নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসি আমার দেশকে..আমার ভাষাকে

নাজমুল_হাসান_সোহাগ

আমি রুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারি(১০'সিরিজ) ডিপার্টমেণ্টে পড়ালেখা করছি। সুযোগ পেলেই লেখালেখিতে বসে যাই। আমার লেখালেখির সব থেকে পছন্দের বিষয় হল ছোটগল্প ।বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে ভালো লাগে। আরও ভালো লাগে নতুন বন্ধু তৈরি করতে।

নাজমুল_হাসান_সোহাগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্জাতিক হরতাল দিবস (রম্য)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫২

...৫ই জানুয়ারি। কেউ বলে গণতন্ত্র হত্যা দিবস আবার কেউ বলে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস। তো যারা বলছে গণতন্ত্র হত্যা দিবস তারা এতদিন ধরে সজীব বাতাস টেনে উজ্জীবিত হয়ে এই দিনে পথে নেমেছে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য। রাস্তায় মিছিল, মিটিং, সমাবেশ, গাড়িতে আগুন, গাড়ি ভাংচুর আরও কতকি!!! এক কথায়, অঘোষিত হরতাল।
ফলাফলঃ সাধারণ জনগণ ঘরে বন্দী (বিদ্রঃএরা নেতার বক্তব্যের বাংলাদেশের জনগণ নয়)

আবার যারা বলছে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস তারা এখন বিরোধী দলের মিছিল, মিটিং, সমাবেশ ঠেকানোর নামে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে বসে আছে। অঘোষিত হরতাল!!
ফলাফলঃ সাধারণ জনগণ ঘরে বন্দী (বিদ্রঃ এরা নেতার বক্তব্যের বাংলাদেশের জনগণ নয়)

ল্যাও ঠ্যালা!! জনগণ পড়ছে মাইনকার চিপায়। গণতন্ত্র হত্যা হইলেও সমস্যা আবার রক্ষা হইলেও সমস্যা যামু কৈ!!!

...তো দেখা দেখাযাচ্ছে দুই দল থেকেই ভিন্ন ভিন্ন নামে বা কৌশলে এই ৫ই জানুয়ারীকে ‘হরতাল দিবস’ হিসেবে পালন করার একটা প্রবণতা দেখাযাচ্ছে। আমাদের দেশ এগিয়ে গেলে সামনেও এই প্রবণতা দেখা দিবে। দুই দলেরই সুবিধা হত যদি দিনটা ‘জাতীয় হরতাল দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি পেত। দিনটিতে সরকারী ছুটি থাকতো, সাধারণ জনগণ কম্বল মুরি দিয়ে ঘুমাতো। বিরোধী দল সমাবেশ করার জন্য ফাঁকা রাস্তা পেত আর সরকারী দলকেও অবরোধ দিয়ে গাড়ি আটকাইতে হইতো না। গাড়িতে উঠবে কারা?? সব তো কম্বল মুরি দিয়ে ঘুমুচ্ছে!!

কেমন হত যদি ৫ই জানুয়ারী সত্যিই জাতীয় হরতাল দিবস হিসেবে পালন করা হয়!!! নাহ আমরা ছোট খাটো চিন্তা করবো কেন। দিনটা যদি “আন্তর্জাতিক হরতাল দিবস” হিসেবে পালন করা হয়, কেমন হত!?!

...বিরোধী দল ফাঁকা রাস্তায় হরতালের পক্ষে মিছিল দিত, পুলিশের নিরাপত্তায়, যেন হরতাল পালন করার সময় হরতালকারীদের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয়। হরতাল কিন্তু জ্বালাও পোড়াও হবেনা এটা কোন কথা হইলো?? কিন্তু সাধারণ জনগণ তো কম্বলের নিচে!! রাস্তায় গাড়ি নাই, ভাঙবে কি! পোড়াবে কি! তাই সরকার কিছু গাড়ির রেপ্লিকা বানিয়ে রাখবে রাস্তায়। সবাই আনন্দ নিয়ে রেপ্লিকা গাড়িতে আগুন দিবে, পিকেটিং করবে। আহ!! হরতাল সফল হবে।

...আন্তর্জাতিক হরতাল দিবস বলে কথা!! সারাবিশ্বে একযোগে পালিত হবে। সিএনএন, আলজাজিরায় নিউজ হবেঃ

“প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গাড়ির রেপ্লিকাতে আগুন ধরিয়ে ‘আন্তর্জাতিক হরতাল দিবস’এর উদ্বোধন করেন”।

“আন্তর্জাতিক হরতাল দিবসের জন্মস্থান বাংলাদেশে তুমুল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে সারাদেশে একযোগে পালিত হচ্ছে হরতাল!! হরতাল পালন করার সময় একজন হরতাল সমর্থক কিঞ্চিৎ আহত হওয়ায় তাকে রাজধানীর এপোলো হসপিটালে ভর্তি করা হয়। আহত হওয়ার ঘটনায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামা ক্ষোভ প্রকাশ করেন”

“উত্তর কোরিয়া জাতীয়ভাবে দিনটাকে প্রত্যাখ্যান করে। দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেন, পৃথিবীতে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। তাই রক্ষা বা হত্যার কিছু নাই। সবই ক্যাপিটালিজমের ধান্দাবাজি!!”

আমাদের দেশের নাম পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেয়ার এ এক অনন্য সুযোগ। আশাকরি, অন্তত এই ব্যাপারে সরকারী ও বিরোধী দল একমত হয়ে 'আন্তর্জাতিক হরতাল দিবস'এর প্রতি পূর্ণ সম্মান দেখাবে!!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.