![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বড় ভাই মঝে মাঝে বড় বয়ান দেন...সেদিন কমলা কিনে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো জ্ঞানীর ভঙ্গিতে কমলার কস কয়টা থাকে...বলতে না পারায় বললো- তোমাদের অবিবাহিত ছেলে-পুলের এই সমস্যা কোন কিছুর দিকেই মন নেই...ব্লা ব্লা ব্লা...যাহোক আমি আর আধা বিবাহিত এক ভাই তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম; কয়টা থাকে?...বললো ১৬ টা...সাথে সাথে হাতে থাকা কমলাটা ছিলে দু’জনে মিলে গুনলাম ১৩টা!!! বড় ভাইকে এবার উল্টো বয়ান দিয়ে...যা বলার বললাম...
যাহোক ততক্ষণে নিউমার্কেট থানার কোণাটা থেকে নীলক্ষেতের ফুটপাত দিয়ে হাঁটা দিলাম; হাতে ছেলানো কমলা...নিজেও খাচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম; যদি কোন চেনা মুখ মেলে তাকেও এই কমলা খাওয়াবো...পেলামনা কারো দেখা...হলো না তাকে কমলা খাওয়ানো...মাঝপথে মনের দুঃখে জিলাপি খেয়েছিলাম কি না মনে নেই...
যাহোক নীলক্ষেতের ফুটপাত দিয়ে মাঝে মাঝে বই দেখতে দেখতে এপার-ওপার করি মাঝপথে কখনও কোন পরিচিত বইপাগল মানুষের দেখা মেলে দেখা পওয়া যায়...উনিও ওদিক থেকে বই দেখতে দেখতে আসছেন আর আমিও এপার থেকে তাঁর মতই করছি...দু’জনের দেখা হলে হাসি হয় কথা হয়...চা পানও হয়...
মানুষের কথা থাক- এভাবেই খুঁজে পেয়েছিলাম- নিতাইয়ের ‘মেমসাহেব’ হুমায়ূন আহমেদের ‘দাঁড় কাকের সংসার কিংবা মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’, এ পি জে আবদুল কালামের ‘উইংস অব ফায়ার’...রবীন্দ্রনাথের ‘ছিন্নপত্র’, ‘ছন্দ’ আরো কতো কি!!!
তবে এ যাত্রায় কমলা খাওয়ানোর মতো কাউকে না পেয়ে ব্যথিত হয়েছি বটে...!!!
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮
গুরুর শিষ্য বলেছেন: মানবিক বিষয়গুলো প্রদর্শনীতে আনা অনুচিত...এমনভাবে মানুষের উপকার করা উচিত যা হবে নিখাঁদ...প্রদর্শনেচ্ছামুক্ত...
২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: মানবী@ ভাইয়ের কথা সাথে একমত।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮
গুরুর শিষ্য বলেছেন: আমি দ্বিমত...অমন বিষয় হলে লিখতাম না...
৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬
জয়ীর পরাজয় বলেছেন: কমলার কস ১৩ টা কি নির্ধারিত? গুনে দেখতে হবে
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩
গুরুর শিষ্য বলেছেন: না ১৩ টা ফিস্কড না...কমবেশি আছে...ঠিকাছে কমলার দাওয়াত রইলো...
৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫২
প্রামানিক বলেছেন: আহারে! কি দুখের কথা!! আমরা কমলা পাইনা আর আপনি কমলা খাওয়ার মত লোকই খুঁজে পেলেন না।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৩
গুরুর শিষ্য বলেছেন: ঠিকাছে দেখা হলে খাওয়াবো...ফেসবুকেতো রেসপন্সই করেন না...
৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৬
মানবী বলেছেন: "লেখক বলেছেন: মানবিক বিষয়গুলো প্রদর্শনীতে আনা অনুচিত...এমনভাবে মানুষের উপকার করা উচিত যা হবে নিখাঁদ...প্রদর্শনেচ্ছামুক্ত... "
- জেনে ভালো লাগলো, আশা করি পথশিশুরা সেই কমলা দারুন উপভোগ ও ভোগ করেছে।
তবে আমাদের মাঝে একটি ভুল ধারনা প্রচলিত- অনেকেই মনে করেন শূধু মাত্র দরিদ্রদের কিছু দেয়া হলে তা দান এবং প্রদর্শনীতে আনা অণুচিত। আসলে, ধনী দরি্দ্র নির্বিশেষে যা কাউকে নিঃশর্তে কিছু দেয়া হলে সেই দান প্রদর্শনীতে আনা অণুচিত। "ডান হাত দান করলে যেনো বাম জানতে না পারে" এই উপদেশ শুধু দরিদ্র নয়, ধনীদের দান করার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
ভালো থাকুন গুরুর শিষ্য :-)
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৮
গুরুর শিষ্য বলেছেন: স্যরি আমি পথশিশুদের কমলা খাওয়ানোর পরিহাস করবো না...পারলে একটি রুটি কিংবা ১ বেলা খাওয়াবো...তবে আমার এই লেখাটা কোন মানবিক উদ্দেশ্যে লেখা নয়...সাহিত্যসম্পর্কিত...কেউ বুঝতে না পারলে আমার কিছুই করার নেই...মানবিকতা বোধ আপনা থেকে জাগ্রত হয়...আমার সেটা আছে...আমি গ্রাম থেকে এসেছি...মানুষকে কিভাবে অভাবে অন্ন যোগাতে হয় সেটা শিখেই এসেছি...
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
মানবী বলেছেন: কোন পথশিশুর দেখা মিলে নাই? ওরাও তো পরিচিত!
ওদের চেহারা, দুঃখ কষ্ট প্রায় অভিন্ন, তাই যেকোন পথশিশুই খুব পরিচিত।
পরবর্তীতে এমন ইচ্ছে হলে কোন পথশিশুর কমলা খাওয়ার সৌভাগ্য হবে আশা করি :-)
ভালো থাকুন।