নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ...একটু লিখতে ভালোবাসি...এই যা...ব্লগে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক...তবে সা হো স এটাই আমার পুরো নামের সংক্ষেপ। \n\nসবার ব্লগিং হোক সুন্দর ও আনন্দময়।

গুরুর শিষ্য

একজন অতি সাধারণ মানুষ

গুরুর শিষ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোনাজাতউদ্দিন পড়াটা জরুরি...

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫



চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন সম্পর্কে কোনো কিছু নাকি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসেই নেই...যদিও অত বড় মাপের মানুষ নই...তারপরও বলবো না থাকাটা দুঃখজনক...বাংলা সাহিত্যে আহমদ ছফার ‘ওঙ্কার’ যেমন বিন্দুর মাঝে সিন্ধু...তেমনি বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় মোনাজাতউদ্দিন তথা তার রচনাগুলো (যদিও তা অল্পসংখ্যক) ক্লাসিক বিষয়...

একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের একজনের নোট (ফটোকপি) দেখলাম; ওতে মিডিয়ায় নারীর অবমূল্যায়ন সম্পর্কে লেখা—তাতে এমন সব অশোভন ভাষার উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে এগুলোর মাধ্যমে নারীকে অবমূল্যায়ন করা হয়... শব্দগুলো অশ্লীল...যেখানে এটা বললেই হতো...নারীর বিপক্ষে নোংরা শব্দ ব্যবহারই তার অবমূল্যায়ন...ওসব ফালতু শব্দ পরিহার করাই ভালো ছিল (যাহোক কত্ত বড় বড় পণ্ডিত এসব সিলেবাস বানিয়েছেন। যাদের কেউ কেউ আবার কলাম লিখে বসে থাকেন কখন তার কলাম ছাপা হবে আর কখন তিনি শেয়ার দিয়ে আত্মপ্রচার করবেন...মানুষকে বোঝাবেন তিনি কম জ্ঞানী নন!!!...সকলেই লাইক অথবা কমেন্ট দিয়ে তাকে জনপ্রিয়ও বানাবেন বটে!)

মোনাজাতউদ্দিনের ‘নিজস্ব রিপোর্ট’ বইটার এক ঝলক...

চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন জিয়াউর রহমানের শাসনামলে একবার বিদেশ গিয়েছিলেন অথচ তার নিজস্ব স্যুট ছিলো না...তিনি আরেকজনেরটা ধার করে গিয়েছিলেন...অথচ এখনকার সাংবাদিকরা অনেক সমৃদ্ধ!

নিউজের প্যাকেট পাঠানো...

বাসে চলাচলকারীদের দ্বারা তিনি প্রায় দেড় হাজার প্যাকেট সংবাদ ঢাকায় পাঠিয়েছেন তার মধ্যে মাত্র একটি প্যাকেট সংবাদ অফিসে পৌঁছায়নি...সেটি আবার একজন সাংবাদিকের হাতেই পাঠিয়েছিলেন...যিনি তা যমুনায় নিক্ষেপ করেছিলেন...

আবার একবার রেডক্রসের মেয়াদোত্তীর্ণ ত্রাণ নিয়ে করা নিউজ তিনি রেডক্রস কর্মকর্তার মাধ্যমেই (তার অজান্তেই) পাঠিয়েছিলেন...
একবার বাসে মারও খেয়েছিলেন কোনো এক প্রগতিশীল দলের কর্মীদের দ্বারা...যারা ভিক্ষুক ভেবে তাকে মেরেছিলেন...আসলেই তিনি ‘তথ্য ভিক্ষুক’ ছিলেন...

নাচোলে ইলামিত্রের সাথে আন্দোলনকারী কমরেড আজাহার আলী সম্পর্কে তিনি লিখলে মানুষ তাকে বিশ্বাস করেননি যদিও আজাহার আলী পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মানিত হয়ে মোনাজাতউদ্দিনকে দেখে আবেগাপ্লুত হন...

শিশুর রিকশায় ওঠায় মন সায় না দিলেও একবার তাকে বাধ্য হয়ে উঠতে হয়েছিল...

চোরের বাড়ি গিয়ে চোরের বউয়ের আনা নাস্তা খেতে গিয়ে রীতিমত বিপাকে পড়েছিলেন তিনি...সেখানে দেখেছেন চোরও ধার্মিক নিজের গ্রামে সে চুরি করে না...শুক্রবার আর রোজার সময়ও সে চুরি করে না...

যে বাড়িতে মন্ত্রীসহ খেয়েছিলেন সেই খাওয়ার বিরুদ্ধেই নিউজ করেছিলেন শিরোনাম- ‘আসাম থেকে বন্যা, ঢাকা থেকে বাবুর্চি, বগুড়া থেকে দৈ’। ভদ্রলোক তার বাবার বন্ধু ছিলেন...

তার রিপোর্টেই জানা যায়- পাগলা গারদের (পাবনা হেমায়েতপুরের) পাগলরা সুস্থ হলেও পরিবার ও সমাজ তাকে গ্রহণ করতে চায় না...হেমায়েতপুরের বিচিত্র অভিজ্ঞতা লিখেছেন তিনি; যে পাগলের মত সে আসলে পাগল নয় যাকে সুস্থ মনে হয় সেই আসলে পাগল...স্বামী-স্ত্রীর ঘটনা যেখানে স্ত্রীই পাগল...

এক বইয়ে এত অভিজ্ঞতা অথচ তার খোঁজ রাখে কে...বিশেষ করে মফস্বলের লোকজন...তার ‘পথ থেকে পথে’র তুলনা কি কারো সঙ্গে করা চলে...

(পুনঃশ্চ : নিজে সাংবাদিকতা বিভাগের কেউ নই)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

প্রামানিক বলেছেন: চোরের বাড়ি গিয়ে চোরের বউয়ের আনা নাস্তা খেতে গিয়ে রীতিমত বিপাকে পড়েছিলেন তিনি...সেখানে দেখেছেন চোরও ধার্মিক নিজের গ্রামে সে চুরি করে না...শুক্রবার আর রোজার সময়ও সে চুরি করে না...

যে বাড়িতে মন্ত্রীসহ খেয়েছিলেন সেই খাওয়ার বিরুদ্ধেই নিউজ করেছিলেন শিরোনাম- ‘আসাম থেকে বন্যা, ঢাকা থেকে বাবুর্চি, বগুড়া থেকে দৈ’। ভদ্রলোক তার বাবার বন্ধু ছিলেন...

মোনাজাত উদ্দিন আসলেই একজন ভাল সাংবাদিক ছিলেন। যার অন্য কারো তুলনা হয় না - - -

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১

গুরুর শিষ্য বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই...

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

মানবী বলেছেন: মোনাজাত উদ্দীন বাংলাদেশের এক কিংবদ্ন্তীর নাম।

সাত বছরের বেশি সময় আগে এই ব্লগে তাঁর সম্পর্কে একটি পোস্ট পড়েছিলাম, তার পর তাঁকে নিয়ে কোন লেখা চোখে পড়েছে বলে মনে হয়না।
মোনাজাত উদ্দীনের মতো সাংবাদিককে জিবদ্দ্শায় এমনকি মৃত্যুর পরও যথার্থ সন্মান জানাতে না পারা আমাদের দেশের এক বড় ব্যর্থতা! আজকাল গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের রমরমা অবস্থা, অথচ এই কিংবদন্তীতুল্য সাংবাদিক কে নিয়ে বড় কোন উদ্যোগের কথা জানা নেই। হয়ে থাকলে জানার আগ্রহ রইলো।

পোস্টটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

গুরুর শিষ্য বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ...যথার্থই বলেছেন...

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

মেজদা বলেছেন: আমি এখনো মোনাজাত উদ্দিনকে মিস করি। একেবারে অসময়ে চলে গেছেন।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১

গুরুর শিষ্য বলেছেন: মেজদা আপনাকে পেয়ে ভালোই লাগলো...আমিই প্রথম আলো ব্লগের ‘সাধারণ মানুষ’...প্রবাদটা মনে পড়লো যদি থাকে মনে থাকনা কেনো দেশের কোণে...আবার দেখা হবে ভাবিনি...

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৪

বিপরীত বাক বলেছেন: অথচ তার একমাত্র উত্তরসুরী তার ছেলে সুবর্ণ সাদিক ১৯৯৭ সালে সেপ্টেম্বর মাসে সামান্য প্রেমের ছ্যাঁকা খেয়ে ডঃ এম এ রশীদ হলের ১০৭ নং রুমে আত্মহত্যা করে। রুমটা এখন লন্ড্র্রি।

বাপের কথা একবার চিন্তাও করে নি।।
কি স্মার্ট ছিল ছেলে টা। চুল ছিল সুন্দর।। পরদিন কালো হয়ে যাওয়া লাশ যখন হলে এনেছিল খুব খারাপ লেগেছিল দেখে।।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৯

গুরুর শিষ্য বলেছেন: বুয়েটের হলে তাইনা?

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: পোষ্টি পড়ে মরহুম মোনাজাত উদ্দিন সম্পর্কে জানার আগ্রহ বেড়ে গেল.
তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:৩৯

গুরুর শিষ্য বলেছেন: ধন্যবাদ, তার কিছু বই পড়ুন তাকে জানবেন...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.