স্বার্থপরের মতই কাজ করলাম

৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৫১

আমার এক বন্ধু প্রায়ই বলে, "আমার নাকি কপালটা অনেক ভাল"। ওর কথাটা শুনতে শুনতে আমি প্রায় বিশ্বাসই করে ফেলছিলাম একসময়। একি রকম বিশ্বাস ছিল ২০০০ সালে, বিশ্বাস ছিল যেখানেই ভর্তি পরীক্ষা দিব সেখানেই টিকে যাব, ওই বিশ্বাস ভাঙতে সময় লাগেনি ছয় মাসও। হয়তো সেকারনেই বন্ধুর বিশ্বাসটা আর লম্বা হতে দিলাম না। চলে এলাম ওই জগত থেকে, বন্ধুর কথা অনুযায়ী যে জগতে কপালটা নাকি আমার খুবই ভাল।



চলে যাবার আগে অনেককে অনেক কিছু বলতে পারতাম- কার কাছ থেকে কী কী শিখেছি, কাকে কাকে আমি কক্ষনই ভুলতে পারবনা, কোন ছোট ভাইটাকে আমি কিছু করতে বললে সুপারসনিক গতিতে করে ফেলত আরও কত কি। কিন্তু তারা এতটাই মহানুভব যে তাদেরকে ধন্যবাদ দিলে সেটা কম হয়ে যেত।



তার পরেও বলতে হয় কিছু কথা। যেগুলো বলতেই হবে, যেটা আমার মনে হয়েছে, বেশ কষ্ট করে কয়েকজন মিলে আমার জন্য একটা মঞ্চ তৈরী করেছিলেন, নাটকের স্ক্রিপ্ট রেডি করে দিয়েছেন, অভিনয় শিখিয়েছেন- আমার কাজ ছিল শুধু পারফর্ম করা। আমি দুঃখিত। আমি সেটা করিনি। এমনকি তাদেরকে শেষ সময়ে ধন্যবাদ দিতেও কার্পণ্য করেছি। কেন? কারন- নাটক শুরুর আগ মুহূর্তে কোন অভিনেতা ধন্যবাদ দিয়ে চলে যেতে পারে কী, পারে না, পারা উচিতও না। আমিও তাই কাওকে ধন্যবাদ দেইনি।



বন্ধুর কথায় আসি আবার- তোমার কথাটা ভুল। ব্যাপারটা কপাল না। ব্যাপারটা হল- তোমার চারপাশে যত বেশী তোমার শুভানুদ্ধায়ি থাকবে তোমার জীবনে ততবেশী ভাল ভাল ঘটনা ঘটতে থাকবে। আর যার যার চারপাশে শুভানুদ্ধায়ির সংখ্যা বাড়ানোর দায়িত্তটা তার নিজেরই। আমি হয়ত এই দায়িত্তটা ভালভাবেই পালন করেছি।



আর বন্ধুকে ছেড়ে যাওয়াটা অনেক কম কষ্টের, এর চেয়ে অনেক বেশী কষ্ট বন্ধু যদি ছেড়ে চলে যায়। ক্ষমা করে দিস- এখানেও আমি স্বার্থপরের মতই কাজ করলাম- বন্ধুকে ছেড়ে চলে এলাম।

-মামুন

০ টি +০/-০