নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সংগ্রামে হেরে যাওয়ার মাঝে কোনো বীরত্ব থাকেনা; তাই জীবনের এই যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাহসীকতার সাথে লড়াই করার মাঝেই জীবনের প্রকৃত বীরত্ব লুকিয়ে থাকে, আর ভাগ্য সবসময় সাহসীদের পক্ষেই কাজ করে।

নৈশ শিকারী

আমার এই জন্মভূমিকে খুব ভালোবাসি আর এমন দেশের স্বপ্ন দেখি যে দেশে দারিদ্র্যতা, ক্ষুধা আর পথশিশু থাকবেনা। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আমৃত্যু কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

নৈশ শিকারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র কোরআনের আলোকে বিজ্ঞান। (পর্ব:১) ‘বিগ ব্যাং’ পবিত্র কোরআনের সাথে কতটুকু সঙ্গতিপূর্ণ?

২১ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

বিজ্ঞানীগণ ধারনা করেন প্রায় ২০,০০০ বিলিয়ন আলোকবর্ষ ব্যাপী আমাদের এ মহাবিশ্বটি মহাশূন্যে ছড়িয়ে- ছিটিয়ে পড়েছে। তারাঁ শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে গ্যালাক্সির অবস্থান নিরুপন করতে সমর্থ হয়েছেন। প্রায় প্রতিটি গ্যালাক্সিতে আবার ৪০,০০০ কোটি নক্ষত্রের আনাগোনা রয়েছে। এতেই শুধু শেষ নয় প্রতি নক্ষত্রের সাথে আছে তার গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণু ও ধূমকেতুসহ অগুনিত জানা-অজানা মহাজাগতিক বস্তু ও আলোর-বিকিরনের সমাহার যাকে আমরা নামকরন করেছি- “নক্ষত্রের নিজস্ব সৌর পরিবার”। বর্তমানে সবচাইতে আলোচিত আবিষ্কার এই তত্বটি সর্বমহলে আলোচিত ও সমালোচিত। বিশেষ করে আমেরিকানদের প্রযুক্তি আড্ডার কলেবরে এখনো তুমুল ঝড় উঠে পক্ষে- বিপক্ষে।

মহাবিস্ফোরণের পূর্বে পদার্থ বা বস্তু বলে কিছূ ছিলনা। এমনি এক অস্তিত্বহীন বা শূণ্যাবস্থায় বিদ্যমান ছিল না কোন পদার্থ, না কোন শক্তি, এমনকি সময়ের অস্তিত্ত্ব ছিলনা – যা কেবল অধিবিদ্যামূলক (Metaphysically) কিংবা বিমূর্ত আলোচনায় বর্ণনা করা যায় তেমনি একটি অবস্থা থেকে পদার্থ, শক্তি আর সময়ের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের এই সমস্ত মহাবিশ্ব সৃষ্টির আদিতে একটা অতি ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র বিন্দু ছিল তারপর হয় ‘বিশাল বিস্ফোরন’ ইংরেজীতে যা ‘Big Bang’ তত্ব নামে অতি সুপরিচিত। এই প্রচন্ড বিস্ফোরনের পর চন্দ্র, সূর্য, পৃথিবী এবং হাজার কোটি গ্যালাক্সী, নক্ষত্র, ছায়াপথ, নিহারিকা ও অন্যান্য অনাবিষ্কৃত বস্তু ও বলয়ের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের ক্ষুদ্র গ্যালাক্সীর প্রায় ৪০ হাজার কোটি সে সে মধ্যে আমাদের এই সূর্যটি অতি ক্ষুদ্র সূর্য যার ১১-১৩টি গ্রহ ,উপগ্রহের পরিবার রয়েছে। তথ্যটি নিয়ে গবেষনা শুরু হয়েছে এই 20 শতকের প্রথম দিকে।

কিন্তু কুরআনে এই ফর্মূলা প্রকাশিত হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে, কুরআনুল কারীম সমগ্র মানবজাতির জন্য সর্বশেষ আল্লাহ্তা ‘আলার বার্তা, আল্লাহ্তা‘আলা সন্দেহাতীতভাবে প্রয়োজনীয় প্রায় সর্ব বিষয়েরই র্নিভূল তথ্য এই কুরআনে উল্লেখ করেছেন। অনেকে ধারনা করেন “science”- এর প্রতিটি তথ্যের বিশ্লেষনধর্মী ব্যাখ্যা কুরআনে রয়েছে, আসলে Science or technological তত্বের বর্ননা নয় কুরআন মানবজাতির নিকট প্রতিটি প্রয়োজনীয় তত্বের ‘signs’ বা 'সাংকেতিক’ অথবা টেলিগ্রাফিক বার্তা বিভিন্ন আয়াতে প্রকাশিত রয়েছে (বেশিরভাগই অনাবিষ্কৃত)। চারদিকের দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান মহাবিশ্ব ও তার সৃষ্টিতত্বের সর্বপ্রথম আগাম সুষ্পষ্ট তথ্য ও মহাগ্রন্থ কুরআন কারীমে উল্লেখ রয়েছে- সুরা আম্বিয়া ২১নং সুরা , ৩০নং আয়াতে,

ﺍَﻭَ ﻟَﻢْ ﻳَﺮَ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦ ﻛَﻔَﺮُﻭْﺁ ﺍَﻥَّ ﺍﻟﺴَّﻤﻮﺕِ ﻭَﺍﻻَﺭْﺽِ ﻛَﺎﻧَﺘَﺎ ﺭَﺗْﻔًﺎ ﻓَﻔَﻘْﻨﻬُﻤَﺎ ﻁ
“যারা অবিস্বাস পোষন করে তারা কি দেখেনা যে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবী উভয়ে একাকার ছিল তারপর আমরা (আমি) স্ববেগে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দিলাম…”(অনুবাদ:-ডাঃ জহুরুল হক, উম্মুল কোরা, সৌদি আরব)।

পবিত্র কোরআনে প্রদত্ত এ তথ্যটি সমসাময়িক বিজ্ঞানের পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্যাবলীর সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সংগতিপূর্ণ।অর্থাৎ হাজার কোটি গ্যালাক্রী, নক্ষত্র, ছায়াপথ, নিহারিকা, গ্রহ, Black whole, White whole, Warm whole, উপগ্রহ, গ্রহাণু ও ধূমকেতুসহ অগুনতি জানা-অজানা মহাজাগতিক বস্তু ও আলোর-বিকিরন, আলো এমনকি সময় পর্যন্ত, অর্থাৎ এই সম্পূর্ন মহাবিশ্বের বস্তু, শক্তি ও সময় সমস্ত কিছুই বর্তমান অবয়ব ও নিজস্ব আকৃতি, গতি এবং কর্মপ্রকৃতি প্রকাশিত কারার পূর্বে একটি ‘বিশেষ পর্যায়ে’ সঙ্কুচিত অবস্থায় পরস্পর মিশ্রিত ছিলো যা এতই ক্ষুদ্র ছিল এককথায় Astor-physics বিজ্ঞানী কুকু বলেন “অচিন্তনীয় ক্ষুদ্র এক অস্তিত্ব। এরপর আল্লাহ্ ঐ সঙ্কুচিত অতি ক্ষুদ্র বিন্দুটিকে সর্বদিকে ছড়িয়ে দেন প্রচণ্ড এক বিস্ফোরণের মাধ্যমে।

যার ফলে বস্তু, শক্তি ও সময় পৃথক হয়ে বর্তমান দৃশ্যযোগ্য রূপ ধারণ করতে থাকে (অর্থাৎ হাজার কোটি গ্যালাক্রী, নক্ষত্র, ছায়াপথ…) এবং সেই সাথে দ্রুত থেকে দ্রুততর সম্প্রসারিত হতে থাকে অর্থাৎ সর্বদিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এইতো 2011 সালে দুজন মার্কিন মহাকাশ পদার্থ বিজ্ঞানী প্রমান করেন এই মহাবিশ্বের সম্প্রসারন গতি দ্রুত হতে দ্রুততর হচ্ছে , এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য তারা যৌথভাবে নোবেল পুরষ্কার অর্জন করেন। এই তাত্বিক বিষয়ে বিজ্ঞান বিশ্ব অবিরত গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তথ্য-অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে থাকে 20 শতক হতে অনেক বিজ্ঞানী মহাবিশ্বর ‘Big Bang’- এর বহু অগ্রহনযোগ্য চিত্র বিশ্লেষিত করেছেন কিন্তু বিজ্ঞান-সমাজ নড়ে-চড়ে বসতে বাধ্য হয় যখন ১৯৩৩ সালে বেলজিয়ামের পদার্থ বিজ্ঞানী জর্জ লি মেইতর সর্বপ্রথম বিশ্বের সামনে ‘Big Bang’ এর গ্রহনযোগ্য ও সুচিন্তিত তথ্য উপস্থাপন করেন।

তিনি প্রকাশ করেন মহাবিশ্বে যাবতীয় সময়,শক্তি ও বস্তুর যে আনাগোনা ও রুপ আমাদের আশেপাশে ও দূরদূন্তে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে নিজিদের অস্তিত্বের প্রমান ব্যক্ত করছে, তার সমস্ত কিছুই একটি মহাসূক্ষ্ম বিন্দুতে আজ থেকে প্রায় ১৫০০ কোটি বছর পূর্বে অতিসংকোচন অবস্থায় আটকে ছিল। ফলে এক পর্যায়ে অতীব প্রচণ্ড চাপ ও তাপ বর্ধিত হয়ে সঙ্কুচিত শক্তির বিন্দুটি এক পর্যায়ে বিশাল বিস্ফোরন ঘটে এবং মহাবিশ্বের সূচনা হয় এক কথায় বলা যায়- মহাবিস্ফোরন। মেইতরের এই তত্বের ঘোর বিরোধীতা করেন যাঁর মধ্যে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ফ্রেড হোয়েল, ২০০১ সালে যিনি মত্যুবরন করেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি Big Bang তত্বের ব্যাখ্যা গ্রহন করেননি। যাই হোক ১৯৪৬ সালে প্রখ্যাত আমেরিকান বিজ্ঞানী ‘মিঃ গামো’ (গামা রশ্মির আবিষ্কারক) Big Bang ব্যাখ্যার সাথে একাত্নতা প্রকাশ করেন এবং Mathematical Calculation-এর গ্রহনযোগ্য বিশ্লেষনের মাধ্যমে দেখান যে ঐ মহাবিস্ফোরণে বস্তুর তাপমাত্রা, রেডিয়েশন, আলো, ভাইব্রেশন বা ফ্রিকোয়েন্সী এখনও মহাবিশ্বে বিরাজমান করছে। তিনি উল্লেখ করেন সঠিকভাবে গবেষনা চালাতে সক্ষম হলে তা আবিষ্কৃত হওয়া খুব দুরে নয়। আল্লাহ বলেন- সূরা ইমরান-৩, আয়াত-১৯০,

ﺇِﻥَّ ﻓِﻲ ﺧَﻠْﻖِ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷﺭْﺽِ ﻭَﺍﺧْﺘِﻼﻑِ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻭَﺍﻟﻨَّﻬَﺎﺭِ ﻵﻳَﺎﺕٍ ﻷﻭﻟِﻲ ﺍﻷﻟْﺒَﺎﺏِ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺬْﻛُﺮُﻭﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻗِﻴَﺎﻣًﺎ ﻭَﻗُﻌُﻮﺩًﺍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺟُﻨُﻮﺑِﻬِﻢْ ﻭَﻳَﺘَﻔَﻜَّﺮُﻭﻥَ ﻓِﻲ ﺧَﻠْﻖِ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷﺭْﺽِ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻘْﺖَ ﻫَﺬَﺍ ﺑَﺎﻃِﻼ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﻓَﻘِﻨَﺎ ﻋَﺬَﺍﺏَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ
“নিঃসন্দেহে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাক্রমে যাওয়া আসার মধ্যে যে সমস্ত বুদ্ধিমান লোক উঠতে বসতে ও শয়নে সব অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আকাশ ও পৃথিবীর গঠনাকৃতি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে, তাদের জন্য রয়েছে বহুতর নির্দশন ৷ (তারা আপনা আপনি বলে ওঠে) হে আমাদরে প্রভু! এসব তুমি অর্নথক ও উদ্দশ্যেবিহনভাবে সৃষ্টি করোনি বাজে ও নির্রথক কাজ করা থেকে তুমি পাক- পবিত্র ও মুক্ত,আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও” ৷ (অনুবাদ:- মাওলানা মুহিউদ্দীন, উম্মুল কোরা, সৌদি আরব)

সময়টা ছিল ১৯৬৪ সাল আমেরিকান বিজ্ঞানী ‘রবার্ট উইলিসন’ ও ‘আরনো পেনজিয়াস’ বেল ল্যাব, নিউজার্সিতে গবেষনারত ছিলেন। কর্মস্থলে হঠাৎ করেই তারাঁ বেলের আবিষ্কৃত বিশাল ‘রেডিও টেলিস্কোপে’- এ এক ধরনের শোঁ শোঁ শব্দ শুনতে পান,যা সাধারনত আমরা টিভি-তে কোন অনুষ্ঠানের চ্যানেল না থাকলে অথবা রেডিওতে কোন নির্দ্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সেতে সেট করা না থাকলে যে শব্দটা শুনতে পাই অর্থাৎ সাধারন দৃষ্টিতে রেডিও বা টিভির যেমন রেডিয়েশন তথা ফ্রিকোয়েন্সি রিসিভ করা প্রয়োজন তার চাইতে অতিরিক্ত রেডিয়েশন তাঁরা গ্রহন করছিলেন, দুইজন বিজ্ঞানীর প্রশ্ন ছিল এর উৎপত্তিস্থল কোথায়! পরবর্তীতে তাঁরা শব্দের তরঙ্গকে ভাইব্রেশনাল তাপমাত্রায় রূপান্তর করার ফলে তা ২.৭৩ কেলভিন এ উপনিত হয়।

প্রথম প্রথম তারা ব্যাপারটা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পড়েন কারন শব্দ তরঙ্গের বিভিন্ন উৎস ছিল যেমন এন্টেনার আশেপাশে কবুতর ও এরোপ্লেনের আনাগোনা ছিল কিন্তু সেসব সমস্যা তাড়ানোর পরও সেই অনাকাঙ্খিত শব্দ আসতে থাকে, বিভিন্ন পরিক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষনার পর অবশেষে তাঁরা প্রমান করেন এই শব্দ তরঙ্গ প্রতিটি দিক থেকে আসছে, এবং ফলশ্রুতিতে এই গবেষনার ফলাফল ইঙ্গিত করে- Big Bang- এর দিকে।এই সুচিন্তিত আবিষ্কার ও অবদানের জন্য দু’বিজ্ঞানী পরবর্তী বছরই নোবেল পুরষ্কারের সম্মাননা অর্জন করেন। এতে প্রমাণিত হয় এক বিশাল বিস্ফোরণের মাধ্যমেই এই মহাজগতের সুচনা যা আমরা কুরআন কারীমে ১৪০০ বছর পূর্বে জানতে পারি।

এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে Big Bang কে নিয়ে যদিও বর্তমান বিশ্বে আলোচনা চলছে এবং সমসাময়িকতার সাথেও বইছে সমালোচনার ঝড় কারন বর্তমান সময়ের কিছু প্রখ্যাত বিজ্ঞানী এখনো এটি সম্পূর্ন সমর্থন করেননি, সম্প্রতি জন কেইরন নামে একজন লেখক ‘‘কেন বিগব্যাং থিওরি ভুল’’ শীর্ষক একটি নিবন্ধে এ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। আবার এমন কিছু সুধী সমালোচকগন আছেন যারা বেশ অন্যরকম যুক্তিকতার অবতারনা করেছেন যা (প্রতি সেকেন্ডের Big Bang) তাঁরা বলেন, “আমাদের এই মহাবিশ্ব দিয়েই সবকিছুর প্রারম্ভিক নয়, এই ক্ষুদ্র মহাবিশ্ব শুধু মাত্র একটি শিশু মহাবিশ্ব যার Parents Universe” রয়েছে।

প্রতিটি Universe ঠিক পানির বুদবুদের মতো ভাসছে (যেমনটি মহা-সাগর বিলিয়ন বিলিয়ন বুদবুদের সমম্বয়),প্রতিটি বুদবুদের অভ্যন্তরে রয়েছে- হাজার কোটি গ্যালাক্সী, নক্ষত্র, ছায়াপথ, নিহারিকা, গ্রহ, Black whole, White whole, Warm whole , উপগ্রহ, গ্রহাণু ও ধূমকেতুসহ অগুনিত জানা-অজানা মহাজাগতিক বস্তু ও আলোর বিকিরন, আলো এমনকি সময় অর্থাৎ প্রতিনিয়ত Black whole ঘটে চলছে এবং এক মহাবিশ্ব অন্য মহাবিশ্বের জন্ম দিচ্ছে তারা আরও বলেন, "সর্বগ্রাসী Black whole দিয়ে গ্যালাক্সী, নক্ষত্র, ছায়াপথ, নিহারিকা ,গ্রহ, আলো এমনকি সময় প্রবেশ করে কিন্তু বের হয় কোন পথে? যে পথে বের হয় তা -Big Bang এর নামান্তর নয়কি? যখন বেসিনের ক্ষুদ্র ফুটো দিয়ে পানি প্রবেশ করে বড় টাংকিতেই ছড়িয়ে পড়ে যাকে “সম্প্রসারিত মহাবিশ্ব” এর ক্ষুদ্র উপমা বলা হয়। একেক বিশ্ব বিভিন্ন ডাইমেন্শনে থাকার কারনে আমাদের পক্ষে অন্য মহাবিশ্ব অবলোকন করা সম্ভব হচ্ছেনা এবং প্রতিটি মহাবিশ্বে যাতায়াতের জন্য অতি সংক্ষিপ্ত রাস্তা আছে যাকে Warm whole বলা হয়” তাঁরা উদাহরন স্বরুপ সমুদ্রে ভাসমান নৌকায় মানুষদের এবং পানির নীচে মাছেদের ব্যবধানের বিশ্লেষন করেছেন।

১৯৯২ সালে নাসা (NASA) Cobe Space স্যাটেলাইট পাঠায় যার সংবেদনশীল সেন্সরগুলো মহাবিস্ফোরণের ঘটনামূলক অবশিষ্টাংশ বা ছিটেফোটা ধরে রাখতে সক্ষম হয়। এই আবিষ্কার মহাবিস্ফোরণের প্রমাণ বহন করে, যা কিনা মহাবিশ্ব যে শূণ্যাবস্থা থেকে সৃষ্ট হয়েছে তারই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। সম্প্রতিকালে ২০০১ সালে উৎক্ষিপ্ত অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট (WMap) এর সাথে সংশ্লিষ্ট জাপানী গবেষক মিকিও কুকু বর্ননা করেন, "এই WMap স্যাটেলাইট ৩টি স্যাটেলাইটের সমম্বিত কর্মপদ্বতি যা Laser Technology-র মাধ্যমে ত্রিভুজ সৃষ্টি করেছে এই ট্রায়াঙ্ল স্যাটেলাইটের দুরত্বও বিশাল প্রায় ৩০ লক্ষ মাইল, এটিকে Big Bang হতে প্রাপ্ত তথ্য ও উপাত্ত লেজারের মাধ্যমে নির্ভূল পদ্বতিতে বিচার- বিশ্লেষন করতে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে আমাদের বায়ুমন্ডলের উপরে (পৃথিবীর orbits-এ)। এর বিশেষত্ব হলো LISA COSEUP Orbits অর্থাৎ (The Laser Infantry Satellites) Big Bang –এর পর হতে শকওয়েভ বা ভাইব্রেশন সৃষ্টি হয়েছে তা এই বিশাল লেজার গাইডেড ট্রায়াঙ্গলে মধ্য দিয়ে পরিবাহের সময় বিভিন্নভবে গবেষনা, পর্যালোচনা তথা বিশ্লেষনের মাধ্যমে প্রমানিক পর্যায়ে উপনিত করা।” উপরোক্ত বিজ্ঞানের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে পবিত্র কুরআন নিঃসন্দেহে আল্লাহর অমোঘ বিধান। মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কে আছে সঠিক পথের সন্ধান দিতে পারে? আল্লাহ আমাদের সকলকে দয়া, ক্ষমা, এবং আলোর পথ প্রদান করুন। (আমিন)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.