্মের তরে শিক্ষা হলো...যতই সুযোগের অভাবে চরিত্রবান হইনা কেন অমন কাজ আর করবো না...
জানিনা ব্যথা সেরে গেলে ওয়াদা মনে থাকে কি না! মনটা অবুঝ তো! আমার কোনো দোষ নাই সব দোষ বয়সের...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.