![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা এখন অনেকেই বাংলা সিনেমার হালচাল নিয়ে কথা বলি...এটা অযৌক্তিক নয় যৌক্তিক...সাহিত্য সমালোচক বলে যেমন একটা কথা ছিলো ঠিক তেমনি সিনেমা সমালোচকও তৈরি হচ্ছে দেশে। এটা ইতিবাচক এবং খুবই দরকারি। তবে যেহেতু সিনেমার দর্শক তাই আমারও কিছু কথা আছে।
শুরুর দিকের সিনেমাগুলোকে দর্শক হৃদয়ে আলোড়ন তৈরি করেছিল। রাজ রাজ্জাকের যুগের সিনেমাগুলোই তার প্রমাণ। এরপর ধীরে ধীরে ক্রমবিবর্তন...শালমান শাহ এরপরে মান্না, রিয়াজ ও শাকিবরা। বাংলা সিনেমার শিল্পী ও কলাকুশলীর কোনো অভাব নেই। পরিচালক আর ভালো স্ক্রিপ্ট এর অভাব; নকল ছবিগুলোও বাংলাদেশের অভিনয় শিল্পীরা অনেক ভালোই করেন।
দর্শক একসময় হলমুখি ছিলো- আমরাও ছোটবেলায় হলে যেতাম সপরিবারে। এরপর যখন পরিবেশ হারালো তখনও হলে গিয়েছি- ‘তবে সেটা ছিল ওই খারপটারই জন্য’...অখাদ্য খাওয়াতে চাইলে রুচিহীন মানুষই মিলবে...মিলেছেও কাটপিসের যুগে রিকশাচালকরাই সিনেমার দর্শক ছিল...মধ্যবিত্ত শ্রেণি এমনকি সচেতন ছাত্ররা একেবারে হল ছেড়েছিল। তারা যা চায় তা টালিগঞ্জ আর বলিউড দেয়...এই তালিকাভুক্ত দর্শক আমিও...
ওই কাটপিসের যুগেও হলে গিয়ে রিয়াজের ‘মেঘের কোলে রোদ’ দেখেছিলাম...শাকিবের যতই সমালোচনা করি না কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পে ‘সুভা’ ছবিতে তাকে বেশ ভালই মানিয়েছিল...
আমাদের একটা যশ চোপড়া, করণ যহুর তৈরি হয়নি স্ক্রিপ্ট রাইটারও নেই...নিত্য নতুন শিল্পী উঠছে ঠিকই তবে তাদের জন্য পরিবেশ কোথায়...
যখন আনিসুল হক স্ক্রিপ্ট লেখেন আর মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী পরিচালনা করেন তাতে দক্ষ মোশাররফ করিম আর চঞ্চল চৌধুরীরা অভিনয় করেন তখন সবমিয়ে ‘টেলিভিশন’ টা দেখার মতই হয়...
ভালো স্ক্রিপ্ট আর পরিচালকে অনন্ত-বর্ষা যদি নিজের ছবিগুলো প্রযোজনা করে অন্য কাউকে দিয়ে করাতেন ছবিগুলো কি আন্তর্জাতিক মানের হত না?
আর আমাদের একটা বাতিকগ্রস্ততা আছে যে, আমরা নায়ক-নায়িকাদের আচরণ নিয়ে অনেক বেশি সমালোচনা করি। বাস্তবে ওটাই হল তাদের নায়ক-নায়িকাসুলভ আচরণ...শাহরুখ খান বাংলাদেশে এসে কেমন তুই তুকারি করে গেছেন মনে নেই---তার চেয়ে আমাদের নায়ক-নায়িকারা অনেক ভালো...
বাংলা সিনেমাকে বাংলা নাটকের মতই সৃষ্টিশীল ভঙ্গিতে এগিয়ে যেতে হবে...এ জাতি অন্য জাতির নগ্নতায় মুগ্ধ হবে নিজেরটা হলে নাক সিটকাবে...তাই নগ্নতা যদি উপস্থাপন করতেই হয় শৈল্পিকভাবে করুন দেখুননা বলিউডে কারিনারা দাঁড়িয়ে গেলে আর বাংলাদেশে ময়ুরীরা হারিয়ে গেছে...
পুনশ্চঃ নায়িকাদের নিয়ে আরেকদিন বলবো।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৮
গুরুর শিষ্য বলেছেন: জ্বি ভাই, পুরনো সেই দিনের কথা মনে পড়ে যায়...
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০০
প্রলয়শিখা বলেছেন: যদি ভূল না হয় তাহলে শুক্রবার ছাড়া সম্ভবত শনিবারে অথবা বৃহস্পতিবারে বিটিভিতে বাংলা সিনেমা দেখাত। আর তখন স্কুল পালাতাম এই সিনেমাগুলোর জন্য। রাজ্জাকের বাবা কেন চাকর দেখে যেভাবে কেঁদেছি তা মনে পড়লে আজও সৃতিকাতর হয়ে পড়ি। রিয়াজ, মান্না, সালমান শাহদের সিনেমা দেখেনি এমন কে আছে!! তখন হয়ত বাংলা সিনেমার স্বর্ণ যুগ চলতেছিল। এখন বাংলা সিনেমার অকালেও আমি আর আমার আম্মা একসাথে বসে দেখি বাংলা সিনেমা।
এই আশাটা অন্তত করতে পারি যে আমাদের সিনেমার স্বর্নযুগ আবার ফিরে আসবে। শুধু দরকার আমাদের সহযোগিতা। বাসায় বসে বড় বড় কথা না বলে হলে গিয়ে ছবি দেখে সমালোচনা করাই হবে আসল পরিবর্তনকামী দের কাজ।
আপনার পোস্ট ভাল লেগেছে।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৯
গুরুর শিষ্য বলেছেন: আবার ভুল কিসের খাঁটি সত্য কথা বলেছেন...ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০২
প্রামানিক বলেছেন: দর্শক একসময় হলমুখি ছিলো- আমরাও ছোটবেলায় হলে যেতাম সপরিবারে।
কথা সত্য।