![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am very simple, complaisant
সায়েল একজন মেধাবী ছাত্র। ক্লাসে বরাবরই প্রথম। এজন্য মহল্লার সবাই তাকে আদর এবং স্নেহ করে। তার কাছে সবার প্রত্যাশাও অনেক বড়। বড় হয়ে তার প্রধান লক্ষ্য শিক্ষক হওয়া। কারন শিক্ষিকরাই জাতির মেরুদন্ড দাঁড় করাতে প্রধান ভুমিকা পালন করে। তার বাবাও এই জাতির উন্থানের জন্য বীরদর্পে যুদ্ধ করেছেন সেই ১৯৭১ সালে। আসলে স্বপ্নটা শেখা বাবার কাছ থেকেই। তার বাবা একজন বীর বিক্রম।
সায়েল এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তার প্রথম স্বপ্ন সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়বে। তো তার মামা তাকে ঢাকার একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি করার ব্যাবস্থা করলেন। কোচিংয়েও ভালো ছাত্র হিসেবে শিক্ষকদের নজিরে পড়ল সায়েল। ভালো একজন ছাত্রকে আরো ঘষামাজা করে মেধা তালিকার প্রথম দিকে রাখলেতো তাদেরই লাভ।
যথারীরি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হল, দু একদিনের মধ্যে রেজাল্টও প্রকাশ হল।
কিন্তু সায়েলের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল, মেধাতালিকায় হন্ন হয়ে খুঁজেও তার রোল নম্বর পাওয়া গেল না। রোল এসেছে অপেক্ষমান তালিকায়। অপেক্ষমান তালিকায় থাকলেও কি আর না থাকলেও কি। প্রচন্ড হতাশায় তার চোখের পানি গাল ভেয়ে ভেয়ে মুখে আস্বাদন হল। নিয়তির এ কি নিষ্করুণ উপহাস।তার স্বপ্ন ভেঙ্গে নিষ্পিষ্ট হয়ে গেল।
হঠাত তার কোচিং সেন্টার থেকে এক স্যারের ফোন এল, বলল সায়েল তুমি কেঁদো না, তোমার জন্য দরজা খোলা আছে। সায়েল তার স্যারের কথার আগামাথা কিছু বুজতে পারল না। ‘তোমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, নাতিনাতনিদের জন্য বিশেষ কোটা রয়েছে; তুমি ঐ কোটায় অপেক্ষমান তালিকা থেকেও সুযোগ পাবে; এজন্য তোমার বাবার মুক্তিযুদ্ধ সনদ তা প্রয়োজন হবে’ বলল স্যার।
সায়েল গেল তার বাবার কাছে, সব খুলে বলল। কিন্তু তার বাবা খুব রাগান্বিত হলেন ছেলের উপর। তার মুক্তিযোদ্ধা বাবার উক্তিটি দিয়ে গল্প শেষ করছি আর তা হল-
“আমি তো কোন সুবিধা ভোগের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি;
যে শিক্ষা সার্টিফিকেটের মাধ্যমে কেনা যায় সে শিক্ষার কোন দরকার নেই।“
©somewhere in net ltd.