নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলা শেষে

বেলা ডুবে যায়

মোঃ নুরুল আমিন

মোঃ নুরুল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত কেন নেন! লাইনে আসেন

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আশ্চর্য! ফেরী ডুবে ৩০০ মানুষ মারা ও নিখোজ হওয়ার ঘটনায় দক্ষিন কোরিয়ান প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন! লিঙ্কটি এখানেঃ Click This Link

ক্থা হচ্ছে ১৬ এপ্রিল দক্ষিন কোরিয়ায় যে ফেরী দূর্ঘটনা হয়েছে সেটি নিয়ে। যে দূর্ঘটনার শিকার বেশীরভাগই ছিল সেকন্ডারি স্কুলের স্টুডেন্ট। তাতে তিনশ জনেরও বেশী মানুষ মারা যায় এবং নিখোজ হয়।



এদের মাথায় কিছু নাই! আরে ভাই, দূর্ঘটনায় ফেরী ডুবছে, হায়া্‌ত নাই মানুষ মারা গেছে, আর যাদের কপাল মন্দ তারা খোয়া গেছে, ফিনিস। এখানে প্রধানমন্ত্রী 'সামান্য' একটা ফেরীর দায়িত্ব নিতে যাবেন কেন?! এরা কিচ্ছু বোঝেন না!



আর আমাদের দেশটা দেখেন, কিছু বুদ্ধিটুদ্ধি নেন। একটা ফেরী ডুবছে, সাথে তিনশ প্রান নিয়ে গেছে, এইতো! ওরকম কত ফেরী ডুবলো, কত কি যে ঘটলো, আর সাথে মানুষ নয়, প্রানও নয়, আমরা বলি কতো উইকেট পরলো! কত তিনশ! ঘটনা শুনবেন, সহ্য হবে তো! আপনারা সহ্য করতে পারবেন না, কিন্তু আমি/আমরা বলতে পারবো। এগুলো আমাদের জন্য পান্তাভাত! প্রতি দিনের পত্রিকায় রক্তমাখা প্রতিবেদন না দেখলে যে আমাদের পান্তা হজম হওয়া দায়।



কই এজন্য আমাদের কোন প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সদস্য, চৌকিদার, দফাদার কেউ পদত্যাগ করেননি, পদত্যাগ করেন না। এতে তাদের কিছু হয়না, চেয়ারটা পর্যন্ত নড়েনা! কি হয় শুনেন, কিছু দিন ফালাফালি, বাক-বিতন্ডা, হইহই, তারপর সব ঠান্ডা। মাঝখানে যার একটু গেছিলো তার সব যায়, গলাবাজের গলা পরিষ্কার হয়, কারোর দল ভারি হয়, আর কারোর হয় পকেট গরম!



আমাদের দেশতো ঠিকঠাক চলছে! আমরা কেন আপনাদের অনুসরণ করবো?! আপনারা বরং আমাদের নিয়মে আসেন। পদত্যাগ ফদত্যাগ বাদ দেন! দেখবেন জীবন সুন্দর!!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২২

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: মনে রাখবেন, ঐ দেশে প্রেসিডেন্ট সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তাই তাদের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের সাথে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগকে গুলিয়ে ফেলবেন না। বরঞ্চ, এই ভাবে বলতে পারেন যে, আমাদের কয়েকজন দায়ী মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত ছিল। এবং দায়ীদের উচিত শিক্ষা হওয়ার প্রয়োজন ছিল।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৩

মোঃ নুরুল আমিন বলেছেন: আপনি যে প্রধানমন্ত্রীকে অতিভক্তি করেন সেটা বোঝা গেছে। আপনার জন্য বুঝতে একটু কষ্ট হবে। এখানে কিছু 'গুলিয়ে' ফেলা হয়নি। যার দোষ তার ঘাড়ে যাবে। আর ওটা তালিকা মাত্র। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ঘাড় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু হয়। হোক সে বর্তমান, অতীত অথবা ভবিষ্য্‌ত প্রধানমন্ত্রী।
যাহোক, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আপনার মায়া দেখে ভাল লাগলো! তিনিওতো মানুষ!

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

ভোরের সূর্য বলেছেন: @নিষ্‌কর্মা ভাই। দেশের নামটা ভুলে গেছি কিন্তু কয়েকদিন আগেও ৭ জন দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ায় সে দেশের প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করেছেন।

বুঝলাম যে দক্ষিন কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না কিন্তু ব্যাপারটা আপনাকে দেখতে হবে মানবিক দিক থেকে। কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী কিন্তু এটাও বলেছিলেন যে ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই তিনি পদত্যাগ করতে পারতেন কিন্তু তিনি করেন নি কারন তখন ঘটনা সামালা দেয়াই ছিল আসল বিষয়। এবং পরে তিনি নিজের বিবেকের কাছে ছোট হয়েছিলেন বলেই পদত্যাগ করেছিলেন।

সংখ্যাটা বিষয় নয় কারণ কম হোক আর বেশী হোক মৃত্যু আসলে মৃত্যুই।এটার কোন জবাব নাই। কিন্তু যে দেশে ৭ জন মৃত্যুর পরেই কিংবা ৩০০জন মৃত্যুর পরেই সরকার প্রধান কিংবা রাষ্ট্র প্রধান পদত্যাগ করেন সেখানে রানা প্লাজায় ১১৩৫ জন মৃত্যু এবং আরো কয়েকশত জন নিখোজ হওয়া,তাজরীন গার্মেন্টসে ১১৫ জন দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া, চট্রগ্রামের ফ্লাইওভার ভেঙ্গে ১১জন মারা যাওয়ার এবং এরকম আরো মানুষ সম্পূর্ণ সরকারী কিংবা বেসরকারী কারনে মারা যাবার পরেও যদি সে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করেন সেটা কে কি বলবেন? শুধু তাই নয়। রানা প্লাজার দুর্ঘটনা ঘটেছে স্বয়ং সরকার দলীয় নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে।এখানেতো প্রধানমন্ত্রীর দায়ীয়ত্ব আরো বেশী যে তিনি নিজের দলের লোকদেরই সামলাতে পারেন না কিংবা নিজের সরকারের সরকারী কর্মকর্তা বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কারনে কত লোক মারা গেল ফ্লাইওভার ভেঙ্গে।তার মানে তিনি তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না বা সমন্বয় করতে পারছেন না।এটা সরকার প্রধানের ব্যর্থতা।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৪

মোঃ নুরুল আমিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশও এমনটা হতে পারতো।
বাংলাদেশে সেই সুদিন এখনো আসেনি।

কোরিয়ান বা ভারতীয়রা পেরেছে, কারন সেদেশের মুল বিরোধী দলে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বা স্বাধীনতাযুদ্ধ বিরোধীরা নেই।

হত্যার মাধ্যমে তৈরি আমাদের দেশের প্রধান বিরোধীদলটি মুক্তিযুদ্ধের মুল বিপক্ষ শক্তিকে নিয়ে জোট বেধেছে।

তারা কখনোই ২৬সে মার্চ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের কোন দিবস মানে না।

১৭ এপ্রিল 'মুজিবনগর দিবস' মানে না, পালনও করে না।
৬ দফা দিবসও মানে না।
৭ই মার্চও পালন করে না।
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসও মানে না,
বলে ভারতীয়দের কাছে আত্নসমর্পন, ভারতীয়দের বিজয়।
বলে - "মুজিব পাকিস্থানী হিসাবে পাকিস্থানী পাসপোর্টে দেশে আসেন"
এখন বলছে মুজিবের ক্ষমতাগ্রহন অবৈধ,

তার মানে তাদের কাছে আগের সরকার, ঘাতক ইয়াহিয়া সরকার জেনুইন!

এইসব ঘাতকদের হাত শক্তিশালি করার জন্যে পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫২

মোঃ নুরুল আমিন বলেছেন: প্রথমেই একটি কথা; এখানে শুধু বর্তমান সরকার, অথবা নির্দিষ্ট করে কোন দল অথবা কারোর কথা বলা হয়নি। এটা বাংলাদেশের সামগ্রিক চিত্র।

'বাংলাদেশে সেই সুদিন এখনো আসেনি।' কথাটি সত্যি। তবে একদিন অবশ্যই আসবে, যেদিন আমরা সাধারন জনগন এবং আমাদের নেতাগন ব্যক্তি ও দলের চেয়ে দেশকে বড় করে দেখতে শিখব।

'এইসব ঘাতকদের হাত শক্তিশালি করার জন্যে পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না।' এই কথাটা আমি বললে আপনিও হাসবেন। কারন দোষ স্বীকার করা বা পদত্যাগ করলে অন্য কাউকে শক্তিশালী করা হয়না, বরং এতে নিজেদের মাথা আরও অনেক উচু হয়। এখানেতো ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া হচ্ছে না। যে পদ খালি সে পদে আরেকজন আসবেন। একাধিক যোগ্য নেতা অবশ্যই একটি সরকারে থাকেন। ভাল থাকবেন।

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০২

আমিনুর রহমান বলেছেন:



আল্লাহ্‌র মাল আল্লাহ্‌ নিয়ে গেছে তাতে পদত্যাগ করতে হয় না কি ! আজিব বোকা চুং হান ওন :(

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

মোঃ নুরুল আমিন বলেছেন: বেচারা.।!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.