![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই উপমহাদেশের বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশের একটি বিশেষ ব্যাপার আছে।। মুসলমানদের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা বেশি প্রবণ। আমরা ধর্ম শিখেছি মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত পীর, সূফি-দরবেশদের কাছ থেকে মূলত। তাদের অক্লান্ত ধর্ম প্রচারের কারণে বেশিরভাগ মানুষ ধর্মভীরু না হলেও ধর্মপ্রিয়। একারণে আবেগ বেশি, হুজুগ বেশি।
আবার অন্যদিকে, আমরা সংস্কৃতি শিখেছি এই অঞ্চল থেকে। ফলে আমাদের অনেক সংস্কৃতির সাথে ধর্মের বিরোধ দেখা যায়। কবি সাহিত্যিকরা আমাদেরকে নারীর অনেক রূপ দেখিয়েছেন। বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুন্ডলার চেহারার যে বর্ণনা তিনি দিয়েছেন আমার তো মনে হয় এটা পড়ে তিনিই তিনবার অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। তো কথা হচ্ছে, আমরা কবি সাহিত্যিতদের বর্ণনা পড়ে উত্তেজিত হই। আবার ধর্মের প্রতি কিছুটা ভয়, লোকলজ্জার ভয়ে সেই ‘রক্ত মাংসের ক্যানভাসের’ স্বাদ নিতে পারি না। এবং এ থেকেই তৈরি হয়(আমার মতে) এক ধরনের মানসিক বিকৃতি। ভীড়ের মধ্যে তো কেউ দেখছেনা। দিই না একটু ছুঁয়ে। আবার ১০-১২ জন মিলে একটা পাপ কাজ(অপরাধ) করলে অপরাধবোধটা তেমন থাকে না। একারণে দলে দলে এই ছোঁয়াছুঁয়ির খেলায় যোগদান করে ব্যাপক কামিয়াবি হাসিল করি। কারণ ঐ যে, আমাদের তো বিশ্বাস আছেই যে, ঈমান থাকলেই একসময় না একসময় বেহেশত নিশ্চিত। সুতরাং খালি ঈমান(আল্লাহ এক এই বিশ্বাস) টা ঠিক রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ি ভীড়ের মধ্যে এবং অমৃত সুধা লাভ করি।।
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: খালি ঈমান(আল্লাহ এক এই বিশ্বাস) টা ঠিক রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ি ভীড়ের মধ্যে এবং অমৃত সুধা লাভ করি।। ------- এই কথাটি কি ভেবে চিন্তে বলেছেন !! যে বা যারা উক্ত কাজ ঐ সময় করেছে -- নারীকে উত্তক্ত করেছে এবং নারীর বস্র হরণ করেছে তার কি উক্ত সময় ধর্ম জ্ঞান ছিল !!!! তার মধ্যে উক্ত সময় ছিল নারীকে ভোগ করার কামনা, যে যেভাবেই হোক তার সেই কামনা চরিতার্থ করতেই হবে ------- এর সাথে ধর্মকে টেনে আনার দরকার ছিল কি !!!
অন্যায়কারীতো অন্যায়কারী --- তাদের কোন দল নাই, নাই ধর্ম, নাই কোন পরিচয় -------তাদের একমাত্র পরিচয় ওরা অন্যায়কারী, ওরা নারী ধর্ষকামী, ওরা ভ্রষ্ট, ওরা সমাজের কীট ---তাই ওদেরকে কঠিণ শান্তি দিতেই হবে ----
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২
নাসিফ ওমর বলেছেন: দেখুন, #লায়লা আমি আমার এই ছোট্ট লেখায় কি ইসলামকে বা কোন ধর্মকে আঘাত করেছি? নাকি আমি কিছু নামমাত্র পথভ্রষ্টের কথা বলেছি। আমি কি দেখেননি, যে কিভাবে গুজব ছড়ানো হয়, যে একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে মিথ্যা অজুহাত দেয়া হয়,বলা হয় সে রাসূল(সা.) কে অবমাননা করেছে, এবং অনেক বেনামাজী বলে ওঠে, নামাজ পড়ি না তো কি হয়েছে, ঈমান তো ঠিক আছে, মার শালাকে।। এগুলো এই সমাজেরই ঘটনা।। আমি শুধু এই বিষয়টিই তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। আর হ্যাঁ,আমি আপনার সাথে একমত,অন্যায়কারীর কোন দল নাই, নাই ধর্ম, নাই।। তবে যেহেতু বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, একারণে টিপিক্যাল উদাহরণ দিতে গিয়ে আমি উপরের কথা বলেছি মাত্র।।
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬
নাসিফ ওমর বলেছেন: ভাই #রোহান, আমি কিন্তু ইসলামকে নিয়ে কিছু বলিনি।। আমিও আপনার মতই বিশ্বাস করি।। তবে যারা অপরাধ করে তারা যদি মুসলমান হয় আর অামি যদি তাদেরকে সমালোচনা করি, দোষ কোথায়, আমি সব ধর্মের অপরাধীদেরকেই ঘৃণা করি, সে নাস্তিক হোক কিংবা আস্তিক।।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১
কসমিক রোহান বলেছেন: এধরণের অশ্লীলতা ঘটায় মুক্তমনা নামক কিছু নারকীয় কিটেরা। এটা বহুবার প্রমাণিত । ইতিহাস পড়ুন। হিপ্পিদের সম্পর্কে জানুন । ডারউইন, ফ্রয়েড, মার্ক্স এদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন , তারপর বলুন।
আর ইসলাম ঠুনকো জিনিষ নয় । ইসলামই একমাত্র পরিপূর্ণ বিজ্ঞানময় মানবকল্যাণ। এর বাইরে যা সবই নষ্টের দলে।
মূত্রমনা রা তো ইনসেস্ট এর দলে , যেখানে মা বোনকেই তারা কামনার চোখে দেখে আর অন্য নারীদের তারা কি ভাবতে পারে তা সহজেই অনুমেয় ।
নাস্তিক ও ইসলাম বিরোধিরাই পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী ।