![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা যারা ছোটবেলা থেকে বৌদি, কাকীমা, মাসী-পিসিদের সহচর্য পেয়েছি তাদের জীবনে অবশ্যই পূজোর একটা স্মৃতি আছে...বাসার পাশেই পূজামণ্ডব বসতো কত গিয়েছিলাম...রাতের আরতীতেও গিয়েছি...
এমনকি বাবার কাছ থেকে যে টাকা নিয়ে পূজা দেখতে গিয়েছিলাম...ছোটবেলায় মন্দিরের বামুনের কথায় পুরোটা মন্দিরে দিয়ে চলেও এসেছিলাম...রিক্ত হস্তে...বাবা-মা হেসেছিল...
তবে শেফালি পিসির মৃত্যুটা আমার এখনো মনে আছে...বয়সে বেশ বড় যারা আমাকে আদর করতো তাদের মধ্যে সেই ছোটবেলা একজনকে মরে যেতে দেখেছি...যাহোক সেদিকে আর নাই গেলাম...
প্রত্যেক পূজোতে বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি হই হুল্লোর করেছি...বন্ধুদের বাড়িতে গিয়ে সে কি খাওয়া...আমার বাল্যবন্ধু দেবাশীষ-পবিত্রসহ বেশ কয়েকজনের বাড়ি যেতাম...পবিত্রের মা মারা যাওয়ার খবরটা দেরিতে পাওয়াতে কষ্ট পেয়েছিলাম... দেবাশীষের বাবাও দীর্ঘদিন অসুস্থ...
যাহোক ছোটবেলায় এমনকি কিছুটা বড় হয়েও পিকাপে বেশ কয়েকটা থানা ঘুরে বেড়াতাম মন্দিরে মন্দিরে...রনজু দ্য হারামিও ছিলো...শালা পাঠশালার বন্ধু না হলেও কম আপন না!
পূজোর সময় এলেই মনটা কেমন যেনো লোভাতুর হয়ে যায়...পিঠাসহ নানান খাবার বিশেষ করে নাড়কেলের নাড়ুটার জন্য মনটা কেমন যেনো আকু-পাকু করে...
আমাদের পাড়া-পড়শি কাকী-মাসি...যাদের ঠাকুরমা-ঠাকুর দা (দাদী-দাদা) বলে ডাকতাম পূজা-পার্বণে বিভিন্ন উৎসবে তারাও প্রচুর আদর করেছে খাইয়েছে...
আমাদের ধর্মমতে অন্য ধর্মাবলম্বীদের জবাই করা পশু খেতে মানা আছে- তাই দেখা যেতো পাশের বাড়ির পিসির বিয়ে মুসলমানদের খাওয়ার আয়োজন আমাদের বাড়িতে...
আমাদের উৎসবগুলোতে তারাও সমাদর পেতেন তবে আমার মনে হয় আমাদের থেকেও তারা আমাদের বেশিই সমাদর করেন...
আর আমাদের মধ্যকার সম্প্রীতি এত বেশি ছিলো- যে পাশের বাড়ির অস্বচ্ছল কাকা বাজার থেকে কেবল মাছ কিনে আনতো আর কাকিকে পাঠিয়ে দিত আমাদের বাড়িতে চালের জন্য...ওই কাকাও মৃত্যুর আগে আমাদের বাড়িতে একটা আমগাছ লাগিয়ে বলেছিল- ‘এখানে গাছটা বড় হলে মোর বাচ্চা-কাচ্চা খাবার পাবে (স্থানীয় ভাষায় একটু অন্য হবে)...’
তবে সেই উপজেলায় যখন দেখি কূটিল রাজনীতিকরা গুজবসহ নানা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিভেদ লাগানোর চেষ্টা করে তখন মনটা খারাপ হয়ে যায়...এখনো আমার প্রিয় বন্ধুদের তালিকায় যারা আছে...তারা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীই...
আমার ধর্ম তাদের সম্পর্কে কি বলে তা আমি ভালোভাবেই জানি...বাস্তবে আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই...বিভেদগুলো তৈরি করা হয়...উপর থেকে ওদের কোনো ধর্ম নেই...
এখন আর আগের সেই পুরনো দিনগুলোতে চাইলেও ফিরে যেতে পারি না...তাই পূজো এলেই লোভাতুর আর স্মৃতিকাতর হই...
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:০০
গুরুর শিষ্য বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫০
প্রামানিক বলেছেন: এখন আর আগের সেই পুরনো দিনগুলোতে চাইলেও ফিরে যেতে পারি না...তাই পূজো এলেই লোভাতুর আর স্মৃতিকাতর হই..
ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ