![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ বছর মেডিকেল ও ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে শক্ত অভিযোগ উঠেছে তা একেবারে উড়িয়ে দেয়ার মতো না...তবে এ অভিযোগগুলোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তা ভুল প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার...তার মানে নির্ঘাত খাঁটি হিন্দিতে বলতে হবে- ‘ডাল মে কুচ কালা হে...’
তাই একটা অনিশ্চিত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে মেডিকেলে ভর্তিচ্ছুরা...যদিও মেধাবী কোনো কালে ছিলাম না তাই মেধাবীদের নিয়ে কথা বলতে কিছুটা হীনমন্যতায় ভুগি...তারপরও সমাজেরই একজন মানুষ হিসেবে এবার এ গোলমেলে পরিস্থিতিটা নিয়ে কথা বলাটা উচিত মনে করছি...যদিও আমারই মত আমার কথারও তেমন দাম নেই...
কয়েকদিন আগে দু’জন নতুন মেডিকেলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরিচিত হলাম...যতটুকু জানি তারা ওসব প্রশ্নপত্র নিয়ে মাথা ঘামায়নি যাই এসেছে তাতেই পরীক্ষা দিয়ে রাজধানীর বাইরে কোনো এক মেডিকেলে চান্স নিয়েছে...যদিও তাদেরও ভাষ্য এবার প্রশ্নফাঁস হয়েছে...এখন যদি পরীক্ষাটি পুনরায় নেয়া হয় তাহলে এরা আবার চান্স পাবে তার গ্যারান্টি কে দেবে?
আসলে সময়ের এক ফোড় অসময়ের দশ ফোড় এর মত দশা হয়েছে...শুরুতেই ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিলো...মনে হয়না ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর সরকার বাহাদুরেরও কিছু করার আছে...ভর্তির জন্য তাড়াহুড়ো না করে ইস্যুটা সমাধান করা জরুরি ছিল...এখন তা অমীমাংসিত অবস্থার দিকে চলে গেছে...
যদিও সেদিন একজন হাস্যরস করে বললো; মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস হয়েছে এটা ঠিক...তবে ওই প্রশ্নের জন্য যারা টাকা দিয়েছিলো তাদের মধ্যেও অনেকে প্রশ্ন পায়নি তার জন্যই তারা আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছে...যদিও এটার সত্যতা ঘাটতে চাইনা...বাস্তবদৃষ্টে মনে হয় দায়িত্বশীল জায়গা থেকেই ঘাপলাটা তৈরি হয়েছে...তবে মেডিকেলে ভর্তি হওয়াই জীবনের লক্ষ্য আর না হলে ব্যর্থ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এমন মানসিকতা পরিহার করা উচিত...
গত বছর আমার এক অনুজ ঢামেকে চান্স পেয়েছে ও জাতীয় মেধায় এসেছে (যদিও তার আগেরবার সে চান্স পায়নি)। ও বললো; যদি প্রশ্নফাঁস হতো তাহলে দিনাজপুরেও গতবার চান্স পেতাম না...বাস্তবেই গত বছর অনেক কড়া হয়েছিল পরীক্ষা...এবার আমার সে অনুজই বললো...এবারের পরীক্ষাটা বাতিল করা উচিত ছিল...
যদি কিছু কুলাঙ্গার এবার চান্স নিয়ে থাকে অবৈধ উপায়েই তাদের সাথে বৈধ কিছু ভালো ছেলে-মেয়েও চান্স পেয়েছে এটাতো অস্বীকার করা যায়না; যাই হোক এ ব্যাচটাই কালো তালিকাভুক্ত হলো...ওই এক গ্লাস দুধে এক ফোঁটা মূত্র যেমন পুরো দুধটাকে নষ্ট করে তেমনই অবস্থা...
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮
গুরুর শিষ্য বলেছেন: কর্তৃপক্ষ বলতে পারে...
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৯
ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: প্রামানিক বলেছেন: এবার প্রশ্নফাঁস হয়েছে...এখন যদি পরীক্ষাটি পুনরায় নেয়া হয় তাহলে এরা আবার চান্স পাবে তার গ্যারান্টি কে দেবে?
সমস্যা তো এখানেও। এখন উপায় কি?
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮
গুরুর শিষ্য বলেছেন: জানিনা...
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: মেডিকেলে ভর্তি হওয়াই জীবনের লক্ষ্য আর না হলে ব্যর্থ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এমন মানসিকতা পরিহার করা উচিত...
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯
গুরুর শিষ্য বলেছেন: বোধহয় আমি ঠিকই বলেছি...
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অাবার পরীক্ষা হলে ওরা (ফাঁস করা প্রশ্ন যারা পায়নি) যদি চান্স না পায়, তাহলে কি ওরাও অান্দোলন করবে? চিন্তার বিষয়! এখন বোধহয় পরীক্ষা বাতিলের সুযোগ নেই ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪০
গুরুর শিষ্য বলেছেন: আসলেই সুযোগ নেই...
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: আর যারা টাকা খেয়ে প্রশ্ন ফাঁস করে এদের পাশ করিয়েছে তাদের কি হপে? তারাতো আর টাকা ফেরৎ দিবেনা! কি মুস্কিল!
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪২
গুরুর শিষ্য বলেছেন: যা যায় তা কি আর ফেরত আসে...????
৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৮
ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: পরীক্ষা যদি আবার নেওয়া হয় তাহলে যারা পড়ে ও প্রশ্ন না পেয়ে পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেয়েছে তাদের ভয় কিসে??
ঝড়ে বক মরার মত যারা টিকেছে তাদের মনেই কি এই ভয় কাজ করে নাহ যে আবার পরীক্ষা দিলে চান্স না পাবার সম্ভাবনা আছে।
পরীক্ষা যদি আবার নেওয়া হয় এবং কঠোরভাবে নেওয়া হয় (এই কঠোরতা হল প্রশ্ন ফাঁস না হওয়া) তাহলে সবার জন্য তা কঠোর হবে। যারা এইবার প্রশ্ন পেয়েছে তারা এই কয়দিনে কিন্তু এক্কেবারে পুরা সব বই পড়ে অর্ধেক ডাক্তার হয়ে যাই নাই যে তারা ভর্তি পরীক্ষায় বসলেই চান্স পেয়ে যাবে।
ব্যাপারটা কি এমনভাবে ভেবে দেখেছেন?? আর ভেবে দেখাও জরুরী
"২০২২ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশ থেকে আর কোন ডাক্তার নেবে না।"
কারন একটাই এই এক কাহিনীরে আমাদের শাসক সমাজ কিচ্ছ্বা বানাইয়া ফেলসে। WHO এর এত্ত সময় কই এইসব কিচ্ছ্বা শুনার??
অবশ্য এক দিক দিয়ে ভালোও হয়েছে বলতে পারেন। WHO না নিলে তারা কই যাবে? দেশেই থাকবে, আর আমার আপনার চিকিৎসা (পড়েন কুচিকিৎসা) করবে।
HSC এর পর সে কয় মাস সময় থাকে তাতে একটা শিক্ষার্থী যেইভাবে প্রস্তুতি নেয় তা ওই এক রাতে প্রশ্ন হাতে পাওয়া শিক্ষার্থী(পড়েন কুশিক্ষার্থী) থেকে হাজার গুনে ভালো... ...
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪১
গুরুর শিষ্য বলেছেন: আপনিতো দুর্ভাবনায় ফেললেন...ধন্যবাদ এমন সুন্দর বিশ্লেষণের জন্য...
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১১
প্রামানিক বলেছেন: এবার প্রশ্নফাঁস হয়েছে...এখন যদি পরীক্ষাটি পুনরায় নেয়া হয় তাহলে এরা আবার চান্স পাবে তার গ্যারান্টি কে দেবে?
সমস্যা তো এখানেও। এখন উপায় কি?