![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am very simple, complaisant
সায়েল, একজন পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র, সকাল ৯ টা- দুপুর ১ টা পর্যন্ত তার স্কুল। স্কুল ছুটি হতে না হতেই আবার দৌড়ে যেতে হয় কোচিংয়ে। বিকাল ৫ টায় ক্লান্ত দেহে ফিরে আসে বাসায়। সন্ধ্যার পর তাকে পড়ানোর দায়িত্ব আমার উপর পড়ে।
এসেই তাকে জিজ্ঞেস করি আজকে স্কুল এবং কোচিংয়ে কি পড়াইছে। স্যার...এইটা এইটা।
আচ্ছা তুমি কি এইটা বুঝেছ বা এই অংটা করতে পারবা? ভেবে চিন্তে, জ্যি স্যার না।
তাহলে তুমি কোচিং থেকে কি নিয়ে এসেছ। স্কুলের কথা না হয় বাধই দিলাম।
এত টাকা দিয়ে কোচিং করিয়ে তাহলে সুফল কোথায়। এটা অনেকটা অতি মুদ্রাস্ফীতির মতন হয়ে যায়, যে ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে ফিরে আসলাম নগন্য দ্রব্যাদি নিয়ে ।
সুফল পাওয়া যাক বা না যাক এ বিচার করা আমার সাজে না।
কিন্তু মনে পীড়া লাগে তখনই যখন হোম টিউটিরদের কোচিং সেন্টারের চেয়ে নগন্য ভাবে দেখা হয়। আমার বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই তার টিউশনি হারিয়েছেন কোচিং সেন্টারের কারনে। গার্ডিয়ান্দের যুক্তি- স্যার, সামনের মাস থেকে ওকে (ছাত্রকে) কোচিংয়ে পাঠাবো, এই কারনে আপনাকে রাখা আর সম্ভব হচ্ছেনা্, ব্লা......ব্লা...। গার্দিয়ানরা কোচিংয়ে অনেক খরচ দিতে পারে তাতে তাদের সাধে না। কিন্তু একজন টিউটিরকে ৫০০ টাকা বারিয়ে দিতে যেন তাদের অস্থিরতার শেষ নেই।
আমি হলফ করে বলতে পারি, একজন হোম টিউটর একদিনে যা পড়াতে বা বুঝাতে সক্ষম একজন ছাত্রকে, কোচিংয়ে তা সপ্তাহজুড়েও পারবে না। কোচিংয়ে পাঠানো এখন একটা ফ্যাশন বাস্তবে এর কার্যকারিতা অনেক কম।
ঢাকার অলিগলিতে ব্যাঙ্গের ছাতার ন্যায় কোচিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। ক্লাস ওয়ান থেকে শুরু করে দ্বাদ্বশ শ্রেনী পর্যন্ত। এর সাথে সাথে প্রসার ঘটছে শিক্ষা বানিজ্যের। আর শিক্ষায় বানিজ্য ডুকে যাওয়া মানে শিক্ষার সারতা নষ্ট হওয়া। এই কারনেই বাজারের ফল এবং পরীক্ষার ফল দুটোতেই এখন ভেজাল। উপরে ফিটফাট, ভিতরে অন্তঃসার।
©somewhere in net ltd.