![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am very simple, complaisant
নাইমুল হাবিব মাত্র ক্লাস এইটের একজন ছাত্র। প্রত্যান্ত গ্রামের এক ছেলে। পরিবারের আর্থিক স্বচ্চলতা বলতে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। বাবা একজন সাধারণ কৃষক। নিজের অল্প কিছু এবং লিজ নেওয়া কিছু জমিতে নাইমুলের বাবা চাষ করেন। আবার শ্রমিক হিসেবেও রোজ চুক্তিতে কাজ করেন। তার একমাত্র ছেলে নাইমুল।
তো মুল কথায় আসি। ফেসবুকের দমকা হাওয়া বইছে সারা বিশ্বজুড়ে। সেই ঝড়ে আমাদের প্রত্যান্ত গ্রামও বাদ যায়নি। গ্রামের কচিকাঁচারাও ফেসবুকে আইডি খুলে ফ্রেন্ড রেকুয়েস্ট পাঠায়। ফেসবুকে ছবি আপলোড করা, স্টাটাস দেওয়া এখন গ্রামের ছেড়া লুঙ্গি পড়া একজন বালকেরও আজকাল ফ্যাশন। আবার কেউ কেউ অতিমাত্রায় আসক্ত।
এই ফেসবুকে চালাতে গেলে বেশি না হলেও অল্প কিছু টাকার প্রয়োজন হয়-শুধু মোবাইলে মেগাবাইট কিনার জন্য। আবার কিছু অপারেটর ইদানিং কালে ফেসবুক ব্যাবহার বিনামুল্যে করে দিয়েছে। তবে ঘটিত ঘটনা বেশ কিছুদিন আগের যখন গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে গিয়েছিলাম।
আমি আর নাইমুলের বাবা চা খাচ্ছিলাম দোকানে বসে। কথার প্রেক্ষিতে জিজ্ঞেস করলাম ‘আপনার ছেলের পড়াশুনার কি অবস্থা?’। তিনি বললেন, ‘ পড়াশুনা আর কি, সারাদিন মোবাইল নিয়া টিপাটিপি করে; সারাক্ষন মোবাইল হাতে থাকে; এডার মধ্যে কি আছে আল্লায় জানে যদি একবার ডুকে দেক্তাম হাইত্তাম; কইছি মেট্রিক পাস করন ছাড়া মোবাইল কিনি দিতাম ন কিন্তু হেতে কয় মোবাইল কিনি দেন ছাড়া পরাশুনা কইত্তনো; মোবাইলের খরচের লাই প্রতিদিন হেতে ২০ টিয়া করি নেয়, না দিলে ঘরে চিল্লাচিল্লি করে; এখন হুনি কি এক্কান বাহির হইছে ফেসবুক না কি;
তার বাবার ভাষ্যমতে, একদিন ছেলে ১০০ টাকা চাওয়ার পর তিনি দিতে পারেন নি। না দেওয়ার কারনে ছেলে না জানিয়ে ঘর থেকে ৫ কেজি চাউল নিয়ে বাজারে বিক্রি করে দেয়।
পরে নাইমুলের বন্ধু মারপত জানতে পারলাম যে, নাইমুল মোবাইলে মেগাবাইট কিনার জন্য টাকা জোগাতে এই কর্ম করেছেন।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭
মৈত্রী বলেছেন:
https://www.facebook.com/ly.kimheang.5/videos/900914306639745
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
খুবই দু:খজনক।
এটা সমস্যায় পরিণত হয়েছে; সমাধান করা দরকার।