মায়াবতী

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:৪৩

বালিকা নিজেও জানো না ... ময়াবী চোখের আঙ্গিনায় মুগ্ধতার আভা ছড়িয়ে সে যখন তার অস্তগামী সূর্যের মত প্রায় রক্তিম ঠোঁটের ঝুল বারান্দার এক কোণে এক চিলতে হাসি ফোটায়, তখন ভোরের ঘাসের উপর টলমল করতে থাকা মুক্তো সদৃশ শিশির বিন্দুর মত তার গালের পাশটায় একটুখানি টোল পরে... ঐ অতটুকুতেই ... অতটুকুতেই আমি খুন হয়ে যাই ... শতবার সহস্রবার ... স্রেফ খুন হয়ে যাই... মায়াবতী, তোমার সর্ম্পকে তেমন কিছু বলার নাই তবুও একটু বলি - হিজাব পরলে তোমাকে অনেক সুন্দর লাগে, যেটা দেখার জন্য আমি চাতক পাখির মত তাকিয়ে থাকি! পানে ,তোমাকে যে কতটা ভালবাসি সেটা হয়ত তুমি জান না।কেমন জানি উদ্ভূত সুন্দর লাগে তোমাকে যখন তুমি হাস । এরকম সুন্দর মেয়ে ও সাথে সুন্দর হাসি পাওয়া একটু কঠিন। সব সময় হাসবে ওকে...।প্রথম দেখাতেই তোমাকে অনেক ভাল লেগে যায়,,,তোমার মায়াবী চোখ আমাকে স্তব্ধ করে দেয়,আমার চোখে তুমি অনেক নিষ্পাপ মায়াবী,,, এমনই থেকো,,,,জানিনা সামনা সামনি কবে বলতে পারবো,,,,তোমার দেখলেই আমি যেন পাথর হয়ে যাই।তোমাকে দেখতে অনেকটা সিরিয়াস ও রাগি মনে হয়। তাতে কি, সেই সিরিয়াসনেসের মাঝেও তোমার অসাধারন কিউট, মায়াবী হাসিটা বের হয়ে আসে। এ হাসিই আমার ঘুমের ট্যাবলেট , আবার ঘুম থেকে জেগে উঠার কারন।তোমাকে প্রথম দেখাতেই ভাল লেগে যায়। তোমার মুখের গড়ন আর হিজাবের আজিব মিশ্রণ আমাকে পাগল করে দেয়।এর পর থেকে শান্তিতে ঘুমতে পারি না, কোন কাজ ঠিক ভাবে করতে পারি না।শুধু তোমার কথা মনে পরে। কি করব আমি জানি না।তোমাকে পাব কিনা তা তো জানিই না।তোমাকে সামনা সামনি বলতে পারব কিনা কোন দিন তাও জানি না।তোমার অার অামার মাঝে দাড়িয়ে অাছে চিনের প্রচিরের মতো এক অদৃশ্য দেয়াল, জানি যা হয়তো অামি কোন দিন ভেদ করতে পারবো না। তারপরেও বৃষ্টিস্নাত কোন এক দিনে মুখোমুখি দাড়িয়ে হয়তো বলে দিবো সব...এরপর শুধুই ভিজতে থাকবে দুজন। বৃষ্টিস্নাত দিনে কেন বলব জানো করন অামার দুচোখ দিয়ে বৃষ্টিধারার মত ঝরে পড়া নোনাজল যেন তুমি দেখতে না পাও।
তবে একটা কথা জানি তুমি ভাল থাকলে আমিও ভাল থাকব।তাই সবসময় ভাল থাক।
কাউকে ভালোবাসা বা ভালোলাগা হুট করে কখনোই হয়না আমার ক্ষেত্রে। তোমার ক্ষেত্রে বিষয়টা আলাদা ভাবে হয়ে গেছে। তোমাকে কাছে ও দূর থেকে আস্তে আস্তে জেনেছি।তোমায় জানি বলেই বলছি, অনেক ভালো একজন মানুষ তুমি, অনেক নির্মল মনের অধিকারী। সবসময় এরকমই থেকো, আলো হয়ে দিপ্তি ছড়িয়ে দিও চারপাশে। তোমাকে দেখার পরে কোনো দিকেই মনোনিবেশ করতে পারি না, বলতে পারো ইলেকট্রন এর মতো নিউক্লিয়াস এর চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছি, তবে তুমি চাইলে সেটাকে পোলার (r=1+sinx) এর কার্ডিয়াক শেইপ এর মতো করে রাখতে পারো! তোমাকে আয়নিক বন্ধন এর মতো করে কাছে না রাখতে পারলেও সেটাকে ভ্যান্ডারওয়ালস এর মতো অতোটা দূর্বল হতে দিবো না!! ফুলারিনের মতো একসাথে না থাকতে পারলেও তোমার হাতের ফুলের মতো থাকতে পারবো, আমি না ফ্লুয়িড এর টারবুলেন্ট ফ্লো এর মতো চললেও তোমার পরশে সেটাকে ল্যামিনারে কনভার্ট করতে পারবো। ও হ্যা...এত ডিপ্রেশনে থাক কেন তুমি!! তোমার মন খারাপ করা মুখ দেখতে কিন্তু একদম ভাল লাগে না। আরেক দিন মন খারাপ দেখলে কিন্তু মাইর দিব। সব সময় হাসি খুশি থাকবা। এই হাসিটা তোমার সাথে খুব যায়। আর একটা উপদেশ দেই, এতোটা ভালো হবেনা,একটু খারাপ হবে। পৃথিবীর মানুষ তোমায় এতোটা ভালোবাসবেনা, যতটা তুমি বাসো।
খুজে নিও..

০ টি +০/-০