![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am very simple, complaisant
বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম ফার্মগেটে। বিকাল বেলায় ফার্মগেটে বাসাফেরত মানুষের এক বিশাল সমাবেশ তৈরী হয়, যেন রাজনৈতিক কোন সভা-সমাবেশ চলছে। আসলে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের অভাবে বাসগুলোতে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অপেক্ষারত সব মানুষ এরা। এ সময় মানুষ বাসে উঠার জন্য তুমুল লড়াই করে। কে কাকে ডিঙ্গিয়ে বাসে ঠাই করে নিবে তার জন্য চলে প্রতিযোগিতা। বিকেল বেলায় এই সমস্যা বেশি দেখা যায়, তিল ধারনের ঠাই থাকেনা। তবুও মানুষ কষ্টকে স্বীকার করে ধস্তাধস্তি এবং গাদাগাদি করে বাসে উঠার চেষ্টা করে, কারন যেভাবে হোক বাসায় যেতে হবে। আবার বাসগুলো সিটীং সেগুলো স্বাভাবিকত প্রস্থান থেকেই পরিপুর্ণ হওয়ায় তা লক থাকে এবং জনসমুদ্রের পানে তাঁরা ফিরেও তাকায় না।
যাই হোক এহেন পরিস্থিতিতে যারা পুরুষ তাঁরা ভিড় ডিঙ্গিয়ে বাসে উঠে হিমালয় জয়ের স্বাদ নিতে পারে। আবার তাঁরা যদি তা নাও পারেন তাদের পায়ে হেটে গন্তব্যস্থলে পোঁছতে অসুবিধা হয়না। এক ঘন্টা তাঁরা সাবলিল্ভাবে হাটতে পারে।
কিন্তু এই অবস্থায় চরম ভোগান্তির শিখার হয় নারীরা। কারন ভিড়ের মধ্যে পুরুষের অভেদ্য প্রাচীর ভেদ করে বাসে উঠা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়না এবং তা করতে গেলে শ্লীলতাহানির সুযোগ তৈরি হয়। ফলে তাদের দীর্ঘক্ষন বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সরকারি আদেশ অনুযায়ী প্রত্যেকটি সরকারি ও বেসরকারি বাসেই তাদের জন্য সংরক্ষিত আসন থাকলেও তা শুধু মাত্র নামেই 'সংরক্ষিত'। বেশিরভাগ সময়েই এই সংরক্ষিত আসনগুলো নারীদের দখলে না থেকে পুরুষের সংরক্ষনেই থাকে। আবার ভিড়ের মধ্যে তাদের বাসে উঠার সুযোগ তৈরি না হওয়ায় সংরক্ষিত আসন পুরুষ যাত্রীদের দখলে থাকে। আবার তাদেরকে সংরক্ষিত আসন ছেড়ে দেয়ার কথা বললে, অনেকেই উল্টো প্রতিক্রিয়ায় বলেন, 'আমি টাকা দিয়ে যাচ্ছি সিট ছাড়বো কেন?', 'অন্য সিটেওতো মেয়েরা বসছে তাতে সমস্যা হয় না, নারীর সিটে পুরুষ বসলেই দোষ', 'প্রয়োজনে নিজে গাড়ি কিনে যাতায়াতকরন'সহ এরকম অসংখ্য তীব্র তর্ক-বিতর্কের মুখে পরতে হয় নারীদের। যখন পরিবহণে চাপ বেশি থাকে তখন বহু বেসরকারি বাসে নারীদের সংরক্ষিত আসনে পুরুষ যাত্রিদের বসিয়ে 'সিট নেই' বলে নারীদের উঠতে দেয়া হয় না। পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যানবাহনে উঠতে গিয়ে প্রতিনিয়ত যৌন হয়রানিসহ নানারকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে নারীরা।
এর ফলে নগরীর রাস্তায় নারীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হয়। একে নগরীর যানজট তারপর বাসের অপ্রতুলতা তাদের জন্য মরার উপর শবের গীত হয়ে দাঁড়ায়।
তাই, নগরীতে ‘মহিলা কলেজ-বালিকা বিদ্যালয়-মহিলা হাসপাতালের ’ মত মহিলা বাস চালু করা সময়ের গুরুত্বপুর্ণ দাবি, যা মহিলাদের যাতায়াতের দুর্দশা লাগব করবে। বিআরটিসি এ ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহন করা দরকার।
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১১
হতাস৮৮ বলেছেন: বিষয়টি আমার কাছেও খুব খারাপ লাগে। যখন ভাবি,এই একজন নারী, সারাদিন অফিস করেন, তারপর আবার বাসায় গিয়ে সংসারের কাজ কর্ম আছে। কিভাবে পারেন? আমার খুব আশ্চর্য লাগে। মফস্বল শহরগুলোতে সম্ভব, কিন্তু ঢাকা শহরের মত জায়গায়, সত্যিই এইটা একটা অমানবিক ব্যাপার।
আমার মনে হয়, যদি অফিসগুলো নিজেদের পরিবহন ব্যবস্থা রাখেন আর সরকার যদি নারীদের আলাদা বাস-সার্ভিস এর ব্যবস্থা করে দেন, তাহলে এই দুর্ভোগ কমতে পারে। তাছাড়া, প্রতিটিবাসে সংরক্ষিত ছিট রাখেন আর যাই করেন না কেন খুব একটা লাভ হবে না। কারণ, আপনি যদি বাসে উঠতেই না পারেন, তাহলে লাভ হচ্ছে না। আর ছিট থাকে মাত্র ৯টা, কিন্তু নারী চাকরীজীবি,ছাত্রীর সংখ্যা তো অনেক।
আলাদা বাস সার্ভিস হলে আর একটা সুবিধা হবে সেটা হল, যেহেতু সবাই নারী,তাই তারা অন্যান্য বাসের মত, সংকুচিত বোধ করবেন না। তখন দাড়িয়ে গেলেও খুব একটা অসুবিধা হবে না। শ্লীতাহানির কিংবা অন্য কোন সমস্যাও থাকবে না।
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০০
নাজিমুদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন।
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৫
অহনাব বলেছেন: আমরা ছেলেদের তো বাসে উঠতে ১২ টা বেজে যায়, মেয়েরা তো বাসেই উঠতে পারে না। আসলেই আলাদা বাস সার্ভিস থাকা উচিত।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৪
amitanmoy বলেছেন: আমরা পুরুষরা যদি আন্তরিক থাকি তাহলে মেয়েদের ভোগান্তি হবে না। কয়জন পুরুষ মেয়েদের জন্য সীট ছেড়ে দেয়?