নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপরিচিতা এক অপরাজিতা .....

আফরিন নাজিয়া

আমি খুব সাদামাটা মনমানসিকতার একজন মানুষ...বই আর গান আমার নেশা... লেখালেখি করতাম একটা সময়, ছেড়েছি অনেকদিন হলো... এখন টুকটাক লেখালেখির চেষ্টা করছি নিজের মত করে...তাই ব্লগের সাহায্য নেওয়া...ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে হয়ত আবারো নিজেকে লেখিকা পরিচয়ে পরিচিত করতে পারবো...আর কিছু বলার নেই নিজের সম্পর্কে...

আফরিন নাজিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক অসমাপ্ত প্রেমের গল্প

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:১২

এই ভরসন্ধ্যায় খোলা ছাদে দাঁড়িয়ে আছি।চাচাতো বোন বীথির বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে গানবাজনার আয়োজন চলছে। অন্যান্য চাচাতো-ফুপাতো ভাইবোনরা খুব আনন্দ করছে। কিন্তু আমার খুব বিরক্ত লাগছে ব্যাপারটা।এমনিতেই মাইগ্রেনের ধাত আছে আমার তারমধ্যে আবার আমি একটু নির্জনতা-প্রিয় মানুষ, হৈ হুল্লোড় পছন্দ করি না।তবু বীথির বিয়ে বলে কথা,মেজো চাচীর অনুরোধে,আব্বু আম্মুর জোরাজুরিতে আর স্বয়ং বীথির মুখের দিকে তাকিয়ে এ বাড়িতে আসতেই হলো।যাই হোক,এমুহুর্তে আলো-আধারির নির্জনতায় বেশ ভালোই লাগছে,মৃদুমন্দ বাতাস বইছে,সাথে পাল্লা দিয়ে বাসন্তী রঙের শাড়ির আঁচলটা উড়ছে,আর মাইগ্রেনের ব্যথাটাও অনেকটা কমে এসেছে। হঠাৎ মাথায় রোমান্টিসিজম মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো।খালি গলায় গেয়ে উঠতে মন চাইছে...তোমার খোলা হাওয়ায়,লাগিয়ে পালে,তোমার খোলা হাওয়ায়...টুকরো করে কাছি,আমি ডুবতে রাজি আছি,আমি ডুবতে রাজি আছি... তোমার খোলা হাওয়ায়... পেছনে হঠাৎ কারো পায়ের শব্দ পেয়ে আপনাআপনিই গান গাওয়া থেমে গেলো আর মেজাজটাও বিগড়ে গেলো হুট করে।কে এলো আমার শান্তিভঙ্গ করতে?? পেছনে তাকানোর আগেই একটা ভরাট কন্ঠ শুনে চমকে উঠলাম। সীমান্ত সাহেব!!! এই ভদ্রলোক এলেন কোত্থেকে??? "গানটা কিন্তু ভালোই গাইছিলেন!!! আপনার এই গুণটা বেশ লাগে আমার!!!" বলেই গটগট করে হেঁটে আমার পাশে এসে দাঁড়ালেন ভদ্রলোক। মনে মনে রেগে গেলাম,বলতে ইচ্ছে হলো,আপনার বেশ লাগার নিকুচি করি!!! কিন্তু মুখে কিছু বললাম না।চাচীর কোন এক বান্ধবীর ছেলে,আমার মতামতের তোয়াক্কা না করে ভদ্রলোকের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করা হয়েছে।লোকটা কেমন যেন,ভালোও লাগে না আবার খারাপও লাগে না।দেখতে যথেষ্ট সুদর্শন,গড়পরতা আট-দশটা ছেলের চেয়ে লম্বা, গায়ের রঙটাও মোটামুটি ফর্সা, যথেষ্ট সুঠামদেহী,বয়সটা বোধহয় বত্রিশ/তেত্রিশের কাছাকাছি,ব্যাংকার।যেকোনো মেয়েই বর হিসেবে এমন কাউকেই পছন্দ করবে কিন্তু আমার মতামতের তোয়াক্কা করা হয়নি বলে ভেতরে ভেতরে রেগে আছি,তাই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি,পছন্দ করার বদলে। ভদ্রলোক বোধহয় বুঝতে পারেন ব্যাপারটা কিন্তু তোয়াক্কা করেন না,হবু বধূর কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করেন বরং!!! তার এই স্বভাব আমার বিরক্তি আরো বাড়িয়ে দেয় কিন্তু আমি কিছু প্রকাশ করি না, নির্বিকার থাকি বরাবর।এটাই আমার স্বভাব।সে যাই হোক, ভদ্রলোকের কথায় আমার চিন্তার জাল ছিন্ন হলো,"এতো সুন্দর নির্জন একটা পরিবেশ,এলোমেলো দখিনা হাওয়া বইছে আর আপনি আপনার এতো সুন্দর মেঘকালো চুলগুলো খুলে রাখার বদলে খোঁপায় বেঁধে রেখেছেন?? ইটস নট ফেয়ার!!! খুলে ফেলুন তো দেখি!!! নয়তো আমাকে দিন,আমিই খুলে দিচ্ছি।" এবার আমি আর নীরব থাকতে পারলাম না,রাগটা তড়াক করে চড়ে গেলো মাথায়,"কি শুরু করেছেন এসব??? আমার চুল আমি যেভাবে খুশি সেভাবে বাঁধবো,তাতে আপনার কি??? আমার ব্যাপারে একদম ইন্টারফেয়ার করার চেষ্টা করবেন না!!! আপনাকে আমি সেই অধিকার দিইনি,আর কখনো দেবোও না,কথাটা মাথায় রাখবেন দয়া করে!!! এমনিতেই আমার শান্তিভঙ্গ করেছেন, কিছু বলিনি তাই বলে যা খুশি তাই করবেন???" আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলাম কিন্তু লোকটার থমথমে বিষাদগ্রস্ত মুখ দেখে রাগটা হুট করে নেমে গেলো আবার।পাশ ফিরে খানিকটা সরে দাঁড়ালাম। মাথাটা ঠান্ডা হতেই মনে হলো,লোকটা তো ভুল কিছু বলেননি!!! এই খোলা হাওয়ায় চুলে খোঁপা তো সত্যিই বেমানান!!! কিন্তু লজ্জায় চুলটা খুলতেও পারছি না, কেমন যেন লাগছে... লোকটার কথায় খোলা হয়ে যাবে তাহলে...লজ্জায় পড়বো আর উনি এতে আশকারা পেয়ে যেতে পারেন!!! কি যে করি??ভাবতে ভাবতেই আবার পেছনে ভরাট কন্ঠ শুনতে পেলাম,আর টের পেলাম আমার খোঁপায় হাত পড়েছে,"হয়েছে হয়েছে থাক, আমার সামনে আর লজ্জা পেতে হবে না।আমিই খোঁপা খুলে দিচ্ছি।" বলে সীমান্ত সুন্দর করে আমার চুল খুলে দিলেন, আপনাআপনিই হাতদুটো চুলে চলে গেলো আর এলোচুল পিঠ বরাবর এঁকেবেঁকে নেমে গেলো,হাওয়ায় উড়তে শুরু করে দিলো কি এক অবোধ্য আনন্দে!!! ভীষণ লজ্জা পেলাম।লোকটা কি করে আমার মনের কথাটা বুঝে ফেললো?? এজন্যই বোধহয় পুরোপুরি অপছন্দও করতে পারি না মানুষটাকে!! কেমন যেন একটা আকর্ষণ আছে তার মধ্যে!!! এসব হাবিজাবি ভাবছি হঠাৎ বীথির ছোটবোন তিথির কন্ঠ শুনতে পেলাম,"দীবাপু তুমি এখানে??সবাই তোমাকে খুঁজছে!!! আপাকে হলুদ দেবে না??? সীমান্ত ভাইয়া আপনিও এখানে?? বুঝেছি বুঝেছি!!! এখানে লুকিয়ে লুকিয়ে কি চলছিল হুম!!! তাড়াতাড়ি নীচে আসুন আপনারা নইলে কিন্তু সব বলে দেবো সবাইকে!!!" বলেই হাসতে শুরু করলো। আমি ধমকে উঠলাম,"চুপ কর ফাজিল!!! বেশি পেকে গেছিস!!! আমাদের মধ্যে কিছু চলছিল না!!! নীচে যা!!! আসছি আমরা!!!" বলতেই তিথিটা দুষ্টুমির হাসি হাসতে হাসতে দৌড়ে নিচে চলে গেলো। আমিও ওকে অনুসরণ করতে যাবো হঠাৎ টের পেলাম আমার শাড়ির আঁচলে টান পড়েছে..."কিছু বলবে না?? এভাবেই চলে যাবে?? এতো সুন্দর রোমান্টিক সময়টাকে মিথ্যে করে দেবে??"কথাগুলো শুনে বিষম এক লজ্জা যেন আমায় ঘিরে ধরলো...এ যেন এক অবর্ণনীয় অনুভূতি...

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: একটা লিখে গেছেন।
তবে প্যারা প্যারা করে লিখলে ভালো হতো। তাতে যারা পড়ছে তাদের আরাম হতো।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬

আফরিন নাজিয়া বলেছেন: প্রথমেই বলে নিচ্ছি,এটি অনুগল্প তাই প্যারা করে লেখার কথা মাথায় ছিল না।আর আমি ভালো লেখিকা নই,এভাবেই লিখি সাধারণত। আমার গল্পটি পড়তে কষ্ট হওয়ায় আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: সুন্দর রোমান্টিক গল্প।
তবে, কপি-পেস্ট সংক্রান্ত কারণে কিছু অংশ দুইবার চলে এসেছে, এডিট করে দিন।
আরেকটা কথা, বীথির ছোট বোনের নাম দেখি সবসময় তিথিই হয়!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩

আফরিন নাজিয়া বলেছেন: আসলে, গল্পের যে অংশটা দুইবার চলে এসেছে সেটা কপি-পেস্টের জন্য হয়নি, আমি লেখালেখি করি সাধারণত আমার ট্যাবলেট ফোনে,এটায় ব্লগের কাজ করতে গেলে নেটওয়ার্ক স্লো হয়ে যায়-যার কারণে লেখাটা লিখে ফাইনাল এডিটিংয়ের সময় রিপিটিংএর সমস্যাটা হয়েছে।প্রথমেই একবার হয়েছিল,সেটা রিম্যুভ করার পর আর খেয়াল করিনি যে আবার রিপিট হয়ে গেছে।যাই হোক,এডিট করে দিয়েছি। আমার ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। গল্পটা পড়তে কষ্ট হওয়ায় আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: কপি পেস্ট নাকি? একই লেখা ২বার চলে এসেছে। আগে সেটা ঠিক করে দিন।
একজন লেখকের পাঠকের প্রতি খেয়াল রেখেই লেখা উচিত। যেভাবে দিয়েছেন।
একজন পাঠক প্রথমেই বিরক্ত হয়ে যাবে। আপনি যেভাবে লিখেছে সেভাবে গল্প লেখা কিংবা পোস্ট দেয়া হয় না।
স্থান / কাল / ঘটনা এইগুলির উপর করে আলাদা আলাদা প্যারা করে দিবেন।
লেখার স্টার্টিংও ভালো হয়নি। হুট করে কে কাকে কি বলতে শুরু করেছে তার হদিস নেই।
ধন্যবাদ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৩

আফরিন নাজিয়া বলেছেন: প্রথমেই বলে নিচ্ছি,লেখাটা কপি-পেস্ট না। আমার ট্যাবলেট ফোনে ব্লগিংএর কাজ করতে গেলে নেটওয়ার্ক স্লো হয়ে যায় আর সবকিছুতেই সময় নেয় তাই লেখার পর ফাইনাল এডিটিংয়ের সময় রিপিটিংএর সমস্যাটা হয়েছে। প্রথমেই একবার রিপিটিংএর সমস্যাটা হয়েছিল,সেটা রিম্যুভ করার পর আর খেয়াল করিনি যে লেখার মাঝখানে আবার রিপিট হয়েছে।যাই হোক,এডিট করে দিয়েছি।ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।আর দ্বিতীয় কথা,গল্পটি অনুগল্প তাই প্যারা করে দেওয়ার কথা মাথায় ছিল না।আমি লেখিকা হিসেবেও ভালো নই,তাই বোধহয় নিজের স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী লিখতে গিয়ে পাঠকের পাঠের স্বাচ্ছন্দ্যবোধের কথা মাথায় থাকে না। আমি সাধারণত এভাবেই লিখি। আমার গল্পটি পড়তে কষ্ট হওয়ায় আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।আর শেষ কথা, আমার মনে হচ্ছে না আমি কোন চরিত্রকে ঝাপসা করে দিয়েছি যে সংলাপের হদিস থাকবে না।লেখার স্টার্টিং ভালো না হওয়ায়, পাঠকের বিরক্তিবোধ হওয়ায় এবং অন্যদের মত করে গল্প লেখা বা পোস্ট করতে না পারায় আমি আবারও আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। গঠনমূলক সমালোচনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২

ফয়সাল রকি বলেছেন: এক প‌্যারায় গল্প লেখার আলাদা একটা মজা আছে, যদিও পাঠকেরা সেটাতে কিঞ্চিত বিরক্ত হয়। যাই হোক, এক প‌্যারায় লেখা আমার একটা গল্পের লিংক দিচ্ছি, সুযোগ পেলে দেখে আসবেন।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

আফরিন নাজিয়া বলেছেন: ও আচ্ছা, পাঠকদের এক প্যারার গল্প পড়ে বিরক্তবোধ করার ব্যাপারে আমার ধারণা ছিল না।আমি সর্বভুক ধরণের পাঠিকা, সবধরণের লেখা পড়তেই আমার ভালো লাগে।আর এটা অনুগল্প তাই প্যারায় লেখার ব্যাপারটা মাথায় ছিল না।তো যাই হোক, আপনার লেখার লিংক দিতে পারেন,দেখি আপনার লেখা পড়তে কেমন লাগে!!!

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

ফয়সাল রকি বলেছেন: লিংক তো দিয়েছি, আবার দিলাম Click This Link

১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৪

আফরিন নাজিয়া বলেছেন: আপনার অনুগল্পটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে.. লিংক দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.