নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নায়করাজ

নায়করাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা হবে আফগান : ৫ মে 'গণজাগরণ মঞ্চ' দখল করা হবে: হেফাজত

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

হেফাজতে ইসলাম নেতারা রাজধানীর শাহবাগের 'গণজাগরণ মঞ্চ' আগামী ৫ মে'র মধ্যে ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সরকার ভেঙে না দিলে তৌহিদি জনতা গণজাগরণ মঞ্চ দখল করে 'ইসলামি চত্বর' হিসেবে ঘোষণা করবে।



আজ সোমবার হরতাল চলাকালে লালবাগ শাহী মসজিদে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ তৈয়ব এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।



মুফতি তৈয়ব বলেন, নাস্তিকদের সহযোগী এ সরকারের পতন নিশ্চিত। 'গণজাগরণ মঞ্চের' নামে ইসলাম ধ্বংস করার নীলনকশা চলছে। নাস্তিকদের মাধ্যমে সরকার মনে করছে সবকিছু থেকে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু সরকারের এ স্বপ্ন কখনো সফল হবে না।



তিনি বলেন, আমাদের ১৩ দফা দাবি না মানা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। আগামী ৫ মের মধ্যে শাহবাগ 'গণজাগরণ মঞ্চ' ভেঙে না দেয়া হলে ওই দিন 'গণজাগরণ মঞ্চ' দখল করে 'ইসলামি চত্বর' ঘোষণা করা হবে। ইসলামের অস্তিত্ব রক্ষায় হেফাজতে ইসলাম আন্দোলনে নেমেছে। সফল না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।



মুফতি তৈয়ব বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী। তবে সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে বাধা দিচ্ছে। একদল নাস্তিক শাহবাগের রাস্তা আটকিয়ে দিনের পর দিন সমাবেশ মিছিল করে যাচ্ছে। তাদের কোনো বাধা দিচ্ছে না। অথচ আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে চাইলে সরকার তাতে বাধা দিচ্ছে। এ কেমন নাগরিক অধিকার?'



নিউজ এখানে : Click This Link



এদের মূল উদ্দেশ্য হল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করা। ইসলাম হল উপলক্ষ মাত্র। বাংলাদেশে ইসলামের বিপক্ষে কেউ কথা বলেনি। ধর্ম পালনের ব্যাপারে বাংলাদেশের সবাই স্বাধীন। নাগরিক হিসেবে আমরা যে কোন ধর্ম-আচরণ করতে পারছি স্বাধীনভাবে। ইসলাম ধর্মের কোন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কাউকে কেউ বাধা দেয় নি। গণজাগরণ মঞ্চ কখনও ইসলামের বিরুদ্ধে কিছুই বলে নি। বরং গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চ ইসলামের বিরুদ্ধে নয়। গণজাগরণ মঞ্চ কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির ফাসির দাবি জানায়। গণজাগরণ মঞ্চের ৬ দফার কোথাও ইসলাম বিরোধী কিছু নাই। এই যে সেই ৬ দফা :



৬টি দাবী :



১) ঘাতক জামাত শিবিরের হামলায় রাজীব হায়দার, জাফর মুন্সী, বাহাদুর মিয়া, কিশোর রাসেল মাহমুদ হত্যাকান্ডে জড়িতদের আগামী ৭দিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।

২) ২৬ শে মার্চের পূর্বে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক সন্ত্রাসী জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যায় নেতৃত্বদানকারী জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সুশোধনী আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন এবং নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

৩) অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধী সংগঠনগুলোর আর্থিক উৎস, যেসব উৎস থেকে সকল প্রকার জঙ্গিবাদী, এবং দেশবিরোধী তৎপরতার আর্থিক জোগান দেয়া হয়, সেগুলো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।

৪) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া গতিশীল ও অব্যহত রাখতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালকে স্থায়ী রূপ দিতে হবে।

৫) গণমানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস ও তান্ডব বন্ধে অবিলম্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সকল সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ গোপন আস্তানা সমূহ উৎখাত করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এদের ভয়ংকর রূপ প্রকাশ করে দিতে হবে।

৬) যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষক এবং হত্যা ও সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা গণমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।



এখানে কোন শব্দটি ইসলামের বিরুদ্ধে আছে ? কোন বাক্য বা শব্দ কোনটাই ইসলামের বিরুদ্ধে নাই।

তারপরও পায়ে পাড়া দিয়ে এরা গন্ডগোল করতে চায়। এদের মূল ইস্যু হল গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করা এবং অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করা। এদের ১৩ দফার মধ্যে গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করার কোন দাবী না থাকলেও তারা এখন এটাকেই সামনে নিয়ে এসেছে। তাদের ১৩ দফার মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার কথা না বলা হলেও তারা এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্যই উঠেপড়ে লেগেছে।



বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু এবং ধর্মপ্রাণ। তাই তারা গণজাগরণ মঞ্চকে নাস্তিকের আন্দোলন বলে মিথ্যাচার করছে। এই মিথ্যাচারের মাস্টারমাইন্ড হল দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এই পত্রিকাটির মালিকানা হল জামায়াতে ইসলামী প্রচার সম্পাদক তাসনীম আলমের। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য ইচ্ছামতো মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে। বাস্তবতা হল শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের দাবীর সঙ্গে ধর্মের কোন বিরোধিতা নাই। যুদ্ধাপরাধীর ফাসির দাবীটা কিভাবে ধর্মবিরোধী ?



যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সঙ্গে ধর্মের কোন সম্পর্কই নাই। ইসলামের কোথায় লেখা আছে গণহত্যাকারী, গণধর্ষণকারী, লুণ্ঠনকারীদের বিচার চা্ওয়া যাবে না ?



মধ্যযুগীয় তালিবানী শাসন থেকে এই দেশটাকে বাঁচানোর দায়িত্ব আমাদের সবার।



তাদের প্রথম টার্গেট হবে সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ - আওয়ামী লীগ বিএনপি কেউ রেহাই পাবে না। পরের টার্গেট হবে সাংবাদিকরা, লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবীসহ সকল সাধারণ মানুষ। তারা ব্লাসফেমি আইন পাস করে যাকে খুশি তাকে ফাসিতে ঝোলাবে। নাসারাদের স্টাইলের এই আইনের বলে অসংখ্য নিরপরাধ মানুষের জীবন যাবে। তারা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করবে। নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করবে। নারীদের চাকুরি থেকে বহিষ্কার করবে। বন্ধ হয়ে যাবে গার্মেন্টস সেক্টর। বন্ধ হয়ে যাবে সকল নারীবাদী প্রতিষ্ঠান। আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে তারা এটাই করেছে।





আজ রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবীসহ যারা হাততালি দিচ্ছেন, এই জঙ্গী উগ্রপন্থী তালিবানীরা তাদেরকেই সবার আগে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফাসিতে ঝোলাবে। এখনও যদি ঘুমিয়ে থাকি, পরে আফসোস করলেও লাভ হবে না।



আমাদের পরিণতি হবে এই রকম : Click This Link



কাদের ইন্ধনে হচ্ছে এই তালিবানী আন্দোলন। এইখানে দেখেন :

Click This Link

Click This Link

Click This Link



মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৩

পুংটা বলেছেন: ওরা নিজেরাই নিজেদের কাল হবে। বাঙালীর সহজাত বৈশিষ্টের বাইরে ওরা না। B-))

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৯

স্বাধীন শোয়েব বলেছেন: ব্লগার পরিসংখ্যান
পোস্ট করেছেন: ১৩৮টি
মন্তব্য করেছেন: ১২৬৭টি
মন্তব্য পেয়েছেন: ১২১৩টি
ব্লগ লিখেছেন: ৪ বছর ৩ মাস
ব্লগটি মোট ৩৬০৯০ বার দেখা হয়েছে

এত দীর্ঘ যার ব্লগ জীবন সে কিভাবে এই কথা বলে যে " বাংলাদেশে ইসলামের বিপক্ষে কেউ কথা বলেনি"।

নাকি মাত্র পয়দা হইছেন?

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৪৫

নায়করাজ বলেছেন: এই কথাটাকে ব্যাখ্যা করা দরকার। কয়েকজন মুসলিম বিদ্বেষী ব্লগার ব্লগের লেখায় আল্লাহ রসুলকে কটূক্তি করে ব্লগে লিখেছে। এরা যা লিখেছে, এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। প্রচলিত আইনে তাদের গ্রেফতার করে বিচার করা সম্ভব এবং ইতিমধ্যে ৪ জন গ্রেফতার হয়েছে।

কিন্তু শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ কখন্ও ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু বলেনি। তাদের এ আন্দোলন ইসলামের বিরুদ্ধে নয়। তাদের এ আন্দোলন কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে বা জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে। এ কথা বার বার বলা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক ৬ দফা দাবিতেও ধর্মের বিরুদ্ধে কিছুই নাই। তাহলে তাদের কেন বার বার নাস্তিক বলা হচ্ছে ?

বাস্তবে বাংলাদেশে কয়টা নাস্তিক আছে ? আপনার মহল্লায় কয়টা নাস্তিক আছে ? একটা উপজেলায় কয়টা নাস্তিক আছে ? একটা জেলায় কয়টা নাস্তিক আছে ?

হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বর্তমান সরকার নাকি নাস্তিক সরকার। আসলে কি তাই ? বাংলাদেশে কোথা্ও কি কোন ধর্মীয় আচার আচরণ পালনকে বাধা দেয়া হয়েছে ?

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৩০

মিথ্যুক আমি বলেছেন: ইসলাম ডুবল রব তুলে মুলত এরা ইসলামের ঘাড়ে পা রেখে নিজেদের আখের গুছাতে চাচ্ছে। আহমেদ শফি যদি বলতে পারেন গনজাগরন মঞ্চ থেকে অমুক দিন অমুক কথাটা ইসলামের বিপক্ষে বলা হয়েছে কথা দিচ্ছি আমি নিজে জাগরন মঞ্চে আগুন দিব কিন্তু তারা যদি সেটা প্রমাণ করতে না পারে তাহলে যেদিন তারা জাগরণ মঞ্চ দখল করতে আসবে সেইদিন ই প্যাদানি দিয়ে ফাকিস্তান পাঠানো হবে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪২

নায়করাজ বলেছেন: বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের কোন আচার পালনে কোথাও বাধা দেয়া হচ্ছে না, হবেও না, সম্ভবও না। কেন ঈমান বিপন্ন হবে ? ঈমান বিপন্ন হওয়ার মতো কিছু কি ঘটেছে ?

বরং এই ধুয়া তুলে তারা ১৩ দফা দাবি দিয়ে দেশকে তালিবান রাষ্ট্র বানাতে চায়।

আমার প্রশ্ন হল - তাদের ১৩ দফায় কিন্তু শাহবাগের বিরুদ্ধে কিছুই নাই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধেরও দাবি নাই। তারা জানে, এই দাবী করলে ধোপে টিকবে না।

তাহলে চট্টগ্রামে কেন গণজাগরণ মঞ্চের মহাসমাবেশ বন্ধ করে দিল হেফাজতে ইসলাম ? তারা যদি গণজাগরণ মঞ্চের বিপক্ষে নাই হয়, তারা শাহবাগে হামলা চালাতে গেল কেন ?

আপনি দৈনিক বাংলা মোড়ে যান এখনই। দেখবেন, সেখানে বিলবোর্ড গুলোতে রং দিয়ে ওরা লিখে রেখেছে ---

নষ্টা নারী লাকির ফাসি চাই।

নাস্তিক ইমরানের ফাসি চাই। (ইমরান নাস্তিক না, কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না। )

নাস্তিক হাসিনার ফাসি চাই। (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাস্তিক বলা কি ঠিক হল ? কে নাস্তিক, কে আস্তিক সেটার সার্টিফিকেট দেয়ার ওরা কে ? নাস্তিক আস্তিকের বিচার করবেন, মহান আল্লাহ তায়ালা।)

তারা এগুলো কেন লিখেছে ?

তারা মূলত জামায়াতে ইসলামীর বি-টিম। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়ার সঙ্গে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই।
গণজাগরণ মঞ্চ শুরু হওয়ার পর এটাকে বিতর্কিত করার জন্য মাহমুদুর রহমান তার আমার দেশ পত্রিকার মাধ্যমে ব্লগারদের নাস্তিক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য বেছে বেছে কয়েক জন ব্লগারের ব্যক্তিগত লেখা পত্রিকায় প্রকাশ করে। সে এটা করেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের জন্য।

শাহবাগে কি নাস্তিক ব্লগার ছাড়া আর কেউ যায় নি ? লাখ লাখ মুসলমান যায় নি ? হিন্দু যায় নি ? খ্রিস্টান যায় নি ? বৌদ্ধ যায় নি ?

যুদ্ধাপরাধ বিচারের সঙ্গে ধর্ম বিশ্বাসের কোন সম্পর্ক আছে কি ? অবশ্যই নাই। এটাকে জোর করে সম্পর্কযুক্ত করা হচ্ছে। কারণ এটা সম্পর্কযুক্ত করলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হবে। তাই হয়েছে, সাধারণ মানুষ এখন বিভ্রান্ত।

১৯৭১ সালেও মুক্তিযোদ্ধাদের নাস্তিক এবং হিন্দুস্তানের দালাল বলত রাজাকার জামায়াতের নেতারা। তাদের এই কৌশল পুরোনো এবং কার্যকরী।

এইখানে দেখেন :
Click This Link
Click This Link
Click This Link

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৪৭

স্বাধীন শোয়েব বলেছেন: গনজাগরন মঞ্চ থেকেই কিছু ংখ্যক নাস্তিক ব্লগার কে ডিফেন্স দেয়া হয়েছে। এমনকি তাদের মুক্তি দাবী করা হয়েছে। থাবা বাবা কে জেনে শুনে জাতীয় বীর বানানো হয়েছে। প্রথমে অস্বীকার করেছে, কিন্তু পড়ে থলের বেড়াল বের হয়ে গিয়েছে। আসিফ, সবাক, আরিফুর, টেলি সামাদ এদের কথা বাদ দিলাম। এদের কথার প্রতিবাদ করতে গিয়েও আপনাদের হাতে ছাগু ট্যাগ খেতে হয়েছে।

ওইদিন দেখলাম কোন মহিলা যেন মঞ্ছে বসে কুরআন পড়ছে। এভাবে কুরআন পড়ার প্রয়োজন পড়ল কেন?

বি দ্র- এদের নাস্তিক বলা হলেও এরা নাস্তিক নয়। ধর্ম বিদ্বেষী। সাম্প্রদায়িক লোকদের সাথে এদের কোন পা্থক্য নেই। প্রচলিত আইনেই যেখানে এদের শাস্তি হওয়া অনিবার্য।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০১

নায়করাজ বলেছেন: ধর্ম বিদ্বেষী ব্লগারদের আমিও পছন্দ করি না। আমি তাদের বিচার করার পক্ষে। আইন অনুসারে তাদের কঠোর শাস্তি হোক। পাশাপাশি আমি বিরক্ত কেন তাদের এত দিন শাস্তি দেয়া হয়নি। তারা তো আর আজকে থেকে ধর্ম বিদ্বেষী লেখালেখি করছে না। প্রথম থেকে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এলে আজকের পরিস্থিতি তৈরি হত না। তাছাড়া কমিউনিটি ব্লগ কর্তৃপক্ষ এই সব ধর্ম বিদ্বেষী লেখাগুলোতে প্রশ্রয় না দিলেও এই রকম অবস্থা হত না।

কিন্তু তার জন্য গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার পক্ষে নই। মাহমুদুর রহমান গং মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে এটাকে নাস্তিকদের আন্দোলন হিসেবে পরিচিত করেছে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য এটা করেছে। বাস্তবে গণজাগরণ মঞ্চ এই সব ধর্ম বিদ্বেষী ব্লগারদের নয়। এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। বরং গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে জড়িত আছে বামপন্থী নানা ছাত্র সংগঠন, অনেক ছোট ছোট ফেসবুক গ্রুপ (যেমন্ : শহীদ রুমি স্কোয়াড) এবং ছাত্রলীগও। গণজাগরণ মঞ্চ কখনই কাউকে তাদের সঙ্গে আসতে বাধা দেয় নি। এমনকি গণজাগরণ মঞ্চ থেকে বিএনপিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

কুরআন পড়ে প্রমাণ দেয়ার চেষ্টা হয়েছে যে সেখানে আস্তিক আছেন।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৪৯

স্বাধীন শোয়েব বলেছেন: কয়েকদিন আগে খবর বেরিয়েছিল সরকার চাচ্ছে গনজাগরনের মঞ্চ বন্ধ হয়ে যাক। ব্যাপারটা কি?

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

নায়করাজ বলেছেন: গণজাগরণ মঞ্চের ৬টি দাবী :

১) ঘাতক জামাত শিবিরের হামলায় রাজীব হায়দার, জাফর মুন্সী, বাহাদুর মিয়া, কিশোর রাসেল মাহমুদ হত্যাকান্ডে জড়িতদের আগামী ৭দিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।
২) ২৬ শে মার্চের পূর্বে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক সন্ত্রাসী জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যায় নেতৃত্বদানকারী জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সুশোধনী আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন এবং নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
৩) অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধী সংগঠনগুলোর আর্থিক উৎস, যেসব উৎস থেকে সকল প্রকার জঙ্গিবাদী, এবং দেশবিরোধী তৎপরতার আর্থিক জোগান দেয়া হয়, সেগুলো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
৪) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া গতিশীল ও অব্যহত রাখতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালকে স্থায়ী রূপ দিতে হবে।
৫) গণমানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস ও তান্ডব বন্ধে অবিলম্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সকল সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ গোপন আস্তানা সমূহ উৎখাত করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এদের ভয়ংকর রূপ প্রকাশ করে দিতে হবে।
৬) যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষক এবং হত্যা ও সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা গণমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।

দ্বিতীয় দাবি পূরণ না হওয়ায় ২৬ মার্চ তারিখে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা হয়েছিল। সেটার প্রতিক্রিয়া হিসেবে আওয়ামী লীগের নিজস্ব সভায় কোন কোন নেতা গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করে দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.